চোরকাঁটা - ৪র্থ পর্ব
( আগের সংখ্যার পর )
অর্ক এবারে সোজা হয়ে বসে বলল – কি হয়েছে সেটা যদি আমাদের একটু খুলে বলেন। কাকলি বউদি গলাটা একবার কেশে, আমাদের দিকে ঝুঁকে পড়ে বললেন, আর বোলো না, ওই যে মেয়েটি, যার লাশ পাওয়া গেছে, তার ব্যাপারে। কথাটা শুনেই আমাদের চোখ কুঁচকে গেলো। অর্কর চোখ দুটো চিকচিক করে উঠলো, পরিষ্কার দেখতে পেলাম।
ওদিকে বউদি বলে চলেছেন – সেদিন বিকেলে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, আরে যেদিন কে মেয়েটি নিখোঁজ হল, সেদিন আমি ওকে একটি অচেনা ছেলের সাথে যেতে দেখেছিলাম, বাজারের পাশের রাস্তা দিয়ে। আমি ওখানে গনেশ ভাণ্ডারে আমার ছেলের জন্য স্কুলের ওয়ার্ক এডুকেশনের জিনিস কিনতে গিয়েছিলাম, বুঝতেই পারছ সব দিক দেখতে হবে তো, তা তখনই দেখলাম, প্রথমে মেয়েটি দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছিল আমাদের পরাণের দোকানে, তারপর ফুচকা খাওয়া শেষ হলে, ও গলির ভিতরে চলে এলো, আর ওইখানেই সেই ছেলেটি অপেক্ষা করছিল যেন মনে হল ওর জন্য। মেয়েটি আসতেই, দুজনের চোখে চোখে কি যেন ইশারা হল, আর তারপর ছেলেটি গলি দিয়ে অটোস্ট্যান্ড এর দিকে এগিয়ে গেল, আর তার পিছু পিছু মেয়েটিও। আমি ভেবেছিলাম, আজকালকার মেয়ে তো, প্রেম-ট্রেম হবে বোধহয়। তাই আর কিছু ভাবি নি। কিন্তু কি বল, কি থেকে কি হয়ে গেল, মেয়েটিকে শেষ করে দিল ? বুঝতেই পারছ, আমিও তো মা, নিজেরও একটি ছেলে আছে, তাই বুঝতে পারছি না, পুলিশ কে একথা বললে কোনও লাভ হবে, নাকি তোমরাই ...
অর্ক এতক্ষন মন দিয়ে বউদির কথা শুনছিল আর নোট করছিল, এবারে সে বউদির দিকে তাকিয়ে বলল – আচ্ছা বউদি আপনি ঠিক কখন মুকুলিকাকে দেখেছিলেন, মানে বিকেল ঠিক কটা ? কাকলি বউদি চোখদুটি কুঁচকে বলে উঠলেন, তা তোমার বিকেল সাড়ে ছটা হবে। ওরা ঠিক আমাদের বাড়ির সামনে মিঃ পাকরাশীদের বাড়িতে ভাড়া এসেছে, দেখেছি। ওর মায়ের কথা ভেবে সত্যি কষ্ট হচ্ছে। কি সুন্দর ফুটফুটে দেখতে ছিল মেয়েটা।
আচ্ছা তখন কি ওর ফুচকা খাওয়া হয়ে গিয়েছিল? অর্কর দ্বিতীয় প্রশ্ন ... বউদি আবার একটু ভেবে বললেন, হ্যাঁ ওই আর কি, আমি যখন ওখানে যাই, তখন ও ফুচকা খাচ্ছিল।
হুম, অর্ক একটা শ্বাস নিয়ে বলল – তাহলে যা মানে দাঁড়াচ্ছে, তা হল, মুকুলিকা নামক মেয়েটি বিকেল সাড়ে ছটার সময়ে ফুচকা খেয়ে, অপেক্ষারত ছেলেটির কাছে যায়, আর তারপর মোটামুটি পৌনে-সাতটা থেকে সাতটার মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়। এখানে মূল সাসপেকট হল সেই অপরিচিত ছেলেটি। আমি লক্ষ্য করেছিলাম, অর্কর প্রতিটি কথায়, বউদি ঘাড় হেলিয়ে সায় দিয়ে যাচ্ছিল। অনেকক্ষণ ধরে আমার পেটের ভিতরটা গুড়গুড় করছিল, তাই এবারে আমি জিজ্ঞাসা করে বসলাম – আচ্ছা বউদি আপনি তো ওই ছেলে্টাকে দেখেছিলেন, কেমন দেখতে ছেলেটাকে সেটা পুলিশকে বলতে পারবেন ? বউদি আমাদের হতাশ করে বলে উঠলেন, সরি, ভাই, ছেলেটাকে আমি পিছন থেকে দেখেছিলাম। তাই মুখ খেয়াল করিনি। তবে, সে একটা লাল রঙ এর জামা পরেছিল এটা বলতে পারি, আর চেহারা বলতে ওই একটু রোগা রোগা মার্কা। আর বেশি কিছু খেয়াল করতে পারি নি।
