দীর্ঘ কবিতা- নিখোঁজ- পৃষ্ঠা ১
নিখোঁজ
১
পাপকে সকল মানুষই ঘৃণা করে, কেউ কেউ পাপীকেও।
কিন্তু কীভাবে পাপীকে সাজা দেবে যদি সে হয় প্রাণের থেকেও প্রিয়।।
সত্যকে পুলিশ আবার ধরে নিয়ে গেছে, জানতে পারলো দাদা, অভয়।
কারখানার সামান্য কর্মী সে, নিজের বিবেককে পায় ভয়।।
ছুটে গেল থানায় সব কাজ ফেলে।
কিছুটা ভালোবাসা, কিছুটা ঘৃণা- অপেক্ষা করছিল জেলে।।
'তোর ভাইয়ের চুরির নেশা মদের নেশার মতো', বলল থানার বড়বাবু, ভূষণ।
সত্যিতো সত্য অভয়ের জীবনে সবথেকে বড় দূষণ।।
আর না, ও পচুক অন্ধকার জেলের ভিতর।
সদ্য দাড়ি গজানো গালে অভয় মারলো দুই থাপ্পড়।।
মৃত মায়ের কসম খেয়েছিল; বৌদি, মিতাকে দিয়েছিল কথা।
অভয়ের হৃদয়ে আপনজনের পাপ জাগায় অন্তহীন ব্যথা।।
আর ফিরিয়ে আনবে না, শপথ নেয় সে।
মিতা বলে, 'জেলে থাকলে আরও পচে যাবে যে'।।
জামিনের জন্য টাকা চাই- হাত পেতে ধার।
মানুষ না হওয়া মানুষের জন্য মিতার করুণা অপার।।
জামিনের টাকা ধার দিলো পাড়ারই একজন।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই অর্থ বাঁচিয়ে রাখলে ভালো হতো- বলছে মন।।
'দিব্যি দিয়েছিস বহুবার, এইবারই শেষবার', মিতা কেঁদে কয়।
কিন্তু স্বভাব মরে না, মানুষ মারা গেলেও- সেইখানেই ভয়।।
অভয় ছুটে যায় জগতের কাছে- সত্যকে একটা কাজ পাইয়ে দিতে হবে।
খেটে খেলে বুঝবে টাকার দাম, নেশা মরে যাবে।।
সত্য বলে, 'সততার টাকায় কেনা খাবার শুকনো হয়'।
গোটা দুনিয়াই চোর, তাহলে ওর কীসে ভয়।।
অভয় চিৎকার করে, 'বাবার দেখানো পথে চলা উচিত আমাদের'।
প্রয়োজনে দাঁত ভেঙে দেবে, যদি চুরি করে ফের।।
ভাষণ ওর পছন্দ নয়, সত্য নাম রাখাটাই বৃথা।
'জেলের শুকনো রুটির থেকে ঘরের নরম রুটি অনেক ভালো', অভয়ের কথা।।
সঠিক পথই ভাই বেছে নেবে, অভয়ের বিশ্বাস।
সত্যর কালো মনে হঠাৎই দীর্ঘশ্বাস।।
(চলবে)
১
পাপকে সকল মানুষই ঘৃণা করে, কেউ কেউ পাপীকেও।
কিন্তু কীভাবে পাপীকে সাজা দেবে যদি সে হয় প্রাণের থেকেও প্রিয়।।
সত্যকে পুলিশ আবার ধরে নিয়ে গেছে, জানতে পারলো দাদা, অভয়।
কারখানার সামান্য কর্মী সে, নিজের বিবেককে পায় ভয়।।
ছুটে গেল থানায় সব কাজ ফেলে।
কিছুটা ভালোবাসা, কিছুটা ঘৃণা- অপেক্ষা করছিল জেলে।।
'তোর ভাইয়ের চুরির নেশা মদের নেশার মতো', বলল থানার বড়বাবু, ভূষণ।
সত্যিতো সত্য অভয়ের জীবনে সবথেকে বড় দূষণ।।
আর না, ও পচুক অন্ধকার জেলের ভিতর।
সদ্য দাড়ি গজানো গালে অভয় মারলো দুই থাপ্পড়।।
মৃত মায়ের কসম খেয়েছিল; বৌদি, মিতাকে দিয়েছিল কথা।
অভয়ের হৃদয়ে আপনজনের পাপ জাগায় অন্তহীন ব্যথা।।
আর ফিরিয়ে আনবে না, শপথ নেয় সে।
মিতা বলে, 'জেলে থাকলে আরও পচে যাবে যে'।।
জামিনের জন্য টাকা চাই- হাত পেতে ধার।
মানুষ না হওয়া মানুষের জন্য মিতার করুণা অপার।।
জামিনের টাকা ধার দিলো পাড়ারই একজন।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই অর্থ বাঁচিয়ে রাখলে ভালো হতো- বলছে মন।।
'দিব্যি দিয়েছিস বহুবার, এইবারই শেষবার', মিতা কেঁদে কয়।
কিন্তু স্বভাব মরে না, মানুষ মারা গেলেও- সেইখানেই ভয়।।
অভয় ছুটে যায় জগতের কাছে- সত্যকে একটা কাজ পাইয়ে দিতে হবে।
খেটে খেলে বুঝবে টাকার দাম, নেশা মরে যাবে।।
সত্য বলে, 'সততার টাকায় কেনা খাবার শুকনো হয়'।
গোটা দুনিয়াই চোর, তাহলে ওর কীসে ভয়।।
অভয় চিৎকার করে, 'বাবার দেখানো পথে চলা উচিত আমাদের'।
প্রয়োজনে দাঁত ভেঙে দেবে, যদি চুরি করে ফের।।
ভাষণ ওর পছন্দ নয়, সত্য নাম রাখাটাই বৃথা।
'জেলের শুকনো রুটির থেকে ঘরের নরম রুটি অনেক ভালো', অভয়ের কথা।।
সঠিক পথই ভাই বেছে নেবে, অভয়ের বিশ্বাস।
সত্যর কালো মনে হঠাৎই দীর্ঘশ্বাস।।
(চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১০/১১/২০১৯ভালো।