একশো বছর
এরকম অবস্থা একশো বছর পর পর আসে। সারা পৃথিবী এখন এক মহাশ্মশান। মানুষের হৃৎস্পন্দন ঢেকে গেছে কাল পেঁচার কর্কশ কণ্ঠস্বরে।
শুরুটা সকলেরই জানা আছে। চীনের উহান প্রদেশ। কিন্তু এর শেষটা কোথায়, কারও তা জানা নেই। আবার লোকডাউন চালু করা হল। ভাইরাসকে বাগে আনা যাচ্ছে না। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে লোকডাউন তুলে দেওয়া হয়েছিল। বড়কর্তারা ভেবেছিলেন যে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তাকে বাঁচার শক্তি দেবে। কিন্তু তাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে লাগলো। জীবিকার থেকে জীবনের দাম বেশি। জীবনই যদি না থাকে, তাহলে জীবিকা বাঁচবে কীভাবে! যাদের কাজে যেতেই হবে, না গেলে পেটে ভাত জুটবে না; সেই সকল মানুষেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোজ কাজে যাচ্ছেন। তাদের যুক্তি- না খেতে পেয়ে মরার থেকে ভাইরাসের কবলে পড়ে মরা অনেক ভালো।
কষ্ট তাদের, যারা দিন আনে দিন খায়। কষ্ট তাদের, যারা কাজে না যোগ দিলে মাইনেই পাবে না। কষ্ট তাদের, যাদের কোনও ব্যাঙ্ক ব্যালান্স নেই। কষ্ট তাদের, যারা কারও কাছে হাত পাততে পারে না। কষ্ট তাদের, যারা করোও সাহায্য নিতে পারে না, আত্মমর্যাদায় লাগে।
আমি মাত্র তিন মাস বসে ছিলাম। কাজে যোগ দিয়েছি সবে এক মাস হল। এখানে, মিলওয়াকিতে, সংক্রমণের হার খুবই কম। তবুও প্রাণে প্রচন্ড ভয়। বস ডেকেছেন কাজে, না গিয়ে থাকতেই পারবো না। ভয়ে ঘরে বসে থাকলে চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে। মা বাবা আমার ওপর নির্ভরশীল। হাতে প্রাণ নিয়ে তাই কাজে যোগ দিলাম। এখানে ভারতের মতো অত লোকসংখ্যা নেই। তাই সংক্রমণের হার অনেক কম। নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়াতে ঘন বসতি। সেখানে সংক্রমণও বেশি।
ভবিষ্যৎ কারো জানা নেই। শুনছি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা বাজারে ছাড়া হবে। ভালো কথা- মামা না থাকার থেকে, চোখ কানা মামা থাকা শ্রেয়।কতদূর কী হবে, সেটা সময়ই বলবে। আগে এই এক বছরের কথা ভাবি আমরা, একশো বছর এখন অনেক দেরি! আগে এই এক বছর পার করি আমরা। এই এক বছর ভালো ভাবে বেঁচে থাকলে, আগামী একশো বছরে আমাদের নাতিপুতিরা দাপিয়ে বেড়াবে বিশ্ব...
শুরুটা সকলেরই জানা আছে। চীনের উহান প্রদেশ। কিন্তু এর শেষটা কোথায়, কারও তা জানা নেই। আবার লোকডাউন চালু করা হল। ভাইরাসকে বাগে আনা যাচ্ছে না। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে লোকডাউন তুলে দেওয়া হয়েছিল। বড়কর্তারা ভেবেছিলেন যে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তাকে বাঁচার শক্তি দেবে। কিন্তু তাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে লাগলো। জীবিকার থেকে জীবনের দাম বেশি। জীবনই যদি না থাকে, তাহলে জীবিকা বাঁচবে কীভাবে! যাদের কাজে যেতেই হবে, না গেলে পেটে ভাত জুটবে না; সেই সকল মানুষেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোজ কাজে যাচ্ছেন। তাদের যুক্তি- না খেতে পেয়ে মরার থেকে ভাইরাসের কবলে পড়ে মরা অনেক ভালো।
কষ্ট তাদের, যারা দিন আনে দিন খায়। কষ্ট তাদের, যারা কাজে না যোগ দিলে মাইনেই পাবে না। কষ্ট তাদের, যাদের কোনও ব্যাঙ্ক ব্যালান্স নেই। কষ্ট তাদের, যারা কারও কাছে হাত পাততে পারে না। কষ্ট তাদের, যারা করোও সাহায্য নিতে পারে না, আত্মমর্যাদায় লাগে।
আমি মাত্র তিন মাস বসে ছিলাম। কাজে যোগ দিয়েছি সবে এক মাস হল। এখানে, মিলওয়াকিতে, সংক্রমণের হার খুবই কম। তবুও প্রাণে প্রচন্ড ভয়। বস ডেকেছেন কাজে, না গিয়ে থাকতেই পারবো না। ভয়ে ঘরে বসে থাকলে চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে। মা বাবা আমার ওপর নির্ভরশীল। হাতে প্রাণ নিয়ে তাই কাজে যোগ দিলাম। এখানে ভারতের মতো অত লোকসংখ্যা নেই। তাই সংক্রমণের হার অনেক কম। নিউ ইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়াতে ঘন বসতি। সেখানে সংক্রমণও বেশি।
ভবিষ্যৎ কারো জানা নেই। শুনছি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা বাজারে ছাড়া হবে। ভালো কথা- মামা না থাকার থেকে, চোখ কানা মামা থাকা শ্রেয়।কতদূর কী হবে, সেটা সময়ই বলবে। আগে এই এক বছরের কথা ভাবি আমরা, একশো বছর এখন অনেক দেরি! আগে এই এক বছর পার করি আমরা। এই এক বছর ভালো ভাবে বেঁচে থাকলে, আগামী একশো বছরে আমাদের নাতিপুতিরা দাপিয়ে বেড়াবে বিশ্ব...
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ২০/০৭/২০২০সুবচন সুলিখিত রচনাশৈলী।
-
সাদা কাঁক(মেহেদী হাসান) ২০/০৭/২০২০মুক্তি মিলুক দ্রুতই