www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

সঙ্গ নির্বাচন

একসময় এক আন্টি বলেছিলো যে আমি অনেক ভাগ্যবান যে একটা দ্বীনি জামাই পেয়েছি। যদিও আমি খোশমেজাজী ও গল্প গুজব পছন্দ করি, আমার স্বামী সেরকম টি একদমই নয়। আমি মাঝে মাঝে ফাঁকিবাজ ও বটে। নামাজে একটু আধটু ফাঁকি দিতে মন চাইলেও স্বামী ঘরে থাকলে তা পারি না। এইযে ধরেন ফজরের নামাজের কথাই বলি। আমি দেখি আমার স্বামী ঠিক সময় মতো নামাজ পড়ছে। আযান না দিতেই উঠে গেছে তখন আমার শুয়ে থাকতে লজ্জা করে। মনে হয় -ও নামাজ পড়বে আর আমি ঘুমাবো এটা কেমন দেখায়। তাই উঠে যাই। আবার যদি খুব সাজসজ্জা করে বের হতে মন চায় তাহলেও দেখি যে উনি খুব সাধাসিধে ভাবে একটা সাদা পাঞ্জাবী পড়ে আছেন। তার পাশে কি আমাকে বেশ রঙিন ঢঙিন পোশাক এ মানাবে? তখন আমি ও সাধাসিধে বোরকা পড়ে ওড়না পেঁচিয়ে ই বের হই। মাঝে মাঝে বিরক্তি লাগে কিন্তু কেমন জানি আত্মতৃপ্তি ও লাগে যে আমি অন্তত তার জন্য হলেও বিপথে যাই না। বা তার জন্যই অনেক বাজে কাজ থেকে বিরত থাকা হয়ে যায়। আর যদি তাকে কোন গাফিলতি করতে দেখি তখন বেশি কিছুই না, শুধু বললেই হয় কয়েকদিন ধরে আপনার মনোযোগ খুব কম এতেই ঠিক হয়ে যায় সে।

আরেকটা আন্টির গল্প শুনি তিনি বললেন আমার স্বামীকে জুম্মার নামাজ ও তাগাত করে পড়ানো যায় না। ফজর তো খুব দূরের কথা। আমার ইবাদত করতে খুব কষ্ট হয়। কোন অনুপ্রেরণা পাই না। কোন চাপ ও পাই না। একবার কোন নামাজ বাদ দিলে লজ্জা দেয়ার মতো ও কেও নেই। বরং যদি কোন অতিরিক্ত আমল করার সিদ্ধান্ত নেই সেটা ও নষ্ট হয় কারন তার সাথে থেকে তার অমনোযোগী আর বামপন্থী চালচলন আমাকে পথভ্ৰষ্ট করে ফেলে। তাকে ঘিরে থাকা দুশ্চিন্তা গুলি আমার ইবাদত করার পরেও শান্তি ও তৃপ্তি নষ্ট করে। সত্যি বলছি বোন স্বামী, স্ত্রীর উভয় এর দ্বীনদার ও নেককার হওয়া অনেক দরকার। দুইজন দুইজনের গাফিলতির সময় ঢাল বা প্রতিবন্ধক হতে পারে।

এই হচ্ছে একটা প্রবাদের যথার্থতা যে

"সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ"।
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৪৫৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১২/০৭/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • অনেক সুন্দর
  • ফয়জুল মহী ১২/০৭/২০২০
    Best wishes.
 
Quantcast