ওমর খৈয়াম
ওমর খৈয়াম (১০৪৮-১১৩১) ইরানি বিজ্ঞানী, গণিতবিদ, কবি ও দার্শনিক।
এডওয়ার্ড ফিটসজেরাল্ড ১৮৫৯ সালে ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াতের ৭৫ টি ইংরেজি কবিতায় অনুবাদ করার পর সারা বিশ্বে বিপ্লব ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। কান্তিচন্দ্র ঘোষ ঐ ৭৫ টি রুবাইয়াত বাংলা কবিতায় অনুবাদ করেন। একশত বছর ধরে বাংলায় প্রায় ১০২ জন খৈয়ামের রুবাইয়াত বিভিন্নরূপে অনুবাদ করেছেন।
১৯৩৩ সালে কাজী নজরুল ইসলাম খৈয়ামের মূল লেখা থেকে অনুবাদ করায় তাতে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হয়।
অনুবাদের অন্যতম সমস্যা মূলভাব ঠিকমতো অনুবাদে কতটুকু প্রকাশ পাচ্ছে বা পাচ্ছে না।
শারাব, মদ্য শব্দগুলো অনেকবার এসেছে খৈয়ামের লেখায়, তার অনুবাদগুলোতেও। ইরানের সুফি এবং সুফি কবিরা ছিলেন সত্যের সেবক এবং আরবীয় ধর্মের বিদ্রোহী নীতি তারা অনুসরণ করেছিলেন। যেমন আরবি ধর্মমতে মদ্য নিষিদ্ধ, সুফিরা মদ্যকে তাদের সত্য সাধনার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এ মদ্য বাস্তব মদ্য নয়, সৃষ্টিকর্তার প্রেমকে তারা মদ্যরূপক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন এরকমভাবে ব্যাখ্যা করেন অনেকে। যুক্তিগ্রাহ্য মুক্তচিন্তার সাহসী ব্যঙ্গ বিদ্রুপ দিয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক পীড়নের সমস্যাগুলোকে শাসন করা হয়েছে।
* আমায় সৃজন করার দিনে জানত খোদা বেশ করেই
ভাবীকালের কর্ম আমার, বলতে পারত মুহূর্তেই।
আমি যে সব পাপ করি- তা ললাট-লেখা, তার নির্দেশ,
সেই সে পাপের শাস্তি নরক- কে বলবে ন্যায় বিচার এই!
*আমরা শারাব পান করি তাই শ্রীবৃদ্ধি ঐ পানশালার,
এই পাপীদের পিঠ আছে তাই স্থান হয়েছে পাপ রাখার।
আমরা যদি পাপ না করি ব্যর্থ হবে তার দয়া,
পাপ করি তাই ক্ষমা করে করুণাময় নাম খোদার।
*মসজিদের ঐ পথে ছুটি প্রায়ই আমি ব্যাকুল প্রাণ,
নামাজ পড়তে নয় তা বলে, খোসার কসম! সত্যি মান।
নামাজ পড়ার ভান করে যাই করতে চুরি জায়নামাজ,
যেই ছিঁড়ে যায় সেখানা, যাই করতে চুরি আরেকখান।
*নিত্য দিনে শপথ করি - করব তৌবা আজ রাতে,
যাব না আর পানশালাতে, ছোঁব না আর মদ হাতে।
অমনি আঁখির আগে দাঁড়ায় গোলাপ ব্যাকুল বসন্ত
সকল শপথ ভুল হয়ে যায়, কুলোয় না আর তৌবাতে।
*দুঃখে আমি মগ্ন প্রভু, দুয়ার খোলো করুণার!
আমায় করো তোমার জ্যোতি, অন্তর মোর অন্ধকার।
স্বর্গ যদি অর্জিতে হয় এতই পরিশ্রম করে -
সে তো আমার পারিশ্রমিক, নয় সে দয়ার দান তোমার।
*মসজিদ মন্দির গির্জায় ইহুদ-খানায় মাদ্রাসায়
রাত্রি-দিবস নরক-ভীতি স্বর্গ-সুখের লোভ দেখায়।
ভেদ জানে আর খোঁজ রাখে ভাই খোদার যারা রহস্যের
ভোলে না এই খোশ গল্পের ঘুম-পাড়ানো কল্পনায়।
*স্বর্গে পাব শারাব সুধা, এ যে কড়ার খোদ খোদার,
ধরায় তাহা পান করলে পাপ হয় এ কোন বিচার?
