www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

দীর্ঘ কবিতা- কাঁটা- পৃষ্ঠা ৪

কাঁটা

অতুল ও জয়া চাকরি পেয়েছে একসাথে।
জয়ার মন পড়েছিল অতুলের দিকে, খবর এসেছে ভোর রাতে।।
জয়া জবাব দেয়, 'যাকে ভালোবাসি, তাকে মেরে কী লাভ'।
সত্যিতো নেহাকে মারলেই চুকে যেত ওর যত ক্ষোভ।।
হবু সহকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা হয়নি বেশি।
'ঝগড়া হওয়া তো দূরের কথা', বলছে পুলিশ সত্যান্বেষী।।
অতুল জয়াকে চাইতো না, জয়ার কথায় তা স্পষ্ট।
জয়ার কথায় প্রকাশ পায় অতুলকে হারাবার কষ্ট।।
আর কোনও নারীকে কী চিনতো অতুল, জয়ার কী জানা আছে।
অতুল ও নেহা দুজনেরই বন্ধু, সুজাতা, বিপদে আপদে থাকতো কাছে।।
সুজাতার কাছে পুলিশ সটান এসে হাজির।
এই মর্মান্তিক ঘটনা সারা দেশে একটা নজির।।
'নেহারও অতীত আছে', সুজাতা জানায় গোপনে।
পুলিশ জানতে মরিয়া- কে ছিল নেহার মনে।।
দেব এসেছিল জীবনে একবার কিন্তু আনাগোনা তার বহুবার।
দিনের আলোতে নেহার দুচোখে ভরা অন্ধকার।।
ভুল ভাঙতে দেরি হয়, সুজাতাই সাহায্য করে।
দেবের একটা সংসার আছে, শুনে নেহা ভেঙে পড়ে।।
দেব বলে, 'শ্রুতি আমাকে জোর করে করেছিল বিয়ে'।
ও নেহাকে নিয়েই থাকতে চায় শ্রুতিকে সরিয়ে দিয়ে।।
নেড়া বেলতলায় যায় কিন্তু একবারের বেশি নয়।
নিজের অজ্ঞানতাকে নেহা করেছে জয়।।

(চলবে)
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৩৭৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৭/১১/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast