সিকিম ভ্রমণ ৩
ট্রেকার আমাদের নামিয়ে দিয়ে চলে গেছিলো। বাবা রেগে গিয়ে বলেন, 'এই শীতে গাছ তলায় রাত কাটালে, উচিত শিক্ষা পাবে'। বাবার কথার কোনো উত্তর কেউ দেন নি। এবারে হোটেল খুঁজতে বেরিয়েছিলেন দেবেন কাকু ও বুড়ো মামা। বাবাকে ডাকা হয় নি। পনেরো মিনিট বাদে ওনারা ফিরে এসেছিলেন। দেবেন কাকু বলেন, 'হোটেলের নাম ভিউ পয়েন্ট। আজ কোনো ঘর খালি নেই, তবে কাল দুটো ঘর খালি হয়ে যাবে। আজ রাতটা মালিক নিজেদের একটা বড় ঘরে আমাদের থাকতে দেবে। আমার সাথে কথা হয়ে গেছে'। বুড়ো মামা ওনার কথার সাথে সহমত জানিয়েছিলেন। আমরা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম। রাতে খাবার ব্যবস্থা মালিক করে দিলেন। ওনাদের নিজস্ব কুক ছিল। আলুর পরোটা আর ডিম কষা। খেতে খেতে মা দেবেন কাকুকে বলেন, 'আপনি কোনো ব্যাপারে ওকে কেন ডাকছেন না? আমরা কিন্তু বহুবার রিয়ার খাবার টাকা দিয়েছি ও গাড়ি ভাড়া দিয়েছি। এমন নয় যে আমরা হাত পেতেছি আপনার কাছে'। মায়ের রাগের কথার কোনো উত্তরই পাওয়া যায়নি।
গ্যাংটক থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। কিন্তু আকাশ মেঘলা থাকার কারণে তা দেখতে পাইনি। পেলিং থেকে আরো ভালো ভাবে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। কিন্তু পরপর দু দিনই আকাশ মেঘলা ছিল। মনটাও আকাশের মতো মেঘলা হয়ে গেছিলো। পরের দিন আমরা ঘর খালি পেয়ে গেছিলাম। কিন্তু এই বড় ঘরটা আমাদের এতো ভালো লেগেছিলো যে এই ঘরটা আর আমরা ছাড়িনি। তিন দিন আমরা পেলিং-এ ছিলাম। দ্বিতীয় দিন সকালে জলখাবার খেয়ে আমরা ট্রেকারে করে ঘুরে পুরো পেলিং জায়গাটাকে ভালো ভাবে দেখেছিলাম। গ্যাংটকের মতোই পাহাড়ের কোলে শহর। ঘর বাড়ি হোটেল দোকান বাজার সব পাহাড়ের গায়ে। রাস্তা পাহাড় কেটে বানানো। পেলিং সবুজ, ছাঙ্গুর মতো প্রাণহীন নয়। পাইন গাছের সারি হাতছানি দিয়ে ডাকছিলো। দুটো ঝর্ণা দেখেছিলাম নাম মনে নেই। একজন ভদ্রমহিলা ঝর্ণার জলে ওই ঠাণ্ডায় পা ভেজাচ্ছিলেন দেখে বুড়ো মামা বলেন, 'সাথে ক্যালপল আছে তো'। তিনি কেবল মুচকি হেসেছিলেন। ধস নামার কারণে আমাদের কাঞ্চনজঙ্ঘা ফলস আর খেছিপরি লেক দেখা হয়নি।
কুকের সাথে বুড়ো মামার দারুণ বন্ধুত্ব হয়ে গেছিলো। সুযোগ পেলে বাবা ও দেবেন কাকুও তার সাথে গল্প করতেন। পেলিং-এ আসার তৃতীয় দিন রাতে খাওয়া দাওয়া করার পরে বাবা কুকের সাথে কি নিয়ে যেন আলোচনা করছিলেন। হিন্দি ভাষা তখন আমি অত বুঝতাম না। আলোচনা করতে করতে রাত এগারোটা বেজে গেছিলো। মা বিরক্ত হয়ে ঘর থেকে চিৎকার করেন, 'শোয়েগা শোয়েগা তুম আয়েগা'। মায়ের হিন্দি শুনে আমরা সকলে হেসে উঠেছিলাম। বাবা ও কুক দু জনেই হাসছিলেন।
পেলিং-এ আমরা তিন দিন চার রাত ছিলাম। তৃতীয় দিন সকালে আমরা ঘরে বসে গল্প করছিলাম গায়ে কম্বল ঢাকা দিয়ে। কুক দরজার বাইরে থেকে চিৎকার করেন, 'আপ ইধার শো রেহে হে, উধার কাঞ্চনজঙ্ঘা দিখাই দে রাহা হে'। আমি তো এক দৌড়ে হেলিপ্যাড-এ। পেছন পেছন ওনারাও এসেছিলেন। আকাশ তখন পরিষ্কার। চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা! পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর নারীর থেকেও সুন্দর। তাঁর উষ্ণতায় আমরা সকলেই ঠাণ্ডা ভুলে গেছিলাম। নির্মল আকাশের কোলে স্বয়ং মহাদেব। সাদা বরফের ওপর সোনা রোদ সোনালী রঙের চাদরে তাঁকে ঢেকে দিয়েছিলো। বাবা বলেন, 'সকালে সোনার রং আর রাতে রূপার রং'। কিন্তু রাতে দেখার সৌভাগ্য আর হয়নি। মাত্র পনেরো মিনিটের জন্য ঈশ্বর সুযোগ দিয়েছিলেন। হেলিপ্যাড-এ তখন জনতার ভিড়। কোনো মিটিং মিছিল নয়, তবুও। দেবেন কাকু কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছিলেন।
