পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
*মানুষ আসতে আছে যমুনার বানের লাহান
মানুষ আসতে আছে মহররমে ধূলার সমান
*যাদের জীবন হইল জন্তুর লাহান
তারে কিছু দেও নাই, দিয়াছো ঈমান;
আর যারে সকলি দিয়াছো, অধিকার
তারেই দিয়াছো তুমি দুনিয়ার ঈমান মাপার।
*খ্যাতে যে কিষাণ হাল দিয়া শস্য করে
- শস্য না দুঃখের দানা ওঠে তার ঘরে।
গহীন গাঙে যে মাঝি জালে মাছ ধরে
- মাছ না নিজের জান বড় জালে পড়ে।
ফলবৃক্ষ যে জননী বাচ্চা কোলে করে
- বাচ্চা না মাটির দিয়া নিভা যায় ঘরে।
যে জোলা রঙিন সুতা দিয়া নকশা ধরে
- নকশা না নিজের ভাইগ্য ভিজাচক্ষে পড়ে।
*বুদ্ধিমান নাড়ায় না ডাল যে ডালে নিজেই বসা,
পয়সার দাম নাই যে পয়সা ঘষা।
*দেশের প্রদান তার জানা আছে সব, কোন ঘাটে
কত পানি, আন্ধারে চোরের মতো কারা সিঁদ কাটে।
*হঠাৎ আছাড় দিয়া আসমানে দেখা দিল চান
এক ফালি কদুর লাহান।
*দেশের উদ্ধার, না কি, নিজের বিস্তার?
*সে ক্যান ফালায়া গেল আমার জীবন
হঠাৎ খাটাশে খাওয়া হাঁসের মতন?
*তাজ্জব, তাজ্জব এই আচানক আবিষ্কার -
যে দেয় অভয় তার নিজের সংসার
কালের ইন্দুর কাটে, করে ছারখার।
*চাদর উড়ায়া নিছে মানুষের বুকভাঙা শ্বাস
বৃক্ষ নাই পারহারের 'পরে শোয়া উদলা এক লাশ।
*কও দেখি, বিপদ কোথায় নাই?কোন কামে নাই?
আর সকল কামের চেয়ে বড় কাম হইল দেশ রক্ষা
করা।
*'এতকাল যে নিজের লোক তুইলা দিতে পারে, কও
বিশ্বাস কি তারে? '
*কেবল হাতের 'পরে মেয়েটার হাত দিয়া
আল্লাহতালার নাম তিনবার নিয়া
কইলাম - কি কইছি, মনে নাই, কিছু মনে নাই,
সোনার পুতুল আমি এইভাবে সাগরে ভাসাই।
*নামের তাজ্জব গুণে ধন্য হয় পাপের মোকাম;
চোরের আস্তানা হয় বড় কোনো পীরের মাজার।
* দুঃখেরও শক্তি নাই দুঃখ দেয় আবার আমারে-
*শোনেন এখনো যদি খোলা থাকে কান
কুল নষ্ট মেয়েছেলে কুত্তাচাটা থালার সমান।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানপন্থিদের বিশ্বাসে ও আস্থায় একসময় ফাটল ধরে; ভাঙনের শব্দ কানে আসে তাদের। চোখের সামনে দেখতে পায় মুক্তিকামী মানুষের নিজতের সংকেত। নাট্যকার সৈয়দ শামসুল হক ওই শব্দের আওয়াজ তাঁর পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় গ্রন্থে ধারণ করেছের শিল্পীর অনুভবের উদারতায়। দেখানো হয়েছে সমাজের অধিপতি ও সুবিধাভোগী পাকিস্তানপ্রেমীরা যেন শুনতে পায় ওই ভাঙনের আওয়াজ।
মানুষ আসতে আছে মহররমে ধূলার সমান
*যাদের জীবন হইল জন্তুর লাহান
তারে কিছু দেও নাই, দিয়াছো ঈমান;
আর যারে সকলি দিয়াছো, অধিকার
তারেই দিয়াছো তুমি দুনিয়ার ঈমান মাপার।
*খ্যাতে যে কিষাণ হাল দিয়া শস্য করে
- শস্য না দুঃখের দানা ওঠে তার ঘরে।
গহীন গাঙে যে মাঝি জালে মাছ ধরে
- মাছ না নিজের জান বড় জালে পড়ে।
ফলবৃক্ষ যে জননী বাচ্চা কোলে করে
- বাচ্চা না মাটির দিয়া নিভা যায় ঘরে।
যে জোলা রঙিন সুতা দিয়া নকশা ধরে
- নকশা না নিজের ভাইগ্য ভিজাচক্ষে পড়ে।
*বুদ্ধিমান নাড়ায় না ডাল যে ডালে নিজেই বসা,
পয়সার দাম নাই যে পয়সা ঘষা।
*দেশের প্রদান তার জানা আছে সব, কোন ঘাটে
কত পানি, আন্ধারে চোরের মতো কারা সিঁদ কাটে।
*হঠাৎ আছাড় দিয়া আসমানে দেখা দিল চান
এক ফালি কদুর লাহান।
*দেশের উদ্ধার, না কি, নিজের বিস্তার?
*সে ক্যান ফালায়া গেল আমার জীবন
হঠাৎ খাটাশে খাওয়া হাঁসের মতন?
*তাজ্জব, তাজ্জব এই আচানক আবিষ্কার -
যে দেয় অভয় তার নিজের সংসার
কালের ইন্দুর কাটে, করে ছারখার।
*চাদর উড়ায়া নিছে মানুষের বুকভাঙা শ্বাস
বৃক্ষ নাই পারহারের 'পরে শোয়া উদলা এক লাশ।
*কও দেখি, বিপদ কোথায় নাই?কোন কামে নাই?
আর সকল কামের চেয়ে বড় কাম হইল দেশ রক্ষা
করা।
*'এতকাল যে নিজের লোক তুইলা দিতে পারে, কও
বিশ্বাস কি তারে? '
*কেবল হাতের 'পরে মেয়েটার হাত দিয়া
আল্লাহতালার নাম তিনবার নিয়া
কইলাম - কি কইছি, মনে নাই, কিছু মনে নাই,
সোনার পুতুল আমি এইভাবে সাগরে ভাসাই।
*নামের তাজ্জব গুণে ধন্য হয় পাপের মোকাম;
চোরের আস্তানা হয় বড় কোনো পীরের মাজার।
* দুঃখেরও শক্তি নাই দুঃখ দেয় আবার আমারে-
*শোনেন এখনো যদি খোলা থাকে কান
কুল নষ্ট মেয়েছেলে কুত্তাচাটা থালার সমান।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানপন্থিদের বিশ্বাসে ও আস্থায় একসময় ফাটল ধরে; ভাঙনের শব্দ কানে আসে তাদের। চোখের সামনে দেখতে পায় মুক্তিকামী মানুষের নিজতের সংকেত। নাট্যকার সৈয়দ শামসুল হক ওই শব্দের আওয়াজ তাঁর পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় গ্রন্থে ধারণ করেছের শিল্পীর অনুভবের উদারতায়। দেখানো হয়েছে সমাজের অধিপতি ও সুবিধাভোগী পাকিস্তানপ্রেমীরা যেন শুনতে পায় ওই ভাঙনের আওয়াজ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পবিত্র চক্রবর্তী ১৯/০৪/২০১৮সুন্দর লেখা । পারলে আমার গল্পগুলো পড়তে পারেন ॥