সিকিম ভ্রমণ ২
ছাঙ্গু হ্রদ কেদার-বদ্রীর থেকেও উঁচুতে, উচ্চতা ১২,৩১৩ ফিট (সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরে)। গাছ পালা কিছুই নেই, কেবল পাথুরে পাহাড়। ট্রেকার ঘোরানো পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে ওপরে উঠছে তো উঠছেই। সোজা পথ হলে এক ঘন্টা লাগতো, কিন্তু আমাদের গন্তব্যে পৌঁছতে লেগেছিলো দুই ঘন্টা। চারদিকে কেবল পাহাড় আর পাহাড়ের মাঝে হ্রদ। বরফের চিহ্ন মাত্র নেই। শীতকালে হ্রদের জল জমে বরফ হয়ে যায়, পর্যটকেরা স্কি করে। সেই সুযোগ আর আমাদের হয়নি। ঠাণ্ডা দারুণ ছিল, দু ডিগ্রী হবে, কিন্তু দু ডিগ্রীতে বরফ পড়ে না। সকলের মাথা ধরে গেছিলো, অত উঁচুতে অক্সিজেন কম থাকার জন্য। আমরা গা গরম করার জন্য কফি পান করেছিলাম। কফির দোকানে জ্যাকেট ভাড়া পাওয়া যায়, অন্যের পরা জ্যাকেট আমরা পারিনি।
দেবেন কাকু যেখানে খরচ করার, সেখানে খরচ করছিলেন না, খরচ করছিলেন অন্য জায়গায়। না, এখানে মদ খাবার কথা বলা হচ্ছে না, রিয়া চমরী গাই-এ চেপে লেক ঘুরে দেখবে। দেবেন কাকু বলেন, 'ছোট বুড়ো, তুইও রিয়ার সাথে ঘোর'। মা বলে দেন, 'একদম না'। হয়তো এখানেও টাকা দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল হতো সেই কারণে।
এখানে আরেকটা কথা না বলে থাকতে পারছি না। বাবা দেবেন কাকুকে আমাদের ক্যামেরায় রিল ভরতে দিয়েছিলেন। সেই কারণে ছবি কেবল তিনিই তুলছিলেন, আমাদের ক্যামেরাতে হাত দিতে দেন নি। কথা ছিল, অর্ধেক ছবি তারা নেবেন, অর্ধেক ছবি আমরা। কিন্তু রিলের অর্ধেক দাম দিয়েও আমরা কোনো ছবি পাইনি। ছবির দাম দেবেন কাকু নেন নি, ছবি দেনও নি, কেন জানি না! বাবা বলেছিলেন, 'আমি ছবির জন্য পাঁচ গুণ টাকা দেবো'। তিনি আমাদের বলেন, 'রিল জ্বলে গেছে'।
আমি পাহাড় বেয়ে বেয়ে নীচে নামছিলাম হ্রদটাকে ভালো ভাবে দেখার জন্য। মাও ছুটেছিলেন আমার পিছনে। মায়ের মন যা হয়। তার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে গেছিলো। আমি এক দৌড়ে ফিরে এসেছিলাম মায়ের কাছে। ভাগ্যিস ইনহেলারটা মা সাথে করে এনেছিলেন। সে বারের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন। আমি তো ভয়ে অস্থির। আমার জন্য মায়ের এ কি হল? ইনহেলার নিতেই পারছিলেন না মা, কোনো মতে নিয়ে পাঁচ মিনিট রাস্তায় বসে রইলেন, তারপরে মুখ খুললেন, 'আমি ভেবেছি তুই জলে পড়ে গেছিস'। তখন চারদিকে ভিড় জমে গেছিলো। এই ঘটনার পরে আমরা আর বেশিক্ষণ ছাঙ্গুতে থাকিনি। ফেরার পথে মায়ের কিছু হয়নি।
কেউ বলছিলো, 'চীনের পাঁচিল এখান থেকে মাত্র এক ঘন্টার রাস্তা'। আগে জানলে বুড়ো মামা ওনার সৈনিক বন্ধু, টিয়াকে (ডাক নাম) দিয়ে গেট পাস বানিয়ে নিতেন। কিন্তু মায়ের যা অবস্থা হয়েছিল, একেবারে চীনের যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো!
