অভিজ্ঞতার সারাংশ ১
ক)
বুদ্ধিমান মানুষ বলেন : পরের কথায় কান দিও না।
সত্য কথা। পরের কথায় কান দিলে নিজের মনে দারুণ কষ্ট হয়, ফলে নিজের প্রগতি থমকে যায়। তাই, বুদ্ধিমান মানুষ সদা এড়িয়ে চলে; কেবল বোকারাই মুখ লাগায়।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি নিজের লোকই এমন কথা বলে যাতে মনে ব্যথা লাগে, তাহলে নিজের থেকে পালিয়ে বাঁচবো কিভাবে? স্বার্থপর লোক আগে নিজের থেকে পালায়- এর জন্য নিজেকে অতি ভালবাসতে লাগে, যে ভালবাসা আপনকে পর করতে শেখায়। এ যেন নিজের থেকে নিজেই সরে যাওয়া।
সবাই স্বার্থপর হতে পারে না। যেমন কবির দল। তাদের একটু বেশি অনুভূতি আর অনুভূতি যার প্রবল, তার সহানুভূতি সাংঘাতিক। কবিরা কেবল নিজের লোকের কথায় নয়, পরের কথাতেও প্রভাবিত হয়। এর মানে কবির দল বোকা নয়, বরং সংবেদনশীল। এই ক্ষুদ্র কবি বলে : নিজের লোকেই কটু কথা বলে আর পরের লোক! আমি মনের ব্যথা কবিতায় লিখে নিজের কাছে ঋণ মুক্ত হই।
খ)
কথায় বলে : রক্তের সম্পর্ক।
সব মানুষের যদি জিন্ এক হয়, তাহলে রক্ত কেন আলাদা হবে? রক্তের গ্রুপ আলাদা হয়, রক্ত একই, লাল তার রং। রক্তের টান বেশিরভাগ রক্তের সম্পর্কে থাকে না কারণ রক্তের সম্পর্ক ঠকায়। ঘরে ঘরে ভাই-এ ভাই-এ লড়াই এক টুকরো জমি নিয়ে। এই লড়াই আদালত পর্যন্ত পৌঁছে যায়। হিংসা ও প্রতিহিংসা- এই দুই দানবের জন্ম ঘরেই।
আবার কথায় এটাও বলে : বউ শেষ পর্যন্ত পাশে থেকে যায়, যদিও তার সাথে কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই।
আধুনিক যুগে মেয়েরা অতি স্বাধীন। তারাও চায় পুরুষ শাসিত সমাজ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন ভাবে বাঁচতে। এর ফলে পুরুষ ও নারী যেমন সমান তালে এগিয়ে চলছে, তেমনই সমান তালে একা বাঁচার অধিকার চাইছে। শুনেছি ইউরোপ-এ বিয়ে হয় না বললেই চলে। এর ফলে সন্তান জন্মাচ্ছে না- কমছে জনসংখ্যা। এটা স্বাধীনতার একটা ভয়ঙ্কর দিক।
যে কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেই কথায় ফিরে আসি। সবার রক্ত যখন লাল, তখন এত রক্তপাত কেন? ঘরের লড়াই মানুষ বাইরে লড়ে। বাইরের লড়াই কেউ ঘরে আনে না! সম্পর্কের ভিত্তি বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস এখন ক্যান্সার-এ আক্রান্ত- তার কেমো চলছে। পরের কথা বাদ দিন, রক্তের টান এখন অথৈ জলে।
চলবে
বুদ্ধিমান মানুষ বলেন : পরের কথায় কান দিও না।
সত্য কথা। পরের কথায় কান দিলে নিজের মনে দারুণ কষ্ট হয়, ফলে নিজের প্রগতি থমকে যায়। তাই, বুদ্ধিমান মানুষ সদা এড়িয়ে চলে; কেবল বোকারাই মুখ লাগায়।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি নিজের লোকই এমন কথা বলে যাতে মনে ব্যথা লাগে, তাহলে নিজের থেকে পালিয়ে বাঁচবো কিভাবে? স্বার্থপর লোক আগে নিজের থেকে পালায়- এর জন্য নিজেকে অতি ভালবাসতে লাগে, যে ভালবাসা আপনকে পর করতে শেখায়। এ যেন নিজের থেকে নিজেই সরে যাওয়া।
সবাই স্বার্থপর হতে পারে না। যেমন কবির দল। তাদের একটু বেশি অনুভূতি আর অনুভূতি যার প্রবল, তার সহানুভূতি সাংঘাতিক। কবিরা কেবল নিজের লোকের কথায় নয়, পরের কথাতেও প্রভাবিত হয়। এর মানে কবির দল বোকা নয়, বরং সংবেদনশীল। এই ক্ষুদ্র কবি বলে : নিজের লোকেই কটু কথা বলে আর পরের লোক! আমি মনের ব্যথা কবিতায় লিখে নিজের কাছে ঋণ মুক্ত হই।
খ)
কথায় বলে : রক্তের সম্পর্ক।
সব মানুষের যদি জিন্ এক হয়, তাহলে রক্ত কেন আলাদা হবে? রক্তের গ্রুপ আলাদা হয়, রক্ত একই, লাল তার রং। রক্তের টান বেশিরভাগ রক্তের সম্পর্কে থাকে না কারণ রক্তের সম্পর্ক ঠকায়। ঘরে ঘরে ভাই-এ ভাই-এ লড়াই এক টুকরো জমি নিয়ে। এই লড়াই আদালত পর্যন্ত পৌঁছে যায়। হিংসা ও প্রতিহিংসা- এই দুই দানবের জন্ম ঘরেই।
আবার কথায় এটাও বলে : বউ শেষ পর্যন্ত পাশে থেকে যায়, যদিও তার সাথে কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই।
আধুনিক যুগে মেয়েরা অতি স্বাধীন। তারাও চায় পুরুষ শাসিত সমাজ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন ভাবে বাঁচতে। এর ফলে পুরুষ ও নারী যেমন সমান তালে এগিয়ে চলছে, তেমনই সমান তালে একা বাঁচার অধিকার চাইছে। শুনেছি ইউরোপ-এ বিয়ে হয় না বললেই চলে। এর ফলে সন্তান জন্মাচ্ছে না- কমছে জনসংখ্যা। এটা স্বাধীনতার একটা ভয়ঙ্কর দিক।
যে কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেই কথায় ফিরে আসি। সবার রক্ত যখন লাল, তখন এত রক্তপাত কেন? ঘরের লড়াই মানুষ বাইরে লড়ে। বাইরের লড়াই কেউ ঘরে আনে না! সম্পর্কের ভিত্তি বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস এখন ক্যান্সার-এ আক্রান্ত- তার কেমো চলছে। পরের কথা বাদ দিন, রক্তের টান এখন অথৈ জলে।
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আমি-তারেক ২৬/০৩/২০২৫সুন্দর ভাব্না