কলঙ্ক পিশাচ তালিবানি কথা
ভোরবেলায় ডেকেছিল আম্মি আজানের পরে ,
ওঠ তাড়াতাড়ি যেতে হবে না ফৌজিস্কুলে তোকে
শীতের সকালে লেপের তলায় ঘুম থেকে যায় কি ওঠা
কাল যে শাদী বাড়ি থেকে হয়েছে দেরীতে ফেরা
এখন মনে যে কাল রাতের দাওয়াত আর আলোর রোশনাই কথা ।
স্কুল তো শুরু হয় ভোরের আলোর সাথে,
ঘণ্টা শুনতে পাই যে বিছানায় শুয়ে,
কেন কেউ বোঝে না শরীর যে আজ চলে না রাতের ধকল নিয়ে
না মা আম্মি যাব না আজ স্কুলে,হয় নি যে বাড়ির পড়া করা
শরীর করছে বড়ই আনচান আজি
মন যে কেন সায় দেয় না স্কুল যেতে ।
ডং ডং ডং বাজলো রোজকার ঘণ্টা,
হলো খিলখিল হাসির আর হইচইের শেষ
আমি তখন আবার লেপের নিচে শুয়ে,
মার বকুনি খেয়ে গভীর ঘুমে আছন্নে,
হঠাৎ চমকে ঘুম ভাঙলো বিষম গুলির শব্দে
চারিদিক শুধুই কেঁপে ওঠা আর্তনাদের কান্না চিৎকারের শব্দ ।
জানালা দিয়ে উঁকি মেলে যেই দেখি,
ভয়ে আমার চোখ প্রায় অন্ধকারে আছন্ন
চারিদিকে শুধু ছোটাছুটি শব্দ,
স্কুলের জানালা থেকে আমি শুনি
শুধু তালিবানি নিষ্ঠুর হাসির শব্দের রেশ
কালো ধোঁয়ায় আর আর্তনাদের ক্লেশ ।
আস্তে আস্তে আমার চোখ গিয়েছিলো বুঝে,
আর জানি না আর কি হয়েছিল সেদিন স্কুলে
ঘুম থেকে আবার উঠলাম যখন সন্ধেবেলায়
দেখি সবাই আছে আমার চারিপাশে ।
শুনলাম ওরা নাকি মেরে ফেলেছে আমার সব বন্ধূুদের
কেউ যে নেই আর বেঁচে আমার খেলার সাথী
পারলাম না আর শুয়ে থাকতে,আম্মি বলে চোখের জলে কেঁদে শুনি শয়তানেরা খতম করেছিল শিশুদের বেছে বেছে
কার আব্বা ফৌজে কাজ করে, মেরেছিল শূন্য দূর থেকে ।
কতজন ভয়ে শুয়ে মৃত্যু ভান করে,কতজন ভয়ে মাটিতে শুয়ে পরে
ছাড়েনি কারো একটু দয়া করে, বৃথা ছিল সেই আকুতি মিনতি তাদের
হিংস্র সেই নরখাদকেরা শোনেনি ওই নিষ্পাপ শিশুদের কাতর বিনতি
তালিবান ফরমান ছিল তাই ওরা করছিলো হুকুমের তালিম
করেছিল ওরা ইসলামের চরম অপমান ।
রক্তে ভেজা কত খাতা ছিল মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
পরীক্ষায় উত্তর লেখার শেষ পাতায়, সেদিন ইজাজ লিখেছিল
একটি কথা “ সমাপ্ত “
তখন যে সে বোঝে নি তাঁর অন্তিম পরিনতির কথা ।
স্কুলে তো ছিল কারো এক আম্মি,তালিম দিচ্ছিলেন সব কিছু ভুলে
শেষ সময় অবধি তিনি করেছিলেন ছাত্রছাত্রীদের অভয়দান
অজান্তে বলেন ভয় পেও না এটা শুধুই ফৌজি মহড়ার খেলা ,হয় নি শেষ রক্ষা তাঁর
পড়াতে এসে তিনিও দিয়েছিলেন আত্মঃবলিদান ।
পিশাচেরা কেড়েছিল অবুঝ শিশু বালকের প্রান বহুবার
অবুঝেরা হয়েছিল জাতি ধর্ম রঙের খেলায় বলিদান
রক্ত রক্ত রক্ত চারিদিকে ছিলো শুধুই রক্তের রঙের লেপ
নিস্প্রান, ভয়ে শুয়ে পড়া শিশুদের গুলি করেছিল বারংবার ।
নিষ্ঠুরতার করেছিল তারা অপমান কোন ধর্ম শেখায় এই হিংস্রতা
কবে বুঝবে দেশ এই নিসংশ বর্বরতা
কবে অবশান হবে মানব ধর্মের যে চরম অপমানের
আন্তঃ হবে ধর্মের নামে তালিবানি প্রহসনের ।
সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়
কলিকাতা
৯৮৩১৮৪০১৯৬
ওঠ তাড়াতাড়ি যেতে হবে না ফৌজিস্কুলে তোকে
শীতের সকালে লেপের তলায় ঘুম থেকে যায় কি ওঠা
কাল যে শাদী বাড়ি থেকে হয়েছে দেরীতে ফেরা
এখন মনে যে কাল রাতের দাওয়াত আর আলোর রোশনাই কথা ।
