নারীর বার্তা
নারীর বার্তা
- সংহিতা
আমি আগুনের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি -
আজ আগুন কিছুতেই ছুঁতে পারছে না আমায় ।
জলন্ত রক্তবর্ণ অঙ্গার দুলছে আমার কানের দুল হয়ে ,
আজ শ্মশানের কালি লেগেছে আমার চোখের কাজলে –
আমার এলোকেশী চুল - তলোয়ার হয়ে উড়ছে আকাশে ,
আঘাত আনতে পারে , তুলতুলে নরম মেঘের গায়েও
তাই আজ হতে পারে অকাল বর্ষণ, ঘটতে পারে মহাপ্রলয় ।
পাহাড় ও সমতল, মরু ও সাগর মিশে যেতে পারে আমার নিঃশ্বাসে ।
আমার শরীরের খাঁজে খাঁজে জমা অজস্র সপ্নের ধ্বংসাবশেষ –
শকুনির দল উড়ছে মাথার উপরে –
এখানে তো মাংস নেই – শুধু হাড় খুলি জমা ছাই –
আমার জীবনের ভিতরে সাহারা মরুভুমির উত্তাপ-
পুড়ছে নারী সত্তার জন্ম , মৃত্যুর ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ ।
আমার জীবনের বাইরে বইছে সুনামির সমুদ্রচ্ছাস ।
প্রবল ঝোড়ো হওয়ায় উড়ে যাচ্ছে আমার সুখ দুঃখ –
টুকরো টুকরো হয়ে শুকনো পাতার মতন ।
আমার ক্লান্ত , রুক্ষ শরীর ও মনে অনন্ত ক্ষুধা জেগে উঠেছে –
তাই আমি হাঁটছি, আতি ধীর শান্ত নরম পদক্ষেপে
আগুনের উপর দিয়ে হাঁটছি-
আমি নিশ্চিত একদিন, এভাবেই সমস্ত রাক্ষসদের নখ ,দাঁত , লালসা
মাড়িয়ে আমি নারী , ঠিক পৌঁছে যাবো –
ওই কাঞ্চনজঙ্ঘার শিখর চূড়ায়।
দেখে নেব , আলো সে কেমন খেলা করে নির্ভয়ে একা একা ।
বুঝে নেব , কতটা তেজ থাকলে এভাবে দুর্গম ,নির্মম , ভয়ঙ্করতার
সাথে লুকোচুরি খেলা যায় ।
কতটা সবল হলে বেপরয়া হাঁটা যায় গভীর নির্জন পথে ।
কতটা ভালবাসলে কাঞ্চনজঙ্ঘার মাথার স্বর্ণমুকুট হওয়া যায় ।
প্রস্তুত রেখো রাক্ষস অথবা মানুষ আথবা পুরুষ তোমার সৈন্যদল।
আমার শুষ্ক অধর , বিস্তীর্ণ তপ্ত বালুচর
তৃষ্ণা মিটবে কখন ? গুনছে প্রহর ।
- সংহিতা
আমি আগুনের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি -
আজ আগুন কিছুতেই ছুঁতে পারছে না আমায় ।
জলন্ত রক্তবর্ণ অঙ্গার দুলছে আমার কানের দুল হয়ে ,
আজ শ্মশানের কালি লেগেছে আমার চোখের কাজলে –
আমার এলোকেশী চুল - তলোয়ার হয়ে উড়ছে আকাশে ,
আঘাত আনতে পারে , তুলতুলে নরম মেঘের গায়েও
তাই আজ হতে পারে অকাল বর্ষণ, ঘটতে পারে মহাপ্রলয় ।
পাহাড় ও সমতল, মরু ও সাগর মিশে যেতে পারে আমার নিঃশ্বাসে ।
আমার শরীরের খাঁজে খাঁজে জমা অজস্র সপ্নের ধ্বংসাবশেষ –
শকুনির দল উড়ছে মাথার উপরে –
এখানে তো মাংস নেই – শুধু হাড় খুলি জমা ছাই –
আমার জীবনের ভিতরে সাহারা মরুভুমির উত্তাপ-
পুড়ছে নারী সত্তার জন্ম , মৃত্যুর ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ ।
আমার জীবনের বাইরে বইছে সুনামির সমুদ্রচ্ছাস ।
প্রবল ঝোড়ো হওয়ায় উড়ে যাচ্ছে আমার সুখ দুঃখ –
টুকরো টুকরো হয়ে শুকনো পাতার মতন ।
আমার ক্লান্ত , রুক্ষ শরীর ও মনে অনন্ত ক্ষুধা জেগে উঠেছে –
তাই আমি হাঁটছি, আতি ধীর শান্ত নরম পদক্ষেপে
আগুনের উপর দিয়ে হাঁটছি-
আমি নিশ্চিত একদিন, এভাবেই সমস্ত রাক্ষসদের নখ ,দাঁত , লালসা
মাড়িয়ে আমি নারী , ঠিক পৌঁছে যাবো –
ওই কাঞ্চনজঙ্ঘার শিখর চূড়ায়।
দেখে নেব , আলো সে কেমন খেলা করে নির্ভয়ে একা একা ।
বুঝে নেব , কতটা তেজ থাকলে এভাবে দুর্গম ,নির্মম , ভয়ঙ্করতার
সাথে লুকোচুরি খেলা যায় ।
কতটা সবল হলে বেপরয়া হাঁটা যায় গভীর নির্জন পথে ।
কতটা ভালবাসলে কাঞ্চনজঙ্ঘার মাথার স্বর্ণমুকুট হওয়া যায় ।
প্রস্তুত রেখো রাক্ষস অথবা মানুষ আথবা পুরুষ তোমার সৈন্যদল।
আমার শুষ্ক অধর , বিস্তীর্ণ তপ্ত বালুচর
তৃষ্ণা মিটবে কখন ? গুনছে প্রহর ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাঁঝের তারা ০৯/০৮/২০১৭অপূর্ব!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৯/০৮/২০১৭ভালো।
-
দেবাশীষ দিপন ০৯/০৮/২০১৭আমিও এক সময় এই ভাবনা নিয়ে একটা কবিতা লিখছিলাম। আমার ভাবনায় ছিল আমার শব পুড়ে ছাই হবার ঘটনা। কিন্তু আপনার টা পড়ে মনে হলো আমারটা বেশি ভালো হয় নি।
অসাধারণ লিখেছেন। -
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ০৯/০৮/২০১৭অনেক ভালো।
-
তীর্থের কাক ০৯/০৮/২০১৭বেশ ভাবনাময়।চমৎকার