কালো হাত প্রিয়মবদা গোয়েন্দা ও রোমাঞ্চ সিরিজ - ১
১।।
জীবনে অনেক রকম রূপে প্রিয়কে দেখেছেন অনাদি বাবু , সেই কলেজ জীবনের প্রেম ; না দেখে উপায় আছে ।। কিন্তু উত্তরবঙ্গের অভিজ্ঞতা তার জীবনে একটা অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে ।। আর তার জন্য প্রিয়মবদা কে একটা ধন্যবাদ দিতেই হয় আর সেই সুবাদেই প্রিয়র বাড়ি গেছিলেন তিনি ।। কিন্তু অবাক কান্ড !! দরজার সামনে ভিড়ে ভিড় ।। সঙ্গে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে ।। সাইকেল থেকে ঝটফট নেমে সাইকেলটা এক পাশে দাঁড় করিয়ে সোজা সদর দরজায় উপস্থিত হলেন অনাদি বাবু ।। চারপাশটা কেমন থমথমে , কেমন যেন দূর থেকে দেখেই মনে হয় খারাপ কিছু একটা ঘটেছে ।। এই কদিনের মধ্যে আবার একটা বিপদের মুখোমুখি এভাবে হতে চাননি অনাদিবাবু আর তাই ইন্সপেক্টর রাওত কে দেখতে পেয়ে তার দিকে ঝটফট এগিয়ে গেলেন ।।
ইন্সপেক্টর রাওত অনাদিবাবুর বহু দিনের পরিচিত , বেশ গোলগাল চেহারা , ভাঙা ভাঙা বাংলা বলে থাকেন ।। অনাদিকে দেখেই চোখের ভ্রু কুঁচকিয়ে বেশ গম্ভীর গলায় প্রশ্ন করে বসলেন , " তুমি এখানে ? "
অনাদিবাবু বেশ ভয়ে ভয়ে থাকায় অত শত প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই মূল বিষয়ে ঝাপিয়ে পড়ে বলে উঠলেন , " প্রিয় কেমন আছে ? কি হয়েছে ওর ?
~ আপনি তবে প্রিয়মবদা কে চেনেন ? ইন্সপেক্টর বললেন ।।
~ চিনব না ।। সেই কলেজ থেকে ....
এবার অনাদি বিশ্বাস কে মাঝখানে থামিয়ে ইন্সপেক্টর বলে উঠলেন ( বেশ গম্ভীর স্বরে ) , " পার্টনার ইন ক্রাইম " ....
অনাদিবাবু কিছু না বুঝেই , চমকে উঠে বলে বসল , " আপনারা ভুল করছেন ।। প্রিয় কোন ক্রিমিনাল নয় ।। ও তো একজন প্রাইভেট ...
" আঃ ! থামুন তো ।। পুলিশ সব জানে , কে কি আর কে কি নয় ।। সি ইস আন্ডার এরেস্ট ।।" ইন্সপেক্টর বেশ গম্ভীর স্বরে ঘোষণা করে বসলেন ।। এতটাই জোরে ঘোষণা করলেন যে আসে পাশের সবাই মুখ ফিরিয়ে ইন্সপেক্টর এর দিকে তাকালো , কিন্তু কিছু বলতে সাহস পেল না ।।
কিছুক্ষনের মধ্যেই মহিলা পুলিশের তত্বাবধানে মিস প্রিয়মবদা ধর কে ঘর থেকে বের করে আনা হল ।। তার হাতে হাতকড়া , কোমরে দড়ি বাঁধা ।। এই দৃশ্য সহ্য করা অনাদির কাছে অসম্ভব ছিল ।। সে দু পা এগিয়ে গিয়ে প্রিয় কে জড়িয়ে ধরল , চোখ তার তখন জলে ভেসে যাচ্ছে ।।
প্রিয় এবার তাকে আস্তে করে তুলে শান্ত গলায় বললো , " উকিল আসছে ।। আমি ফিরব খুব জলদি ।। আর হ্যাঁ কিছু অপরাধের কালো হাত এর পিছনে আছে ।। তদন্ত করছি , সময় এলে সব বলব ।। শুধু এটুকু জান যে হাতগুলো আজ রাতে আওরাঙ্গাবাদ যাবে , কেন জানি না ।। ওদের আটকাতে তুইও কাল ঔরঙ্গবাদ বেরিয়ে পড় ।। ওখানে ইন্সপেক্টর সরফরাজ আছে , যা বললাম সব বলবি উনাকে ।। ভয় নেই , আমিও আসছি পিছনে ।। বুঝলি .... "
আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই প্রিয়কে পুলিশ ভ্যানে তোলা হল ।। অনাদি মূর্খের মত দূরে দাঁড়িয়ে আর গাড়িটা আস্তে আস্তে শূন্যে মিলিয়ে উধাও হয়ে গেল ।।
ক্রমশঃ -