আচ্ছা বউদি, আপনি তো জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন তাই না? তো মুকুলিকা কে আপনি নজর করলেন কি করে? আমি যতদূর জানি, গণেশ ভাণ্ডার থেকে খুব সহজে পরাণদার দোকান নজর করা যায় না, অর্কর এবার একটু টেড়া প্রশ্ন... কাকলি বউদি একটু চুপ করে তারপর বললেন, মেয়েদের চোখ বাবা, ও তোমরা বুঝবে না, আমি ঠিক লক্ষ্য করেছি। এইটুকুনই মেয়ে, মা – বাবা এত কষ্ট করে বড় করছে, আর তুই একটা এরকম ছেলের সাথে হাঁটা দিলি? আমি সাথে সাথে প্রশ্ন জুড়ে দিলাম – ওর বাবা কি করে আপনি জানেন? কাকলি বউদি হেসে বললেন, ও বাবা তা জানব না আবার, ওর বাবা ট্যাক্সি চালায়।
অর্ক এবারে হেসে বলে উঠল, এলেম আছে বউদি আপনার, সবে সাত- দশদিন হল ওরা এই পাড়াতে ভাড়া এসেছে, আর এর মধ্যেই আপনি এত খবর সংগ্রহ করে নিলেন... বউদি কথাটাতে হাসবে না রাগ করবে বুঝে উঠতে না পেরে বলে উঠলেন, তাহলে বল, আমিও গোয়েন্দাদের থেকে কিছু কম যাই না, তোমরা আমাকে তোমাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট করতে পার, সবার পেটের খবর এমন ভাবে বের করে আনব যে সে বুঝতেও পারবে না আমি কি জানতে চেয়েছিলাম আর সে কি উত্তর দিয়েছে।
আমরা তিনজনেই হো হো করে হেসে উঠলাম। কাকলি বউদি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আচ্ছা আজ চলি, তোমাদের আর সময় নষ্ট করব না আজ, তোমাদের তো আবার মুকুলিকার বাবা – মায়ের সাথে অ্যাপো আছে এখন কি তাই না ? বলেই ছোট্ট করে একটা চোখ টিপে অর্কর দিকে তাকিয়ে হাসলেন।
হুম, অর্ক শুষ্ক একটা হাসি হেসে বলল, ও তার মানে আপনিই ওনাদেরকে আমাদের কথা বলেছেন, এবারে সেটা বেশ বুঝতে পারছি। কাকলি বউদি উত্তরে মিষ্টি করে হেসে বলে উঠলেন, বা বা তোমার সত্যি প্রশংসা করতে হয়, যাই হোক, তোমাদের সাথে কথা বলে বড় ভাল লাগল, খোলা নিমন্তন্ন রইল আমার তরফ থেকে, মাঝে মাঝে এস আমার বাড়ি, জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যাবে। আমি প্রস্তাবটা শুনে লুফে নিয়ে বললাম – নিশ্চয়ই বউদি, সে আর বলতে,
অর্ক বলল – আচ্ছা যে জন্য এসেছিলেন, সেটাইত বলা হল না, চললেন কোথায়? আমার মনে হয়, এ কথাগুলো আপনার পুলিশকেই বলা উচিত। আফটার অল ওরাই তো তদন্ত করছে, এতে ওনাদের সুবিধা হবে, এবং সেই ছেলেটিকেও খুঁজে পাওয়া যাবে। বউদি একটু বিষণ্ণ হয়ে বলে উঠলেন, ও তাই নাকি, আচ্ছা, তাই বলব, তবে আমি ভেবেছিলাম হয়ত তোমরাই কিছু করতে পারবে, পুলিশএর উপরে তো কারোর বিশেষ ভরসা নেই, তাই আর কি।
অর্ক বলল – তাও আপনার এটা পুলিশ কে একবার জানানো উচিত। আমরা আমাদের মতো করে খুঁজব আর ওরা ওদের মতো, যেভাবেই হোক আসল কালপ্রিট কে বার করলেই হল। আচ্ছা বউদি নমস্কার, ওনাদের মনে হয় আসার সময় হয়ে এসেছে, তবে নিশিন্ত থাকুন, যখনই প্রয়োজন হবে, আমরা আপনার সাহায্য নেব, কোনও আপত্তি নেই তো?
