আমাতে তোমাকে চাওয়া (পর্ব-১)
এক শূণ্য পার্ক,
দেখতে দেখতে চারিপাশটা যেন ভরে উঠলো কিছু সঙ্গী-সঙ্গীনীদের ভালোবাসা ভরা হাঁসিতে ।
বসে বসে তাকিয়ে রইলাম আমার বেঞ্চের সামনে রাখা দুটো গোলাপ গাছের দিকে, ওই দুটি গাছে দুটি ফুল 🌹🌹 ফুটেছে , আর, তারাও যেন কত আদরে একে অপরের ভালোবাসায় 💝 আলিঙ্গনে লুটিয়ে পোড়ছে। আর ,ওরা যেন আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাঁসি হাঁসছে।
ঠিক তখনই এক মাতাল হাওয়ায় ভেসে আসা"ওর" সুবাসে আমার একাকীত্ব টুকু আর রইল না, বুঝলাম "প্রিয়" এসেছে । সত্যিই ,"ও" আমার কাছাকাছি এলেই ,এই মাতাল হাওয়া ও যেন আমায় জানিয়ে দিয়ে যায়।
তবে "ও" চুপিচুপি আমার পাশে এসে দাঁড়ালেও!
কিছুটা যেন অভিমান করেই বসে রইলাম আমি।
হঠাৎই, এক আদুরে আলিঙ্গন আর মিষ্টি চুম্বনে আমার অকারণে ভালোবাসা ভরা অভিমান টুকু যেন কোথায় বিলিন হয়ে গেল ।
পাশে এসে আমার হাতটা ধরে এক মিষ্টি হাঁসি হাঁসে বোললো-
*- শোনো, আমি না আজ খুব খুশি ।
# আমি ওর হাতের ওপর আমার বাম হাতটা আলতো করে রেখে, যেন কিছুটা অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলাম ।
- কেনো গো ?
# "ও" আবার বোললো,
বোললো-
* - জানো! আজ না আমি প্রথম কোনো সার্জারি কোরলাম, আর এক ফুটফুটে শিশুকে তার মায়ের কোলে তুলে দিয়ে এলাম ।
এতো ভালো লাগছে না আমার ।
# সত্যি বোলতে কি, সেই সময়টুকু ওর মুখের হাঁসি টুকু যেন বোলছে "আমি পেরেছি "।
আর সেই হাঁসিতেই যেন সব আবছায়া হয়ে হারিয়ে যাচ্ছিলাম ওর মনের শিহরণে ।
তার পর ও কি যে বোলছে আমার কিছুই শোনা হয়েওঠেনি, ওর ,মুখশ্রীর আদরে ভরা হাঁসিতেই কোথাও যেন হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে ।
হঠাৎ, এক আলতো আলোড়নে যেন চেতনা ফিরে পেলাম । তখন সে আমার হাতটা দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা রেখে, কেমন যেন আদর আর লজ্জা মাখানো সুরে, বোলছে -
* - আমাদের বেবী হলে .....
আমি কিন্তু ৭ মাসের ছুটি নিয়ে নেবো।
আর তুমিও কিন্তু ছুটি নিয়ে নিও..
# আমি বললাম
- আচ্ছা বাবা নিয়ে নেবো ।
শুনেই কেমন যেন লজ্জাতে মুখটা আমার শার্ট এর আড়ালে ঢেকে কিছুটা হেঁসেনিয়ে ক্ষনিক থেমে বোললো
* - আচ্ছা, শোনো...
- মা ,বাবা কেমন আছে গো?
