www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কিডন্যাপ নাকি অন্য কিছু

সন্ধা ৭টা । অটো থেকে নেমে বাসার গলিতে ঢুকা মাত্রই তিন চারজন অল্প বয়সী ছেলে আমাকে ঘিরে ধরে। প্রথমেই সালাম দেয়। এরপর একজন বললো, “ভালোই আছেন তাহলে!”
আমিঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি, কিন্তু তোমরা কারা?
৩য় জনঃ আমরা আপনার সালা।
আমিঃ বুঝলাম না। তাছাড়া আমিতো বিয়ে করিনি এখনো।
২য় জনঃ দুলাভাই চলেন বিয়া করাবো আপনাকে।
আমিঃ পথ ছাড়ো। অফিস থেকে ফিরছি। অনেক ক্লান্ত আমি।
১ম জনঃ হা হা হা...., আমরাও অনেক ক্লান্ত আপনার জন্য অপেক্ষা করতে করতে। কথা না বলে সামনের দিকে হাটুন।
আমিঃ সমস্যা কি তোমাদের ? কি চাও?
৪র্থ জনঃ ওই ব্যাটা এত কথা কস কিল্লাইগা। একদম চুপ। যা বলি তা করবি।
২য় জনঃ দুলাভাইকে তুই তুকারি করিসনা। দুলাভাই ভদ্র ছেলের মতই যাবে।
এরপর আর কিছু মনে নেই। চোখ খুলে নিজেকে একটা সুসজ্জিত বেড রুমে আবিষ্কার করলাম। বেড রুমটা অনেক সুন্দর করে সাজানো। আমি নিশ্চিত যে এটা আমার বেড রুম নয়, কারণ আমার বেড রুম সবসময় অগোছালোই থাকে। তাছাড়া আমার রুমে সিগারেট এর গন্ধ থাকার কথা, অথচ এই রুমে একটা মিষ্টি ঘ্রাণ পাচ্ছি। আমি শোয়া থেকে উঠে পুরো রুমটা ঘুরে দেখলাম, এতে যা বুঝলাম বাসাটা প্রভাবশালী কারো। কিন্তু বুঝতে পারছিনা যে, আমাকে কেনো তুলে আনা হলো এখানে। আমি কোনো রাজনীতি করিনা। সিগারেট ছাড়া কোনো নেশা পানি করিনা। কোনো খারাপ ছেলের সাথে আড্ডা দেইনা। কারো সাথেই আমার কোনো শত্রুতাও নেই। তাহলে আমাকে কেনো তুলে আনা হলো।
রুমটায় কোনো ঘড়ি নেই। পকেটে হাত দিয়ে দেখলাম আমার মোবাইলটাও নেই। কয়টা বাজে বুঝার কোনো উপায় নেই। কেমন যেনো অদ্ভুত লাগছে পুরো বিষয়টা। আমাকে যদি কিডন্যাপ ই করবে মুক্তিপন আদায়ের জন্য তাহলেতো আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার কথা ছিলো। তা না করে সুসজ্জিত একটা বড় রুমে আমাকে ছেড়ে দিয়ে আটকে রেখেছে।
এই মুহূর্তে সিগারেট এর নেশা চাপছে। পকেটে হাতিয়ে সিগারেটের প্যাকেট টাও পেলাম না। এখন খুব কষ্ট হচ্ছে। ক্লান্তি নেই মোটেও, তবে খুব খিদা লেগেছে। বুঝতে পারছিনা কি করবো। এমন সময় দরজা খোলার শব্দ শুনলাম। আমি দরজার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। দরজা খুলে একজন মাঝ বয়সি ভদ্রলোক ঢুকলো রুমে। আমি দাঁড়িয়ে আছি দেখে কপাল কুঁচিয়ে হাসি হাসি মুখ করে বললো,
: বাবা এখন একটু ভালো বোধ করছো?
কথা না বলে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলাম।
: বাবা নিশ্চয় তোমার খুব খিদা লেগেছে? তুমি ঘুমাচ্ছিলে তাই ডেকে তুলিনি। আমি করিম কে খাবার দিতে বলছি। ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নাও।
: আপনি কে? আমি এখানে কেনো?
আমার এ প্রশ্নের উত্তরে লোকটা ভ্রু কুঁচিয়ে আবারো হাসলো, হেসে বললো,
: বাবা ঘাবড়ানোর কিছু হয়নি। আমি তোমার বাবার মতই।
: ধুর কি বলেন আপনি এইসব? আপনি আমার বাবা হতে যাবেন কেনো? আমার বাবা ফোনে না পেয়ে এতক্ষণে হয়তো আমার জন্য খুব চিন্তায় করছে। আমার মোবাইলটা দিন।
: তোমার ফোনে এখনো তোমার বাবার কোনো কল আসেনি। তবে মিষ্টি নামের একটা মেয়ে কল করেছিলো। তোমার জন্য খাবার পাঠাচ্ছি, খেয়ে নাও আগে। পরে এসে কথা বলবো।
লোকটা চলে গেলো। আমি এখানে কেনো বন্ধী আছি কিংবা কখন এখান থেকে মুক্তি পাবো তা নিয়েও একটুও দুশ্চিন্তা কিংবা ভয় হচ্ছেনা এই মূহুর্তে । খুব চিন্তা হচ্ছে মিষ্টি আমাকে কল দিয়ে না পাওয়ায়। মিষ্টি কিছুতেই বুঝতে চাইবেনা আমার ফোন আমার হাতে ছিলোনা এবং আমি যে কিডন্যাপ হয়েছি তা। একটা কেলেঙ্কারী হয়ে যাবে। মিষ্টির সাথে কমিটমেন্ট ছিলো অফিস থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে ওকে ফুচকা খেতে নিয়ে যাবো। এখন কয়টা বাজে তা বুঝতে পারছিনা। মিষ্টি আমাকে ফোনে না পেয়ে এতক্ষণে কি ভয়ানক কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছে আল্লাহই জানে।
মিষ্টি শুধু নামে নয় দেখতেও মিষ্টি। তবে কোনো কারণে ক্ষেপে গেলে এবং আমি কথা দিয়ে সময়মত তা করতে না পারলে মিষ্টি তখন খুব ভয়ানক হয়ে উঠে। অসহনীয় পাগলামী করে। যা আমাকে খুব পোড়ায়।
লোকটা চলে যাওয়ার ২ মিনিটের মাথায় আমার বয়সী এলোকেশি একাটা ছেলে খাবার নিয়ে এলো আমার জন্য। খুব ক্ষুধার্ত থাকায় কোনো কিছু না ভেবে সবটা খেয়ে নিলাম। খাওয়া শেষে পাশে তাকিয়ে দেখি ছেলেটা দাড়িয়ে আছে। আমি ছেলেটা কে বললাম,
: তুমি নিশ্চয় করিম?
কথা না বলে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সূচক উত্তর দিল। আমার খাওয়া শেষে ছেলেটা প্লেট, বাটি নিয়ে চলে যেতে চাচ্ছিলো, আমি ওকে বাঁধা দিয়ে বললাম,
: একটু দাড়াও, কথা আছে।
: কথাতো আঙ্কেল বলবে, আমিনা।
: কয়টা বাজে বলতে পারো?
: আমি সময় জানিনা।
: বলো কি? আচ্ছা আমাকে এখানে কেনো নিয়ে আসা হয়েছে, জানো কিছু?
: না। তবে আঙ্কেল এর মেজাজ দেখে মনে হচ্ছে ভালো কিছুর জন্যই আপনাকে তুলে আনা হয়েছে।
: আচ্ছা , আমার আগে কি এভাবে আর কাউকে তুলে আনা হয়েছিলো এখানে?
: না।
: লোকটা তোমার কেমন আঙ্কেল হয়?
: জানিনা। তবে বুঝ হবার পর থেকেই উনাকে আঙ্কেল বলে ডাকছি।
: আচ্ছা, উনি ভালো নাকি খারাপ মানুষ?
: আঙ্কেল এর মত ভালো মানুষ আমি দেখি নাই। আমি এখন যাই।
ছেলেটা যাওয়ার পরই লোকটা রুমে ঢুকলো। কোনো ভনিতা ছাড়াই আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
: এখন বাজে রাত সাড়ে নয়টা। কিছুক্ষন পরই তোমার বিয়ে।
: বলেন কি আপনি? মাথা ঠিক আছে আপনার?
: মাথা ঠিক আছে আমার। সব কিছু রেডি করা আছে। করিম এসে কিছুক্ষন পর তোমাকে সব দিয়ে যাবে। কোনো চালাকির চেষ্টা না করে যথাসম্ভব অল্প সময়ের মাঝে তৈরি হয়ে নাও।
: বললেই হলো নাকি! চিনিনা, জানিনা, তুলে নিয়ে এসে বলছেন বিয়ে। সমস্যা কি আপনার? কি চান আপনি ?
: আমার কোনো সমস্যা নেই। আজ আমার আনন্দের দিন । আজ বাড়িতে বিয়ে হবে।
নিজেকে শান্ত রেখে স্বাভাবিক ভাবেই বললাম,
: কার সাথে আমার বিয়ে?