বউদির হাসিটা আরও চওড়া হয়ে গেল অর্কর এই কথাতে, বললেন, - নিশ্চয়ই, তবে তখনই যদি তোমরা আমার বাড়ি তে আস। আমরা ঘাড় নেড়ে সায় দেওয়ায়, কাওলি বউদি তখনকার মতো প্রস্থান করলেন।
আমি ঘড়ি দেখে লাফিয়ে উঠে বললাম – ওরে বাবা, এত সাতটা প্রায় বাজে, চল, তাড়াতাড়ি এক কাপ চা আর সিগারেট খেয়ে নি, আবার আর এক প্রস্থ শুরু হল বলে। অর্ক কিছু একটা চিন্তা করছিল, আমার কথা শুনে বলে উঠল – ঠিক বলেছিস, একটু বুদ্ধির গোঁড়ায় ধোঁয়া দেওয়া দরকার, চল।
( চলবে )
অর্ক এবারে সোজা হয়ে বসে বলল – কি হয়েছে সেটা যদি আমাদের একটু খুলে বলেন। কাকলি বউদি গলাটা একবার কেশে, আমাদের দিকে ঝুঁকে পড়ে বললেন, আর বোলো না, ওই যে মেয়েটি, যার লাশ পাওয়া গেছে, তার ব্যাপারে। কথাটা শুনেই আমাদের চোখ কুঁচকে গেলো। অর্কর চোখ দুটো চিকচিক করে উঠলো, পরিষ্কার দেখতে পেলাম।
ওদিকে বউদি বলে চলেছেন – সেদিন বিকেলে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, আরে যেদিন কে মেয়েটি নিখোঁজ হল, সেদিন আমি ওকে একটি অচেনা ছেলের সাথে যেতে দেখেছিলাম, বাজারের পাশের রাস্তা দিয়ে। আমি ওখানে গনেশ ভাণ্ডারে আমার ছেলের জন্য স্কুলের ওয়ার্ক এডুকেশনের জিনিস কিনতে গিয়েছিলাম, বুঝতেই পারছ সব দিক দেখতে হবে তো, তা তখনই দেখলাম, প্রথমে মেয়েটি দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছিল আমাদের পরাণের দোকানে, তারপর ফুচকা খাওয়া শেষ হলে, ও গলির ভিতরে চলে এলো, আর ওইখানেই সেই ছেলেটি অপেক্ষা করছিল যেন মনে হল ওর জন্য। মেয়েটি আসতেই, দুজনের চোখে চোখে কি যেন ইশারা হল, আর তারপর ছেলেটি গলি দিয়ে অটোস্ট্যান্ড এর দিকে এগিয়ে গেল, আর তার পিছু পিছু মেয়েটিও। আমি ভেবেছিলাম, আজকালকার মেয়ে তো, প্রেম-ট্রেম হবে বোধহয়। তাই আর কিছু ভাবি নি। কিন্তু কি বল, কি থেকে কি হয়ে গেল, মেয়েটিকে শেষ করে দিল ? বুঝতেই পারছ, আমিও তো মা, নিজেরও একটি ছেলে আছে, তাই বুঝতে পারছি না, পুলিশ কে একথা বললে কোনও লাভ হবে, নাকি তোমরাই ...
