সে তো এল না
বউ বললো, " পাশের বাড়ীর বিপিনদার লক্ষণ ভালো নয় । প্রেমে ট্রেমে পড়েনি তো !" যদিও অনেক বছর বিয়ে হয়েছে তবুও এখনো বৌএর কথায় মাঝে মাঝে চমকাতে হয়। সক্কাল সক্কাল চায়ের কাপটা ভাগ্যিস খালি হয়েছিল, না হলে যাতা কান্ড হয়ে যেত।
বিপিনদা আর প্রেম , কোনো সুস্থ মানুষ ভাবতে পারে ? অবশ্য সুস্থ মানুষ যা যা ভাবতে পারেনা , আমার বউ তা পারে। যেহেতু , আমার লেখার বিষয় বিপিনদা , আমার বউ নয় তাই গল্পের অভিমুখটাকে বিপিনদার দিকে ঘোরাতে বাধ্য হলাম। বিপিনদার বয়েসটা এখন রিটায়ারমেন্টের দপ্তরে পাজামা সেলাই করাচ্ছে , আর চেহারা - সে যাক , প্রেম তো অন্ধ। অন্ধ হলেও , বোবা কালা তো নয়।
বেশীক্ষণ অপেক্ষা করে থাকতে হলনা। আমার বউ কোনো কথা বেশী সময় নিজের করে রাখতে পারে না। তাই বিনাশ্রমে সন্দেহের কারনটা জানা গেল।
"জানো , বিপিনদা, আজকাল অফিস থেকে ফিরে এসে রোজ জানালার ধারে বসে গান ধরে, 'সে তো এল না, এলো না' । সরকারী চাকরি করে , অফিস থেকে ফিরে এত পুলক জাগে কোথা থেকে ? "
এমনিতেই বিবাহের পঁচিশ বছর পর , বিবাহিত পুরুষের গলা দিয়ে অকারণ পুলকে গান বের হবে ? না: ব্যাপারটা তাহলে দেখতে হচ্ছে ।
পরের দিন সুযোগ বুঝে বিপিনদাকে পাকড়াও করলাম । বিপিনদার গানের গলাটা নেহাত মন্দ নয়। কিন্তু একই লাইনে আটকে থাকাটা আমারো কেমন একটু অদ্ভুত লাগলো। কেনরে বাপু গানের কি অন্য লাইন নেই ? বা কিশোর কুমার কি অন্য গান গায়নি , যে একই লাইন হযবরলর ন্যাড়ার মত বারবার গাইতে হবে !
কৌতুহল চেপে না রেখে বললাম , "দাদা , হঠাৎ এই গান ধরেছো যে ? কার জন্যে ? মানে এই যে এলো না, সে কে এলো না ।"
বিপিনদা কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর ধীরে ধীরে বললেন , " কেউ তো এলোনা ভাই। এলো না আমার মেয়ের বিয়ের সম্বন্ধ, এলোনা ছেলের চাকরী, এলোনা আমার বউএর আরোগ্য - কেউ তো এলোনা"
হারালো কি আঁধারেতে ? জানি না , সত্যি জানি না।
বিপিনদা আর প্রেম , কোনো সুস্থ মানুষ ভাবতে পারে ? অবশ্য সুস্থ মানুষ যা যা ভাবতে পারেনা , আমার বউ তা পারে। যেহেতু , আমার লেখার বিষয় বিপিনদা , আমার বউ নয় তাই গল্পের অভিমুখটাকে বিপিনদার দিকে ঘোরাতে বাধ্য হলাম। বিপিনদার বয়েসটা এখন রিটায়ারমেন্টের দপ্তরে পাজামা সেলাই করাচ্ছে , আর চেহারা - সে যাক , প্রেম তো অন্ধ। অন্ধ হলেও , বোবা কালা তো নয়।
বেশীক্ষণ অপেক্ষা করে থাকতে হলনা। আমার বউ কোনো কথা বেশী সময় নিজের করে রাখতে পারে না। তাই বিনাশ্রমে সন্দেহের কারনটা জানা গেল।
"জানো , বিপিনদা, আজকাল অফিস থেকে ফিরে এসে রোজ জানালার ধারে বসে গান ধরে, 'সে তো এল না, এলো না' । সরকারী চাকরি করে , অফিস থেকে ফিরে এত পুলক জাগে কোথা থেকে ? "
এমনিতেই বিবাহের পঁচিশ বছর পর , বিবাহিত পুরুষের গলা দিয়ে অকারণ পুলকে গান বের হবে ? না: ব্যাপারটা তাহলে দেখতে হচ্ছে ।
পরের দিন সুযোগ বুঝে বিপিনদাকে পাকড়াও করলাম । বিপিনদার গানের গলাটা নেহাত মন্দ নয়। কিন্তু একই লাইনে আটকে থাকাটা আমারো কেমন একটু অদ্ভুত লাগলো। কেনরে বাপু গানের কি অন্য লাইন নেই ? বা কিশোর কুমার কি অন্য গান গায়নি , যে একই লাইন হযবরলর ন্যাড়ার মত বারবার গাইতে হবে !
কৌতুহল চেপে না রেখে বললাম , "দাদা , হঠাৎ এই গান ধরেছো যে ? কার জন্যে ? মানে এই যে এলো না, সে কে এলো না ।"
বিপিনদা কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর ধীরে ধীরে বললেন , " কেউ তো এলোনা ভাই। এলো না আমার মেয়ের বিয়ের সম্বন্ধ, এলোনা ছেলের চাকরী, এলোনা আমার বউএর আরোগ্য - কেউ তো এলোনা"
হারালো কি আঁধারেতে ? জানি না , সত্যি জানি না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৮/০৮/২০১৭ভাল লেখা।
-
শ্রীরূপা লাহিড়ি ০৭/০৫/২০১৬খুব ভালো লাগলো।
-
সীমা সান্যাল ২২/০১/২০১৬দারুন দারুন।।।।
আমার লেখায় আপনার সমালোচনা আমায় অনুপ্রেরণা দেয় -
অজিতেশ নাগ ০৮/০১/২০১৬সরেস গপ্প। তবে কিছু এলো না বলেই তো গান এলো। সব পেলে যে নষ্ট জীবন। হাঃ হাঃ হাঃ
-
মাহাবুব ২২/১২/২০১৫বাহ দারুন ভালো।
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ০৩/১২/২০১৫বাহ দারুন
-
নির্ঝর ০৬/১১/২০১৫অপেক্ষায় থেকো
-
মৌলী দাস ০৬/১১/২০১৫বিয়ের ২৫ বছর পর স্বামীর গলায় সত্যি কি পুলকিত সুর আসে না ?গল্প গল্পের মতই ভাল লাগল।
-
অভিষেক মিত্র ০৬/১১/২০১৫হা হা।
দারুণ!