# ভালোই আছে
আমাকে তো ভুলেই গিয়েছে।
এখন তো শুধু তোমার কথাই জিজ্ঞেস করে ।
যেন কিছুটা বুক উঁচিয়ে পুরুষ পুরুষ গলায় অভিনয় সুরে বোললো-
*- সে তো কোরবেই ।
আমার একমাত্র সাসু-মা বোলে কথা।
# ওর এই দক্ষতা দেখে , হাঁসিতে যেন ফেটে পড়লাম দুজনেই ।
তারপর , হাঁসি থামিয়ে বললাম-
- না গো
তোমায় মিথ্যে বলছি না ।
সত্যি বলতে কি , "মা" বলে - "ওকে" নিজের যত্ন নিতে বলিস্ , সময়ে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া কোরতে বলিস্ । "ডাক্তারির" নেশায় যেন -পেটটা কে না কাঁদায়।
* এই যে শোনো ..
আমাদের বিয়েটা কোথায় হবে !
কিছু ভেবেছো?
হেঁ অনেক আগে থেকেই
যেদিন থেকে তোমায় ভালোবেসেছি ।
# তবে !
* আবার ....তবে কি?
# জানি না তোমার ভালোলাগবে কি না !!!
* তুমি বলোই না ।
শুনি..
# কোনো এক "অনাথ আশ্রমে" অথবা কোনো "বৃদ্ধাশ্রমে" আমি তোমায় বিয়ে কোরতে চাই । আমাদের একসাথে পথচলার অঙ্গীকারের শুরুতে ,চাই কিছু অনাথ শিশুকে সাক্ষী রাখতে , আর চাই অনেক বাবা মা এর আশির্বাদ ।
তুমি কী ভেবেছো বলো -
ও কিছুই বোললো না ...
ক্ষনিক চুপ করে থাকার পর, বলে উঠলো!!
* শোনো বাবু
তুমি কক্ষনও বোদলে যেওনা ।
সারাটা জীবন এভাবেই থাকতে চাই একসাথে ।
ঠিক পর মুহূর্তে , আমাদের আলিঙ্গনটা যেন বেশ শক্ত হয়ে উঠলো।
সন্ধ্যে তখন প্রায় ৮টা .....
দেখতে দেখতে চারিপাশটা যেন ভরে উঠলো কিছু সঙ্গী-সঙ্গীনীদের ভালোবাসা ভরা হাঁসিতে ।
বসে বসে তাকিয়ে রইলাম আমার বেঞ্চের সামনে রাখা দুটো গোলাপ গাছের দিকে, ওই দুটি গাছে দুটি ফুল 🌹🌹 ফুটেছে , আর, তারাও যেন কত আদরে একে অপরের ভালোবাসায় 💝 আলিঙ্গনে লুটিয়ে পোড়ছে। আর ,ওরা যেন আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাঁসি হাঁসছে।
ঠিক তখনই এক মাতাল হাওয়ায় ভেসে আসা"ওর" সুবাসে আমার একাকীত্ব টুকু আর রইল না, বুঝলাম "প্রিয়" এসেছে । সত্যিই ,"ও" আমার কাছাকাছি এলেই ,এই মাতাল হাওয়া ও যেন আমায় জানিয়ে দিয়ে যায়।
তবে "ও" চুপিচুপি আমার পাশে এসে দাঁড়ালেও!
কিছুটা যেন অভিমান করেই বসে রইলাম আমি।
হঠাৎই, এক আদুরে আলিঙ্গন আর মিষ্টি চুম্বনে আমার অকারণে ভালোবাসা ভরা অভিমান টুকু যেন কোথায় বিলিন হয়ে গেল ।
পাশে এসে আমার হাতটা ধরে এক মিষ্টি হাঁসি হাঁসে বোললো-
*- শোনো, আমি না আজ খুব খুশি ।
# আমি ওর হাতের ওপর আমার বাম হাতটা আলতো করে রেখে, যেন কিছুটা অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলাম ।
- কেনো গো ?