অর্ক এতক্ষন মন দিয়ে বউদির কথা শুনছিল আর নোট করছিল, এবারে সে বউদির দিকে তাকিয়ে বলল – আচ্ছা বউদি আপনি ঠিক কখন মুকুলিকাকে দেখেছিলেন, মানে বিকেল ঠিক কটা ? কাকলি বউদি চোখদুটি কুঁচকে বলে উঠলেন, তা তোমার বিকেল সাড়ে ছটা হবে। ওরা ঠিক আমাদের বাড়ির সামনে মিঃ পাকরাশীদের বাড়িতে ভাড়া এসেছে, দেখেছি। ওর মায়ের কথা ভেবে সত্যি কষ্ট হচ্ছে। কি সুন্দর ফুটফুটে দেখতে ছিল মেয়েটা।
আচ্ছা তখন কি ওর ফুচকা খাওয়া হয়ে গিয়েছিল? অর্কর দ্বিতীয় প্রশ্ন ... বউদি আবার একটু ভেবে বললেন, হ্যাঁ ওই আর কি, আমি যখন ওখানে যাই, তখন ও ফুচকা খাচ্ছিল।
হুম, অর্ক একটা শ্বাস নিয়ে বলল – তাহলে যা মানে দাঁড়াচ্ছে, তা হল, মুকুলিকা নামক মেয়েটি বিকেল সাড়ে ছটার সময়ে ফুচকা খেয়ে, অপেক্ষারত ছেলেটির কাছে যায়, আর তারপর মোটামুটি পৌনে-সাতটা থেকে সাতটার মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়। এখানে মূল সাসপেকট হল সেই অপরিচিত ছেলেটি। আমি লক্ষ্য করেছিলাম, অর্কর প্রতিটি কথায়, বউদি ঘাড় হেলিয়ে সায় দিয়ে যাচ্ছিল। অনেকক্ষণ ধরে আমার পেটের ভিতরটা গুড়গুড় করছিল, তাই এবারে আমি জিজ্ঞাসা করে বসলাম – আচ্ছা বউদি আপনি তো ওই ছেলে্টাকে দেখেছিলেন, কেমন দেখতে ছেলেটাকে সেটা পুলিশকে বলতে পারবেন ? বউদি আমাদের হতাশ করে বলে উঠলেন, সরি, ভাই, ছেলেটাকে আমি পিছন থেকে দেখেছিলাম। তাই মুখ খেয়াল করিনি। তবে, সে একটা লাল রঙ এর জামা পরেছিল এটা বলতে পারি, আর চেহারা বলতে ওই একটু রোগা রোগা মার্কা। আর বেশি কিছু খেয়াল করতে পারি নি।
আচ্ছা বউদি, আপনি তো জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন তাই না? তো মুকুলিকা কে আপনি নজর করলেন কি করে? আমি যতদূর জানি, গণেশ ভাণ্ডার থেকে খুব সহজে পরাণদার দোকান নজর করা যায় না, অর্কর এবার একটু টেড়া প্রশ্ন... কাকলি বউদি একটু চুপ করে তারপর বললেন, মেয়েদের চোখ বাবা, ও তোমরা বুঝবে না, আমি ঠিক লক্ষ্য করেছি। এইটুকুনই মেয়ে, মা – বাবা এত কষ্ট করে বড় করছে, আর তুই একটা এরকম ছেলের সাথে হাঁটা দিলি? আমি সাথে সাথে প্রশ্ন জুড়ে দিলাম – ওর বাবা কি করে আপনি জানেন? কাকলি বউদি হেসে বললেন, ও বাবা তা জানব না আবার, ওর বাবা ট্যাক্সি চালায়।
অর্ক এবারে হেসে বলে উঠল, এলেম আছে বউদি আপনার, সবে সাত- দশদিন হল ওরা এই পাড়াতে ভাড়া এসেছে, আর এর মধ্যেই আপনি এত খবর সংগ্রহ করে নিলেন... বউদি কথাটাতে হাসবে না রাগ করবে বুঝে উঠতে না পেরে বলে উঠলেন, তাহলে বল, আমিও গোয়েন্দাদের থেকে কিছু কম যাই না, তোমরা আমাকে তোমাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট করতে পার, সবার পেটের খবর এমন ভাবে বের করে আনব যে সে বুঝতেও পারবে না আমি কি জানতে চেয়েছিলাম আর সে কি উত্তর দিয়েছে।
