রাজগীর ভ্রমণ
পাহাড় দেখা আমার সাত বছর বয়সে পাশের রাজ্য বিহারে। আমরা পাড়ার ট্যুরিস্টের সাথে গেছিলাম- আমরা বলতে আমি, মা, বাবা, ঠাকুরমা ও দিদিমা। চৌহানের বাসে চেপে আমরা কলকাতা থেকে পাহাড় পরিক্রমায় বেরিয়েছিলাম- বৌদ্ধগয়া, গয়া, রাজগীর, নালন্দা ও পাওয়াপুরী। পাহাড় দেখেছিলাম রাজগীরে। যাওয়ার আগে ঠাকুরমা আমাকে বলেন, 'পাহাড় মানে উঁচু জমি'। 'আমি পাহাড় ছবিতে দেখেছি। পাহাড়ের চূড়া থাকে। আমি চূড়ায় উঠতে চাই'। 'আমিও তোমার সাথে উঠবো'।
সারা রাত বাস যাত্রার পরে ভোর বেলা আমরা গিয়ে পৌঁছলাম বৌদ্ধগয়ায়। বাস ছেড়েছিল আগের দিন দুপুরে। তিব্বতের সাধু বাবা গুলো কি নোংরা। রোজ স্নান করে না, গায়ে বাঘের মতো গন্ধ। চারদিকে থুতু ফেলে অপরিষ্কার করছিলো। আমার গায়ে একটু হলেই লেগে যেত। দূর থেকে দেখলাম বোধিবৃক্ষ। আশেপাশের মানুষ জন বেশ ভালোই বাংলা বলছে, 'এই অশ্বত্থ গাছের নীচে বসে ধ্যান করে বুদ্ধদেব সিদ্ধি লাভ করেছিলেন'। আমি বাবাকে বললাম, 'আমিও সিদ্ধি লাভ করতে চাই'। 'লেখাপড়া শিখে সিদ্ধি লাভ করো'। গাছটা বাঁধানো, এর বেশি আমার আর কিছু মনে নেই। আর পাঁচটা গাছের থেকে সেই গাছ আলাদা।
বৌদ্ধগয়া ঘোরার পরে আমরা গয়ায় পৌঁছলাম। গয়াতে আমরা এক রাত ছিলাম। রাতে ট্যুরিস্টের পক্ষ থেকেই রান্না করেছিল- ভাত, ডাল, আলুভাজা ও ডিমের ডানলা। বেশ তৃপ্তি করেই খেয়েছিলাম। পরের দিন সকালে আমরা পায়ে হেঁটে ফল্গু নদী পার হলাম। মিথ্যে বলার কারণে ফল্গু নদীকে মা সীতা অভিশাপ দিয়েছিলাম- নদীর স্রোত থাকবে বালির তলায় আর বালি দিয়ে শিয়াল কুকুর হেঁটে যাবে। সত্যি তাই, নদী যেন মরুভূমি। মাঝে মাঝে বালির ওপর নর্দমার মতো সরু স্রোত। আমরা খালি পায়ে হেঁটেই নদী পার হয়ে গেলাম মাত্র পনেরো মিনিটে। যেতে যেতে দিদিমা বলেন, 'মিথ্যে বলার জন্য মা সীতা তুলসী গাছ ও ব্রাহ্মণকেও অভিশাপ দিয়েছিলেন। তুলসী গাছে কুকুর বিড়ালে প্রস্রাব করবে আর পূজারীর দারিদ্র কখনোই ঘুঁচবে না'। ওপারে কেবল মন্দির, একটি মন্দিরে রাজা দশরথের পিণ্ড দান করা হয়েছিল। মনে আছে, আমি জায়গাটা বেশ ভালো করে দেখেছিলাম।
যেহেতু তখন ঠাকুরমা, ঠাকুরদাদা, দিদা ও দাদু জীবিত ছিলেন, তাই গয়ার প্রেতলোক আমরা দর্শন করতে যায়নি। মা বলেছিলেন, 'মা বাবা বেঁচে থাকতে প্রেতলোক দর্শন করতে নেই, তাহলে দারুণ ক্ষতি হতে পারে'।
বিকেলের দিকে গয়া থেকে আমরা বাসে চেপে চলে আসি রাজগীর। একটা দোতলা লজে আমরা তিন দিন তিন রাত ছিলাম। রান্নার ঠাকুর ট্যুরিস্টরাই জোগাড় করে এনেছিলেন। পরের দিন বেলায় আমরা উষ্ণপ্রসবণ-এ স্নান করার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। ঘোড়ার গাড়িতে চেপে চলে গেছিলাম গন্তব্যে। ব্যাগে আলাদা জামাকাপড় ও গামছা নিয়ে গেছিলাম। কোথাও জলাশয়, কোথাও আবার নল দিয়ে জল পড়ছিলো। আমি একটা নলের তলায় বসে গেছিলাম। 'কি গরম জল, চামড়া যেন পুড়ে গেলো'। বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারিনি। দিদিমা কোমরটাকে নলের নীচে রেখেছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। তিনি বলেন, 'আমি বাতের ব্যথা সারিয়েই যাবো'। তার দেখাদেখি ঠাকুরমাও পা তুলে হাঁটুটা অন্য নলের নীচে রাখেন। আমার পিঠে ব্যথা হতো, বাবা হাতে করে জল নিয়ে পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন।
