আমাদের ছোট নদী
'আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে'- এই লাইনটা আমাদের সকলেরই চেনা, ছোট বেলা থেকে আমরা এই লাইনটার সাথে বিশেষ ভাবে পরিচিত। কেন পরিচিত হই আমরা? পাঠ্যসূচিতে আছে বলে নয়। জীবন দর্শনকে জানার জন্য। আমাদের জীবনটা আসলে একটা ছোট নদীর মতো। আর আমরা বেঁকে বেঁকে জীবনের পথ চলছি।
জীবন কেন ছোট নদীর মতো হতে যাবে?
এই কারণেই, সময় যেমন বয়ে যায়, নদী ও জীবন দুজনেই সময়ের সাথে বয়ে যায়। এখানে স্রোতের কথা বলা হচ্ছে। সকল প্রবাহে স্রোত থাকে, সে সময় হোক বা নদী হোক বা জীবন হোক। স্রোত ছাড়া প্রবাহ নিস্তেজ।
বেঁকে বেঁকে পথ চলার অর্থ?
জীবনে চলার পথে যদি এই দরজাটা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে ওই দরজাটা খুলে যাবে। ধাক্কা খেতে খেতে মানুষ এগিয়ে যায় জীবনের পথে। নদীও সেই একই ধাক্কা খেতে খেতে এগিয়ে যায় সমুদ্রের দিকে। এখানে বলে রাখা দরকার যে সময় কোনো ধাক্কা খায় না। এর কারণ নদী ও জীবনের শুরু এবং শেষ আছে, সময়ের কোনও শুরু বা শেষ নেই।
কোন কোন দরজা খোলে, কোন কোন দরজা বন্ধ হয়, চলুন দেখা যাক।
প্রথমত বলি, মা বাবা ছোট বেলা থেকে শিখিয়ে দেন, এর মতো হও বা ওর মতো হও, কেউ বলেন না যে নিজের মতো হও। এই নিজের মতো হওয়ার লড়াইয়ে গাছের বহু পাতা অকালে ঝরে যায়। বহু গাছে আর নতুন পাতা গজায় না। নকল করে কোনও দিনও বড় হওয়া যায় না কারণ নকল করতে গেলে নিজের আসলটা হারাতে হয়। নিজস্বতা ছাড়া কেউ জীবনে পরিপূর্ণ ভাবে বিকশিত হতে পারে না।
দ্বিতীয়ত বলি, হয় ডাক্তার হও বা ইঞ্জিনিয়ার হও, কেউ বলে না মানুষের মতো মানুষ হয়। তাই মানুষ হওয়ার লড়াইয়ে কেউ শামিল নয়। সবাই ইঁদুর দৌড়ে ব্যস্ত। তাই প্রতি শীতে নিয়ম করে গাছের পাতা ঝরে। কত গাছ আর জেগেই উঠতে পারে না পরের বসন্তে। ডাক্তার হতে পারে নি তো কি হয়েছে, লেখক তো হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে নি তো কি হয়েছে, ফুটবল খেলে মেডেল জিতেছে। সৎ পথে করা কোনও কাজই ছোট নয়। সব কাজেরই একই প্রয়োজন। ভাষা না থাকলে কিভাবে ডাক্তারবাবুকে বোঝাবো যে আমার কি হয়েছে! খেলায় গতি না থাকলে কিভাবে চলমান প্রযুক্তিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসবো!
তৃতীয়ত বলি, বিদেশে গিয়ে চাকরি করলেই জীবন সার্থক। সব মাথা যদি বিদেশে চলে যায়, তাহলে মাথা ঘামাবার মতো মানুষের মাথা দেশে আর পড়ে থাকবে না। তখন গরু ছাগলে মাথা ঘামাবে। এই মানুষের মাথা গুলো যদি বিদেশে না যেত, তাহলে আজ দেশটা কোথায় থাকতো! তবে এরা বাধ্য হয়েই দেশ ছেড়ে চলে যায়- সেটা অন্য প্রসঙ্গ। প্রসঙ্গে আসি, যারা যেতে পারে না, তারা ফেলনা নয়, দেশ তাদের প্রকৃত মূল্য দিতে শিখুক ছাই না শিখুক।
সব শেষে বলে রাখি, সব সময় সব দরজা খুলে রাখা দরকার। হাওয়ার তেজে কত দরজা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, আবার হঠাৎ খুলেও যায়। যখন যেখানে সুযোগ পাও, সেই দরজা দিয়ে ঢুকে যাও। জানবে সেটাই তোমার পথ আর এই সুযোগ তোমাকে সময় করে দিয়েছে। ছোট নদীর মতো বেঁকে বেঁকে বয়ে চলো সময়ের সাথে সাথে, যতক্ষণ না সমুদ্রে পৌঁছতে পারছো।
জীবন কেন ছোট নদীর মতো হতে যাবে?
এই কারণেই, সময় যেমন বয়ে যায়, নদী ও জীবন দুজনেই সময়ের সাথে বয়ে যায়। এখানে স্রোতের কথা বলা হচ্ছে। সকল প্রবাহে স্রোত থাকে, সে সময় হোক বা নদী হোক বা জীবন হোক। স্রোত ছাড়া প্রবাহ নিস্তেজ।
বেঁকে বেঁকে পথ চলার অর্থ?
জীবনে চলার পথে যদি এই দরজাটা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে ওই দরজাটা খুলে যাবে। ধাক্কা খেতে খেতে মানুষ এগিয়ে যায় জীবনের পথে। নদীও সেই একই ধাক্কা খেতে খেতে এগিয়ে যায় সমুদ্রের দিকে। এখানে বলে রাখা দরকার যে সময় কোনো ধাক্কা খায় না। এর কারণ নদী ও জীবনের শুরু এবং শেষ আছে, সময়ের কোনও শুরু বা শেষ নেই।
কোন কোন দরজা খোলে, কোন কোন দরজা বন্ধ হয়, চলুন দেখা যাক।
প্রথমত বলি, মা বাবা ছোট বেলা থেকে শিখিয়ে দেন, এর মতো হও বা ওর মতো হও, কেউ বলেন না যে নিজের মতো হও। এই নিজের মতো হওয়ার লড়াইয়ে গাছের বহু পাতা অকালে ঝরে যায়। বহু গাছে আর নতুন পাতা গজায় না। নকল করে কোনও দিনও বড় হওয়া যায় না কারণ নকল করতে গেলে নিজের আসলটা হারাতে হয়। নিজস্বতা ছাড়া কেউ জীবনে পরিপূর্ণ ভাবে বিকশিত হতে পারে না।
দ্বিতীয়ত বলি, হয় ডাক্তার হও বা ইঞ্জিনিয়ার হও, কেউ বলে না মানুষের মতো মানুষ হয়। তাই মানুষ হওয়ার লড়াইয়ে কেউ শামিল নয়। সবাই ইঁদুর দৌড়ে ব্যস্ত। তাই প্রতি শীতে নিয়ম করে গাছের পাতা ঝরে। কত গাছ আর জেগেই উঠতে পারে না পরের বসন্তে। ডাক্তার হতে পারে নি তো কি হয়েছে, লেখক তো হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে নি তো কি হয়েছে, ফুটবল খেলে মেডেল জিতেছে। সৎ পথে করা কোনও কাজই ছোট নয়। সব কাজেরই একই প্রয়োজন। ভাষা না থাকলে কিভাবে ডাক্তারবাবুকে বোঝাবো যে আমার কি হয়েছে! খেলায় গতি না থাকলে কিভাবে চলমান প্রযুক্তিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসবো!
তৃতীয়ত বলি, বিদেশে গিয়ে চাকরি করলেই জীবন সার্থক। সব মাথা যদি বিদেশে চলে যায়, তাহলে মাথা ঘামাবার মতো মানুষের মাথা দেশে আর পড়ে থাকবে না। তখন গরু ছাগলে মাথা ঘামাবে। এই মানুষের মাথা গুলো যদি বিদেশে না যেত, তাহলে আজ দেশটা কোথায় থাকতো! তবে এরা বাধ্য হয়েই দেশ ছেড়ে চলে যায়- সেটা অন্য প্রসঙ্গ। প্রসঙ্গে আসি, যারা যেতে পারে না, তারা ফেলনা নয়, দেশ তাদের প্রকৃত মূল্য দিতে শিখুক ছাই না শিখুক।
সব শেষে বলে রাখি, সব সময় সব দরজা খুলে রাখা দরকার। হাওয়ার তেজে কত দরজা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, আবার হঠাৎ খুলেও যায়। যখন যেখানে সুযোগ পাও, সেই দরজা দিয়ে ঢুকে যাও। জানবে সেটাই তোমার পথ আর এই সুযোগ তোমাকে সময় করে দিয়েছে। ছোট নদীর মতো বেঁকে বেঁকে বয়ে চলো সময়ের সাথে সাথে, যতক্ষণ না সমুদ্রে পৌঁছতে পারছো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জসিম বিন ইদ্রিস ১৭/০৪/২০২৩ভালো উপলব্ধি
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৬/১১/২০২২সুন্দর অভিজ্ঞতা।
-
ফয়জুল মহী ২৫/১১/২০২২হৃদয়কে বিমোহিত করে।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৫/১১/২০২২ভাল অভিজ্ঞতা।