www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

দীর্ঘ কবিতা- জোড়া খুন- পৃষ্ঠা ২

জোড়া খুন

বাড়ি মালদহে, কাজের জন্য এদিক ওদিক ঘোরা।
অন্যায়ের জন্ম দিয়ে অন্যায়কারীর হাতে মরা।।
'বুড়ো ও স্বপ্নাকে হাতে রাখতে হবে, প্রয়োজনে ওর ভাইকেও', বললো বাদল।
জেরায় বেরিয়ে আসবে কোথায় আসল গন্ডগোল।।
স্বপ্না পুলিশকে বলেছে কোনও একটা ঠেকের কথা।
হতে পারে পুলিশকর্তা খুঁজে পাবে ওখানেই দলের মাথা।।
ঠেকে মদ খেতে শত শত লোক আসে- কী সব নাম রে বাবা।
কেউ সুবিধার নয়, তাই ভরসা করা যাবে না, কিন্তু বাদল খেলবে দাবা।।
একজন বললো, 'বড় খারাপ কাজ করেছিল বাবু'।
কাজটা খুন, এর বেশি জানা গেল না কিছু, যে বললো সে ভয়ে কাবু।।
কিন্তু কোনও খুনের অভিযোগ নেই বাবুর বিরুদ্ধে।
এবার ঢাল তরোয়াল নিয়ে নেমে গেল বাদল মহাযুদ্ধে।।



এমন কোনও খুন হয়েছে কী আশেপাশে যার কিনারা পাওয়া যায়নি।
ফাইলগুলো পড়ছে কর্মচারী, বিনয়; দেখছে কে ধরা পড়েনি।।
হ্যাঁ, দেববাবুকেই মালদহ জেলা হাসপাতালের সামনে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতী।
সেই জ্বালা থেকে দেব পরিবার আজও পায়নি নিষ্কৃতি।।
খুনীর মুখ ঢাকা ছিল তাই এগলো না আইন।
দেববাবুর ভাই, জয় আর উকিল, দীনেশ দু ঘন্টার মধ্যেই পেয়েছে জামিন।।
শুরু করা হোক অনুসন্ধান।
'খুঁজে পাবো গুপ্তধন', বাদলের অনুমান।।
দু দুটো খুনের কিনারা হবে একসাথেই।
সাঁতার জানে বাদল, জল যতই হোক অথৈ।।
একটা খুনীকে ধরতে পারলেই ধরা পড়ে যাবে আরেকজন।
খুনের সাথে খুনের, খুনীর সাথে খুনীর, যোগাযোগ ভীষণ।।

(চলবে)
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৩৭৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৬/১১/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast