বাংলা বানান
একেবারে শুরুতেই বলে রাখি , এই লেখাটি পুরোপুরি সংগ্রহ করা। সুত্র : http://www.parabaas.com/ আমার কোনো কৃতিত্ব নেই , সামান্য সম্পাদনা করা ছাড়া।
১)তৎসম বি. বিণ. তার সদৃশ, তার মতো; (ব্যাক.) সংস্কৃত থেকে গৃহীত এবং বাংলা ভাষায় অবিকৃতরূপে প্রচলিত (তত্সম শব্দ-যেমন বিদ্যা, আলোক, চন্দ্র)।
২) তদ্ভব, তদ্-ভব [ tadbhaba, tad-bhaba ] বিণ. 1 তা থেকে উত্পন্ন; 2 (ব্যাক.) সংস্কৃত থেকে উত্পন্ন, কিন্তু প্রাকৃত ভাষায় এবং তা থেকে বাংলা ভাষায় ক্রমশ পরিবর্তিত রূপে প্রচলিত-যেমন বাং. হাত < প্রাকৃ. হত্থ < সং. হস্ত। [সং. তদ্ + √ ভূ + অ]।
আকাদেমির বানান সংস্কারে প্রধান প্রধান সিদ্ধান্তে কয়েকটি হল :
(বানান বিতর্ক — নেপাল মজুমদার সম্পাদিত, তৃতীয় সংস্করণ ২০০৭ পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি)
১) তৎসম শব্দের বানান :
যে-সব শব্দের প্রচলিত বানানে দীর্ঘ-ঈ দীর্ঘ-ঊ র বিকল্পও সংস্কৃতেই আছে সেগুলির ক্ষেত্রে হ্রস্ব-ই ব্যবহৃত হবে। যেমন — অবনি, গ্রন্থাবলি, শ্রেণি, উষা, উর্বশী ইত্যাদি। দুটি রূপকে পাশাপাশি চলতে দিলে শিক্ষার্থীর বিভ্রান্তি বাড়ে, আর বানান সরলীকরণের প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়।
শেষে বিসর্গ বাদ দিতে হবে। যেমন - ইতস্তত, ক্রমশ, প্রায়শ, বিশেষত ইত্যাদি।
রেফের তলায় ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব হবে না। যেমন - ধর্ম, কর্ম, সূর্য, আচার্য ইত্যাদি। এমনকি, 'কৃত্তিকা' উদ্ভূত হলেও 'কার্তিক' লেখা হবে।
অহংকার, শুভংকর ইত্যাদি হবে, কিন্তু বংগ, অংক, আকাংক্ষা হবে না।
২) অ-তৎসম শব্দের বানান :
কোথাও দীর্ঘ-ঈ-কার বা দীর্ঘ-ঊ-কার হবে না। যেমন — বাড়ি, পাখি, বাঘিনি, বাঙালি, নেতাজি, ফরাসি, ইংরেজি ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত, এ- উদ্যোগ সর্বপ্রথম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়েছিলেন। তাঁর 'সহজপাঠ'-এ দেখতে পাই পাখি, দিঘি ইত্যাদি বানান। সংস্কৃত 'পক্ষী' শব্দ থেকে উদ্ভুত তদ্ভব 'পাখি' বাংলায় হ্রস্ব উচ্চারণের কারণেই 'পাখী' হওয়া সঙ্গত নয়। তেমনই, 'দীর্ঘিকা' থেকে 'দিঘি'।
কি এবং কী কোথায় হবে? যে-সব প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' অথবা 'না' হবে সেগুলিতে 'কি' ব্যবহার্য। যেমন - তুমি কি কলকাতা যাবে? কিন্তু তুমি কী করছ?
তৎসম পূজা, পূর্ব, ধূলি, কিন্তু তদ্ভবে পুজো, পুব, ধুলো। কারণ বাঙালি এগুলির দীর্ঘ উচ্চারণ করে না।
ও-কারের ব্যবহার - বারো থেকে আঠারো, কালো, ভালো, ছোটো, বড়ো, ধারালো, সাজানো, লুকোবে ইত্যাদিতে এবং অনুজ্ঞায় ক্রিয়াপদের শেষের ব্যঞ্জনে, যেমন - বলো, করো, বোসো ইত্যাদি।
চলতি বাংলা উচ্চারণে 'গ' নেই বলে বাঙালি, আঙুল, ভাঙা লেখা হবে, কিন্তু 'গ' থাকার কারণে জঙ্গল, দাঙ্গা ইত্যাদি।
লুপ্ত অ-কারের (') ব্যবহার বিলুপ্ত করা হয়েছে। বাক্যের অর্থের উপর নির্ভর করে উচ্চারণ অ-কারান্ত কিংবা ও-কারান্ত হবে। যেমন - সে এই কথা বলে, তা বলে তুমিও কি তাই বলবে?
অ-তৎসম শব্দে ণত্ব বিধি খাটবে না। যেমন - অঘ্রান, মানিক, রানি, ব্রাউন, ফার্নিচার ইত্যাদি।
সব অ-তৎসম ও বিদেশি শব্দে ব্যবহৃত হবে দন্ত্যন্য-এ ট (ন্ট), দন্ত্যন্য-এ ঠ (ণ্ঠ), দন্ত্যন্য-এ ড (ন্ড)। যেমন - ক্যান্টিন, লণ্ঠন, লন্ডন; কিন্তু কন্টক, কণ্ঠ, মুণ্ড।
বিদেশি শব্দে 'ষ্ট' না লিখে 'স্ট' লিখতে হবে। যেমন - মাস্টার, স্টেশন, খ্রিস্ট ইত্যাদি।
এই পরিবর্তন প্রস্তাবের অনেকগুলিই গৃহীত হয়েছে, সংবাদপত্রে বা বইপত্রে যার নিদর্শন আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই সব সংস্কার সত্ত্বেও বাংলাভাষায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দের বানানের জটিলতা থেকে যাবে, এবং শিক্ষার্থীদের তা কষ্ট করেই শিখতে হবে। মুদ্রণেও যুক্ত অক্ষরের টাইপ কেস বেশ কিছু বজায় রাখতে হবে (যদিও প্রবন্ধ শুরুর 'কুজ্ঝটিকা' এখন লেখা হচ্ছে 'কুজ্ঝটিকা', এবং এরকম আরও কয়েকটি যুক্ত অক্ষর সম্বলিত শব্দ)। তবু অ-তৎসম শব্দে একই চেহারার 'যুক্তক' (ব্যঞ্জন+স্বরচিহ্ন) রাখার প্রস্তাব ও প্রয়াস অবশ্যই স্বাগত। বড়োদের কাছে শব্দগুলি একটু অন্যরকম ঠেকলেও ছাত্রছাত্রীরা এই নতুন রূপেই অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই পরিবর্তন দরকার। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন চাপরাশ না-থাকলে কেউ মান্য করবে না। তাই ব্যক্তিগত উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ আর সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা বাংলা বানানকে জটিলতার পাশ থেকে অনেকটা মুক্ত করবে এই আশা করা যায়।
যদি পড়ে একজনও উপকৃত হন , তবে আমার এ আহরণ সার্থক।
১)তৎসম বি. বিণ. তার সদৃশ, তার মতো; (ব্যাক.) সংস্কৃত থেকে গৃহীত এবং বাংলা ভাষায় অবিকৃতরূপে প্রচলিত (তত্সম শব্দ-যেমন বিদ্যা, আলোক, চন্দ্র)।
২) তদ্ভব, তদ্-ভব [ tadbhaba, tad-bhaba ] বিণ. 1 তা থেকে উত্পন্ন; 2 (ব্যাক.) সংস্কৃত থেকে উত্পন্ন, কিন্তু প্রাকৃত ভাষায় এবং তা থেকে বাংলা ভাষায় ক্রমশ পরিবর্তিত রূপে প্রচলিত-যেমন বাং. হাত < প্রাকৃ. হত্থ < সং. হস্ত। [সং. তদ্ + √ ভূ + অ]।
আকাদেমির বানান সংস্কারে প্রধান প্রধান সিদ্ধান্তে কয়েকটি হল :
(বানান বিতর্ক — নেপাল মজুমদার সম্পাদিত, তৃতীয় সংস্করণ ২০০৭ পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি)
১) তৎসম শব্দের বানান :
যে-সব শব্দের প্রচলিত বানানে দীর্ঘ-ঈ দীর্ঘ-ঊ র বিকল্পও সংস্কৃতেই আছে সেগুলির ক্ষেত্রে হ্রস্ব-ই ব্যবহৃত হবে। যেমন — অবনি, গ্রন্থাবলি, শ্রেণি, উষা, উর্বশী ইত্যাদি। দুটি রূপকে পাশাপাশি চলতে দিলে শিক্ষার্থীর বিভ্রান্তি বাড়ে, আর বানান সরলীকরণের প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়।
শেষে বিসর্গ বাদ দিতে হবে। যেমন - ইতস্তত, ক্রমশ, প্রায়শ, বিশেষত ইত্যাদি।
রেফের তলায় ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব হবে না। যেমন - ধর্ম, কর্ম, সূর্য, আচার্য ইত্যাদি। এমনকি, 'কৃত্তিকা' উদ্ভূত হলেও 'কার্তিক' লেখা হবে।
অহংকার, শুভংকর ইত্যাদি হবে, কিন্তু বংগ, অংক, আকাংক্ষা হবে না।
২) অ-তৎসম শব্দের বানান :
কোথাও দীর্ঘ-ঈ-কার বা দীর্ঘ-ঊ-কার হবে না। যেমন — বাড়ি, পাখি, বাঘিনি, বাঙালি, নেতাজি, ফরাসি, ইংরেজি ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত, এ- উদ্যোগ সর্বপ্রথম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়েছিলেন। তাঁর 'সহজপাঠ'-এ দেখতে পাই পাখি, দিঘি ইত্যাদি বানান। সংস্কৃত 'পক্ষী' শব্দ থেকে উদ্ভুত তদ্ভব 'পাখি' বাংলায় হ্রস্ব উচ্চারণের কারণেই 'পাখী' হওয়া সঙ্গত নয়। তেমনই, 'দীর্ঘিকা' থেকে 'দিঘি'।
কি এবং কী কোথায় হবে? যে-সব প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' অথবা 'না' হবে সেগুলিতে 'কি' ব্যবহার্য। যেমন - তুমি কি কলকাতা যাবে? কিন্তু তুমি কী করছ?
তৎসম পূজা, পূর্ব, ধূলি, কিন্তু তদ্ভবে পুজো, পুব, ধুলো। কারণ বাঙালি এগুলির দীর্ঘ উচ্চারণ করে না।
ও-কারের ব্যবহার - বারো থেকে আঠারো, কালো, ভালো, ছোটো, বড়ো, ধারালো, সাজানো, লুকোবে ইত্যাদিতে এবং অনুজ্ঞায় ক্রিয়াপদের শেষের ব্যঞ্জনে, যেমন - বলো, করো, বোসো ইত্যাদি।
চলতি বাংলা উচ্চারণে 'গ' নেই বলে বাঙালি, আঙুল, ভাঙা লেখা হবে, কিন্তু 'গ' থাকার কারণে জঙ্গল, দাঙ্গা ইত্যাদি।
লুপ্ত অ-কারের (') ব্যবহার বিলুপ্ত করা হয়েছে। বাক্যের অর্থের উপর নির্ভর করে উচ্চারণ অ-কারান্ত কিংবা ও-কারান্ত হবে। যেমন - সে এই কথা বলে, তা বলে তুমিও কি তাই বলবে?
অ-তৎসম শব্দে ণত্ব বিধি খাটবে না। যেমন - অঘ্রান, মানিক, রানি, ব্রাউন, ফার্নিচার ইত্যাদি।
সব অ-তৎসম ও বিদেশি শব্দে ব্যবহৃত হবে দন্ত্যন্য-এ ট (ন্ট), দন্ত্যন্য-এ ঠ (ণ্ঠ), দন্ত্যন্য-এ ড (ন্ড)। যেমন - ক্যান্টিন, লণ্ঠন, লন্ডন; কিন্তু কন্টক, কণ্ঠ, মুণ্ড।
বিদেশি শব্দে 'ষ্ট' না লিখে 'স্ট' লিখতে হবে। যেমন - মাস্টার, স্টেশন, খ্রিস্ট ইত্যাদি।
এই পরিবর্তন প্রস্তাবের অনেকগুলিই গৃহীত হয়েছে, সংবাদপত্রে বা বইপত্রে যার নিদর্শন আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই সব সংস্কার সত্ত্বেও বাংলাভাষায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দের বানানের জটিলতা থেকে যাবে, এবং শিক্ষার্থীদের তা কষ্ট করেই শিখতে হবে। মুদ্রণেও যুক্ত অক্ষরের টাইপ কেস বেশ কিছু বজায় রাখতে হবে (যদিও প্রবন্ধ শুরুর 'কুজ্ঝটিকা' এখন লেখা হচ্ছে 'কুজ্ঝটিকা', এবং এরকম আরও কয়েকটি যুক্ত অক্ষর সম্বলিত শব্দ)। তবু অ-তৎসম শব্দে একই চেহারার 'যুক্তক' (ব্যঞ্জন+স্বরচিহ্ন) রাখার প্রস্তাব ও প্রয়াস অবশ্যই স্বাগত। বড়োদের কাছে শব্দগুলি একটু অন্যরকম ঠেকলেও ছাত্রছাত্রীরা এই নতুন রূপেই অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই পরিবর্তন দরকার। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন চাপরাশ না-থাকলে কেউ মান্য করবে না। তাই ব্যক্তিগত উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ আর সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা বাংলা বানানকে জটিলতার পাশ থেকে অনেকটা মুক্ত করবে এই আশা করা যায়।
যদি পড়ে একজনও উপকৃত হন , তবে আমার এ আহরণ সার্থক।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ১০/০৩/২০১৮Good Job.
-
আকাশ চট্টোপাধ্যায় ১৯/০৬/২০১৬সত্যি, এই দলে না এলে জানতাম না আপনার মতো বাংলা ভাষাপ্রেমী আছেন। আজকাল লোকে পড়ে কম্; চোখ বোলায় বেশি। তাই যেন-তেন-প্রকারেণ ভাবপ্রকাশের হুড়োহুড়ি।
তবে, ভাষা যে হেতু বহতা নদীর মতো তাই আমার কিছু বক্তব্য আছে। বৈয়াকরণিকের গণ্ডী পেরোনোটাও ভাষারই ধর্ম, যে কারণে ল্যাটিন, সংস্কৃত থেকে অসংখ্য উপভাষা বেরিয়েছে এবং প্রত্যেকটি উপভাষাই তার বিন্যাসের স্বপক্ষে ব্যাকরণ সাজিয়েছে, যা ক্রমাগত পরিমার্জিত হয়েছে সমাজের চাহিদা অনুযায়ী।
তা হলে রাখব কী আর ছাড়ব কী? এ প্রসঙ্গে আমি একটি স্থূল গা-জোয়ারির উদাহরণ দিতে পারি। একটি সর্বজনপ্রিয় প্রকাশন সংস্থার লেখকদের নিয়মাবলীতে বিবিধ "হাউস পলিসি"-র মধ্যে এক জায়গায় বলা ছিল, সমস্ত চৌধুরি পদবিতে হ্রস্ব-ই লিখতে হবে, শুধু অমুক চৌধুরীর বেলায় লিখতে হবে দীর্ঘ ঈ, কারণ তিনি জনপ্রিয় এবং পাঠকরা তাঁকে সেই বানানেই চেনে। সেখানে তরুণ এক লেখক প্রশ্ন করেছিল, তাহলে মণি চোধুরীর বেলায় কী হবে? অথবা ফুটবলার সমরেশ চৌধুরী? তাঁরাও তো দারুণ জনপ্রিয়! উত্তর পায়নি সেই তরুণটি, উল্টে বিরাগভাজন হয়েছিল সেই জনপ্রিয় লেখকের, যিনি আবার সেই প্রকাশন সংস্থায় তখন সশরীরে বিরাজমান!
সুতরাং, আরোপিত বানান চলতে দেওয়া যায় না। আজও দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের রূপকথায় 'রাণী' বানানটি যে কল্পলোকে নিয়ে যেত, আজকের 'রানি' বানানটি তা মোটেই পারে না। তাই কোন ব্যাকরণ ঠিক? নানান রকম পঞ্জিকার নানা মতের মতন, চলন্তিকা না শব্দকোষ, না কি হাউস পলিসি? কার কথা শুনব? একটি প্রকাশনের ফরমান, যাবতীয় বিদেশি শব্দ ও রাষ্ট্রের নামে হ্রস্ব-ই ব্যবহার করতে হবে, অন্য একটির ফরমান, শব্দের ব্যাপ্তি অনুযায়ী ব্যাপারটা ঠিক করতে হবে। সুতরাং, এক জায়গায় চিন দেশ তো অন্য জায়গায় চীন দেশ হবে। তবে? যস্মিন দেশে যদাচার...। -
আজিজুল হক ওয়াসিম ২০/০১/২০১৬চমৎকার
-
মনিরুজ্জামান শুভ্র ১৩/০১/২০১৬চমৎকার একটি লেখা দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ ।
-
মনিরুজ্জামান রাফি ১১/০১/২০১৬অতি কিছু কথা কিছু কথা জানলাম ধন্যবাদ কবি
-
শিস খন্দকার ১০/০১/২০১৬ধন্যবাদ!
-
নির্ঝর ৩১/১২/২০১৫সহমত