মায়ের মামার বাড়ির সামনের বাড়ির বাবুয়া ছিল ওই ভিড়ের মধ্যে। সে দূর থেকে বাবাকে চিনতে পেরেছিলো। ছুটে এসে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল, 'ভাদুড়ী বাড়ির জামাই না'! বাবা তো হতবাক। সকলে যখন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ব্যস্ত, তখন সে জামাই দেখতে ব্যস্ত, কি পাগলা লোক রে বাবা!
হেলিপ্যাড-এর এক পাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর ওপর পাশে টাইগার হিলস। আমি টাইগার হিলসও দেখে নিয়েছিলাম হেলিপ্যাড থেকে। হেলিপ্যাড দিয়ে মাঝেমধ্যে মেঘ ভেসে যায়। তাতে প্রচুর জলীয় বাস্প থাকে। কেউ যদি তা শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করে, তাহলে নিউমোনিয়া নিশ্চিত।
চতুর্থ দিন সকালে জলখাবার খেয়ে আমরা ট্রেকারে চেপে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলাম। পেলিং থেকে তখন কোনো বাস শিলিগুড়ি যেত না। যাওয়ার পথে লেগশিপ-এ একবার ট্রেকার থেমেছিল, মন একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেছিলো। ফেরার পথে পড়েছিল রাবাংলা ও জোরেথাং। সেখানে গাড়ি থামেনি। চালক অস্তে করে চালিয়েছিলেন, যাতে আমরা আশেপাশের দৃশ্য দেখতে পাই। আমি নিজের মধ্যে নিজেই হারিয়ে গেছিলাম। ধ্যান ছাড়াই ধ্যানমগ্ন। ওপরে উঠতে সময় লাগে, নীচে নামতে অত সময় লাগে না। শিলিগুড়ি পৌঁছতে আমাদের পাঁচ ঘন্টা লেগেছিলো। ওখানে সহজেই হোটেল পেয়ে গেছিলাম। সামনেই ছিল শিলিগুড়ি সুপার মার্কেট। মায়ের সুপার মার্কেট দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার আগেই আমরা একটা রেস্তোরাঁ থেকে চাইনিজ খেয়ে নিয়েছিলাম। হোটেলের মালিক বলেন, 'সুপার মার্কেটে বাঙালি খাবার পাওয়া যায়'।
সেদিন সারাদিন ঘুমিয়ে নিয়েছিলাম। ঠিক হয়েছিল পরের দিন দুপুরে খেয়ে দেয়ে সুপার মার্কেট ঘুরে দেখবো। পরের দিন যে লক্ষ্মী পুজো সেটা মা ভুলেই গেছিলেন। লক্ষ্মী পুজোর দিন আমরা নিরামিষ খেয়ে থাকি। কিন্তু সেবার লক্ষ্মী পুজোয় আমরা ইলিশ মাছ ও পাঁঠার মাংস দিয়ে তৃপ্তি করে ভাত খেয়েছিলাম। খাওয়া শেষ হওয়ার পরে মা বিলাপ করেন, 'আজ যে লক্ষ্মী পুজো, কি পাপ করে ফেললাম'! বাবা সাথে সাথেই বলে ওঠেন, 'ধর্মটা ঘরের ভিতরে, ঘরের বাইরে নয়'। সুপার মার্কেট ঘুরে দেখেছিলাম। মা একটা বেড কভার কিনেছিলেন। আমি কিনেছিলাম পেনপেন্সিল। তিন রাত আমরা শিলিগুড়িতে ছিলাম। তার পরের দিন একই ভাবে কেটে গেছিলো। একই দোকান থেকে একই খাবার খেয়েছিলাম দুপুরে। সাত ভাই মিলে সেই দোকান চালায় বলে, তার নাম- সাত ভাইয়ের হোটেল। রাতে আমরা সামনের দোকান থেকে রুটি তরকা কিনে আনতাম। বাবা মাকে চায়ের কাপ-এর সেট উপহার দিয়েছিলেন। আমাকে কিনে দিয়েছিলেন দারুণ একটা টুপি।
সেবার ফেরার পালা। নির্বিঘ্নে ফিরে এসেছিলাম। বেলার দিকে শিয়ালদহে নেমেছিলাম। কি গরম লাগছিলো! বাড়িতে ফিরে শপথ করেছিলাম কৃপণদের সাথে আর কোনো দিন বেড়াতে যাবো না।
সমাপ্ত
গ্যাংটক থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। কিন্তু আকাশ মেঘলা থাকার কারণে তা দেখতে পাইনি। পেলিং থেকে আরো ভালো ভাবে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। কিন্তু পরপর দু দিনই আকাশ মেঘলা ছিল। মনটাও আকাশের মতো মেঘলা হয়ে গেছিলো। পরের দিন আমরা ঘর খালি পেয়ে গেছিলাম। কিন্তু এই বড় ঘরটা আমাদের এতো ভালো লেগেছিলো যে এই ঘরটা আর আমরা ছাড়িনি। তিন দিন আমরা পেলিং-এ ছিলাম। দ্বিতীয় দিন সকালে জলখাবার খেয়ে আমরা ট্রেকারে করে ঘুরে পুরো পেলিং জায়গাটাকে ভালো ভাবে দেখেছিলাম। গ্যাংটকের মতোই পাহাড়ের কোলে শহর। ঘর বাড়ি হোটেল দোকান বাজার সব পাহাড়ের গায়ে। রাস্তা পাহাড় কেটে বানানো। পেলিং সবুজ, ছাঙ্গুর মতো প্রাণহীন নয়। পাইন গাছের সারি হাতছানি দিয়ে ডাকছিলো। দুটো ঝর্ণা দেখেছিলাম নাম মনে নেই। একজন ভদ্রমহিলা ঝর্ণার জলে ওই ঠাণ্ডায় পা ভেজাচ্ছিলেন দেখে বুড়ো মামা বলেন, 'সাথে ক্যালপল আছে তো'। তিনি কেবল মুচকি হেসেছিলেন। ধস নামার কারণে আমাদের কাঞ্চনজঙ্ঘা ফলস আর খেছিপরি লেক দেখা হয়নি।
কুকের সাথে বুড়ো মামার দারুণ বন্ধুত্ব হয়ে গেছিলো। সুযোগ পেলে বাবা ও দেবেন কাকুও তার সাথে গল্প করতেন। পেলিং-এ আসার তৃতীয় দিন রাতে খাওয়া দাওয়া করার পরে বাবা কুকের সাথে কি নিয়ে যেন আলোচনা করছিলেন। হিন্দি ভাষা তখন আমি অত বুঝতাম না। আলোচনা করতে করতে রাত এগারোটা বেজে গেছিলো। মা বিরক্ত হয়ে ঘর থেকে চিৎকার করেন, 'শোয়েগা শোয়েগা তুম আয়েগা'। মায়ের হিন্দি শুনে আমরা সকলে হেসে উঠেছিলাম। বাবা ও কুক দু জনেই হাসছিলেন।
পেলিং-এ আমরা তিন দিন চার রাত ছিলাম। তৃতীয় দিন সকালে আমরা ঘরে বসে গল্প করছিলাম গায়ে কম্বল ঢাকা দিয়ে। কুক দরজার বাইরে থেকে চিৎকার করেন, 'আপ ইধার শো রেহে হে, উধার কাঞ্চনজঙ্ঘা দিখাই দে রাহা হে'। আমি তো এক দৌড়ে হেলিপ্যাড-এ। পেছন পেছন ওনারাও এসেছিলেন। আকাশ তখন পরিষ্কার। চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা! পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর নারীর থেকেও সুন্দর। তাঁর উষ্ণতায় আমরা সকলেই ঠাণ্ডা ভুলে গেছিলাম। নির্মল আকাশের কোলে স্বয়ং মহাদেব। সাদা বরফের ওপর সোনা রোদ সোনালী রঙের চাদরে তাঁকে ঢেকে দিয়েছিলো। বাবা বলেন, 'সকালে সোনার রং আর রাতে রূপার রং'। কিন্তু রাতে দেখার সৌভাগ্য আর হয়নি। মাত্র পনেরো মিনিটের জন্য ঈশ্বর সুযোগ দিয়েছিলেন। হেলিপ্যাড-এ তখন জনতার ভিড়। কোনো মিটিং মিছিল নয়, তবুও। দেবেন কাকু কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছিলেন।
মায়ের মামার বাড়ির সামনের বাড়ির বাবুয়া ছিল ওই ভিড়ের মধ্যে। সে দূর থেকে বাবাকে চিনতে পেরেছিলো। ছুটে এসে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল, 'ভাদুড়ী বাড়ির জামাই না'! বাবা তো হতবাক। সকলে যখন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ব্যস্ত, তখন সে জামাই দেখতে ব্যস্ত, কি পাগলা লোক রে বাবা!
