www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

দীর্ঘ কবিতা- কাঁটা- পৃষ্ঠা ২

কাঁটা

থানার বড়কর্তা, নাগবাবু ও সহকর্মী, সেনমশাই চিন্তায় আকুল।
বন্ধু, পরিবার, হবু বউ না সহকর্মী- কার দিকে তুলবে আঙুল।।
'জেরা শুরু হোক, বেরিয়ে আসবে সব', নাগবাবু কয়।
যত্রতত্র ছড়ানো কাগজের টুকরোগুলোকে একত্রিত করতে সেনমশাই চায়।।
প্রশ্নের পর প্রশ্ন- আইনের পথে উঠেছে ঝড়।
লাশকাটা ঘরে হিসেবের চোখে এখন বেহিসেবীর অন্ধকার।।



অতুলের বাবা, অমিত ও মা, মিতা- দুজনেই পাথর।
সুখ ছোঁ মেরে নিয়ে গেছে চিল, দুঃখে কাঁপে বুকের থর।।
অমিত বলে, 'এ কী হলো, হায় রে হায়, হে ভগবান'।
মিতা কাঁদে, 'কারো বাড়া ভাতে দেয়নি ছাই এই নিহত প্রাণ'।।
খুনের কথা শোনায় পুলিশ, দুজনেই হতবাক।
গুপ্তশত্রু কে- বাদুড়ের বেশে কে ডাকলো নিশি প্যাঁচার ডাক।।
মনে পড়ে গেল বহুদিন আগেকার কথা।
জমি নিয়ে হয়েছিল বচসা- আব্দুল ছিল দলের মাথা।।
জেরায় আল্লার কসম খেয়ে বললো আব্দুল।
মানুষ হয়ে মানুষ মারার সে করবে নাগো ভুল।।
নিজের ছেলের মুখে আগুন দিল অমিত।
ভবিষ্যৎ অন্ধকার, বর্তমান মুখ ফেরালো, মুছে গেল অতীত।।
ছেলের মরা মুখ দেখতে যায়নি মিতা।
গদ্যের মতো নিশ্চল হয়ে গেছে তার জীবনের কবিতা।।
আত্মীয় স্বজন চোখ মোছে, করে কানাকানি।
একই জীবনে বহুবার মরে অমিত মিতা- অন্ধ চোখেও ছানি।।

(চলবে)
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৩৯৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৫/১১/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast