ক্ষোভ
ও আমায় পাত্তা দেয় না। কেন আমার মধ্যে কি কম? ওর মধ্যে কি বেশি? ওর এত রেলা কেন? হয়তো আমি ওর মতো সুন্দর নই, হয়তো আমি ওর মতো লেখাপড়ায় ভালো নই, হয়তো আমি ওর মতো বড়লোক নই বা হয়তো আমি ওর মতো বড় বংশের সন্তান নই। কিন্তু আমি ওর মতোই রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। ওর আমার দুজনেরই রক্ত লাল। তবু কেন আমি ওর কাছে ফেলনা? বঞ্চনা থেকে জন্ম নেয় ক্ষোভ আর ক্ষোভ থেকে জন্মায় প্রতিহিংসা। ওকে আর আমি সহ্য করতে পারছি না। সুযোগ পেলে ওকে আমি শায়েস্তা করবো বা তাড়াবো।
বন্ধু বান্ধবের মধ্যে এসব হামেশাই দেখা যায়। তাই কারো সাথে চিরকাল বন্ধুত্ব টেকে না। বন্ধুত্ব যেমন মহৎ, ঠিক তেমনই সংকীর্ণ। বন্ধুই বন্ধুর সর্বনাশ করে, বন্ধুই বন্ধুকে ল্যাং মারে। এটা স্বাভাবিক। আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে রেষারেষি লেগেই থাকে। একটা পরিবার ওপরে উঠে গেলে, আরেকটা পরিবারকে হেয় করে। দ্বিতীয় পরিবারটা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কবে তাদের বলার দিন আসবে। জানবেন ওপরওয়ালা সকলকে বলার সুযোগ দেয়। বহু আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে মুখ দেখাদেখিই বন্ধ হয়ে যায় চিরকালের জন্য। ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক আর কখনোই জোড়া লাগে না। সবথেকে দুঃখের বিষয় হল একটা সময়ের পর ভাই বোনেরা সব আলাদা হয়ে যায়। যদিও সম্পত্তি ভাগাভাগির এখানে দারুণ ভূমিকা আছে, তা সত্ত্বেও বলে রাখি একটা সময়ের পরে রক্তের সম্পর্কের মধ্যে রেষারেষি এসে যায়। ও কেন পেলো, আমি কেন পেলাম না? ও কেন আমার থেকে এগিয়ে গেলো?
সবশেষে আরেকটা বিষয় বলে রাখি। এক সময় ছেলেরা মেয়েদেরকে দাবিয়ে রাখতো। মেয়েরা এখন স্বাধীন। তাদেরকে কেউ আর দাবিয়ে রাখতে পারে না। কিন্তু বহু মেয়ে শতাব্দী প্রাচীন ক্ষোভের কারণে বহু নিরীহ ছেলের জীবন নষ্ট করেছে। মেয়েদের পক্ষে যে আইন, তার অপব্যবহার করেছে। তাই ইদানিং কালে দু পক্ষের কথাই মন দিয়ে শোনা হয়।
ক্ষোভ কেবল মানুষের মধ্যেই জন্মায় আর এই ক্ষোভের কারণেই মানুষ প্রতিহিংসা পরায়ণ। পশুর প্রতিহিংসার কারণ ক্ষোভ নয়, অজ্ঞানতা। এই অজ্ঞানতা থেকে আধুনিক সমাজ মুক্তি পেলেও, ক্ষোভ থেকে নিস্তার নেই। এই ক্ষোভ কিভাবে জয় করা যায়? এর কারণ আমার কাছে আজও অজানা।
বন্ধু বান্ধবের মধ্যে এসব হামেশাই দেখা যায়। তাই কারো সাথে চিরকাল বন্ধুত্ব টেকে না। বন্ধুত্ব যেমন মহৎ, ঠিক তেমনই সংকীর্ণ। বন্ধুই বন্ধুর সর্বনাশ করে, বন্ধুই বন্ধুকে ল্যাং মারে। এটা স্বাভাবিক। আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে রেষারেষি লেগেই থাকে। একটা পরিবার ওপরে উঠে গেলে, আরেকটা পরিবারকে হেয় করে। দ্বিতীয় পরিবারটা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কবে তাদের বলার দিন আসবে। জানবেন ওপরওয়ালা সকলকে বলার সুযোগ দেয়। বহু আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে মুখ দেখাদেখিই বন্ধ হয়ে যায় চিরকালের জন্য। ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক আর কখনোই জোড়া লাগে না। সবথেকে দুঃখের বিষয় হল একটা সময়ের পর ভাই বোনেরা সব আলাদা হয়ে যায়। যদিও সম্পত্তি ভাগাভাগির এখানে দারুণ ভূমিকা আছে, তা সত্ত্বেও বলে রাখি একটা সময়ের পরে রক্তের সম্পর্কের মধ্যে রেষারেষি এসে যায়। ও কেন পেলো, আমি কেন পেলাম না? ও কেন আমার থেকে এগিয়ে গেলো?
সবশেষে আরেকটা বিষয় বলে রাখি। এক সময় ছেলেরা মেয়েদেরকে দাবিয়ে রাখতো। মেয়েরা এখন স্বাধীন। তাদেরকে কেউ আর দাবিয়ে রাখতে পারে না। কিন্তু বহু মেয়ে শতাব্দী প্রাচীন ক্ষোভের কারণে বহু নিরীহ ছেলের জীবন নষ্ট করেছে। মেয়েদের পক্ষে যে আইন, তার অপব্যবহার করেছে। তাই ইদানিং কালে দু পক্ষের কথাই মন দিয়ে শোনা হয়।
ক্ষোভ কেবল মানুষের মধ্যেই জন্মায় আর এই ক্ষোভের কারণেই মানুষ প্রতিহিংসা পরায়ণ। পশুর প্রতিহিংসার কারণ ক্ষোভ নয়, অজ্ঞানতা। এই অজ্ঞানতা থেকে আধুনিক সমাজ মুক্তি পেলেও, ক্ষোভ থেকে নিস্তার নেই। এই ক্ষোভ কিভাবে জয় করা যায়? এর কারণ আমার কাছে আজও অজানা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জে এস এম অনিক ০৯/০২/২০২৪খুব ভালো লাগলো পাঠে।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৯/০৭/২০২৩ভালো
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ১৫/০৬/২০২৩অনেক সুন্দর!