হেলিপ্যাড-এর এক পাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর ওপর পাশে টাইগার হিলস। আমি টাইগার হিলসও দেখে নিয়েছিলাম হেলিপ্যাড থেকে। হেলিপ্যাড দিয়ে মাঝেমধ্যে মেঘ ভেসে যায়। তাতে প্রচুর জলীয় বাস্প থাকে। কেউ যদি তা শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করে, তাহলে নিউমোনিয়া নিশ্চিত।
চতুর্থ দিন সকালে জলখাবার খেয়ে আমরা ট্রেকারে চেপে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলাম। পেলিং থেকে তখন কোনো বাস শিলিগুড়ি যেত না। যাওয়ার পথে লেগশিপ-এ একবার ট্রেকার থেমেছিল, মন একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেছিলো। ফেরার পথে পড়েছিল রাবাংলা ও জোরেথাং। সেখানে গাড়ি থামেনি। চালক অস্তে করে চালিয়েছিলেন, যাতে আমরা আশেপাশের দৃশ্য দেখতে পাই। আমি নিজের মধ্যে নিজেই হারিয়ে গেছিলাম। ধ্যান ছাড়াই ধ্যানমগ্ন। ওপরে উঠতে সময় লাগে, নীচে নামতে অত সময় লাগে না। শিলিগুড়ি পৌঁছতে আমাদের পাঁচ ঘন্টা লেগেছিলো। ওখানে সহজেই হোটেল পেয়ে গেছিলাম। সামনেই ছিল শিলিগুড়ি সুপার মার্কেট। মায়ের সুপার মার্কেট দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার আগেই আমরা একটা রেস্তোরাঁ থেকে চাইনিজ খেয়ে নিয়েছিলাম। হোটেলের মালিক বলেন, 'সুপার মার্কেটে বাঙালি খাবার পাওয়া যায়'।
সেদিন সারাদিন ঘুমিয়ে নিয়েছিলাম। ঠিক হয়েছিল পরের দিন দুপুরে খেয়ে দেয়ে সুপার মার্কেট ঘুরে দেখবো। পরের দিন যে লক্ষ্মী পুজো সেটা মা ভুলেই গেছিলেন। লক্ষ্মী পুজোর দিন আমরা নিরামিষ খেয়ে থাকি। কিন্তু সেবার লক্ষ্মী পুজোয় আমরা ইলিশ মাছ ও পাঁঠার মাংস দিয়ে তৃপ্তি করে ভাত খেয়েছিলাম। খাওয়া শেষ হওয়ার পরে মা বিলাপ করেন, 'আজ যে লক্ষ্মী পুজো, কি পাপ করে ফেললাম'! বাবা সাথে সাথেই বলে ওঠেন, 'ধর্মটা ঘরের ভিতরে, ঘরের বাইরে নয়'। সুপার মার্কেট ঘুরে দেখেছিলাম। মা একটা বেড কভার কিনেছিলেন। আমি কিনেছিলাম পেনপেন্সিল। তিন রাত আমরা শিলিগুড়িতে ছিলাম। তার পরের দিন একই ভাবে কেটে গেছিলো। একই দোকান থেকে একই খাবার খেয়েছিলাম দুপুরে। সাত ভাই মিলে সেই দোকান চালায় বলে, তার নাম- সাত ভাইয়ের হোটেল। রাতে আমরা সামনের দোকান থেকে রুটি তরকা কিনে আনতাম। বাবা মাকে চায়ের কাপ-এর সেট উপহার দিয়েছিলেন। আমাকে কিনে দিয়েছিলেন দারুণ একটা টুপি।
সেবার ফেরার পালা। নির্বিঘ্নে ফিরে এসেছিলাম। বেলার দিকে শিয়ালদহে নেমেছিলাম। কি গরম লাগছিলো! বাড়িতে ফিরে শপথ করেছিলাম কৃপণদের সাথে আর কোনো দিন বেড়াতে যাবো না।
সমাপ্ত
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম. শহীদ ১৭/১১/২০২৪অপূর্ব কাহিনী।
-
suman ১৯/০৯/২০২৪অসাধারণ
-
অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী ২৫/০৮/২০২৪অপূর্ব
-
ফয়জুল মহী ১৯/০৮/২০২৪চমৎকার অনুভূতি