# "ও" আবার বোললো,
বোললো-
* - জানো! আজ না আমি প্রথম কোনো সার্জারি কোরলাম, আর এক ফুটফুটে শিশুকে তার মায়ের কোলে তুলে দিয়ে এলাম ।
এতো ভালো লাগছে না আমার ।
# সত্যি বোলতে কি, সেই সময়টুকু ওর মুখের হাঁসি টুকু যেন বোলছে "আমি পেরেছি "।
আর সেই হাঁসিতেই যেন সব আবছায়া হয়ে হারিয়ে যাচ্ছিলাম ওর মনের শিহরণে ।
তার পর ও কি যে বোলছে আমার কিছুই শোনা হয়েওঠেনি, ওর ,মুখশ্রীর আদরে ভরা হাঁসিতেই কোথাও যেন হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে ।
হঠাৎ, এক আলতো আলোড়নে যেন চেতনা ফিরে পেলাম । তখন সে আমার হাতটা দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা রেখে, কেমন যেন আদর আর লজ্জা মাখানো সুরে, বোলছে -
* - আমাদের বেবী হলে .....
আমি কিন্তু ৭ মাসের ছুটি নিয়ে নেবো।
আর তুমিও কিন্তু ছুটি নিয়ে নিও..
# আমি বললাম
- আচ্ছা বাবা নিয়ে নেবো ।
শুনেই কেমন যেন লজ্জাতে মুখটা আমার শার্ট এর আড়ালে ঢেকে কিছুটা হেঁসেনিয়ে ক্ষনিক থেমে বোললো
* - আচ্ছা, শোনো...
- মা ,বাবা কেমন আছে গো?
# ভালোই আছে
আমাকে তো ভুলেই গিয়েছে।
এখন তো শুধু তোমার কথাই জিজ্ঞেস করে ।
যেন কিছুটা বুক উঁচিয়ে পুরুষ পুরুষ গলায় অভিনয় সুরে বোললো-
*- সে তো কোরবেই ।
আমার একমাত্র সাসু-মা বোলে কথা।
# ওর এই দক্ষতা দেখে , হাঁসিতে যেন ফেটে পড়লাম দুজনেই ।
তারপর , হাঁসি থামিয়ে বললাম-
- না গো
তোমায় মিথ্যে বলছি না ।
সত্যি বলতে কি , "মা" বলে - "ওকে" নিজের যত্ন নিতে বলিস্ , সময়ে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া কোরতে বলিস্ । "ডাক্তারির" নেশায় যেন -পেটটা কে না কাঁদায়।
* এই যে শোনো ..
আমাদের বিয়েটা কোথায় হবে !
কিছু ভেবেছো?
হেঁ অনেক আগে থেকেই
যেদিন থেকে তোমায় ভালোবেসেছি ।
# তবে !
* আবার ....তবে কি?
# জানি না তোমার ভালোলাগবে কি না !!!
* তুমি বলোই না ।
শুনি..
# কোনো এক "অনাথ আশ্রমে" অথবা কোনো "বৃদ্ধাশ্রমে" আমি তোমায় বিয়ে কোরতে চাই । আমাদের একসাথে পথচলার অঙ্গীকারের শুরুতে ,চাই কিছু অনাথ শিশুকে সাক্ষী রাখতে , আর চাই অনেক বাবা মা এর আশির্বাদ ।
তুমি কী ভেবেছো বলো -
ও কিছুই বোললো না ...
ক্ষনিক চুপ করে থাকার পর, বলে উঠলো!!
* শোনো বাবু
তুমি কক্ষনও বোদলে যেওনা ।
সারাটা জীবন এভাবেই থাকতে চাই একসাথে ।
ঠিক পর মুহূর্তে , আমাদের আলিঙ্গনটা যেন বেশ শক্ত হয়ে উঠলো।
সন্ধ্যে তখন প্রায় ৮টা .....
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৯/০৮/২০২৩চম্ৎকার নান্দনিক রচনা
-
মাহতাব বাঙ্গালী ১৬/০৬/২০২১একসাথে থেকো
আজীবন
প্রেম স্বর্গ রাজ্যের রাজা-রানী হয়ে -
ফয়জুল মহী ১২/০৬/২০২১Fantastic
-
মোঃ বুলবুল হোসেন ১১/০৬/২০২১অপূর্ব