: আমার একমাত্র মেয়ে রিমার সাথে।
: আঙ্কেল! বসুন। ঠান্ডা মাথায় একটু ভাবুন। আপনার একটাই মেয়ে। জেনে শুনে একটা ভালো ছেলের সাথে ধুমধাম করে বিয়ে দিবেন। তা না করে চেনেননা, জানেননা, রাস্তা থেকে একটা ছেলেকে তুলে এনে একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিবেন? আমিতো বিবাহিত হতে পারি, হতে পারি অন্য ধর্মের। ইচ্ছে করেই কেনো মেয়ের জীবন নষ্ট করছেন?
: আমার প্রতি এবং আমার মেয়ের প্রতি তোমার ভালোবাসা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ। শুনো বাবা, তুমি আমাদের না জেনে না শুনে যেমন আমাদের ভালোর কথা চিন্তা করে কথাগুলো বললে, আমি বাবা হয়ে মেয়ের জন্য এর চেয়ে খারাপ কিছু করবো, এটা কি করে তুমি ভাবলে?
: বিশ্বাস করুন আঙ্কেল আমি মোটেও ভালো ছেলে নয়। আমি চার চারটা রিলেশন একই সাথে কন্টিনিউ করছি । তাছাড়া আমি খুব গরিব ঘরের ছেলে। গ্রামের বাড়িতে মা বাবা কোনো রকম একটা ভাঙ্গা ঘরে থাকছে। প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন। আপনার মেয়েকে অন্য একটা ভালো ছেলের সাথ বিয়ে দিন। প্রয়োজনে ভালো ছেলে আমি খুঁজে দিব।
: চুপ থাকো। আমার মেয়ের বিয়ে তোমার সাথেই হবে এবং আজ রাতেই হবে।
: আপনার মেয়েকে ডাকুন।
: কেনো?
: কার সাথে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন, তা কি মেয়ের দেখার অধিকার নেই? তাছাড়া জোর পূর্বক আমাকে কার সাথে বিয়ে করিয়ে দিচ্ছেন , সে অন্ধ, বোবা, নাকি ল্যাংড়া, আমারোতো দেখার অধিকার আছে।
: বাবা তুমি বেশি কথা বলো। আমার মেয়ে তোমাকে খুব বেশি পছন্দ করে। তাছাড়া আমার মেয়ে মাশাআল্লাহ খুব রূপবতী এবং সংসারী। ওর মা মারা যাওয়ার পর আমিই ওকে কোলে পিঠে করে বড় করেছি। এইযে এত বড় বাড়ি, পুরোটাই ও ঘুছিয়ে রাখছে।
: তারপরো.....
: আর কোনো কথা নেই। বিয়েটা আজ রাতেই হবে। তুমি চাইলে কালই তোমার মা বাবাকে এখানে নিয়ে আসতে পারবে।
লোকটা চলে গেলো।
আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। এসব কি হচ্ছে আমার সাথে। কিছুই বুঝতে পারছিনা। ওদিকে মিষ্টি কি অঘটন ঘটিয়ে বসে আছে আল্লাহই জানে। লোকটি বেরিয়ে যাবার পর আমি ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে দিয়ে দেখলাম জানালা, বারান্দা, ভেন্টিলেটার বা অন্য কোনো উপায়ে অন্য কোনো দিক দিয়ে পালানো যায় কিনা। ব্যার্থ হলাম। পালানোর কোনো উপায় নেই। আমি ঠিক এই মূহুর্তে শহরের কোন জাগায় আছি তাও বুঝতে পারছিনা। সারাজীবন দেখে আসলাম, শুনে আসলাম বিয়ের জন্য মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। আজই প্রথম ব্যতিক্রম দেখলাম, তাও আমার সাথেই ঘটলো ব্যাপারটা।
দরজায় কড়া নড়লো। দরজার ওপাশে আমি লোকটাকে নয়,ওনার মেয়েকে আশা করছিলাম। চাওয়া পূর্ণ হলো, দরজা খুলেই অসম্ভব সুন্দর একটা মেয়েকে দেখতে পেলাম। সাদা থ্রী পিস্ পড়া ছিলো মেয়েটা। মেয়েটা রুমে ঢুকার সাথে সাথেই রুমে আলো দ্বিগুন বৃদ্ধি পেলো। মিথ্যে বলবোনা, মেয়েটা আমার মিষ্টির চেয়েও অনেক বেশি সুন্দরী। এই সুন্দর বর্ণনা করার ভাষা আমার জানা নেই বলে বর্ণনা করলমনা। আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি তা দেখে মেয়েটা বললো,
: এভাবে তাকিয়ে থাকবেননা অভি।
: আমার নাম কি করে জানলেন?
: অভি আমার ভালোবাসার নাম। এই নামটার কারণেই আপনাকে তুলে আনা হয়েছে। আমি জানি এখান থেকে পালিয়ে যাবার জন্য আপনি অস্থির হয়ে আছেন। আমি আপনাকে এখান থেকে পালিয়ে যাবার জন্য সাহায্য করবো।
: আপনি না আমাকে ভালোবাসেন , আমাকে বিয়ে করে সংসার করতে চান, এমনটাইতো আপনার বাবা বললো। তাহলে....?