পরের দিন সকালে আমরা আশেপাশের দর্শনীয় স্থানাদি দর্শন করেছিলাম ঘোড়ার গাড়ি চেপেই।
রোপওয়েতে আমরা কেউ উঠিনি। মা সকলকে মানা করেছিলেন। 'রোপওয়ে চেপে এই পাহাড় থেকে ওই পাহাড়ে যাওয়া যায়। যদি মাঝ পথে তার ছিঁড়ে রোপওয়ে পড়ে যায়, তাহলে মৃত্যু নিশ্চিত'। অতএব দূর থেকে পাহাড় দেখেই শান্ত হতে হয়েছিল। পাহাড়ে ওঠা আগেই নিষেধ করেছিলেন বাবা। 'ওই দুর্গম পথে না যাওয়াই ভালো'।
দু রাত কেটে যাওয়ার পরে, তিন রাতে ঘটলো অঘটন। একজন বয়স্ক মহিলা, আমাদের সহযাত্রী, দু লিটার মহিষের দুধ খেয়েছিলেন বিকেলে। গ্যাস হয়ে রাতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অত রাতে ডাক্তার কোথায় পাবো? তারপরের দিন সকালে থানা পুলিশ করা হয়েছিল। কারণ মৃতদেহ বিহার থেকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে দাহ করা হয়েছিল। কলকাতায় বৃদ্ধার মেয়ে জামাই ছিলেন, তিনি ছেলের সাথে ঘুরতে এসেছিলেন রাজগীর। বাবা অ্যাডভোকেট, চিঠিপত্র সব বাবাই লিখেছিলেন। পুলিশের সাথে ইংরেজিতে বাবা কথা বলেছিলেন। বেলার দিকে প্রাইভেট কার-এর ডিকিতে লাশ নিয়ে তাঁর ছেলে রওনা হয়ে গেলেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। সাথে আরেকজন গেছিলেন। কারো নাম আমার মনে নেই। গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল। শুনেছিলাম যে মৃতার ছেলে প্রেতলোক দর্শন করেছিলেন।
আমরা দুপুরে খেয়ে দেয়ে বাসে চেপে রওনা দিয়েছিলাম নালন্দার ধ্বংসাবশেষ দেখার উদ্দেশ্যে। এখন নালন্দার প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। ১১৯০-এর দশকে, তুর্কো-আফগান সামরিক জেনারেল বখতিয়ার খিলজির নেতৃত্বে হানাদারদের একটি লুণ্ঠনকারী সৈন্য দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়টি ধ্বংস করা হয়েছিল। সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উত্তর ও পূর্ব ভারত জয়ের সময় বৌদ্ধ জ্ঞানের কেন্দ্রকে নিভিয়ে দেওয়ার জন্যই এই কাজ করা হয়েছিল। আমি কেবল পোড়া দেওয়াল দেখেছিলাম। যে কলসে ছাত্ররা জল খেতো, সেটা তিন মানুষ সমান বড়। ঠাকুরমা ও দিদিমা হাঁ করে দেখছিলেন। আমি বলেছিলাম, 'আমাদের ঘরে ছোট কলসি, এখানে বড় কলসি, এই যা তফাৎ, অত দেখে কি হবে'! আর কিছু আমার মনে নেই।
নালন্দা থেকে আমরা গেছিলাম পাওয়াপুরী বাসে চেপে। সেখানে জল মন্দির দেখার মতো। জলের ওপর মন্দির। জলে ফুটেছিলো শত পদ্ম। না জল ভেঙে আমাদের যেতে হয় নি, জলের ওপরেই পথ। পাওয়াপুরী মানে পাপ মুক্ত, এখানে ভগবান মহাবীর নির্বাণ লাভ করেছিলেন। কেউ পাশ থেকে বলেন, 'জায়গাটার নাম জলপুরী রাখলে কেমন হতো'। প্রচুর পানকৌড়ি পাখি দেখেছিলাম। জলে ডুব দিচ্ছিলো। রাজগীরের নওলাখা মন্দিরটা দেখা হয়নি। নয় লক্ষ টাকায় সেই মন্দির তৈরী হয়েছিল। হয়তো পরের বার আসবো বলে রেখে গেছিলাম।