আমরা তিনজনেই হো হো করে হেসে উঠলাম। কাকলি বউদি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আচ্ছা আজ চলি, তোমাদের আর সময় নষ্ট করব না আজ, তোমাদের তো আবার মুকুলিকার বাবা – মায়ের সাথে অ্যাপো আছে এখন কি তাই না ? বলেই ছোট্ট করে একটা চোখ টিপে অর্কর দিকে তাকিয়ে হাসলেন।
হুম, অর্ক শুষ্ক একটা হাসি হেসে বলল, ও তার মানে আপনিই ওনাদেরকে আমাদের কথা বলেছেন, এবারে সেটা বেশ বুঝতে পারছি। কাকলি বউদি উত্তরে মিষ্টি করে হেসে বলে উঠলেন, বা বা তোমার সত্যি প্রশংসা করতে হয়, যাই হোক, তোমাদের সাথে কথা বলে বড় ভাল লাগল, খোলা নিমন্তন্ন রইল আমার তরফ থেকে, মাঝে মাঝে এস আমার বাড়ি, জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যাবে। আমি প্রস্তাবটা শুনে লুফে নিয়ে বললাম – নিশ্চয়ই বউদি, সে আর বলতে,
অর্ক বলল – আচ্ছা যে জন্য এসেছিলেন, সেটাইত বলা হল না, চললেন কোথায়? আমার মনে হয়, এ কথাগুলো আপনার পুলিশকেই বলা উচিত। আফটার অল ওরাই তো তদন্ত করছে, এতে ওনাদের সুবিধা হবে, এবং সেই ছেলেটিকেও খুঁজে পাওয়া যাবে। বউদি একটু বিষণ্ণ হয়ে বলে উঠলেন, ও তাই নাকি, আচ্ছা, তাই বলব, তবে আমি ভেবেছিলাম হয়ত তোমরাই কিছু করতে পারবে, পুলিশএর উপরে তো কারোর বিশেষ ভরসা নেই, তাই আর কি।
অর্ক বলল – তাও আপনার এটা পুলিশ কে একবার জানানো উচিত। আমরা আমাদের মতো করে খুঁজব আর ওরা ওদের মতো, যেভাবেই হোক আসল কালপ্রিট কে বার করলেই হল। আচ্ছা বউদি নমস্কার, ওনাদের মনে হয় আসার সময় হয়ে এসেছে, তবে নিশিন্ত থাকুন, যখনই প্রয়োজন হবে, আমরা আপনার সাহায্য নেব, কোনও আপত্তি নেই তো?
বউদির হাসিটা আরও চওড়া হয়ে গেল অর্কর এই কথাতে, বললেন, - নিশ্চয়ই, তবে তখনই যদি তোমরা আমার বাড়ি তে আস। আমরা ঘাড় নেড়ে সায় দেওয়ায়, কাওলি বউদি তখনকার মতো প্রস্থান করলেন।
আমি ঘড়ি দেখে লাফিয়ে উঠে বললাম – ওরে বাবা, এত সাতটা প্রায় বাজে, চল, তাড়াতাড়ি এক কাপ চা আর সিগারেট খেয়ে নি, আবার আর এক প্রস্থ শুরু হল বলে। অর্ক কিছু একটা চিন্তা করছিল, আমার কথা শুনে বলে উঠল – ঠিক বলেছিস, একটু বুদ্ধির গোঁড়ায় ধোঁয়া দেওয়া দরকার, চল।
( চলবে )
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দেবব্রত সান্যাল ২৯/০৯/২০১৫ভালো চলছে। সিগারেট খাবার কি দরকার আছে ?
-
অভিষেক মিত্র ২১/০৯/২০১৫fantastic
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ১৯/০৯/২০১৫খুব সুন্দর হচ্ছে ।
-
মোহাম্মদ আয়নাল হক ১৮/০৯/২০১৫চমৎকার
-
প্রশান্ত মন্ডল ১৭/০৯/২০১৫ভালোই হচ্ছে।
-
মোঃ মুসা খান ১৭/০৯/২০১৫Next