আমাকে থামিয়ে দিয়ে মেয়েটি যা বললো,
: হুম অভিকে আমি অনেক ভালোবাসতাম। কিন্তু সে অভি আপনি নয়।
: তাহলে...?
: সব এখনি বলা সম্ভব নয়। ওই যে ড্রয়ারটা খুলুন, ওখানে একটা ডায়েরী আছে , ওটাতে সব লিখা আছে। চাইলে সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন। কারণ এটা যতদিন এ বাসায় থাকবে ততদিন বাবা অভি নামের ছেলেদের তুলে নিয়ে আসবে আমার সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য। তাছাড়া ডায়েরীটা বাসা থেকে বের করতে পারলে আমার বাবা সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে।
: আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা। একটু বুঝিয়ে বলুন প্লিজ।
: আপনি না পালাতে চান এখান থেকে!
: হুম।
: তাহলে আমাকে অনুসরণ করে হাঠতে থাকুন।
আমার কাছে মেয়েটার আচরণ রহস্যজনক মনে হচ্ছিলো। কিছুই বুঝতে পারছিলামনা। মেয়েটাকে অনুসরণ করে হাঁটা শুরু করলাম। বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসেই মেয়েটাকে আবারো জিজ্ঞেস করলাম,
: কি হচ্ছে আমাকে বলবেন প্লিজ।
: এখনি বললে ভয় পেতে পারেন। আপনার পরিচিত রাস্তায় উঠুন তারপর বললে অতটা ভয় পাবেননা।
কথাটা শুনেই কেমন যেনো ভয় লেগে উঠলো। তাই আর কথা বলছিনা। মনে মনে দোয়া পড়ছিলাম। একটু পর মেয়েটা বলে উঠলো,
: জানেন, এই ডায়েরীটার জন্যই বাবা স্বভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছেনা।
: উনাকে দেখেতো অস্বাভাবিক মনে হয়নি।
: উনার এই স্বাভাবিকতাই একটা বিশাল অস্বাভাবিকতা। এর জন্য আমি এবং আমার ডায়েরীটাই দায়ী।
: আমি আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারছিনা।
: এইটাই মনে হয় আপনার বাসায় যাবার রাস্তা। ওইযে একটা রিকসা আসছে, ডেকে উঠে পড়ুন।
: আপনি যেতে পারবেন একা একা?
আমার এ প্রশ্নের উত্তরে মেয়েটা একটা হাসি দিয়ে বললো ,
: আমি ভয় পাইনা।
রিকসাটা কাছে আসতেই মেয়েটা আমাকে বললো,
: রিকসায় উঠে পড়ুন।
: আমার পরিচিত রাস্তায় আসার পরে কি যেনো বলবেন বলেছিলেন?
: এইযে আপনার হাতের ডায়েরীটাতে আমার সব লিখা আছে। আমি নিজেই লিখেছিলাম। বাবা যতবার আমার রুমে যায় ততবারই ডায়েরীটা পড়ে আর ততবারই তিনি অসুস্থ এবং অস্বাভাবিক হয়ে পড়েন। এরপর রুম থেকে বের হয়ে অভি নামের ছেলেটাকে খুঁজে বেড়ায়। অভি নামের কোনো ছেলের খোঁজ পেলে তাকে ছেলে পেলে দিয়ে বাসায় তুলে নিয়ে আসে আমার সাথে বিয়ে দিতে। উনার এরকম অস্বাভাবিকতার কারণে কিংবা কষ্ট পাওয়ার কারণে আমার মৃত আত্মা অভিশপ্ত হয়ে উঠেছে। আজ ডায়েরীটা আপনার হাতে তুলে দিতে পেরে আমার মৃত আত্মা শান্তি পাচ্ছে, অভিশপ্ততা থেকে আমি মুক্তি পাচ্ছি এবং বাবাও আজ থেকে স্বাভাবিকতা ফিরে পাবে।
আমি কথা গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম। যখনই মনে হলো, আমি একটা মেয়ে ভূতের সাথে সময় পার করছি, তখনই প্রচন্ড ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। মেয়েটা হাওয়ায় মিলিয়ে যাবার আগে শেষ যে কথাটি বলেছিলো,
“কখনো প্রিয়জনের হাতটি ছেড়ে দিবেননা এবং হাত ছাড়াও হতে দিবেননা। পরম মমতায় আগলে রাখবেন।”
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৮১২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৬/১১/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • গভীর ভাবনার অনবদ্য প্রকাশ।
 
Quantcast