জল মন্দির দেখে সন্ধ্যার অন্ধকারে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলাম।
সারা রাত বাস যাত্রার পরে ভোর বেলা আমরা গিয়ে পৌঁছলাম বৌদ্ধগয়ায়। বাস ছেড়েছিল আগের দিন দুপুরে। তিব্বতের সাধু বাবা গুলো কি নোংরা। রোজ স্নান করে না, গায়ে বাঘের মতো গন্ধ। চারদিকে থুতু ফেলে অপরিষ্কার করছিলো। আমার গায়ে একটু হলেই লেগে যেত। দূর থেকে দেখলাম বোধিবৃক্ষ। আশেপাশের মানুষ জন বেশ ভালোই বাংলা বলছে, 'এই অশ্বত্থ গাছের নীচে বসে ধ্যান করে বুদ্ধদেব সিদ্ধি লাভ করেছিলেন'। আমি বাবাকে বললাম, 'আমিও সিদ্ধি লাভ করতে চাই'। 'লেখাপড়া শিখে সিদ্ধি লাভ করো'। গাছটা বাঁধানো, এর বেশি আমার আর কিছু মনে নেই। আর পাঁচটা গাছের থেকে সেই গাছ আলাদা।
বৌদ্ধগয়া ঘোরার পরে আমরা গয়ায় পৌঁছলাম। গয়াতে আমরা এক রাত ছিলাম। রাতে ট্যুরিস্টের পক্ষ থেকেই রান্না করেছিল- ভাত, ডাল, আলুভাজা ও ডিমের ডানলা। বেশ তৃপ্তি করেই খেয়েছিলাম। পরের দিন সকালে আমরা পায়ে হেঁটে ফল্গু নদী পার হলাম। মিথ্যে বলার কারণে ফল্গু নদীকে মা সীতা অভিশাপ দিয়েছিলাম- নদীর স্রোত থাকবে বালির তলায় আর বালি দিয়ে শিয়াল কুকুর হেঁটে যাবে। সত্যি তাই, নদী যেন মরুভূমি। মাঝে মাঝে বালির ওপর নর্দমার মতো সরু স্রোত। আমরা খালি পায়ে হেঁটেই নদী পার হয়ে গেলাম মাত্র পনেরো মিনিটে। যেতে যেতে দিদিমা বলেন, 'মিথ্যে বলার জন্য মা সীতা তুলসী গাছ ও ব্রাহ্মণকেও অভিশাপ দিয়েছিলেন। তুলসী গাছে কুকুর বিড়ালে প্রস্রাব করবে আর পূজারীর দারিদ্র কখনোই ঘুঁচবে না'। ওপারে কেবল মন্দির, একটি মন্দিরে রাজা দশরথের পিণ্ড দান করা হয়েছিল। মনে আছে, আমি জায়গাটা বেশ ভালো করে দেখেছিলাম।
যেহেতু তখন ঠাকুরমা, ঠাকুরদাদা, দিদা ও দাদু জীবিত ছিলেন, তাই গয়ার প্রেতলোক আমরা দর্শন করতে যায়নি। মা বলেছিলেন, 'মা বাবা বেঁচে থাকতে প্রেতলোক দর্শন করতে নেই, তাহলে দারুণ ক্ষতি হতে পারে'।
বিকেলের দিকে গয়া থেকে আমরা বাসে চেপে চলে আসি রাজগীর। একটা দোতলা লজে আমরা তিন দিন তিন রাত ছিলাম। রান্নার ঠাকুর ট্যুরিস্টরাই জোগাড় করে এনেছিলেন। পরের দিন বেলায় আমরা উষ্ণপ্রসবণ-এ স্নান করার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। ঘোড়ার গাড়িতে চেপে চলে গেছিলাম গন্তব্যে। ব্যাগে আলাদা জামাকাপড় ও গামছা নিয়ে গেছিলাম। কোথাও জলাশয়, কোথাও আবার নল দিয়ে জল পড়ছিলো। আমি একটা নলের তলায় বসে গেছিলাম। 'কি গরম জল, চামড়া যেন পুড়ে গেলো'। বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারিনি। দিদিমা কোমরটাকে নলের নীচে রেখেছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। তিনি বলেন, 'আমি বাতের ব্যথা সারিয়েই যাবো'। তার দেখাদেখি ঠাকুরমাও পা তুলে হাঁটুটা অন্য নলের নীচে রাখেন। আমার পিঠে ব্যথা হতো, বাবা হাতে করে জল নিয়ে পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন।
পরের দিন সকালে আমরা আশেপাশের দর্শনীয় স্থানাদি দর্শন করেছিলাম ঘোড়ার গাড়ি চেপেই।
রোপওয়েতে আমরা কেউ উঠিনি। মা সকলকে মানা করেছিলেন। 'রোপওয়ে চেপে এই পাহাড় থেকে ওই পাহাড়ে যাওয়া যায়। যদি মাঝ পথে তার ছিঁড়ে রোপওয়ে পড়ে যায়, তাহলে মৃত্যু নিশ্চিত'। অতএব দূর থেকে পাহাড় দেখেই শান্ত হতে হয়েছিল। পাহাড়ে ওঠা আগেই নিষেধ করেছিলেন বাবা। 'ওই দুর্গম পথে না যাওয়াই ভালো'।
দু রাত কেটে যাওয়ার পরে, তিন রাতে ঘটলো অঘটন। একজন বয়স্ক মহিলা, আমাদের সহযাত্রী, দু লিটার মহিষের দুধ খেয়েছিলেন বিকেলে। গ্যাস হয়ে রাতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অত রাতে ডাক্তার কোথায় পাবো? তারপরের দিন সকালে থানা পুলিশ করা হয়েছিল। কারণ মৃতদেহ বিহার থেকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে দাহ করা হয়েছিল। কলকাতায় বৃদ্ধার মেয়ে জামাই ছিলেন, তিনি ছেলের সাথে ঘুরতে এসেছিলেন রাজগীর। বাবা অ্যাডভোকেট, চিঠিপত্র সব বাবাই লিখেছিলেন। পুলিশের সাথে ইংরেজিতে বাবা কথা বলেছিলেন। বেলার দিকে প্রাইভেট কার-এর ডিকিতে লাশ নিয়ে তাঁর ছেলে রওনা হয়ে গেলেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। সাথে আরেকজন গেছিলেন। কারো নাম আমার মনে নেই। গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল। শুনেছিলাম যে মৃতার ছেলে প্রেতলোক দর্শন করেছিলেন।
আমরা দুপুরে খেয়ে দেয়ে বাসে চেপে রওনা দিয়েছিলাম নালন্দার ধ্বংসাবশেষ দেখার উদ্দেশ্যে। এখন নালন্দার প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। ১১৯০-এর দশকে, তুর্কো-আফগান সামরিক জেনারেল বখতিয়ার খিলজির নেতৃত্বে হানাদারদের একটি লুণ্ঠনকারী সৈন্য দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়টি ধ্বংস করা হয়েছিল। সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উত্তর ও পূর্ব ভারত জয়ের সময় বৌদ্ধ জ্ঞানের কেন্দ্রকে নিভিয়ে দেওয়ার জন্যই এই কাজ করা হয়েছিল। আমি কেবল পোড়া দেওয়াল দেখেছিলাম। যে কলসে ছাত্ররা জল খেতো, সেটা তিন মানুষ সমান বড়। ঠাকুরমা ও দিদিমা হাঁ করে দেখছিলেন। আমি বলেছিলাম, 'আমাদের ঘরে ছোট কলসি, এখানে বড় কলসি, এই যা তফাৎ, অত দেখে কি হবে'! আর কিছু আমার মনে নেই।
নালন্দা থেকে আমরা গেছিলাম পাওয়াপুরী বাসে চেপে। সেখানে জল মন্দির দেখার মতো। জলের ওপর মন্দির। জলে ফুটেছিলো শত পদ্ম। না জল ভেঙে আমাদের যেতে হয় নি, জলের ওপরেই পথ। পাওয়াপুরী মানে পাপ মুক্ত, এখানে ভগবান মহাবীর নির্বাণ লাভ করেছিলেন। কেউ পাশ থেকে বলেন, 'জায়গাটার নাম জলপুরী রাখলে কেমন হতো'। প্রচুর পানকৌড়ি পাখি দেখেছিলাম। জলে ডুব দিচ্ছিলো। রাজগীরের নওলাখা মন্দিরটা দেখা হয়নি। নয় লক্ষ টাকায় সেই মন্দির তৈরী হয়েছিল। হয়তো পরের বার আসবো বলে রেখে গেছিলাম।
জল মন্দির দেখে সন্ধ্যার অন্ধকারে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলাম।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জে এস এম অনিক ২৮/০২/২০২৪সুন্দর
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ১৮/০২/২০২৪সুন্দর অভিজ্ঞতার প্রকাশ।
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ১৭/০২/২০২৪ভালো লিখলেন তো !
-
ফয়জুল মহী ১৭/০২/২০২৪চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ। শুভ কামনা রইলো।