জীবনে অনেক রকম রূপে প্রিয়কে দেখেছেন অনাদি বাবু , সেই কলেজ জীবনের প্রেম ; না দেখে উপায় আছে ।। কিন্তু উত্তরবঙ্গের অভিজ্ঞতা তার জীবনে একটা অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে ।। আর তার জন্য প্রিয়মবদা কে একটা ধন্যবাদ দিতেই হয় আর সেই সুবাদেই প্রিয়র বাড়ি গেছিলেন তিনি ।। কিন্তু অবাক কান্ড !! দরজার সামনে ভিড়ে ভিড় ।। সঙ্গে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে ।। সাইকেল থেকে ঝটফট নেমে সাইকেলটা এক পাশে দাঁড় করিয়ে সোজা সদর দরজায় উপস্থিত হলেন অনাদি বাবু ।। চারপাশটা কেমন থমথমে , কেমন যেন দূর থেকে দেখেই মনে হয় খারাপ কিছু একটা ঘটেছে ।। এই কদিনের মধ্যে আবার একটা বিপদের মুখোমুখি এভাবে হতে চাননি অনাদিবাবু আর তাই ইন্সপেক্টর রাওত কে দেখতে পেয়ে তার দিকে ঝটফট এগিয়ে গেলেন ।।
ইন্সপেক্টর রাওত অনাদিবাবুর বহু দিনের পরিচিত , বেশ গোলগাল চেহারা , ভাঙা ভাঙা বাংলা বলে থাকেন ।। অনাদিকে দেখেই চোখের ভ্রু কুঁচকিয়ে বেশ গম্ভীর গলায় প্রশ্ন করে বসলেন , " তুমি এখানে ? "
অনাদিবাবু বেশ ভয়ে ভয়ে থাকায় অত শত প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই মূল বিষয়ে ঝাপিয়ে পড়ে বলে উঠলেন , " প্রিয় কেমন আছে ? কি হয়েছে ওর ?
~ আপনি তবে প্রিয়মবদা কে চেনেন ? ইন্সপেক্টর বললেন ।।
~ চিনব না ।। সেই কলেজ থেকে ....
এবার অনাদি বিশ্বাস কে মাঝখানে থামিয়ে ইন্সপেক্টর বলে উঠলেন ( বেশ গম্ভীর স্বরে ) , " পার্টনার ইন ক্রাইম " ....
অনাদিবাবু কিছু না বুঝেই , চমকে উঠে বলে বসল , " আপনারা ভুল করছেন ।। প্রিয় কোন ক্রিমিনাল নয় ।। ও তো একজন প্রাইভেট ...
" আঃ ! থামুন তো ।। পুলিশ সব জানে , কে কি আর কে কি নয় ।। সি ইস আন্ডার এরেস্ট ।।" ইন্সপেক্টর বেশ গম্ভীর স্বরে ঘোষণা করে বসলেন ।। এতটাই জোরে ঘোষণা করলেন যে আসে পাশের সবাই মুখ ফিরিয়ে ইন্সপেক্টর এর দিকে তাকালো , কিন্তু কিছু বলতে সাহস পেল না ।।
কিছুক্ষনের মধ্যেই মহিলা পুলিশের তত্বাবধানে মিস প্রিয়মবদা ধর কে ঘর থেকে বের করে আনা হল ।। তার হাতে হাতকড়া , কোমরে দড়ি বাঁধা ।। এই দৃশ্য সহ্য করা অনাদির কাছে অসম্ভব ছিল ।। সে দু পা এগিয়ে গিয়ে প্রিয় কে জড়িয়ে ধরল , চোখ তার তখন জলে ভেসে যাচ্ছে ।।
প্রিয় এবার তাকে আস্তে করে তুলে শান্ত গলায় বললো , " উকিল আসছে ।। আমি ফিরব খুব জলদি ।। আর হ্যাঁ কিছু অপরাধের কালো হাত এর পিছনে আছে ।। তদন্ত করছি , সময় এলে সব বলব ।। শুধু এটুকু জান যে হাতগুলো আজ রাতে আওরাঙ্গাবাদ যাবে , কেন জানি না ।। ওদের আটকাতে তুইও কাল ঔরঙ্গবাদ বেরিয়ে পড় ।। ওখানে ইন্সপেক্টর সরফরাজ আছে , যা বললাম সব বলবি উনাকে ।। ভয় নেই , আমিও আসছি পিছনে ।। বুঝলি .... "
আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই প্রিয়কে পুলিশ ভ্যানে তোলা হল ।। অনাদি মূর্খের মত দূরে দাঁড়িয়ে আর গাড়িটা আস্তে আস্তে শূন্যে মিলিয়ে উধাও হয়ে গেল ।।
ক্রমশঃ -
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৮/১০/২০১৯নাইস
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ০৫/০৬/২০১৮দুর্দান্ত!
-
পবিত্র চক্রবর্তী ২৪/০৪/২০১৮খুব ভালো