www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

গঙ্গা যমুনা নাট্যোৎসবে নাটনন্দনের নাটক নারী ও রাক্ষসী

গত ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া, গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব চলবে ৩১ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত। এই উৎসবে ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭ টায় "নাটনন্দন" মঞ্চস্থ করবে তাদের ৪র্থ মঞ্চ প্রযোজনা 'নারী ও রাক্ষসী'। নাটকটি ইংল্যান্ডের সিজন অব বাংলা ড্রামায় ২০১৮ সালে মঞ্চায়ন করে। নাটকটির নাট্যকার ও নির্দেশক আসমা আক্তার লিজা জানান, তিনি নাটকটি ৪ জন নির্যতিত নারীর জীবনের গল্প শুনে লিখতে উদ্বুদ্ধ হন। নাটকে অভিনয় করেন আসমা আক্তার লিজা ও সুরভি রায়। নাটকের সেট ও লাইট ডিজাইন করেছেন ফয়েজ জহির, নাটকে মিউজিক করলেন, মনিকা দেওয়ান, লাবনী আক্তার ও মকবুল হোসেন, নাটকের প্রযোজনা ব্যবস্থাপক সায়েম মুর্শেদ তালুকদার। আসমা আক্তার লিজা বলেন, 'নারী ও রাক্ষসী' নাটকটি সমাজের নির্যাতিত নারীদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে নির্মিত। এই নাটকে যে চারটি নারী চরিত্র দেখানো হয়েছে তাদের প্রত্যেকের সাথেই আমি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের জীবন দেখেই আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি এই নাটক নির্দেশনায়। এখানে দেখানো হয়েছে, কীভাবে একটা মেয়েকে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা পতিতা বানিয়ে দেয়। কীভাবে একটা মেয়ে নির্যাতিত, ধর্ষিত হয় দিনের পর দিন। মিথ্যে ধর্মের বেড়াজালে কি করে আটকে দেয় একটা মেয়ের স্বাধীনতা। অথচ এই সমাজ, এই দেশ, এই আইনের কাছে তারা কোন বিচার পায় না। এই বিচারহীন প্রক্রিয়ার ভেতর থেকে নির্যাতিত হতে হতে তারা একসময় প্রতিবাদী হয়ে ওঠে, বুঝে নেয় জীবনের অধিকার। পৃথিবীর সকল নারী ন্যায্য অধিকার পাক। সুন্দর হোক এই পৃথিবী,
পৃথিবীর অধিকার থাক। সুন্দর হোক এই পৃথিবী, এই স্বপ্ন।

'নারী ও রাক্ষসী' নাটকটি নাটনন্দন এর একান্ত প্রচেষ্টায় আজ মঞ্চে এসেছে আর আমারও ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, আশা করি সমকল ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।

আর সকলে প্রার্থনা করবেন, পৃথিবীর সব নির্যাতিত নারীদের পায়ের অদৃশ্য শিকল খুলে যাক, মুক্তি পাক সকল নারী, অন্ধকার মুক্ত হোক আমাদের সমাজ।
বিষয়শ্রেণী: সংবাদ
ব্লগটি ৫০০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৯/১০/২০২২

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast