স্তব্ধতা
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে সারা পৃথিবী এক মস্ত মহাশ্মশানে পরিণত হয়েছিল। সেদিন মানুষ ভাবতেই পারেনি যে একদিন সে আবার নতুন করে বাঁচতে শিখবে। মৃত্যু ভয় বড় সাংঘাতিক। জীবনের সকল উজ্জ্বলতাকে সে ম্লান করে দেয়। মৃত্যু ভয় মানুষকে পাগলা কুকুরের মতো তাড়া করে বেড়িয়েছিল সেদিন, তাই মানুষ ভেবেছিল যে জীবনের পরিণতি একটাই- মৃত্যু; জীবনের পরিণতি কখনওই আরেকটা সুন্দর জীবন হতে পারে না। বহু দশক পরে মানুষ আবার নতুন করে ভাবতে শিখলো- জীবনের আসল অর্থ হল মৃত্যুকে জয় করা, এছাড়া অন্য কিছু নয়।
এখনকার পরিস্থিতিও ঠিক তাই। সারা বিশ্বে এখন মহাশ্মশানের স্তব্ধতা। মানুষ ভেবেই উঠতে পারছেনা যে কোন পথটা বাঁচার পথ। পথ খোলা আছে অনেক কিন্তু সেই পথগুলো দিয়ে যাওয়া নিষেধ কারণ যে কোনও সময়ে সংক্রমণ ঘটতে পারে, তাই পা বাড়ালেই পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। জেল ও জরিমানা দুটোই হবে। তার থেকে গৃহবন্দী হয়ে থাকা ভালো। ঘরই এখন জেলখানা। জীবনের দায়ে, জীবিকার দায়ে, মানুষ এখন নিজের জরিমানা নিজেকেই দিচ্ছে।
লকডাউন শেষ হয়েও শেষ হল না। ভ্যাকসিন এসেও আসছে না। আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? গোটা বছরটা? ভাইরাসের জন্য জীবন হারিয়েছে বহু মানুষ। ভইরাসকে জয়ও করেছে বহু মানুষ। প্রশ্ন একটাই- যে মানুষজন ভাইরাসের জন্য জীবিকা হারালো, তারা কী আর জীবিকা খুঁজে পাবে? এ প্রশ্নের উত্তর মনে হয় মহাকালেরও জানা নেই!
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের থেকেও এখন খারাপ অবস্থা। মানুষ এখন নিজের সাথে নিজেই যুদ্ধ করছে। যুদ্ধ করছে নিজের জীবনের সাথে, নিজের জীবিকার সাথে। ভাইরাসটা ধনী গরীব উভয়কেই সমান ভাবে আক্রমণ করছে কিন্তু গরীবের মৃত্যুর হার বেশি। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পয়সা নেই, পুষ্টিকর খাবার জোটে না পয়সার অভাবে...এখন জীবিকাও নেই...! জীবনের অস্তিত্বটাই ম্লান হয়ে গেছে। বড়লোক বেঁচে ফিরে আসছে নার্সিংহোমে থেকে, রোজ রোজ খবর পাচ্ছি। গরীব মানুষ নিজেই খবর হয়ে গেছে! আর মধ্যবিত্ত টানাপোড়েনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে!
স্তব্ধতা তখনই আসে, যখন মানুষ ভয় পায়। জীবন থমকে দাঁড়ায়। ভয়কে জয় না করলে, জীবন কখনওই এগোতে পারে না। মানুষ এখন স্তব্ধ। তার জীবন ও জীবিকা দুটোই স্তব্ধ। মহাশ্মশানের সকল স্তব্ধতা কাটিয়ে, কোকিল কবে কুহু ডাকবে- সেই অপেক্ষায় আছি!
এখনকার পরিস্থিতিও ঠিক তাই। সারা বিশ্বে এখন মহাশ্মশানের স্তব্ধতা। মানুষ ভেবেই উঠতে পারছেনা যে কোন পথটা বাঁচার পথ। পথ খোলা আছে অনেক কিন্তু সেই পথগুলো দিয়ে যাওয়া নিষেধ কারণ যে কোনও সময়ে সংক্রমণ ঘটতে পারে, তাই পা বাড়ালেই পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। জেল ও জরিমানা দুটোই হবে। তার থেকে গৃহবন্দী হয়ে থাকা ভালো। ঘরই এখন জেলখানা। জীবনের দায়ে, জীবিকার দায়ে, মানুষ এখন নিজের জরিমানা নিজেকেই দিচ্ছে।
লকডাউন শেষ হয়েও শেষ হল না। ভ্যাকসিন এসেও আসছে না। আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? গোটা বছরটা? ভাইরাসের জন্য জীবন হারিয়েছে বহু মানুষ। ভইরাসকে জয়ও করেছে বহু মানুষ। প্রশ্ন একটাই- যে মানুষজন ভাইরাসের জন্য জীবিকা হারালো, তারা কী আর জীবিকা খুঁজে পাবে? এ প্রশ্নের উত্তর মনে হয় মহাকালেরও জানা নেই!
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের থেকেও এখন খারাপ অবস্থা। মানুষ এখন নিজের সাথে নিজেই যুদ্ধ করছে। যুদ্ধ করছে নিজের জীবনের সাথে, নিজের জীবিকার সাথে। ভাইরাসটা ধনী গরীব উভয়কেই সমান ভাবে আক্রমণ করছে কিন্তু গরীবের মৃত্যুর হার বেশি। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পয়সা নেই, পুষ্টিকর খাবার জোটে না পয়সার অভাবে...এখন জীবিকাও নেই...! জীবনের অস্তিত্বটাই ম্লান হয়ে গেছে। বড়লোক বেঁচে ফিরে আসছে নার্সিংহোমে থেকে, রোজ রোজ খবর পাচ্ছি। গরীব মানুষ নিজেই খবর হয়ে গেছে! আর মধ্যবিত্ত টানাপোড়েনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে!
স্তব্ধতা তখনই আসে, যখন মানুষ ভয় পায়। জীবন থমকে দাঁড়ায়। ভয়কে জয় না করলে, জীবন কখনওই এগোতে পারে না। মানুষ এখন স্তব্ধ। তার জীবন ও জীবিকা দুটোই স্তব্ধ। মহাশ্মশানের সকল স্তব্ধতা কাটিয়ে, কোকিল কবে কুহু ডাকবে- সেই অপেক্ষায় আছি!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৪/০৮/২০২০খুবই সুন্দর
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৩/০৮/২০২০ভালো লাগলো।
-
ফয়জুল মহী ০৩/০৮/২০২০মনোমুগ্ধকর কথামালায় প্রতিশ্রুতিশীল লেখা