নীচে নেমে আসতেই মাথা ব্যথা কমে গেছিলো। স্পষ্ট বোঝাই গেছিলো যে অক্সিজেনের অভাবে মাথা ধরেছিলো। গ্যাংটকে হোটেলে ফিরে আমরা লাঞ্চ করেছিলাম।
ঘরে এসে আমি কান্না জুড়ে দিয়েছিলাম, 'আমি আর পেলিং-এ যাবো না, পেলিং-এ গেলে মা আর বাঁচবে না'। পরের দিন আমাদের পেলিং যাওয়ার কথা ছিল। বাবা আমাকে বোঝালেন, 'পেলিং-এর উচ্চতা ছাঙ্গুর থেকে পাঁচ হাজার ফিট কম। আর সেখানে গাছ পালা প্রচুর। তোর মায়ের কিছু হবে না'।
দেবেন কাকুর মাথায় ভূত চেপেছিল। সাথে বুড়ো মামারও। মদের বন্ধু সব থেকে বড় বন্ধু। দেবেন কাকু বলেন, 'আজই পেলিং গেলে কেমন হয়, বুড়ো'? 'ঠিক বলেছেন'। 'মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘন্টার রাস্তা'। 'তিনটের সময় বেরোলে আটটায় পৌঁছে যাবো'। ছাঙ্গু থেকে ফিরেছি তখন এক ঘন্টাও কাটেনি। বাবা নিজের মতামত জানান, 'কোন হোটেলে গিয়ে উঠবে? হোটেল তো বুক করা নেই'। বাবাকে দেবেন কাকু কোনো পাত্তা দেন নি। বুড়ো মামা বলেন, 'হোটেল ঠিক পেয়ে যাবো'। পেলিং-এ পুজোর সময় প্রচুর পর্যটক যায়, তাই ভিড় প্রচুর। পুজোর সময় গ্যাংটকে হোটেল পাওয়া গেলেও, পেলিং-এ হোটেল পাওয়া অত সহজ ছিল না। দেবেন কাকু বুড়ো মামাকে নিয়ে ট্রেকার বুক করতে চলে গেছিলেন। বাবা ঘরে বসে গজগজ করতে লাগলেন।
বেলা সাড়ে তিনটের সময় আমরা পেলিং-এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। যাওয়ার পথে একটা দূর্গা ঠাকুর দেখেছিলাম ভাসান দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলো। ছাঙ্গু দেখে এক দিনেই কেউ পেলিং যায় না, আমরা বোধহয় এই প্রথম বার রেকর্ড ভেঙেছিলাম। এক দিনে এতো ধকল কেউ সহ্য করতে পারে না। গাড়ি পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে চললে সবথেকে ব্যথা হয় কোমরে। প্রকৃতি দেখার আর শক্তি আমার ছিল না। আমি আধ ঘুমে হেলান দিয়ে বসেছিলাম। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে এসেছিলো। দু পাশ অন্ধকার। লেগশিপ-এ আমাদের ট্রেকার থেমেছিল। দেবেন কাকু বলেন, 'চালক এখানে ভাল্লুক খাবে। তারপরে জোরে গান চালিয়ে গাড়ি চালাবে। এখান থেকে আমরা ওপর দিকে উঠবো'। ভাল্লুক মানে বিয়ার, এক ধরণের মদ। এখানে প্রত্যেক চালকই নেশা করে। তাদের শক্তির উৎস। গান কেন চালায়? যাতে যাত্রীদের কথা কানে না আসে, এতে একাগ্রতা নষ্ট হয়।
