এবারের পুজো
পুজো হচ্ছেই, কেউ তা আটকাতে পারবে না। উত্সব এমনই জিনিস। মৃত্যুকে অতিক্রম করে সে এগিয়ে চলে নিজের আনন্দে। খুশির জোয়ার এমনই যে ধ্বংসের সকল কালিমাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলার পথ সে নিজেই তৈরী করে নেয়। এ যে সে পুজো নয়, বাঙালির সেরা উৎসব। দূর্গা পুজো বলে কথা।
মানুষের ভয়টা এখন অনেকটা কম। করোনা ব্যাপারটা একেবারে গায়ে সয়ে গেছে। বাড়ির বাইরে পা রাখতে কেউ এখন ভীত নয়। বরঞ্চ বাড়ির ভিতরে বন্দি থাকার ভয় মানুষকে গিলে খাচ্ছে দিনরাত। মানুষ আর চার দেওয়ালের ভিতর আটক থাকতে চায় না। উৎসবের জোয়ারে গা ভাসিয়ে চরম তৃপ্তি অনুভব করতে চায়। কিন্তু আনন্দ করতে হয় সংযম বজায় রেখে। এ বছর আনন্দ করতে গিয়ে আগামী বছরগুলোর আনন্দ যেন ম্লান না হয়ে যায়। নিয়ম মেনে আনন্দ করতে হবে। আর অসুবিধে এখানেই। ভিড়ের মধ্যে কীভাবে নিয়ম মানবে মানুষ ! করোনা ভিড়কেই ভালোবাসে। ফাঁকায় ফাঁকায় ঠাকুর দেখতে গিয়ে মানুষ ভিড়ের মধ্যেই গা ভাসাবে। আর রক্ষা থাকবে না। সংক্রমণের হার বাঁদরের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে গাছের মগডালে গিয়ে উঠে বসবে। তখন প্যান্ডেলের বদলে হাসপাতালে ভিড় বাড়বে। প্রতিমার বদলে মানুষ ডাক্তারের দর্শন পেতে চাইবে। তখন কীভাবে যে রোগীর সামাল দেওয়া হবে তা বোধহয় মা দুর্গাও জানেন না। পুজোর পরে আবার না লকডাউন চালু করতে হয়। তাহলে হাল আরো খারাপ হবে। কোথাকার জল যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা কেউ বলতেই পারবে না। উৎসবের অর্থ মিলন। কিন্তু এই অবস্থায় স্বার্থপর হওয়ার উচিত। কারো সাথে অন্তরঙ্গ ভাবে মেলামেশা করা উচিত নয়, নিজের পরিবারের লোক ছাড়া।
পুজোর আরেকটা দিকও আছে। সেটা হল শিল্প বা ব্যবসা। বহু মানুষের জীবিকা জড়িয়ে আছে এই পুজোর সাথে- যেমন যারা প্রতিমা গড়েন, যারা প্যান্ডেল করেন, যারা আলোকসজ্জা করেন, যারা ঢাক বাজান ইত্যাদি ইত্যাদি। বহু গায়ক এই পুজোর মরসুমে গান গেয়েই সারা বছরের রোজগার তুলে নেন। নিয়ম মেনেই সব কিছুর আয়োজন করা হচ্ছে শুনছি। কিন্তু প্রশাসন কী পারবে নিয়ম মেনে ভিড় আগলাতে ! ভিড় না আগলাতে পারলে মহা বিপদ। তখন শত পুজো করলেও, কোনও ঠাকুরই এসে মানুষকে আর বাঁচাতে পারবে না। সব মানুষই মুখোশ পরা, তাই কেউ মুখোশ রাখতেই চায় না। প্রশাসন বলে বলে হয়রান। শুনছি দর্শনার্থী ছাড়াই পুজো হবে। শুধু সমিতির লোকজনের মণ্ডপে ঢোকার অনুমতি থাকবে। আসর অনুষ্ঠানেও একশো জনের বেশি মানুষকে জায়গা দেওয়া হবে না। খুব ভালো কথা। এছাড়া উপায়ও নেই।
