অধিকার বন্টন ও চরিত্র
জন্মে শিশুরা কাঁদে কেন? সে সমাজকে জানায় তার অধিকার। যে জন্মালো, পৃথিবীর আলো দেখলো, জীবন যাপনের প্রতি হক তার। সময়কে সেই কথা সে জানায়। কিন্তু নিয়তি বড়োই নিষ্ঠুর। মানুষের সমান অধিকারকে সে কখনওই স্বীকৃতি দেয় না। এ ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে যে মানুষের নিয়তি মানুষেরই হাতে, ভগবানের হাতে নয়। মানুষই ভগবান সৃষ্টি করেছে, কোনও ভগবান মানুষ সৃষ্টি করে নি। প্রকৃতিই ধারক, বাহক ও মারক। তাই মানুষ ভগবানের নির্দেশে চলে না, ভগবানের মহিমা প্রচার হয় মানুষেরই নির্দেশে। অসহায় মানুষকে ইহকাল পরকালের ভয় দেখিয়ে সভ্যতার চাকার তলায় পিষে মারা হয়। কর্মফলের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস মানুষের শ্বাস বন্ধ করে দেয়। বঞ্চিত মানুষ বাঁচার ছাড়পত্র পায় না। জন্ম একটাই- এ জন্মের ফল এ জন্মেই ভোগ করতে হয়।
অধিকার সকল মানুষের এক। একথা মানুষ স্বীকার করতে চায় না। কেউ অন্ধ বিশ্বাসের কারণে সূর্যের আলো দেখতে পায় না, কেউ আবার লোভের কারণে দিন রাতকে সমান ভাবে। লোভ সব থেকে বড় অসুখ। এ অসুখ কোনও ডাক্তার সারাতে পারে না। মহাকালও না। প্রকৃতির যা ঐশ্বর্য তাতে সকল মানুষের সমান অধিকার। কারো সেটা একার সম্পত্তি নয়। যে ধন ভোগ করে, সে ধন উৎপাদনকারীকে বঞ্চিত করে। ধনী গরীবের ব্যবধান বেড়ে যেতেই থাকে। হয়রানি বাড়ে গরীবের, সুযোগ হারায় মধ্যবিত্ত আর বড়লোক আগামী চার পুরুষের জন্য সঞ্চয় করে।
আবার এমনও নীতি আছে যেখানে বলা হয়েছে যে এই ধন উৎপাদনকারীরাই হাল ধরবে সরকারের। সরকার হবে তাদের। শাসন করবে তারা। এই ধন উৎপাদনকারী কারা? কৃষক ও মজুর এদের মুখপাত্র। এছাড়াও আছে জেলে, মুটে, গাড়ির চালক ও ঝাড়ুদার। এসব মানুষ যদি সরকার চালায়, তাহলে লেখাপড়া ভেসে যাবে গঙ্গার জলে, করোনায় মৃতের মতো। যারা শিক্ষিত মানুষজন- বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, লেখক ইত্যাদি- তারা যদি এই অশিক্ষিতদের দ্বারা শাসিত হয়, তাহলে সমাজ দশ টুকরো হয়ে যাবে।
যারা ট্যাক্স দেয়, তারা কীভাবে শোষক হবে? মানুষ কর ফাঁকি দিলে, জেল হয়। কিন্তু সেই টাকা পুরোপুরি ঘুরে আসে না পাবলিকের হাতে। ওপর তলা থেকে নীচ তলায় আসার পথে এ হাত ও হাত হয়ে ঘুরতে ঘুরতে হাতের তালুতেই হারিয়ে যায়। এ রোগও সারবার নয়। বহু লোক তর্ক করে, সবার সমান বেতন হলে, এই রোগ সেরে যাবে। সবার অধিকার এক, তাই সবার বেতন এক হওয়া উচিত। আমি বলি অতি বুদ্ধিমান মূর্খই হয়। শ্রমের সরকার গড়তে গিয়ে, তারা বুদ্ধিকে ধ্বংস করে দেয়। মনে রাখবেন মানসিক পরিশ্রমই সমাজকে ধরে রাখে। শারীরিক পরিশ্রমেরও বিশেষ প্রয়োজন আছে, তবে মানসিক পরিশ্রম ছাড়া সে পঙ্গু। সাধারণ মানুষ শারীরিক পরিশ্রমকেই চোখে দেখতে পায়, কারণ তাতে ঘাম হয়। মানসিক পরিশ্রম চোখে দেখা যায় না। ঘাম না হলেও এতে কষ্ট বেশী। বুদ্ধি না থাকলে কখনওই সমাজের বিকাশ ঘটে না। সাম্যবাদ ফ্যাসিবাদেরই অনুরূপ। গণতন্ত্র অমর, প্রজাতন্ত্র অজেয়। শুধু প্রত্যেক প্রজাকে আগে একজন ভালো নাগরিক হতে হবে।
কেউ অভাবে চুরি করে, কেউ স্বভাবে। অভাবে চুরি করাটা অপরাধ নয়। স্বভাবে যারা চোর, তাদেরকেই ধরতে হবে। মানুষ গড়ার কাজ সব ইস্কুলেই হয়, কিন্তু মনের মতো ঠাকুর গড়া যায়; সৎ মানুষ গড়া খুব মুশকিল। যার রক্ষা করা ধর্ম, সে যদি শোষক হয়ে ওঠে তাহলে পথ কোথায়! সরকার হাজার বদলালেও মানব চরিত্র কখনও বদলায় না। শিক্ষিত লোকের সরকার সামনে থেকে মারে কিন্তু অশিক্ষিত লোকের সরকার পিছন থেকে মারে ! মানুষের ক্ষমতায় যেমন সরকার বদলায়, তেমন মানুষের চরিত্রও বদলাক।
অধিকার বাচঁলে মানুষও বাঁচবে। চরিত্র বাঁচলে অধিকারও বাঁচবে। মান বাঁচলে চরিত্রও বাঁচবে। হুঁশ বাঁচলে মানও বাঁচবে...
