নস্টালজিয়া
আজকাল পরীক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ পেলে ফেসবুকে পোস্ট দেয়, আমাদের দিতে হয়েছিলো মিষ্টি। সাতসকালে খুব সহজে ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছে ফলাফল।
অথচ এমন ডিসেম্বরের কয়েকটি বিকেল, আমাকে ভালো থাকতে দেয়নি অনেকবার।খুব তীব্রভাবে বেড়ে যেতো হৃদস্পন্দন, যেটা বিয়ের প্রথম রাতে হওয়ার কথা ছিলো।
জেডিসি কিংবা দাখিল দেওয়ার পর নিজেকে হালকা মনে হতো। মনে হতো, বুকের উপর থেকে কেউ ১টনের একটি পাথর সড়িয়ে দিলো।
পরীক্ষা মানে আবার নতুন একটি বছর, যেখানে আমাদের থাকবে নতুন ক্লাস আর নতুন
জামা কাপড়। কারো কারো নতুন গার্লফ্রেন্ডও হয়েছিলো।
পরীক্ষা নিয়ে এরচেয়ে বেশী আশা করতে পারিনি কখনোই।
মাদ্রাসার স্যাররা পরীক্ষার আগে আমাদের বলতো, তোমাদের দিয়ে কিছু হবেনা। পরীক্ষার পর আমরা যা ইচ্ছে হয়ে গেলাম।
তখনও ফেসবুক ছিলোনা, পরীক্ষার পর আমি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে যেতাম। ঘরে ফিরতাম সন্ধ্যায়। ঘরে ফিরে ভাইয়ের সাথে মারামারি আর রাতে মায়ের আবেগপ্রবণ বক্তব্য। এরপর আবার রাত গিয়ে সকাল হতো, আমি আবার মাটের দিকে ছুটতাম।
এরপর কোনো একদিন সকালে জানতে পারলাম, আজ আমার ফলাফল দিবে। শুনেই ব্যস্ত হয়ে পরলাম। কিশোর বয়স হেতু সকালে গোসলের প্রয়োজন হলোনা। দৌড়ে চলে গেলাম মায়ের কাছে। মা খুব ব্যস্ত হয়ে পরলো আমাকে নিয়ে। যেমনটা মহিলারা ঈদের আগেরদিন হয়ে থাকে।
মা আমার হাতে ২০টাকা তুলে দিয়ে বললেন, "যা, মাদ্রাসার দিকে যাওয়ার পথে কোনো ফকির কে দিয়ে দিস"
আমি ২০টাকা থেকে ৫টাকা পকেটে রেখে বাকি ১৫টাকা ভিক্ষুককে দিতাম।
বেলা পেড়িয়ে দুপুর হওয়ার একটু আগেই আমি মাদ্রাসায় পৌছতাম। আমার কিছু বন্ধু বান্ধবরা সহ ডুকে পরতাম মাদ্রাসার অফিসে।
মাদ্রাসায় আমি সবার আগে আসতাম, তারপর আসতো রফিক, কামাল এরপর জসীম।কিন্তু রেজাল্ট তখনও আসেনি।
আমরা বন্ধু-বান্ধবরা সবাই মিলে মাদ্রাসায় দাড়িয়ে ফলাফলের পথ চেয়ে থাকতাম। বন্ধুরা প্রবল উত্তেজনায় থাকতো। ওদের দেখে আমিও ঠিক থাকতে পারতাম না। খুবই নার্ভাস হতাম। উত্তেজনায় গলা দিয়ে ঘাম জড়তো। উত্তেজনা লাঘব করতে কিছু বন্ধু মেয়েদের সাথে কথা বলতো। এতে নাকি উত্তেজনা কমে। তবে, হুজুররা বলতো উত্তেজনা বাড়ে, তাই আমি কথা বলতাম না।
আস্তে আস্তে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়।
আমরাও ক্লান্ত হয়ে পরি অপেক্ষমান অবস্থায়।
হঠাৎ দূর থেকে স্যার বলে উঠেছিলো,
"ফাহিম, এ+ পেয়েছিস"
