www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কবি আবুল হাসান

ক্ষণজন্মা কবি আবুল হাসান অল্প বয়সেই একজন সৃজনশীল কবি হিসাবে খ্যাতিলাভ করেন। মাত্র এক দশকের কাব্যসাধনায় তিনি আধুনিক বাংলার ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেন। আত্মত্যাগ, দুঃখবোধ, মৃত্যুচেতনা, বিচ্ছিন্নতাবোধ, নিঃসঙ্গচেতনা, স্মৃতিমুগ্ধতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবুল হাসানের কবিতায় সার্থকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে এশীয় কবিতা প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম হন এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কার ( ১৯৭৫ ), একুশে পদক ( ১৯৮২ ) পান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বি.এ শ্রেণিতে ভর্তি হন, কিন্তু পরীক্ষা শেষ না করেই ১৯৬৯ সালেদৈনিক ইত্তেফাকের বার্তাবিভাগে যোগদান করেন।

রাজা যায় রাজা আসে (১৯৭২)
যে তুমি হরণ করো (১৯৭৪)
পৃথক পালঙ্ক ( ১৯৭৫ )
অপ্রকাশিত কবিতা
এগুলো থেকে বাছাইকৃত কবিতাগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে শ্রেষ্ঠ কবিতা গ্রন্থটি।
আবুল হাসান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ায় জন্মেছিলেন। ১৯৪৭-১৯৭৫ঃ ২৯ বছরের জীবন ছিল তার।তবে তাঁর লেখনীর দ্বারা আজো জান্তব তিনি।
তাঁর কিছু খুব পরিচিত কবিতার প্রথম লাইনগুলো উল্লেখ করছিঃ-
*অবশেষে জেনেছি মানুষ একা...
*অতটুকু চায়নি বালিকা...
*আমার এখন নিজের ছায়া নিজের কাছে খারাপ লাগে...
*গণিকা আমার অপ্সরা প্রিয়তমা...
*ঝিনুক নীরবে সহ...
*দালান উঠছে তাও রাজনীতি, দালান ভাঙছে তাও রাজনীতি...
*দুঃখের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখবো না আর...
*পাতা কুড়ানীর মেয়ে, তুমি কী কুড়োচ্ছ?...
*মাথাত ভেতরে তুমি কবরের মতো ঢুকে গেছ...
*লিমিটেড কোম্পানির কোকিলস্বভাবা মেয়ে...
*ছেলেটে খুঁড়েনি মাটিতে মধুর জল...
*জন্ম অশ্লীল!...

আমি বহুদিন একা একা প্রশ্ন করে দেখেছি নিজেকে,
যারা খুব হৃদয়ের কাছাকাছি থাকে, যারা এঘরে ওঘরে যায়
সময়ের সাহসী সন্তান যারা সভ্যতার সুন্দর প্রহরী
তারা কেউ কেউ বলেছে আমাকে--
এটা তোর জন্মদাতা জনকের রুগ্ন রূপান্তর,
একটি নামের মধ্যে নিজেরি বিস্তার ধরে রাখা,
তুই যার অনিচ্ছুক দাস!
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৮১৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৯/০৪/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast