একবার ভেবে দেখা দরকার
আগে পেশা দিয়ে সমাজকে ভাগ করা হতো। যে লেখাপড়ায় পারদর্শী, সে বামুন। যে অস্ত্র চালাতে দক্ষ, সে ক্ষত্রিয়। যে ব্যবসা করে, সে বৈশ্য। যে কিছুই পারে না, সে নমঃশূদ্র। তাহলে নমঃশূদ্ররা কী কাজ করবে? বামুন, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের সেবা করবে। তারপরে এল অধঃপতন, মাতৃ পরিচয় তুচ্ছ হয়ে গেল, প্রাধান্য পেল পিতৃ পরিচয়। অথচ জন্ম মায়ের পেটেই! শুরু হল পদবির রাজত্ব। বামুনের ছেলে কিছু না শিখে অষ্টরম্ভা হলেও, সে বামুন। ক্ষত্রিয়র ছেলে অস্ত্র চালাতে না পারলেও, সে ক্ষত্রিয়। বৈশ্যর ছেলের ব্যবসায়িক বুদ্ধি না থাকলেও, সে বৈশ্য। নমঃশূদ্র হাজার শিখলেও, সে নমঃশূদ্র। এরপরে তাদের শেখার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হল।
ধর্মের এতে কোনও দোষ নেই, দোষ তার প্রয়োগে। সঠিক জিনিস সঠিক ভাবে প্রয়োগ না করতে পারলে, তার ফলাফল হয় সাংঘাতিক। সেই ফলের মাসুল এখনও আমাদের গুণতে হচ্ছে। ভারতের একজন বড় মনীষী বলেছিলেন- যদি বামুনরা তিন হাজার বছর ধরে নমঃশূদ্রদের বঞ্চিত না করতো, তাহলে আমাকে এই কোটা পদ্ধতি আনতে হতো না। যারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে, কোটা কেবল তাদের জন্য হওয়া উচিত। কিন্তু তা আর এখন সম্ভব নয়। যে দল কোটা তুলতে যাবে, সে মুছে যাবে। যে দল কোটা পদ্ধতিকে আরো সুদৃঢ় করবে, সেই দল টিকে থাকবে। এখন ভোটের রাজনীতি, তাই কোনও দল নিজের পায়ে কুড়ুল মারবে না। সেই মনীষী এও বলেছিলেন- স্বাধীনতার দশ বছর পরে কোটার আর কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু কোটা তুলতে গেলেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে। কোনও শাসক তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায় না। তাই স্বাধীনতার দশ বছর কেন দশ হাজার বছর বাদেও কোটা উঠবে না।
বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, কোটার কী সত্যি কোনও প্রয়োজন আছে? উত্তর হল, যদি একবার কেউ সুবিধা পেয়ে যায়, তাহলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেই সুবিধা সে ভোগ করতে চায়। যারা তিন পুরুষ ধরে লেখাপড়া শিখেছে, বঞ্চিত থেকে বিত্তবান হয়ে উঠেছে, প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের কোটা কেন লাগবে? যারা প্রকৃত বঞ্চিত, তাদের জন্য কেবল কোটা থাক। কোটা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর বাদে আবার নতুন করে এই ব্যাপারটা ভেবে দেখা দরকার। প্রকৃত মেধাবী ছেলে মেয়েরা বিদেশে পাড়ি জমায় উচ্চ বিদ্যা লাভের জন্য। এই মেধা যদি দেশে থাকতো, তাহলে দেশের চেহারাই বদলে যেত। দেশ ছাড়তে কোটা পদ্ধতি তাদের বাধ্য করে না তো?
ধর্মের এতে কোনও দোষ নেই, দোষ তার প্রয়োগে। সঠিক জিনিস সঠিক ভাবে প্রয়োগ না করতে পারলে, তার ফলাফল হয় সাংঘাতিক। সেই ফলের মাসুল এখনও আমাদের গুণতে হচ্ছে। ভারতের একজন বড় মনীষী বলেছিলেন- যদি বামুনরা তিন হাজার বছর ধরে নমঃশূদ্রদের বঞ্চিত না করতো, তাহলে আমাকে এই কোটা পদ্ধতি আনতে হতো না। যারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে, কোটা কেবল তাদের জন্য হওয়া উচিত। কিন্তু তা আর এখন সম্ভব নয়। যে দল কোটা তুলতে যাবে, সে মুছে যাবে। যে দল কোটা পদ্ধতিকে আরো সুদৃঢ় করবে, সেই দল টিকে থাকবে। এখন ভোটের রাজনীতি, তাই কোনও দল নিজের পায়ে কুড়ুল মারবে না। সেই মনীষী এও বলেছিলেন- স্বাধীনতার দশ বছর পরে কোটার আর কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু কোটা তুলতে গেলেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে। কোনও শাসক তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায় না। তাই স্বাধীনতার দশ বছর কেন দশ হাজার বছর বাদেও কোটা উঠবে না।
বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, কোটার কী সত্যি কোনও প্রয়োজন আছে? উত্তর হল, যদি একবার কেউ সুবিধা পেয়ে যায়, তাহলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেই সুবিধা সে ভোগ করতে চায়। যারা তিন পুরুষ ধরে লেখাপড়া শিখেছে, বঞ্চিত থেকে বিত্তবান হয়ে উঠেছে, প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের কোটা কেন লাগবে? যারা প্রকৃত বঞ্চিত, তাদের জন্য কেবল কোটা থাক। কোটা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর বাদে আবার নতুন করে এই ব্যাপারটা ভেবে দেখা দরকার। প্রকৃত মেধাবী ছেলে মেয়েরা বিদেশে পাড়ি জমায় উচ্চ বিদ্যা লাভের জন্য। এই মেধা যদি দেশে থাকতো, তাহলে দেশের চেহারাই বদলে যেত। দেশ ছাড়তে কোটা পদ্ধতি তাদের বাধ্য করে না তো?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Md. Rayhan Kazi ২৩/০৬/২০২২বেশ মনোমুগ্ধকর
-
মোঃ আমিনুল ইসলাম মিঠু ০৫/০৩/২০২২বেশ সুন্দর।
-
এস. কে. সুবল চন্দ্র মামাহাত্ম্য ০৪/০৩/২০২২সত্যিই আপনি একদম খাঁটি কথা বলেছেন।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৬/০২/২০২২সত্যই ভেবে দেখার সময় এসেছে !
-
শুভজিৎ বিশ্বাস ১৭/০২/২০২২বেশ সুন্দর
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ১৭/০২/২০২২নানান পদ্ধতি চলমান থাকবেই যুগ যুগ ধরে।