অথচ এমন ডিসেম্বরের কয়েকটি বিকেল, আমাকে ভালো থাকতে দেয়নি অনেকবার।খুব তীব্রভাবে বেড়ে যেতো হৃদস্পন্দন, যেটা বিয়ের প্রথম রাতে হওয়ার কথা ছিলো।
জেডিসি কিংবা দাখিল দেওয়ার পর নিজেকে হালকা মনে হতো। মনে হতো, বুকের উপর থেকে কেউ ১টনের একটি পাথর সড়িয়ে দিলো।
পরীক্ষা মানে আবার নতুন একটি বছর, যেখানে আমাদের থাকবে নতুন ক্লাস আর নতুন
জামা কাপড়। কারো কারো নতুন গার্লফ্রেন্ডও হয়েছিলো।
পরীক্ষা নিয়ে এরচেয়ে বেশী আশা করতে পারিনি কখনোই।
মাদ্রাসার স্যাররা পরীক্ষার আগে আমাদের বলতো, তোমাদের দিয়ে কিছু হবেনা। পরীক্ষার পর আমরা যা ইচ্ছে হয়ে গেলাম।
তখনও ফেসবুক ছিলোনা, পরীক্ষার পর আমি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে যেতাম। ঘরে ফিরতাম সন্ধ্যায়। ঘরে ফিরে ভাইয়ের সাথে মারামারি আর রাতে মায়ের আবেগপ্রবণ বক্তব্য। এরপর আবার রাত গিয়ে সকাল হতো, আমি আবার মাটের দিকে ছুটতাম।
এরপর কোনো একদিন সকালে জানতে পারলাম, আজ আমার ফলাফল দিবে। শুনেই ব্যস্ত হয়ে পরলাম। কিশোর বয়স হেতু সকালে গোসলের প্রয়োজন হলোনা। দৌড়ে চলে গেলাম মায়ের কাছে। মা খুব ব্যস্ত হয়ে পরলো আমাকে নিয়ে। যেমনটা মহিলারা ঈদের আগেরদিন হয়ে থাকে।
মা আমার হাতে ২০টাকা তুলে দিয়ে বললেন, "যা, মাদ্রাসার দিকে যাওয়ার পথে কোনো ফকির কে দিয়ে দিস"
আমি ২০টাকা থেকে ৫টাকা পকেটে রেখে বাকি ১৫টাকা ভিক্ষুককে দিতাম।
বেলা পেড়িয়ে দুপুর হওয়ার একটু আগেই আমি মাদ্রাসায় পৌছতাম। আমার কিছু বন্ধু বান্ধবরা সহ ডুকে পরতাম মাদ্রাসার অফিসে।
মাদ্রাসায় আমি সবার আগে আসতাম, তারপর আসতো রফিক, কামাল এরপর জসীম।কিন্তু রেজাল্ট তখনও আসেনি।
আমরা বন্ধু-বান্ধবরা সবাই মিলে মাদ্রাসায় দাড়িয়ে ফলাফলের পথ চেয়ে থাকতাম। বন্ধুরা প্রবল উত্তেজনায় থাকতো। ওদের দেখে আমিও ঠিক থাকতে পারতাম না। খুবই নার্ভাস হতাম। উত্তেজনায় গলা দিয়ে ঘাম জড়তো। উত্তেজনা লাঘব করতে কিছু বন্ধু মেয়েদের সাথে কথা বলতো। এতে নাকি উত্তেজনা কমে। তবে, হুজুররা বলতো উত্তেজনা বাড়ে, তাই আমি কথা বলতাম না।
আস্তে আস্তে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়।
আমরাও ক্লান্ত হয়ে পরি অপেক্ষমান অবস্থায়।
হঠাৎ দূর থেকে স্যার বলে উঠেছিলো,
"ফাহিম, এ+ পেয়েছিস"
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১০/০৯/২০২৩অনুপম অভিজ্ঞতা
-
কামরুজ্জামান সাদ ০১/০১/২০১৮দারুণ অভিজ্ঞতা।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ৩১/১২/২০১৭বেশ তো!