মানুষ গণতন্ত্র পরিবর্তন
১)
একঘেঁয়ে জীবন থেকে সকলেই বেরিয়ে আসতে চায় | জীবনটা রঙিন- এক রঙে রাঙা নয় | শাসন শোষণের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই | কেউ কেউ মজা করে বলেন, 'অনেক দিন ধরে তো ডাল ভাত খেলাম, এবার একটু মাছ ভাত খেয়ে দেখি' | শাসক বদলানোর সাথে সাথে জীবনও বদলে যায় বিলকুল- শাসন শোষণের প্রভাব পড়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে | যেমন- দু টাকা কিলো চাল ডাল পাওয়ার পর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে, লেখাপড়ার সুযোগ এসেছে বলে গ্রামের মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে; ঠিক তেমনি, লাইনে দাঁড়িয়ে কালো টাকা জমা দেওয়ার সময় অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন, সংখ্যায় যারা কম আজও ভয়ে বেঁচে আছে দেশের বুকে ইত্যাদি।
সুখের দিন দেখার জন্য সকলেই পরিবর্তন চায় | কিন্তু কেউ ভবিষ্যৎ দেখতে পায় না দূর থেকে | তাই সেই পরিবর্তন সুখেরও হতে পারে, হতে পারে দুঃখেরও | পরিবর্তনের মুখ দেখে মানুষ সব কিছু বিচার করে ফেলে | নিজের বিচারটা ঠিক না ভুল সেটা পরিবর্তনের পর কাজের মুখ দেখে বোঝা যায় | কথা মতো কাজ না হলে সেই পরিবর্তনকে মানুষ শুধরে দিতে চায় | মন একবার মরে গেলে আর সেখানে মন বসানো যায় না | এটাই স্বাভাবিক |
পরিবর্তনের একটা বড় অস্ত্র হলো বোতাম টেপা | শত ভয় থাকলেও নিজের মতামত প্রকাশে মানুষ বদ্ধপরিকর | যদি অধিক শতাংশ মানুষ বোতাম টেপে, তাহলে গণতন্ত্রের জয় | দু একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেগুলোকে অপ্রীতিকর বলা চলে না কারণ হাতের পাঁচটা আঙুল কখনো সমান হয় না | আর মানুষকে ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের স্রোতকে ধরে রাখা যায় না | মানুষই বোতাম টিপে শাসন গড়ে, শাসন ভাঙে | এটাই গণতন্ত্রের নিয়ম | মানুষের হাতে আছে গণতন্ত্রের চাবিকাঠি আর গণতন্ত্রের হাত ধরে আসে পরিবর্তন | একদিন সারা ভারত 'রং দে তু মোহে' গান গেয়ে স্বপ্ন দেখেছিল | এখন দেখছে সত্যিকার স্বচ্ছ ভারতের স্বপ্ন !
বাজার দরে আগুন, সাধারণ মানুষের এখন মাথায় হাত | হাতে গোণা ব্যবসায়ীদের সুখে রাখতে আপামর জনসাধারণকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারের ভিতর পোরা হচ্ছে | এই সময় হাতে হাতে গড়ে তোলা সবুজ পরিবেশই দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে সক্ষম হবে | মহাবন্ধনই পারবে দেখাতে আলোর দিশা | আর কিছু দিনের মধ্যেই মানুষ মুক্তির শ্বাস নেবে- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস |
২)
আমাদের দেশে বোতাম টেপা একটি উৎসব | বারো মাসে তেরো পার্বণের মতো | সারা বিশ্বে যেমন আশ্চর্য জিনিসের অভাব নেই, ঠিক তেমনই আমাদের দেশে মানুষের অভাব নেই | দূর্গা পুজো যেমন বাঙালীদের সেরা উৎসব, তেমনই বোতাম টেপা হল ভারতবর্ষের সেরা উৎসব | লোকসংখ্যার জন্য ভারতকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশও বলা হয়ে থাকে |
আমার কাছে বোতাম টেপাটা কোনও উৎসবই নয় | এটা আমার একটা জন্মগত অধিকার | ছেলেবেলায় যখন বোতাম টিপতে পারতাম না, তখন নিজেকে সত্য সত্যই ছোট মনে হতো | আর যেবার প্রথম বোতাম টিপলাম, সেবার মনে হল অনেক বড় হয়ে গেছি এক দিনেই | আমার একটা আঙুলের ছাপ ঠিক করবে দেশের ভবিষ্যৎ | কত শক্তি আমার | বৃহত্তম গণতন্ত্রের আমি একটি অংশ | যেমন এক এক ফোঁটা বিন্দু তৈরী করে একটা সাগর, যেমন প্রতিটি বিন্দু অনুভব করে একত্ববোধ সাগরের সাথে, আমিও তেমনই খুঁজে পেলাম নিজের অস্তিত্ব | খুঁজে পেলাম সত্তা | আমি একা নই | বিপুল জনতা আছে আমার সাথে | এরম শান্তি আমি কোনওদিনও পাইনি জীবনে | এ যেন সন্ন্যাসীর মোক্ষ লাভ !
