এক মুঠো স্মৃতি চারণ
কলেজগেটের পূর্ব পাশে খোলা জায়াগাটায় বসে
তোদের প্রত্যেককে আমি আজ আবার স্মরণ করছি ।...
নিলয় , প্রতিদিন কলেজ ছুটির পর কফি-হাউসের আড্ডায় জ্বলন্ত সিগারেট মুখে নীলাকে নিয়ে তোর সব ইয়ার্কি-ফাজলামো আমাকে এখনো চুপে চুপে অনেক হাসায় । তুই হয়ত সেসব ভেবে প্রতিরাতে এখন খুব কাদিস্ ! তোর মুখের সেই জ্বলন্ত সিগারেট এখন আমার মুখেও জ্বলে— জানিস্ , আজকাল আমি বড্ড বেশি সিগারেটখোর হয়ে উঠছি !
বুকের জমাট কষ্টগুলিকে কয়েকটা সুখটানে ছাই করে দেওয়ার আইডিয়াটা মন্দ নয় ।
পলক, তোর সেই ঝিলিক দিদির কী খবর ?
বাথরুমের আয়নায় নিজের চেহারাটা একবার দেখে নিয়ে চোখ বুজে নীরবে নীরবে তুই অগণিত বার যাকে ‘আই লাভ ইউ’ বলেছিস্ । আমার কানে এখনো বেজে উঠে ক্ষণে ক্ষণে তোর সেই নিঃশব্দ ভালোবাসার উচ্চারণ।
আচ্ছা পুলক, ঝিলিক দিদির সাথে কথা বলতে গেলে এখনো কি তোর সেই আগের মত ঠোঁট দুটি অবশ হয়ে আসে লজ্জায় ?
রেজা, ওরা সবাই তোকে ‘লম্পট’ ভেবে থুতু ছিটিয়েছে , কিন্তু আমি জানি—
মেয়েটার বুকে মাথা গুজে সেদিন তুই কোনো পাপ করিস্ নি; নিষিদ্ধ বাগিছার বেড়া ডিঙিয়ে বিশুদ্ধ প্রেমিকের মতন তুইও সন্ধান করেছিলি একটি সতেজ গোলাপের ।
কিন্তু... মাসুম , তবে কি অবশেষে মেঘলা আসে নি ? কোনদিনও কি আসবে না ? তবুও তোর অপেক্ষা । অপেক্ষায় অপেক্ষায় তোর চোখে এতদিনে হয়ত মরিচা ধরে গেছে !
না চান্দু, আর কোনো অপেক্ষা নয় । এবার উঠে পড় ।
জীবন তো একটাই— এ জীবন কারো অপেক্ষায় থেমে থাকা ঠিক নয় ।
আসির, বসুন্ধরা সিটির থার্ড ফ্লোরে তোর সেই অসহায় নতমুখ আমার বুকের মাঝখানে ঠিক যেন খেজুর কাঁটার মত বিঁধেছিল ! ব্যর্থ প্রেমের স্মৃতিগুলি মানুষকে এতটাই বিপন্ন করে তোলে— আমি আগে কখনো অনুভব করি নি !
রাসেল,কবির,রিপন— কতদিন হয়ে গেল তোদের সঙ্গে বাড়ি ফিরি নি !
আমাদের সেই বাড়ি ফেরার পথটাতে এখন নাকি শুধু দুরাশার ধুলো উড়ে ।
না, সঙ্গে কেউ নেই । অস্ফুটিত ভোরের আলোয় আমি একা
সেই খোলা জায়গাটায় বসে তোদের প্রত্যেককে স্মরণ করছি ।
তোদের প্রত্যেককে আমি আজ আবার স্মরণ করছি ।...
নিলয় , প্রতিদিন কলেজ ছুটির পর কফি-হাউসের আড্ডায় জ্বলন্ত সিগারেট মুখে নীলাকে নিয়ে তোর সব ইয়ার্কি-ফাজলামো আমাকে এখনো চুপে চুপে অনেক হাসায় । তুই হয়ত সেসব ভেবে প্রতিরাতে এখন খুব কাদিস্ ! তোর মুখের সেই জ্বলন্ত সিগারেট এখন আমার মুখেও জ্বলে— জানিস্ , আজকাল আমি বড্ড বেশি সিগারেটখোর হয়ে উঠছি !
বুকের জমাট কষ্টগুলিকে কয়েকটা সুখটানে ছাই করে দেওয়ার আইডিয়াটা মন্দ নয় ।
পলক, তোর সেই ঝিলিক দিদির কী খবর ?
বাথরুমের আয়নায় নিজের চেহারাটা একবার দেখে নিয়ে চোখ বুজে নীরবে নীরবে তুই অগণিত বার যাকে ‘আই লাভ ইউ’ বলেছিস্ । আমার কানে এখনো বেজে উঠে ক্ষণে ক্ষণে তোর সেই নিঃশব্দ ভালোবাসার উচ্চারণ।
আচ্ছা পুলক, ঝিলিক দিদির সাথে কথা বলতে গেলে এখনো কি তোর সেই আগের মত ঠোঁট দুটি অবশ হয়ে আসে লজ্জায় ?
রেজা, ওরা সবাই তোকে ‘লম্পট’ ভেবে থুতু ছিটিয়েছে , কিন্তু আমি জানি—
মেয়েটার বুকে মাথা গুজে সেদিন তুই কোনো পাপ করিস্ নি; নিষিদ্ধ বাগিছার বেড়া ডিঙিয়ে বিশুদ্ধ প্রেমিকের মতন তুইও সন্ধান করেছিলি একটি সতেজ গোলাপের ।
কিন্তু... মাসুম , তবে কি অবশেষে মেঘলা আসে নি ? কোনদিনও কি আসবে না ? তবুও তোর অপেক্ষা । অপেক্ষায় অপেক্ষায় তোর চোখে এতদিনে হয়ত মরিচা ধরে গেছে !
না চান্দু, আর কোনো অপেক্ষা নয় । এবার উঠে পড় ।
জীবন তো একটাই— এ জীবন কারো অপেক্ষায় থেমে থাকা ঠিক নয় ।
আসির, বসুন্ধরা সিটির থার্ড ফ্লোরে তোর সেই অসহায় নতমুখ আমার বুকের মাঝখানে ঠিক যেন খেজুর কাঁটার মত বিঁধেছিল ! ব্যর্থ প্রেমের স্মৃতিগুলি মানুষকে এতটাই বিপন্ন করে তোলে— আমি আগে কখনো অনুভব করি নি !
রাসেল,কবির,রিপন— কতদিন হয়ে গেল তোদের সঙ্গে বাড়ি ফিরি নি !
আমাদের সেই বাড়ি ফেরার পথটাতে এখন নাকি শুধু দুরাশার ধুলো উড়ে ।
না, সঙ্গে কেউ নেই । অস্ফুটিত ভোরের আলোয় আমি একা
সেই খোলা জায়গাটায় বসে তোদের প্রত্যেককে স্মরণ করছি ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জাহিদুর রহমান ০৫/০৩/২০১৫স্বাগতম
-
অ ০৩/০৩/২০১৫তারুণ্যে স্বাগতম ।