স্কুল তো শুরু হয় ভোরের আলোর সাথে,
ঘণ্টা শুনতে পাই যে বিছানায় শুয়ে,
কেন কেউ বোঝে না শরীর যে আজ চলে না রাতের ধকল নিয়ে
না মা আম্মি যাব না আজ স্কুলে,হয় নি যে বাড়ির পড়া করা
শরীর করছে বড়ই আনচান আজি
মন যে কেন সায় দেয় না স্কুল যেতে ।
ডং ডং ডং বাজলো রোজকার ঘণ্টা,
হলো খিলখিল হাসির আর হইচইের শেষ
আমি তখন আবার লেপের নিচে শুয়ে,
মার বকুনি খেয়ে গভীর ঘুমে আছন্নে,
হঠাৎ চমকে ঘুম ভাঙলো বিষম গুলির শব্দে
চারিদিক শুধুই কেঁপে ওঠা আর্তনাদের কান্না চিৎকারের শব্দ ।
জানালা দিয়ে উঁকি মেলে যেই দেখি,
ভয়ে আমার চোখ প্রায় অন্ধকারে আছন্ন
চারিদিকে শুধু ছোটাছুটি শব্দ,
স্কুলের জানালা থেকে আমি শুনি
শুধু তালিবানি নিষ্ঠুর হাসির শব্দের রেশ
কালো ধোঁয়ায় আর আর্তনাদের ক্লেশ ।
আস্তে আস্তে আমার চোখ গিয়েছিলো বুঝে,
আর জানি না আর কি হয়েছিল সেদিন স্কুলে
ঘুম থেকে আবার উঠলাম যখন সন্ধেবেলায়
দেখি সবাই আছে আমার চারিপাশে ।
শুনলাম ওরা নাকি মেরে ফেলেছে আমার সব বন্ধূুদের
কেউ যে নেই আর বেঁচে আমার খেলার সাথী
পারলাম না আর শুয়ে থাকতে,আম্মি বলে চোখের জলে কেঁদে শুনি শয়তানেরা খতম করেছিল শিশুদের বেছে বেছে
কার আব্বা ফৌজে কাজ করে, মেরেছিল শূন্য দূর থেকে ।
কতজন ভয়ে শুয়ে মৃত্যু ভান করে,কতজন ভয়ে মাটিতে শুয়ে পরে
ছাড়েনি কারো একটু দয়া করে, বৃথা ছিল সেই আকুতি মিনতি তাদের
হিংস্র সেই নরখাদকেরা শোনেনি ওই নিষ্পাপ শিশুদের কাতর বিনতি
তালিবান ফরমান ছিল তাই ওরা করছিলো হুকুমের তালিম
করেছিল ওরা ইসলামের চরম অপমান ।
রক্তে ভেজা কত খাতা ছিল মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
পরীক্ষায় উত্তর লেখার শেষ পাতায়, সেদিন ইজাজ লিখেছিল
একটি কথা “ সমাপ্ত “
তখন যে সে বোঝে নি তাঁর অন্তিম পরিনতির কথা ।
স্কুলে তো ছিল কারো এক আম্মি,তালিম দিচ্ছিলেন সব কিছু ভুলে
শেষ সময় অবধি তিনি করেছিলেন ছাত্রছাত্রীদের অভয়দান
অজান্তে বলেন ভয় পেও না এটা শুধুই ফৌজি মহড়ার খেলা ,হয় নি শেষ রক্ষা তাঁর
পড়াতে এসে তিনিও দিয়েছিলেন আত্মঃবলিদান ।
পিশাচেরা কেড়েছিল অবুঝ শিশু বালকের প্রান বহুবার
অবুঝেরা হয়েছিল জাতি ধর্ম রঙের খেলায় বলিদান
রক্ত রক্ত রক্ত চারিদিকে ছিলো শুধুই রক্তের রঙের লেপ
নিস্প্রান, ভয়ে শুয়ে পড়া শিশুদের গুলি করেছিল বারংবার ।
নিষ্ঠুরতার করেছিল তারা অপমান কোন ধর্ম শেখায় এই হিংস্রতা
কবে বুঝবে দেশ এই নিসংশ বর্বরতা
কবে অবশান হবে মানব ধর্মের যে চরম অপমানের
আন্তঃ হবে ধর্মের নামে তালিবানি প্রহসনের ।
সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়
কলিকাতা
৯৮৩১৮৪০১৯৬
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শিমুদা ২১/১২/২০১৪শুধু ঘৃণারই জন্ম দেবে নরপিশাচগুলোর প্রতি।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২০/১২/২০১৪ধিক্কার এই তালেবানদের। ধিক্কার এই ভন্ডদের
আপনার লেখা চরম হয়েছে......... -
সুদিপ্তা মুখার্জেী ২০/১২/২০১৪সুন্দর লেখা হয়েছে। এরকম হিঙ্গস্র খুব শোজা ভাবে বঝানো হয়েছে।
-
নাবিক ২০/১২/২০১৪হুম...ভালো লিখেছেন। শুভেচ্ছা