www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

দীর্ঘ কবিতা- পাচার- পৃষ্ঠা ২

পাচার

অভাগী সব বুঝতে শিখলো যখন ওর চার বছর বয়স-
এ সংসারে ওর ঠাঁই নেই |
ভাইকে ভালোবাসতো খুব, নাম রেখেছিল সোনা |
পরিবারের কাজে আসতো ছোট বয়স থেকেই!

লেখাপড়ার করার ইচ্ছে থাকলেও তা আর করা হল না |
অনাথ বাবু ধাক্কা মেরে বললো, 'যা কাজ খোঁজ' |
যমুনা দু টুকরো রুটি ছুড়ে দিতো দুপুরে ও রাতে,
বলতো, 'গরীব ঘরে তুই বোঝ' |

মন দিয়েও করো মন পায়নি,
হাত বাড়িয়েও ধরতে পারেনি কারো হাত |
সোনা হয়তো বলতে চাইতো ওকে কিছু,
'দিদি আমার হাতে হাত রেখে দে আমার সাথ' |

আধপেটা খেয়ে অভ্যাস হয়ে গেছিল,
তাই বেশি খেলে শরীর ভারী লাগতো !
সোনার মুখটা ভুলিয়ে দিতো সব দুঃখ-
ওকে দেখেই বাঁচার আশা জাগতো |

বয়স তখন নয় |
ঠিক করে নিলো অভাগী: কাজ খুঁজতে বেরোবে |
পাড়ার গোপাল জ্যেঠু কাজ দেন শহরে-
দূরে কাজ করে, ঘরে টাকা পাঠাবে |

অচেনা লোকের হাত ধরে শহরে এল ও |
এটা কোন জায়গা প্রথমটা ও বুঝলো না:
ঘর আছে অথচ কোনও জানলা নেই, শুধু একটা দরজা...
ও প্রথম অনুভব করলো তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা!

ঘৃণা করে ও পুরুষগুলোকে,
ঘৃণা করে এই জগৎ |
শিশু মন স্পষ্ট বুঝে নেয় এক নিমেষে-
ধান্দা ছাড়া কোনও কিছুই নয় মহৎ!

সবিতা মাসি বলে দিলো,
'বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারবে |
ভয়ের কোনও কারণ নেই-
সেবা করে দু বেলা খাবে' |

(চলবে)
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৪৫৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২০/১১/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast