মির্জা গালিব
মির্জা গালিবের কবিতার অনুবাদ
এ তো একটা হৃদয়ই, ইট-পাথর তো নয়, তাহলে বেদনায় ভরে উঠবে না কেন?
কাঁদবো আমি হাজারবার - তবু কেউ আমায় এমন কাঁদাবে কেন?
এ কথা মানি যে 'গালিব' এর কোন মূল্য নেই। কিন্তু যে তার হৃদয়টা একেবারেই বিনামূল্যে পেয়েছে, তার গ্রহণ করতে অসুবিধা কি?
আমার পত্রবাহকই হলো শত্রু আমার- তাকে আর কি বলবো আমি। সেও যে দিয়ে এলো নিজের হৃদয় আমার প্রিয়াকে। সেও তো মানুষ, তাকেই বা কি আর বলবো।
যেখানে তোমার চরণ চিহ্ন দেখি আমি,
সেই পথেই যেন স্বর্গের উদ্যান দেখি আমি।
তুমি ডেকে ডেকে কেন জমা করেছ শত্রুদের আমার?এ তো একটা তামাশাই হয়ে গেল, আমার বিরুদ্ধে নালিশই তো জানানো হ'লো না তোমার।
দয়া করে তুমি ডেকে নিও আমায়, তোমার যেকোনো সময়েই- আমি তো চলে যাওয়া সময় নই, যে ফিরে আসতে পারবো না আবার।
আমার উচ্ছ্বসিত অশ্রুর কারণে বহিস্কৃত হচ্ছি আমি তোমার জলসাঘর থেকে- হায়, নিজের অশ্রুর ওপরও কি কোন অধিকার নেই আমার?
আমি কাল রারে গালিবকে থামিয়ে দিয়েছিলাম - না হলে দেখতে, তার অশ্রুবন্যায় আকাশও ভেসে যেত।
তোমার সাথে যদি মিলন আমার সহজ না হতো, আমি সহ্য করতাম- কিন্তু তা অসম্ভবও যে নয়, তাই সহ্য করাও যে অসম্ভব।
এসো, এ প্রাণে আমার শান্তি নেই- প্রতীক্ষার নির্যাতন সইবার মতোও আর শক্তি নেই।
ভালবেসে আমি জীবনের মজা পেলাম। বেদনার ঔষধ পেলাম। হৃদয়-বেদনার ঔষধকে বিফল হতেও দেখলাম।
তার ভালবাসা আমার মনের মুক্তির অবকাশ -
তাই বলি শুধু ভালবাসাই কেন, শত্রুতাই বা শুধু আমারই সাথে হবে না কেন?
আমি তার কাছে প্রেমে বিশ্বাস আশা করি, যে জানে না বিশ্বাস কথাটার অর্থই বা কি!!
বিদ্রূপ করেও তুমি যেন আবার বলো না আমায় নিষ্ঠুর- আমার তো অভ্যাস আছে যা বলবে তুমি,
তার সত্যিই কোন কারণ আছে বলে ভাবা।
বেঁচে আছি আমি তোমার প্রতিশ্রুতিতে, তাই আমার প্রাণ আজ আমার কাছে মিথ্যে- হয়তো খুশিতে মরেই যেতাম, যদি তোমার প্রতি আমার এই বিশ্বাসের উপর একটু ভরসা করতে পারতাম।
মৃত্যুর জন্য তো একটা দিন নির্দিষ্ট হয়েই আছে, তবু কেন বিনিদ্র কাটে সারাটা রাত্রি।
তোমার দৃষ্টির তীর হৃদয় ভেদ করে কলিজায় গিয়ে বিঁধেছে- দুইজনকে একই আঘাতের ভঙ্গিমায় আহত করে, মন দিতে রাজি করিয়ে গেছে।
আমার বেদনাই কিনা হলো শেষ পর্যন্ত তোমার অশান্তির কারণ - হায় হায়- হে নিষ্ঠুরা রমনী, কি কাজেই বা লাগলো তোমার আমার প্রতি সেই উদাসীন অবহেলা -হায় হায়।
অপরজনের দুরবস্থা দেখে কেনই বা ঠান্ডা হবে না কলজেটা আমার!? এমন প্রতিক্রিয়াইতো হোক আমি চাইতাম। প্রিয়ার প্রত্যাখ্যানে অশ্রু সাগরে যখন ডুবে থাকতাম।
এ মন আমার কবেই হারিয়ে গেছে। তবু মনে পড়লো, শূন্যতায় ঘেরা কোনো শূন্যতাও আছে-।
এখন ভগ্নহৃদয় আমি আছি আর আমার শোক, যেন আশা আকাঙ্ক্ষায় ভরা একটি শহর। ভাঙলে সেই আয়নাই তুমি, যাতে প্রতিবিম্ব ছিল ছবি তোমারই।
হে মৃত্যু, বেঁচে থাকতে দাও আমায়, কাজ আমার এখনো শেষ হয়নি
এ তো একটা হৃদয়ই, ইট-পাথর তো নয়, তাহলে বেদনায় ভরে উঠবে না কেন?
কাঁদবো আমি হাজারবার - তবু কেউ আমায় এমন কাঁদাবে কেন?
এ কথা মানি যে 'গালিব' এর কোন মূল্য নেই। কিন্তু যে তার হৃদয়টা একেবারেই বিনামূল্যে পেয়েছে, তার গ্রহণ করতে অসুবিধা কি?
আমার পত্রবাহকই হলো শত্রু আমার- তাকে আর কি বলবো আমি। সেও যে দিয়ে এলো নিজের হৃদয় আমার প্রিয়াকে। সেও তো মানুষ, তাকেই বা কি আর বলবো।
যেখানে তোমার চরণ চিহ্ন দেখি আমি,
সেই পথেই যেন স্বর্গের উদ্যান দেখি আমি।
তুমি ডেকে ডেকে কেন জমা করেছ শত্রুদের আমার?এ তো একটা তামাশাই হয়ে গেল, আমার বিরুদ্ধে নালিশই তো জানানো হ'লো না তোমার।
দয়া করে তুমি ডেকে নিও আমায়, তোমার যেকোনো সময়েই- আমি তো চলে যাওয়া সময় নই, যে ফিরে আসতে পারবো না আবার।
আমার উচ্ছ্বসিত অশ্রুর কারণে বহিস্কৃত হচ্ছি আমি তোমার জলসাঘর থেকে- হায়, নিজের অশ্রুর ওপরও কি কোন অধিকার নেই আমার?
আমি কাল রারে গালিবকে থামিয়ে দিয়েছিলাম - না হলে দেখতে, তার অশ্রুবন্যায় আকাশও ভেসে যেত।
তোমার সাথে যদি মিলন আমার সহজ না হতো, আমি সহ্য করতাম- কিন্তু তা অসম্ভবও যে নয়, তাই সহ্য করাও যে অসম্ভব।
এসো, এ প্রাণে আমার শান্তি নেই- প্রতীক্ষার নির্যাতন সইবার মতোও আর শক্তি নেই।
ভালবেসে আমি জীবনের মজা পেলাম। বেদনার ঔষধ পেলাম। হৃদয়-বেদনার ঔষধকে বিফল হতেও দেখলাম।
তার ভালবাসা আমার মনের মুক্তির অবকাশ -
তাই বলি শুধু ভালবাসাই কেন, শত্রুতাই বা শুধু আমারই সাথে হবে না কেন?
আমি তার কাছে প্রেমে বিশ্বাস আশা করি, যে জানে না বিশ্বাস কথাটার অর্থই বা কি!!
বিদ্রূপ করেও তুমি যেন আবার বলো না আমায় নিষ্ঠুর- আমার তো অভ্যাস আছে যা বলবে তুমি,
তার সত্যিই কোন কারণ আছে বলে ভাবা।
বেঁচে আছি আমি তোমার প্রতিশ্রুতিতে, তাই আমার প্রাণ আজ আমার কাছে মিথ্যে- হয়তো খুশিতে মরেই যেতাম, যদি তোমার প্রতি আমার এই বিশ্বাসের উপর একটু ভরসা করতে পারতাম।
মৃত্যুর জন্য তো একটা দিন নির্দিষ্ট হয়েই আছে, তবু কেন বিনিদ্র কাটে সারাটা রাত্রি।
তোমার দৃষ্টির তীর হৃদয় ভেদ করে কলিজায় গিয়ে বিঁধেছে- দুইজনকে একই আঘাতের ভঙ্গিমায় আহত করে, মন দিতে রাজি করিয়ে গেছে।
আমার বেদনাই কিনা হলো শেষ পর্যন্ত তোমার অশান্তির কারণ - হায় হায়- হে নিষ্ঠুরা রমনী, কি কাজেই বা লাগলো তোমার আমার প্রতি সেই উদাসীন অবহেলা -হায় হায়।
অপরজনের দুরবস্থা দেখে কেনই বা ঠান্ডা হবে না কলজেটা আমার!? এমন প্রতিক্রিয়াইতো হোক আমি চাইতাম। প্রিয়ার প্রত্যাখ্যানে অশ্রু সাগরে যখন ডুবে থাকতাম।
এ মন আমার কবেই হারিয়ে গেছে। তবু মনে পড়লো, শূন্যতায় ঘেরা কোনো শূন্যতাও আছে-।
এখন ভগ্নহৃদয় আমি আছি আর আমার শোক, যেন আশা আকাঙ্ক্ষায় ভরা একটি শহর। ভাঙলে সেই আয়নাই তুমি, যাতে প্রতিবিম্ব ছিল ছবি তোমারই।
হে মৃত্যু, বেঁচে থাকতে দাও আমায়, কাজ আমার এখনো শেষ হয়নি
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মাহামুদুল হাসান ২৮/০৩/২০১৮সুন্দর
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৮/০৩/২০১৮অসাধারন
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ২৭/০৩/২০১৮অনুদিত কবিতাটি ভাল লাগলো ।
-
আব্দুল হক ২৬/০৩/২০১৮বেশ সুন্দর লিখা! ধন্যবাদ!!