বোতাম টিপে মানুষ শান্তি পেলেও, কোনওদিনও শান্তিপূর্ণ ভাবে এই মহান উৎসব হয়নি | জনগণকে ভয় দেখানো হয়েছে | তার মত প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি | এখানে সব রংই সমান | কেউ কারো থেকে কোনও অংশে কম নয় | বোমাবাজি, খুনখারাপি, মারধর, ছাপ্পা- কত ভাবে মানুষকে ভয় দেখানো হয় | কিন্তু মানুষ ভয়কে জয় করে নিজের মতামত প্রকাশ করে | যেমন পথে শত বিপদ থাকা সত্ত্বেও মানুষ অমরনাথ যায়, মক্কা যায় বা এভারেস্ট এন্টার্কটিকা জয় করে, তেমনই মানুষ নির্ভয়ে বোতাম টেপে | দেশে প্রশাসন আছে, আইন আছে- আছে মানুষের পাশে, মানুষের প্রয়োজনে |
কিন্তু গণতন্ত্রে মানুষের রায়ই শেষ কথা বলবে | মহান উৎসবের ফলাফল সকলকে মেনে নিতে হবেই | মানুষ শিক্ষিত হোক বা অশিক্ষিত, নিজের ভালোমন্দ বোঝার মতো তার যথেষ্ট বুদ্ধি আছে | পাগলেও তার ভালো বোঝে | শুধু আঁতেলরা বোঝে না ! মানুষ বুঝে শুনেই বোতাম টিপবে | আশা করি রাজারানীদের মতো কোনও ভুল কাজ করবে না !
আমার মন বলছে যে মানুষ এবার থেকে খেলায় বেশ ভালোই খেল দেখাবে !
একঘেঁয়ে জীবন থেকে সকলেই বেরিয়ে আসতে চায় | জীবনটা রঙিন- এক রঙে রাঙা নয় | শাসন শোষণের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই | কেউ কেউ মজা করে বলেন, 'অনেক দিন ধরে তো ডাল ভাত খেলাম, এবার একটু মাছ ভাত খেয়ে দেখি' | শাসক বদলানোর সাথে সাথে জীবনও বদলে যায় বিলকুল- শাসন শোষণের প্রভাব পড়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে | যেমন- দু টাকা কিলো চাল ডাল পাওয়ার পর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে, লেখাপড়ার সুযোগ এসেছে বলে গ্রামের মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে; ঠিক তেমনি, লাইনে দাঁড়িয়ে কালো টাকা জমা দেওয়ার সময় অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন, সংখ্যায় যারা কম আজও ভয়ে বেঁচে আছে দেশের বুকে ইত্যাদি।
সুখের দিন দেখার জন্য সকলেই পরিবর্তন চায় | কিন্তু কেউ ভবিষ্যৎ দেখতে পায় না দূর থেকে | তাই সেই পরিবর্তন সুখেরও হতে পারে, হতে পারে দুঃখেরও | পরিবর্তনের মুখ দেখে মানুষ সব কিছু বিচার করে ফেলে | নিজের বিচারটা ঠিক না ভুল সেটা পরিবর্তনের পর কাজের মুখ দেখে বোঝা যায় | কথা মতো কাজ না হলে সেই পরিবর্তনকে মানুষ শুধরে দিতে চায় | মন একবার মরে গেলে আর সেখানে মন বসানো যায় না | এটাই স্বাভাবিক |
পরিবর্তনের একটা বড় অস্ত্র হলো বোতাম টেপা | শত ভয় থাকলেও নিজের মতামত প্রকাশে মানুষ বদ্ধপরিকর | যদি অধিক শতাংশ মানুষ বোতাম টেপে, তাহলে গণতন্ত্রের জয় | দু একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেগুলোকে অপ্রীতিকর বলা চলে না কারণ হাতের পাঁচটা আঙুল কখনো সমান হয় না | আর মানুষকে ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের স্রোতকে ধরে রাখা যায় না | মানুষই বোতাম টিপে শাসন গড়ে, শাসন ভাঙে | এটাই গণতন্ত্রের নিয়ম | মানুষের হাতে আছে গণতন্ত্রের চাবিকাঠি আর গণতন্ত্রের হাত ধরে আসে পরিবর্তন | একদিন সারা ভারত 'রং দে তু মোহে' গান গেয়ে স্বপ্ন দেখেছিল | এখন দেখছে সত্যিকার স্বচ্ছ ভারতের স্বপ্ন !
বাজার দরে আগুন, সাধারণ মানুষের এখন মাথায় হাত | হাতে গোণা ব্যবসায়ীদের সুখে রাখতে আপামর জনসাধারণকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারের ভিতর পোরা হচ্ছে | এই সময় হাতে হাতে গড়ে তোলা সবুজ পরিবেশই দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে সক্ষম হবে | মহাবন্ধনই পারবে দেখাতে আলোর দিশা | আর কিছু দিনের মধ্যেই মানুষ মুক্তির শ্বাস নেবে- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস |
২)
আমাদের দেশে বোতাম টেপা একটি উৎসব | বারো মাসে তেরো পার্বণের মতো | সারা বিশ্বে যেমন আশ্চর্য জিনিসের অভাব নেই, ঠিক তেমনই আমাদের দেশে মানুষের অভাব নেই | দূর্গা পুজো যেমন বাঙালীদের সেরা উৎসব, তেমনই বোতাম টেপা হল ভারতবর্ষের সেরা উৎসব | লোকসংখ্যার জন্য ভারতকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশও বলা হয়ে থাকে |
আমার কাছে বোতাম টেপাটা কোনও উৎসবই নয় | এটা আমার একটা জন্মগত অধিকার | ছেলেবেলায় যখন বোতাম টিপতে পারতাম না, তখন নিজেকে সত্য সত্যই ছোট মনে হতো | আর যেবার প্রথম বোতাম টিপলাম, সেবার মনে হল অনেক বড় হয়ে গেছি এক দিনেই | আমার একটা আঙুলের ছাপ ঠিক করবে দেশের ভবিষ্যৎ | কত শক্তি আমার | বৃহত্তম গণতন্ত্রের আমি একটি অংশ | যেমন এক এক ফোঁটা বিন্দু তৈরী করে একটা সাগর, যেমন প্রতিটি বিন্দু অনুভব করে একত্ববোধ সাগরের সাথে, আমিও তেমনই খুঁজে পেলাম নিজের অস্তিত্ব | খুঁজে পেলাম সত্তা | আমি একা নই | বিপুল জনতা আছে আমার সাথে | এরম শান্তি আমি কোনওদিনও পাইনি জীবনে | এ যেন সন্ন্যাসীর মোক্ষ লাভ !
বোতাম টিপে মানুষ শান্তি পেলেও, কোনওদিনও শান্তিপূর্ণ ভাবে এই মহান উৎসব হয়নি | জনগণকে ভয় দেখানো হয়েছে | তার মত প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি | এখানে সব রংই সমান | কেউ কারো থেকে কোনও অংশে কম নয় | বোমাবাজি, খুনখারাপি, মারধর, ছাপ্পা- কত ভাবে মানুষকে ভয় দেখানো হয় | কিন্তু মানুষ ভয়কে জয় করে নিজের মতামত প্রকাশ করে | যেমন পথে শত বিপদ থাকা সত্ত্বেও মানুষ অমরনাথ যায়, মক্কা যায় বা এভারেস্ট এন্টার্কটিকা জয় করে, তেমনই মানুষ নির্ভয়ে বোতাম টেপে | দেশে প্রশাসন আছে, আইন আছে- আছে মানুষের পাশে, মানুষের প্রয়োজনে |
কিন্তু গণতন্ত্রে মানুষের রায়ই শেষ কথা বলবে | মহান উৎসবের ফলাফল সকলকে মেনে নিতে হবেই | মানুষ শিক্ষিত হোক বা অশিক্ষিত, নিজের ভালোমন্দ বোঝার মতো তার যথেষ্ট বুদ্ধি আছে | পাগলেও তার ভালো বোঝে | শুধু আঁতেলরা বোঝে না ! মানুষ বুঝে শুনেই বোতাম টিপবে | আশা করি রাজারানীদের মতো কোনও ভুল কাজ করবে না !
আমার মন বলছে যে মানুষ এবার থেকে খেলায় বেশ ভালোই খেল দেখাবে !
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ২৭/১১/২০২৪তীক্ষ্ণ ও প্রখর কলমে সুচিন্তিত সেখা।
-
শ.ম. শহীদ ২৭/১১/২০২৪বাস্তবতার আলোয় মোড়ানো উপস্থাপন!
-
সিবগাতুর রহমান ২৬/১১/২০২৪অনেক সুন্দর