আবার যদি সে ফিরে আসে
এখন ভোট সামনে, তাই খবরের কাগজের পাতায় পাতায় শুধু ভোটের গরম গরম খবর। করোনার খবর এখন উধাও। হয়তো সকলে ভাবছে যে করোনা সংক্রমণ এখন একেবারেই কমে গেছে। সেই কারণেই কাগজে করোনার কোনও খবর নেই।
ভ্যাকসিন দেওয়া চালু হয়ে গেছে। কিন্তু সেটা এখন আম জনতার আওতার বাইরে। প্রথমে পাবে ডাক্তার ও নার্স। তারপর অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ। তারপর শিক্ষিকা ও অধ্যাপক। তারপর পঞ্চাশের ঊর্ধ্বে যারা আছেন তাদের। সবশেষে আমরা। আমরা বলতে যুবক ও যুবতী- আমাদের রোগ প্রতিষেধক ক্ষমতা অনেক অনেক বেশি। আমাদের করোনা হলে আশাকরি বেঁচে যাবো।
আমি এই দেশের হবু বিজ্ঞানী। আমেরিকা থেকে পোস্ট ডক্টরেট করে এসেছি। আমি যুবক- ভ্যাকসিন পাবো সবার শেষে। ঘরামী সকলের ঘর সারাই করে কিন্তু তার নিজের ঘরেই ফাটল। এই ব্যাপার নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই।
অভিযোগ অন্য জিনিস নিয়ে। এই একশো কোটি মানুষেকে ভ্যাকসিন দিতে লেগে যাবে অন্তত দু থেকে তিন বছর। যতদিন না সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, ততদিন আমারা কেউ সুরক্ষিত নই। সংক্রমণ কখনও রাতারাতি উধাও হয়ে যেতে পারে না। করোনা ভাইরাস শরীরে আছে কী নেই, তার জন্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে করা হচ্ছে না, তাই সংক্রমিতর সংখ্যা এত কম। মানুষও আর করোনাকে ভয় পাচ্ছে না। বহু মানুষ মুখোশ পরার প্রয়োজনই মনে করছে না। বিপদের সময় যে মানুষ স্বভাবতই দূরত্ব বাঁচিয়ে রাখতে চায়, সেই মানুষই এখন ওপর মানুষের ঘাড়ের ওপর উঠে গল্প করতে ব্যস্ত। অর্থৎ মানুষের সচেতনতা এখন একেবারে নেই বললেই চলে। এর জন্য খবরের কাগজ দায়ী। মানুষ খবর যে ভাবে গেলে, খাবারও তেমন ভাবে চিবিয়ে খায় না। এখন মানুষ ভোটের খবর গিলতেই ব্যস্ত। করোনার কথা সে প্রায় ভুলেই গেছে !
যদি সত্যি সত্যিই সংক্রমণ কমে যায়, তাহলে মঙ্গল। কিন্তু সংগক্রমণ যদি আবার ফিরে আসে, তাহলে আগামী দিনে বহু মানুষ আর ভোট দিতে পারবে না। বহু মানুষ ভোটে জেতার ক্ষমতাও হারাবে।
ভ্যাকসিন দেওয়া চালু হয়ে গেছে। কিন্তু সেটা এখন আম জনতার আওতার বাইরে। প্রথমে পাবে ডাক্তার ও নার্স। তারপর অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ। তারপর শিক্ষিকা ও অধ্যাপক। তারপর পঞ্চাশের ঊর্ধ্বে যারা আছেন তাদের। সবশেষে আমরা। আমরা বলতে যুবক ও যুবতী- আমাদের রোগ প্রতিষেধক ক্ষমতা অনেক অনেক বেশি। আমাদের করোনা হলে আশাকরি বেঁচে যাবো।
আমি এই দেশের হবু বিজ্ঞানী। আমেরিকা থেকে পোস্ট ডক্টরেট করে এসেছি। আমি যুবক- ভ্যাকসিন পাবো সবার শেষে। ঘরামী সকলের ঘর সারাই করে কিন্তু তার নিজের ঘরেই ফাটল। এই ব্যাপার নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই।
অভিযোগ অন্য জিনিস নিয়ে। এই একশো কোটি মানুষেকে ভ্যাকসিন দিতে লেগে যাবে অন্তত দু থেকে তিন বছর। যতদিন না সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, ততদিন আমারা কেউ সুরক্ষিত নই। সংক্রমণ কখনও রাতারাতি উধাও হয়ে যেতে পারে না। করোনা ভাইরাস শরীরে আছে কী নেই, তার জন্য পরীক্ষা সঠিক ভাবে করা হচ্ছে না, তাই সংক্রমিতর সংখ্যা এত কম। মানুষও আর করোনাকে ভয় পাচ্ছে না। বহু মানুষ মুখোশ পরার প্রয়োজনই মনে করছে না। বিপদের সময় যে মানুষ স্বভাবতই দূরত্ব বাঁচিয়ে রাখতে চায়, সেই মানুষই এখন ওপর মানুষের ঘাড়ের ওপর উঠে গল্প করতে ব্যস্ত। অর্থৎ মানুষের সচেতনতা এখন একেবারে নেই বললেই চলে। এর জন্য খবরের কাগজ দায়ী। মানুষ খবর যে ভাবে গেলে, খাবারও তেমন ভাবে চিবিয়ে খায় না। এখন মানুষ ভোটের খবর গিলতেই ব্যস্ত। করোনার কথা সে প্রায় ভুলেই গেছে !
যদি সত্যি সত্যিই সংক্রমণ কমে যায়, তাহলে মঙ্গল। কিন্তু সংগক্রমণ যদি আবার ফিরে আসে, তাহলে আগামী দিনে বহু মানুষ আর ভোট দিতে পারবে না। বহু মানুষ ভোটে জেতার ক্ষমতাও হারাবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দীপঙ্কর বেরা ১৩/০২/২০২১বেশ। বেশ।
-
Biswanath Banerjee ০৮/০২/২০২১nice
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ০৮/০২/২০২১বেশ
-
এম. মাহবুব মুকুল ০৭/০২/২০২১দারুণ!
-
ফয়জুল মহী ০৬/০২/২০২১Right