অধিকার সকল মানুষের এক। একথা মানুষ স্বীকার করতে চায় না। কেউ অন্ধ বিশ্বাসের কারণে সূর্যের আলো দেখতে পায় না, কেউ আবার লোভের কারণে দিন রাতকে সমান ভাবে। লোভ সব থেকে বড় অসুখ। এ অসুখ কোনও ডাক্তার সারাতে পারে না। মহাকালও না। প্রকৃতির যা ঐশ্বর্য তাতে সকল মানুষের সমান অধিকার। কারো সেটা একার সম্পত্তি নয়। যে ধন ভোগ করে, সে ধন উৎপাদনকারীকে বঞ্চিত করে। ধনী গরীবের ব্যবধান বেড়ে যেতেই থাকে। হয়রানি বাড়ে গরীবের, সুযোগ হারায় মধ্যবিত্ত আর বড়লোক আগামী চার পুরুষের জন্য সঞ্চয় করে।
আবার এমনও নীতি আছে যেখানে বলা হয়েছে যে এই ধন উৎপাদনকারীরাই হাল ধরবে সরকারের। সরকার হবে তাদের। শাসন করবে তারা। এই ধন উৎপাদনকারী কারা? কৃষক ও মজুর এদের মুখপাত্র। এছাড়াও আছে জেলে, মুটে, গাড়ির চালক ও ঝাড়ুদার। এসব মানুষ যদি সরকার চালায়, তাহলে লেখাপড়া ভেসে যাবে গঙ্গার জলে, করোনায় মৃতের মতো। যারা শিক্ষিত মানুষজন- বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, লেখক ইত্যাদি- তারা যদি এই অশিক্ষিতদের দ্বারা শাসিত হয়, তাহলে সমাজ দশ টুকরো হয়ে যাবে।
যারা ট্যাক্স দেয়, তারা কীভাবে শোষক হবে? মানুষ কর ফাঁকি দিলে, জেল হয়। কিন্তু সেই টাকা পুরোপুরি ঘুরে আসে না পাবলিকের হাতে। ওপর তলা থেকে নীচ তলায় আসার পথে এ হাত ও হাত হয়ে ঘুরতে ঘুরতে হাতের তালুতেই হারিয়ে যায়। এ রোগও সারবার নয়। বহু লোক তর্ক করে, সবার সমান বেতন হলে, এই রোগ সেরে যাবে। সবার অধিকার এক, তাই সবার বেতন এক হওয়া উচিত। আমি বলি অতি বুদ্ধিমান মূর্খই হয়। শ্রমের সরকার গড়তে গিয়ে, তারা বুদ্ধিকে ধ্বংস করে দেয়। মনে রাখবেন মানসিক পরিশ্রমই সমাজকে ধরে রাখে। শারীরিক পরিশ্রমেরও বিশেষ প্রয়োজন আছে, তবে মানসিক পরিশ্রম ছাড়া সে পঙ্গু। সাধারণ মানুষ শারীরিক পরিশ্রমকেই চোখে দেখতে পায়, কারণ তাতে ঘাম হয়। মানসিক পরিশ্রম চোখে দেখা যায় না। ঘাম না হলেও এতে কষ্ট বেশী। বুদ্ধি না থাকলে কখনওই সমাজের বিকাশ ঘটে না। সাম্যবাদ ফ্যাসিবাদেরই অনুরূপ। গণতন্ত্র অমর, প্রজাতন্ত্র অজেয়। শুধু প্রত্যেক প্রজাকে আগে একজন ভালো নাগরিক হতে হবে।
কেউ অভাবে চুরি করে, কেউ স্বভাবে। অভাবে চুরি করাটা অপরাধ নয়। স্বভাবে যারা চোর, তাদেরকেই ধরতে হবে। মানুষ গড়ার কাজ সব ইস্কুলেই হয়, কিন্তু মনের মতো ঠাকুর গড়া যায়; সৎ মানুষ গড়া খুব মুশকিল। যার রক্ষা করা ধর্ম, সে যদি শোষক হয়ে ওঠে তাহলে পথ কোথায়! সরকার হাজার বদলালেও মানব চরিত্র কখনও বদলায় না। শিক্ষিত লোকের সরকার সামনে থেকে মারে কিন্তু অশিক্ষিত লোকের সরকার পিছন থেকে মারে ! মানুষের ক্ষমতায় যেমন সরকার বদলায়, তেমন মানুষের চরিত্রও বদলাক।
অধিকার বাচঁলে মানুষও বাঁচবে। চরিত্র বাঁচলে অধিকারও বাঁচবে। মান বাঁচলে চরিত্রও বাঁচবে। হুঁশ বাঁচলে মানও বাঁচবে...
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মিঠুন দত্ত (বাবু) ২৩/০৫/২০২১অনবদ্য
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২৩/০৫/২০২১আদত কথা বলেছেন।
-
ফয়জুল মহী ২৩/০৫/২০২১অনিন্দ্যরূপ লেখা