মাতাল বাবু আমাদের ভুল পথে নিয়ে গেছিলেন। সেখানে সকালে ধস নেমেছিল। একজন স্থানীয় বাসিন্দা গাড়ি থামিয়ে আমাদের সতর্ক করে। তা না হলে আমরা খাদে তলিয়ে যেতাম। গাড়ি ঘোরাতে হয়েছিল। একটা ট্রেকার যাওয়ার পথ, ঘোরাবার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না, যে কোনো মুহূর্তে গাড়ি খাদে পড়ে যেতে পারতো। মা, জয়ী কাকিমা, আমি ও রিয়া বাবা লোকনাথের সেই বাণী বলছিলাম আর কাঁদছিলাম, 'রণে বনে অন্তরীক্ষে জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরণ করিও, আমি রক্ষা করিব'। বাবা রাগ করে বলেন, 'পাহাড়ে তো বলে নি। আমাদের আসাই উচিত হয়নি'। দেবেন কাকু জবাব দেন, 'কোনটা উচিত আর কোনটা অনুচিত, তোমার কাছ থেকে শিখবো না'। চালক ঠিক মতোই গাড়ি ঘোরান এবং গাড়ি ঠিক পথেই যাত্রা শুরু করেছিল। সেই বাসিন্দা আমাদের আরেকটা পথ দেখিয়ে দিয়েছিলো। আমাদের আয়ু ছিল।
লোয়ার ও মিডিল পেলিং-এ কোনো হোটেল ফাঁকা ছিল না। আমাদের আপার পেলিং-এ যেতে হয়েছিল। আপার পেলিং-এ হেলিপ্যাড আছে অর্থাৎ সেখানে হেলিকপ্টার নামে। আমাদের দেখার সুযোগ হয় নি। তখন রাত সাড়ে নয়টা, ঠাণ্ডায় আমি কাঁপছিলাম। কত ডিগ্রী জানা ছিল না।
(চলবে)
দেবেন কাকু যেখানে খরচ করার, সেখানে খরচ করছিলেন না, খরচ করছিলেন অন্য জায়গায়। না, এখানে মদ খাবার কথা বলা হচ্ছে না, রিয়া চমরী গাই-এ চেপে লেক ঘুরে দেখবে। দেবেন কাকু বলেন, 'ছোট বুড়ো, তুইও রিয়ার সাথে ঘোর'। মা বলে দেন, 'একদম না'। হয়তো এখানেও টাকা দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল হতো সেই কারণে।
এখানে আরেকটা কথা না বলে থাকতে পারছি না। বাবা দেবেন কাকুকে আমাদের ক্যামেরায় রিল ভরতে দিয়েছিলেন। সেই কারণে ছবি কেবল তিনিই তুলছিলেন, আমাদের ক্যামেরাতে হাত দিতে দেন নি। কথা ছিল, অর্ধেক ছবি তারা নেবেন, অর্ধেক ছবি আমরা। কিন্তু রিলের অর্ধেক দাম দিয়েও আমরা কোনো ছবি পাইনি। ছবির দাম দেবেন কাকু নেন নি, ছবি দেনও নি, কেন জানি না! বাবা বলেছিলেন, 'আমি ছবির জন্য পাঁচ গুণ টাকা দেবো'। তিনি আমাদের বলেন, 'রিল জ্বলে গেছে'।
আমি পাহাড় বেয়ে বেয়ে নীচে নামছিলাম হ্রদটাকে ভালো ভাবে দেখার জন্য। মাও ছুটেছিলেন আমার পিছনে। মায়ের মন যা হয়। তার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে গেছিলো। আমি এক দৌড়ে ফিরে এসেছিলাম মায়ের কাছে। ভাগ্যিস ইনহেলারটা মা সাথে করে এনেছিলেন। সে বারের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন। আমি তো ভয়ে অস্থির। আমার জন্য মায়ের এ কি হল? ইনহেলার নিতেই পারছিলেন না মা, কোনো মতে নিয়ে পাঁচ মিনিট রাস্তায় বসে রইলেন, তারপরে মুখ খুললেন, 'আমি ভেবেছি তুই জলে পড়ে গেছিস'। তখন চারদিকে ভিড় জমে গেছিলো। এই ঘটনার পরে আমরা আর বেশিক্ষণ ছাঙ্গুতে থাকিনি। ফেরার পথে মায়ের কিছু হয়নি।
কেউ বলছিলো, 'চীনের পাঁচিল এখান থেকে মাত্র এক ঘন্টার রাস্তা'। আগে জানলে বুড়ো মামা ওনার সৈনিক বন্ধু, টিয়াকে (ডাক নাম) দিয়ে গেট পাস বানিয়ে নিতেন। কিন্তু মায়ের যা অবস্থা হয়েছিল, একেবারে চীনের যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো!