মনে রাখতে হবে একটা পুজোয় আনন্দ করতে গিয়ে, আমরা যেন সারা জীবনের আনন্দ না হারিয়ে ফেলি।
মানুষের ভয়টা এখন অনেকটা কম। করোনা ব্যাপারটা একেবারে গায়ে সয়ে গেছে। বাড়ির বাইরে পা রাখতে কেউ এখন ভীত নয়। বরঞ্চ বাড়ির ভিতরে বন্দি থাকার ভয় মানুষকে গিলে খাচ্ছে দিনরাত। মানুষ আর চার দেওয়ালের ভিতর আটক থাকতে চায় না। উৎসবের জোয়ারে গা ভাসিয়ে চরম তৃপ্তি অনুভব করতে চায়। কিন্তু আনন্দ করতে হয় সংযম বজায় রেখে। এ বছর আনন্দ করতে গিয়ে আগামী বছরগুলোর আনন্দ যেন ম্লান না হয়ে যায়। নিয়ম মেনে আনন্দ করতে হবে। আর অসুবিধে এখানেই। ভিড়ের মধ্যে কীভাবে নিয়ম মানবে মানুষ ! করোনা ভিড়কেই ভালোবাসে। ফাঁকায় ফাঁকায় ঠাকুর দেখতে গিয়ে মানুষ ভিড়ের মধ্যেই গা ভাসাবে। আর রক্ষা থাকবে না। সংক্রমণের হার বাঁদরের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে গাছের মগডালে গিয়ে উঠে বসবে। তখন প্যান্ডেলের বদলে হাসপাতালে ভিড় বাড়বে। প্রতিমার বদলে মানুষ ডাক্তারের দর্শন পেতে চাইবে। তখন কীভাবে যে রোগীর সামাল দেওয়া হবে তা বোধহয় মা দুর্গাও জানেন না। পুজোর পরে আবার না লকডাউন চালু করতে হয়। তাহলে হাল আরো খারাপ হবে। কোথাকার জল যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা কেউ বলতেই পারবে না। উৎসবের অর্থ মিলন। কিন্তু এই অবস্থায় স্বার্থপর হওয়ার উচিত। কারো সাথে অন্তরঙ্গ ভাবে মেলামেশা করা উচিত নয়, নিজের পরিবারের লোক ছাড়া।
পুজোর আরেকটা দিকও আছে। সেটা হল শিল্প বা ব্যবসা। বহু মানুষের জীবিকা জড়িয়ে আছে এই পুজোর সাথে- যেমন যারা প্রতিমা গড়েন, যারা প্যান্ডেল করেন, যারা আলোকসজ্জা করেন, যারা ঢাক বাজান ইত্যাদি ইত্যাদি। বহু গায়ক এই পুজোর মরসুমে গান গেয়েই সারা বছরের রোজগার তুলে নেন। নিয়ম মেনেই সব কিছুর আয়োজন করা হচ্ছে শুনছি। কিন্তু প্রশাসন কী পারবে নিয়ম মেনে ভিড় আগলাতে ! ভিড় না আগলাতে পারলে মহা বিপদ। তখন শত পুজো করলেও, কোনও ঠাকুরই এসে মানুষকে আর বাঁচাতে পারবে না। সব মানুষই মুখোশ পরা, তাই কেউ মুখোশ রাখতেই চায় না। প্রশাসন বলে বলে হয়রান। শুনছি দর্শনার্থী ছাড়াই পুজো হবে। শুধু সমিতির লোকজনের মণ্ডপে ঢোকার অনুমতি থাকবে। আসর অনুষ্ঠানেও একশো জনের বেশি মানুষকে জায়গা দেওয়া হবে না। খুব ভালো কথা। এছাড়া উপায়ও নেই।
মনে রাখতে হবে একটা পুজোয় আনন্দ করতে গিয়ে, আমরা যেন সারা জীবনের আনন্দ না হারিয়ে ফেলি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৯/১০/২০২০এবার অন্য রকম পূজো।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১৯/১০/২০২০বেশ সুন্দর গুছিয়ে বলেছেন। বাস্তবতা প্রকাশ পেয়েছে আপনার লেখায়।