হামজা সাথে বেয়াদবি করল মাতাল এক আরব,-
তুচ্ছ কারণ - শারাব হারাম তাই হুকুমে মোস্তফার।
এডওয়ার্ড ফিটসজেরাল্ড ১৮৫৯ সালে ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াতের ৭৫ টি ইংরেজি কবিতায় অনুবাদ করার পর সারা বিশ্বে বিপ্লব ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। কান্তিচন্দ্র ঘোষ ঐ ৭৫ টি রুবাইয়াত বাংলা কবিতায় অনুবাদ করেন। একশত বছর ধরে বাংলায় প্রায় ১০২ জন খৈয়ামের রুবাইয়াত বিভিন্নরূপে অনুবাদ করেছেন।
১৯৩৩ সালে কাজী নজরুল ইসলাম খৈয়ামের মূল লেখা থেকে অনুবাদ করায় তাতে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হয়।
অনুবাদের অন্যতম সমস্যা মূলভাব ঠিকমতো অনুবাদে কতটুকু প্রকাশ পাচ্ছে বা পাচ্ছে না।
শারাব, মদ্য শব্দগুলো অনেকবার এসেছে খৈয়ামের লেখায়, তার অনুবাদগুলোতেও। ইরানের সুফি এবং সুফি কবিরা ছিলেন সত্যের সেবক এবং আরবীয় ধর্মের বিদ্রোহী নীতি তারা অনুসরণ করেছিলেন। যেমন আরবি ধর্মমতে মদ্য নিষিদ্ধ, সুফিরা মদ্যকে তাদের সত্য সাধনার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এ মদ্য বাস্তব মদ্য নয়, সৃষ্টিকর্তার প্রেমকে তারা মদ্যরূপক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন এরকমভাবে ব্যাখ্যা করেন অনেকে। যুক্তিগ্রাহ্য মুক্তচিন্তার সাহসী ব্যঙ্গ বিদ্রুপ দিয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক পীড়নের সমস্যাগুলোকে শাসন করা হয়েছে।
* আমায় সৃজন করার দিনে জানত খোদা বেশ করেই
ভাবীকালের কর্ম আমার, বলতে পারত মুহূর্তেই।
আমি যে সব পাপ করি- তা ললাট-লেখা, তার নির্দেশ,
সেই সে পাপের শাস্তি নরক- কে বলবে ন্যায় বিচার এই!
*আমরা শারাব পান করি তাই শ্রীবৃদ্ধি ঐ পানশালার,
এই পাপীদের পিঠ আছে তাই স্থান হয়েছে পাপ রাখার।
আমরা যদি পাপ না করি ব্যর্থ হবে তার দয়া,
পাপ করি তাই ক্ষমা করে করুণাময় নাম খোদার।
*মসজিদের ঐ পথে ছুটি প্রায়ই আমি ব্যাকুল প্রাণ,
নামাজ পড়তে নয় তা বলে, খোসার কসম! সত্যি মান।
নামাজ পড়ার ভান করে যাই করতে চুরি জায়নামাজ,
যেই ছিঁড়ে যায় সেখানা, যাই করতে চুরি আরেকখান।
*নিত্য দিনে শপথ করি - করব তৌবা আজ রাতে,
যাব না আর পানশালাতে, ছোঁব না আর মদ হাতে।
অমনি আঁখির আগে দাঁড়ায় গোলাপ ব্যাকুল বসন্ত
সকল শপথ ভুল হয়ে যায়, কুলোয় না আর তৌবাতে।
*দুঃখে আমি মগ্ন প্রভু, দুয়ার খোলো করুণার!
আমায় করো তোমার জ্যোতি, অন্তর মোর অন্ধকার।
স্বর্গ যদি অর্জিতে হয় এতই পরিশ্রম করে -
সে তো আমার পারিশ্রমিক, নয় সে দয়ার দান তোমার।
*মসজিদ মন্দির গির্জায় ইহুদ-খানায় মাদ্রাসায়
রাত্রি-দিবস নরক-ভীতি স্বর্গ-সুখের লোভ দেখায়।
ভেদ জানে আর খোঁজ রাখে ভাই খোদার যারা রহস্যের
ভোলে না এই খোশ গল্পের ঘুম-পাড়ানো কল্পনায়।
*স্বর্গে পাব শারাব সুধা, এ যে কড়ার খোদ খোদার,
ধরায় তাহা পান করলে পাপ হয় এ কোন বিচার?
হামজা সাথে বেয়াদবি করল মাতাল এক আরব,-
তুচ্ছ কারণ - শারাব হারাম তাই হুকুমে মোস্তফার।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবুল খায়ের ০৩/০৫/২০১৮very good.
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৬/০৪/২০১৮অনেক ভালো লাগল।
-
আব্দুল হক ২৬/০৪/২০১৮অনেক সুন্দর লিখেছেন, ধন্যবাদ!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৬/০৪/২০১৮ভালো লাগলো।
-
ধ্রুবক ২৬/০৪/২০১৮পড়লাম। আরও বাংলা অনুবাদের অপেক্ষায় রইলাম।