কোথায় শুরু কোথায় শেষ
বাজারে ভ্যাকসিন এসে গেছে। মানুষের অপেক্ষার দিন শেষ হল বলে। মানুষের বন্দিদশা ঘুঁচবে। রাস্তা ঘাটে মানুষ প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে পারবে। মানুষে মানুষে দূরত্ব কমবে। কিন্তু সুখের দিন এসেও এল কই ! করোনা রং বদলে ফেলেছে রাতারাতি। সেও হার মানতে নারাজ। গোটা মানব জাতি তার বিরুদ্ধে লড়ছে আর তার লড়াইটাও গোটা মানব জাতির সাথে। যাকে খালি চোখে দেখা যায় না, তার এত দাপট। ভাবলে অবাক লাগে। লম্বা চওড়া মানুষেরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। তার সম্পর্কে কোনও কিছুই জানা যায় নি।
কিছু প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে-
১) সে কী আরো ভয়ঙ্কর না একদম শান্ত ?
২) ইউনাইটেড কিংডম তার জন্মস্থান। গত ডিসেম্বরে শুভ লগ্নে তার জন্ম হয়েছে। ইংরেজ ভূমি গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। এতে রোগ ছড়াবে না- এ কথা সত্য কিন্তু যদি আবার অন্য কোনও দেশে তার জন্ম হয় ! কত দেশের সাথে আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করবো ?
৩) ভারতেও তার জন্ম হতে পারে। ভারত থেকে ভারত কীভাবে বিচ্ছন্ন হবে ?
৪) আবার কী মানুষ একঘরে হতে চলেছে ?
৫) ভ্যাকসিন নিলে কী নতুন অথিতির সাথে মোকাবিলা করা যাবে ?
৬) আবার কী লোকডাউন চালু হবে ?
৭) অথনীতি ঘুরে দাঁড়াবার আগেই কী আবার ধাক্কা খাবে ?
৮) মানুষের হাতে এখন নগদ টাকা থাকার খুব প্রয়োজন। চাকরির বাজার খুব খারাপ। যাদের দিন আনা দিন খাওয়া, তাদের জ্বালার কোনও শেষ নেই। গরীবের ঠাঁই নেই। মধ্যবিত্ত পিছল রাস্তা দিয়ে চলেছে- যে কোনও মুহূর্তে পড়ে যাওয়ার ভয়। বড় লোকের ব্যাপারটা আমি সঠিক ভাবে জানি না। প্রশ্ন হচ্ছে এখন মানুষ হাতে টাকা পাবে কোথা থেকে ?
৯) পৃথিবী কবে স্বাভাবিক হবে ?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার কাছে নেই। আপনার কাছে আছে কী ! ভোগান্তির কোনও শেষ নেই- একটা থেকে বাঁচি তো আরেকটা চেপে বসে। তবে মানুষ ভয়কে জয় করতে সক্ষম হয়েছে- জীবনের পরোয়া সে করে না, সে জীবিকার পরোয়া করে। জীবিকা না থাকলে জীবন থাকবে কীভাবে ! শত বিপদে পড়লেও সে ঘর থেকে বেরোবেই আর রোগও ছড়াবে। সকলের কাছে আমার আবেদন: অন্তত মুখোশটা পড়ুন। মনের দূরত্ব নয়, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজে বাঁচুন, অপরকেও বাঁচতে দিন।
কিছু প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে-
১) সে কী আরো ভয়ঙ্কর না একদম শান্ত ?
২) ইউনাইটেড কিংডম তার জন্মস্থান। গত ডিসেম্বরে শুভ লগ্নে তার জন্ম হয়েছে। ইংরেজ ভূমি গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। এতে রোগ ছড়াবে না- এ কথা সত্য কিন্তু যদি আবার অন্য কোনও দেশে তার জন্ম হয় ! কত দেশের সাথে আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করবো ?
৩) ভারতেও তার জন্ম হতে পারে। ভারত থেকে ভারত কীভাবে বিচ্ছন্ন হবে ?
৪) আবার কী মানুষ একঘরে হতে চলেছে ?
৫) ভ্যাকসিন নিলে কী নতুন অথিতির সাথে মোকাবিলা করা যাবে ?
৬) আবার কী লোকডাউন চালু হবে ?
৭) অথনীতি ঘুরে দাঁড়াবার আগেই কী আবার ধাক্কা খাবে ?
৮) মানুষের হাতে এখন নগদ টাকা থাকার খুব প্রয়োজন। চাকরির বাজার খুব খারাপ। যাদের দিন আনা দিন খাওয়া, তাদের জ্বালার কোনও শেষ নেই। গরীবের ঠাঁই নেই। মধ্যবিত্ত পিছল রাস্তা দিয়ে চলেছে- যে কোনও মুহূর্তে পড়ে যাওয়ার ভয়। বড় লোকের ব্যাপারটা আমি সঠিক ভাবে জানি না। প্রশ্ন হচ্ছে এখন মানুষ হাতে টাকা পাবে কোথা থেকে ?
৯) পৃথিবী কবে স্বাভাবিক হবে ?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার কাছে নেই। আপনার কাছে আছে কী ! ভোগান্তির কোনও শেষ নেই- একটা থেকে বাঁচি তো আরেকটা চেপে বসে। তবে মানুষ ভয়কে জয় করতে সক্ষম হয়েছে- জীবনের পরোয়া সে করে না, সে জীবিকার পরোয়া করে। জীবিকা না থাকলে জীবন থাকবে কীভাবে ! শত বিপদে পড়লেও সে ঘর থেকে বেরোবেই আর রোগও ছড়াবে। সকলের কাছে আমার আবেদন: অন্তত মুখোশটা পড়ুন। মনের দূরত্ব নয়, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজে বাঁচুন, অপরকেও বাঁচতে দিন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পি পি আলী আকবর ১১/০১/২০২১খুবই সুন্দর
-
ফয়জুল মহী ০৯/০১/২০২১খুবই সুন্দর প্রকাশ।