নীচে নেমে আসতেই মাথা ব্যথা কমে গেছিলো। স্পষ্ট বোঝাই গেছিলো যে অক্সিজেনের অভাবে মাথা ধরেছিলো। গ্যাংটকে হোটেলে ফিরে আমরা লাঞ্চ করেছিলাম।
ঘরে এসে আমি কান্না জুড়ে দিয়েছিলাম, 'আমি আর পেলিং-এ যাবো না, পেলিং-এ গেলে মা আর বাঁচবে না'। পরের দিন আমাদের পেলিং যাওয়ার কথা ছিল। বাবা আমাকে বোঝালেন, 'পেলিং-এর উচ্চতা ছাঙ্গুর থেকে পাঁচ হাজার ফিট কম। আর সেখানে গাছ পালা প্রচুর। তোর মায়ের কিছু হবে না'।
দেবেন কাকুর মাথায় ভূত চেপেছিল। সাথে বুড়ো মামারও। মদের বন্ধু সব থেকে বড় বন্ধু। দেবেন কাকু বলেন, 'আজই পেলিং গেলে কেমন হয়, বুড়ো'? 'ঠিক বলেছেন'। 'মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘন্টার রাস্তা'। 'তিনটের সময় বেরোলে আটটায় পৌঁছে যাবো'। ছাঙ্গু থেকে ফিরেছি তখন এক ঘন্টাও কাটেনি। বাবা নিজের মতামত জানান, 'কোন হোটেলে গিয়ে উঠবে? হোটেল তো বুক করা নেই'। বাবাকে দেবেন কাকু কোনো পাত্তা দেন নি। বুড়ো মামা বলেন, 'হোটেল ঠিক পেয়ে যাবো'। পেলিং-এ পুজোর সময় প্রচুর পর্যটক যায়, তাই ভিড় প্রচুর। পুজোর সময় গ্যাংটকে হোটেল পাওয়া গেলেও, পেলিং-এ হোটেল পাওয়া অত সহজ ছিল না। দেবেন কাকু বুড়ো মামাকে নিয়ে ট্রেকার বুক করতে চলে গেছিলেন। বাবা ঘরে বসে গজগজ করতে লাগলেন।
বেলা সাড়ে তিনটের সময় আমরা পেলিং-এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। যাওয়ার পথে একটা দূর্গা ঠাকুর দেখেছিলাম ভাসান দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলো। ছাঙ্গু দেখে এক দিনেই কেউ পেলিং যায় না, আমরা বোধহয় এই প্রথম বার রেকর্ড ভেঙেছিলাম। এক দিনে এতো ধকল কেউ সহ্য করতে পারে না। গাড়ি পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে চললে সবথেকে ব্যথা হয় কোমরে। প্রকৃতি দেখার আর শক্তি আমার ছিল না। আমি আধ ঘুমে হেলান দিয়ে বসেছিলাম। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে এসেছিলো। দু পাশ অন্ধকার। লেগশিপ-এ আমাদের ট্রেকার থেমেছিল। দেবেন কাকু বলেন, 'চালক এখানে ভাল্লুক খাবে। তারপরে জোরে গান চালিয়ে গাড়ি চালাবে। এখান থেকে আমরা ওপর দিকে উঠবো'। ভাল্লুক মানে বিয়ার, এক ধরণের মদ। এখানে প্রত্যেক চালকই নেশা করে। তাদের শক্তির উৎস। গান কেন চালায়? যাতে যাত্রীদের কথা কানে না আসে, এতে একাগ্রতা নষ্ট হয়।
মাতাল বাবু আমাদের ভুল পথে নিয়ে গেছিলেন। সেখানে সকালে ধস নেমেছিল। একজন স্থানীয় বাসিন্দা গাড়ি থামিয়ে আমাদের সতর্ক করে। তা না হলে আমরা খাদে তলিয়ে যেতাম। গাড়ি ঘোরাতে হয়েছিল। একটা ট্রেকার যাওয়ার পথ, ঘোরাবার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না, যে কোনো মুহূর্তে গাড়ি খাদে পড়ে যেতে পারতো। মা, জয়ী কাকিমা, আমি ও রিয়া বাবা লোকনাথের সেই বাণী বলছিলাম আর কাঁদছিলাম, 'রণে বনে অন্তরীক্ষে জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরণ করিও, আমি রক্ষা করিব'। বাবা রাগ করে বলেন, 'পাহাড়ে তো বলে নি। আমাদের আসাই উচিত হয়নি'। দেবেন কাকু জবাব দেন, 'কোনটা উচিত আর কোনটা অনুচিত, তোমার কাছ থেকে শিখবো না'। চালক ঠিক মতোই গাড়ি ঘোরান এবং গাড়ি ঠিক পথেই যাত্রা শুরু করেছিল। সেই বাসিন্দা আমাদের আরেকটা পথ দেখিয়ে দিয়েছিলো। আমাদের আয়ু ছিল।
লোয়ার ও মিডিল পেলিং-এ কোনো হোটেল ফাঁকা ছিল না। আমাদের আপার পেলিং-এ যেতে হয়েছিল। আপার পেলিং-এ হেলিপ্যাড আছে অর্থাৎ সেখানে হেলিকপ্টার নামে। আমাদের দেখার সুযোগ হয় নি। তখন রাত সাড়ে নয়টা, ঠাণ্ডায় আমি কাঁপছিলাম। কত ডিগ্রী জানা ছিল না।
(চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।