বিশেষ খবর
অন্তিম কাল এসে উপস্থিত। মৃত্যু দরজায় কড়া নাড়লো বলে। দরজা খুলতে না চাইলেও, সে দরজা ভেঙে ঢুকবে ! সে কে ? করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। মড়ক লাগলো বলে।
নতুন সাজে সেজেছে করোনা। সংক্রমণ করার ক্ষমতা বেড়েছে আগের থেকে বহুগুণ। ভ্যাকসিন দিলে যেখানে ফাল ছেদ করতো, সেখানে সুই ছেদ করবে। ভ্যাকসিন নিঃসন্দেহে মৃত্যুর হার কমাবে। তাই ভ্যাকসিন নিয়ে রাখা ভালো। এ ছাড়া আর কোনও উপায়ও নেই। দেহে তৈরী থাকা এন্টিবডি নতুন অতিথিকে চিনতে পারলেই হল! ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে জিংক ট্যাবলেট ও মাল্টি-ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে। নাক দিয়ে গরম বাষ্প টানা উচিত। করোনার বিরুদ্ধে যতটা সম্ভব সেনা মজুত করতে হবে নিজের দেহে, যুদ্ধের সময় সীমান্তে যে ভাবে করা হয়। মানুষের থেকেও চালাক করোনা। বেপরোয়া মানুষ নিজেকে বাঁচাতে না জানলেও, দুর্দান্ত করোনা মানব দেহে নিজের বাঁচার অধিকার ঠিক খুঁজে নিয়েছে।
এখন সম্প্রদায় সংক্রমণ-এর মুখে দাঁড়িয়ে ভারত। ভাইরাসটা গোটা মানব সম্প্রদায়ের ভিতর ছড়িয়ে পড়বে মানুষের অজান্তে। কোনও রোগীর সংস্পর্শে না এলে বা কোথাও বেড়াতে না গেলে করোনা হবে কেন ! মানুষের মনে বিরাট প্রশ্ন। কিন্তু কোথা থেকে সংক্রমণ আসছে, তার উত্তর মহাকালেরও জানা নেই ! মানুষের মুখে মুখোশ নেই। হাটে বাজারে, বাসে ট্রামে, মুদির দোকানে...কারো মুখে মুখোশ নেই। মুখোশ থাকলেও তা নাকের নীচে নামানো অথবা কানের পাশ দিয়ে ঝুলছে। আপনি শত বলেও তাদের বোঝাতে পারবেন না। এটা একটা বিরাট কারণ। যেমন ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে, তেমনই নেমে আসে রাতের অন্ধকার। করোনা সেই ভাবেই ছড়াবে। সংক্রমণের কারণ মানুষ নিজেই জানতে পারবে না...। মাইল্ড সিম্পটোমাটিক (সংক্রমিত ব্যক্তির সামান্য লক্ষণ) অথবা আসিম্পটোমাটিক-দের (সংক্রমিত ব্যক্তির কোনও লক্ষণ নেই) নিয়ে বিশেষ সমস্যা। দেহে ভাইরাস থাকা সত্ত্বেও তেমন জ্বর জ্বালা নেই। দিব্যি তারা পথে ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মুখোশ পরার কোনও বালাই নেই। লোকে মেরে মরে; কিন্তু এরা নিজেরা মরবে না, অথচ সকলকে মারবে।
কাগজে পড়লাম- দিনে সংক্রমণ হবে ছ লক্ষ, আর মরবে এক লক্ষ। ভারতে জনবসতি বেশি, তাই মৃত্যুর হারও বেশি হবে। মানুষকে তিন দিন ঘরের বাইরে পা রাখতে মানা করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ ভালো কথা শোনে না- সে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনে। যারা বিধি নিয়ম মানছে, তারাও বিপদে পড়তে বাধ্য কারণ আশেপাশের সকলে যদি সংক্রমিত হয়, তাহলে আমি আপনি আলাদা থাকলেও নিজেদের বাঁচাতে পারবো কী! ঘরে বন্দি থাকলেও কিছু কাজতো করতেই হবে- যেমন চাল ডাল তেল নুন মজুত রাখা, ওষুধ কেনা, ময়লার গাড়িতে ময়লা ফেলা ইত্যাদি। আর সেসব করতে গিয়ে মানুষের সামনে আসতেই হবে (অবশ্য দূরত্ব বজায় রেখে ও মুখোশ পরে) । কাজের মাসিকে তিন দিন না হয় কাজে আসতে মানা করতে পারি কিন্তু তার বেশি দিন কীভাবে মানা করবো ! সেও যদি করোনায় আক্রান্ত হয়, তখন কী করবো ! মনে রাখবেন সব সময় মুখোশ পরবেন আর স্যানিটিইজার কাছে রাখবেন। প্রয়োজনে ফেস সিল্ড ও হ্যান্ড ওয়াশ সাথে রাখা ভালো।
আগামী বাহাত্তর ঘন্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনও গ্রহনক্ষত্রের হাতে নয়, আমাদের হাতেই লেখা আছে আমাদের জীবন মরণ। তাই করোনা থেকে বাঁচতে এই তিন দিন ঘরে থাকুন। যতটা সম্ভব বাইরের মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। নিজে বাঁচুন ও অপরকে বাঁচতে দিন।
নতুন সাজে সেজেছে করোনা। সংক্রমণ করার ক্ষমতা বেড়েছে আগের থেকে বহুগুণ। ভ্যাকসিন দিলে যেখানে ফাল ছেদ করতো, সেখানে সুই ছেদ করবে। ভ্যাকসিন নিঃসন্দেহে মৃত্যুর হার কমাবে। তাই ভ্যাকসিন নিয়ে রাখা ভালো। এ ছাড়া আর কোনও উপায়ও নেই। দেহে তৈরী থাকা এন্টিবডি নতুন অতিথিকে চিনতে পারলেই হল! ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে জিংক ট্যাবলেট ও মাল্টি-ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে। নাক দিয়ে গরম বাষ্প টানা উচিত। করোনার বিরুদ্ধে যতটা সম্ভব সেনা মজুত করতে হবে নিজের দেহে, যুদ্ধের সময় সীমান্তে যে ভাবে করা হয়। মানুষের থেকেও চালাক করোনা। বেপরোয়া মানুষ নিজেকে বাঁচাতে না জানলেও, দুর্দান্ত করোনা মানব দেহে নিজের বাঁচার অধিকার ঠিক খুঁজে নিয়েছে।
এখন সম্প্রদায় সংক্রমণ-এর মুখে দাঁড়িয়ে ভারত। ভাইরাসটা গোটা মানব সম্প্রদায়ের ভিতর ছড়িয়ে পড়বে মানুষের অজান্তে। কোনও রোগীর সংস্পর্শে না এলে বা কোথাও বেড়াতে না গেলে করোনা হবে কেন ! মানুষের মনে বিরাট প্রশ্ন। কিন্তু কোথা থেকে সংক্রমণ আসছে, তার উত্তর মহাকালেরও জানা নেই ! মানুষের মুখে মুখোশ নেই। হাটে বাজারে, বাসে ট্রামে, মুদির দোকানে...কারো মুখে মুখোশ নেই। মুখোশ থাকলেও তা নাকের নীচে নামানো অথবা কানের পাশ দিয়ে ঝুলছে। আপনি শত বলেও তাদের বোঝাতে পারবেন না। এটা একটা বিরাট কারণ। যেমন ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে, তেমনই নেমে আসে রাতের অন্ধকার। করোনা সেই ভাবেই ছড়াবে। সংক্রমণের কারণ মানুষ নিজেই জানতে পারবে না...। মাইল্ড সিম্পটোমাটিক (সংক্রমিত ব্যক্তির সামান্য লক্ষণ) অথবা আসিম্পটোমাটিক-দের (সংক্রমিত ব্যক্তির কোনও লক্ষণ নেই) নিয়ে বিশেষ সমস্যা। দেহে ভাইরাস থাকা সত্ত্বেও তেমন জ্বর জ্বালা নেই। দিব্যি তারা পথে ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মুখোশ পরার কোনও বালাই নেই। লোকে মেরে মরে; কিন্তু এরা নিজেরা মরবে না, অথচ সকলকে মারবে।
কাগজে পড়লাম- দিনে সংক্রমণ হবে ছ লক্ষ, আর মরবে এক লক্ষ। ভারতে জনবসতি বেশি, তাই মৃত্যুর হারও বেশি হবে। মানুষকে তিন দিন ঘরের বাইরে পা রাখতে মানা করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ ভালো কথা শোনে না- সে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনে। যারা বিধি নিয়ম মানছে, তারাও বিপদে পড়তে বাধ্য কারণ আশেপাশের সকলে যদি সংক্রমিত হয়, তাহলে আমি আপনি আলাদা থাকলেও নিজেদের বাঁচাতে পারবো কী! ঘরে বন্দি থাকলেও কিছু কাজতো করতেই হবে- যেমন চাল ডাল তেল নুন মজুত রাখা, ওষুধ কেনা, ময়লার গাড়িতে ময়লা ফেলা ইত্যাদি। আর সেসব করতে গিয়ে মানুষের সামনে আসতেই হবে (অবশ্য দূরত্ব বজায় রেখে ও মুখোশ পরে) । কাজের মাসিকে তিন দিন না হয় কাজে আসতে মানা করতে পারি কিন্তু তার বেশি দিন কীভাবে মানা করবো ! সেও যদি করোনায় আক্রান্ত হয়, তখন কী করবো ! মনে রাখবেন সব সময় মুখোশ পরবেন আর স্যানিটিইজার কাছে রাখবেন। প্রয়োজনে ফেস সিল্ড ও হ্যান্ড ওয়াশ সাথে রাখা ভালো।
আগামী বাহাত্তর ঘন্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনও গ্রহনক্ষত্রের হাতে নয়, আমাদের হাতেই লেখা আছে আমাদের জীবন মরণ। তাই করোনা থেকে বাঁচতে এই তিন দিন ঘরে থাকুন। যতটা সম্ভব বাইরের মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। নিজে বাঁচুন ও অপরকে বাঁচতে দিন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কে এন এন লিংকু ২৮/০৪/২০২২B
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৭/০২/২০২২সচেতনতা মূলক সুন্দর লেখা
-
সেলিম রেজা সাগর ১০/০১/২০২২বেশ ভাল
-
মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুম ০৭/০৯/২০২১অসাধারণ লিখেছেন
-
সুব্রত ব্রহ্ম ১২/০৮/২০২১ভালো লাগল।
-
জামাল উদ্দিন জীবন ০৮/০৮/২০২১সকলকে নিজের ভােলোটা বুঝতে হবে।
-
নাসরীন আক্তার রুবি ০১/০৮/২০২১সচেতনতা ছাড়া উপায় নেই।
-
জসিম বিন ইদ্রিস ১২/০৫/২০২১আসুন সচেতন হই
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ২০/০৪/২০২১তবু মানুষের হুশ নেই
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৯/০৪/২০২১মানুষ বড়ই বেহুঁশ!
-
মাহতাব বাঙ্গালী ১৯/০৪/২০২১Birth is true
Death is true
None can avoid this true
True is an absolute path of life -
ফয়জুল মহী ১৮/০৪/২০২১Right. Best wishes
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৮/০৪/২০২১হায়রে করোনা
স্বাস্থ্যবিধি ছাড়া যাবে না।