জীবনবোধ
জীবনে এমন কিছু মানুষ থাকবেই যারা নিজের দুর্ভাগ্যের জন্য অন্যদের দোষারোপ করেন, হাঁটতে হাঁটতে হোঁচট খেয়ে পাশেরজনকে ধমকাতে ধমকাতে বলবে; আপনে আমার পাশে হাটতেছেন ক্যানো?? আপনের জন্য হোঁচট খাইছি। জ্যামে আটকে আছে সংগীকে বলবে; কোনদিন তো এত জ্যাম পড়তে দেখিনাই আজকে তুমি আমার সাথে আসছো আর আজকেই এই অবস্থা! বুঝছি তুমি মিয়া কুফা।
কোন কাজ করতে পারছে না, তার জন্য আশেপাশের কাউকে না কাউকে দোষারোপ করবেই। এমন তো হওয়ার কথা ছিল না! নিশ্চয়ই অমুকের ষড়যন্ত্র।
পরীক্ষা খারাপ হয়েছে পাশেরজনের জন্য শান্তিতে লিখতেই পারে নাই।। চাকরী পায়নি? কাজ পারিনা বলবে না; বলবে মামার জোড় নাই।
জ্বর হইছে! অমুকের জন্য তিন বছর আগে যে বৃষ্টিতে ভিজছিল ঐ ঠান্ডা জমে এই জ্বর।
সকল খারাপ অন্যের! সকল ভূল অন্যের! সকল বোকামী অন্যের! পাশাপাশি সকল ভালো, সকল বিদ্যা, সকল বুদ্ধি, সকল জ্ঞান অবশ্যই অবশ্যই তার।।
যদিও এর বিপরীত একজন মানুষ ও সবার জীবনে থাকেন, যে সকল ভূল নিজের বলে মেনে নেন। রোগ শোক চিন্তা সবকিছুর দায়ভার মাথা পেতে নিয়ে অপরাধী হয়ে থাকেন বিনা অপরাধেও।
কিন্তু কৃতিত্ব কখনোই নিজের বলেন না । সেই কৃতিত্ব নিজের না হলেও সব মানুষের কাছে বুক ফুলিয়ে বলে বেড়ান।
এই স্পেশাল মানুষটি হলো মা।
মা হলো প্রতিটি সন্তানের জীবনে সুপার ওম্যান। যেখানে সমস্ত পৃথিবী ধূলোময়লা রোগ শোক জড়া দিয়ে আপনাকে ধ্বংস করার চেষ্টায় মেতে থাকে; সেখানে মা সকল খারাপের সাথে লড়ে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
আমাকে একজন গল্পে গল্পে বললেন, যখন আমি তোমার মত আনম্যাড়িড ছিলাম তখন তোমার মতই মনে হতো; মা বাবাই বুঝি পৃথিবী। কিন্তু বিয়ের পড়ে আমি রিয়ালাইজ করলাম আসলে আমার স্বামীই আমার সব, তারপর যখন সন্তান হলো তখন বুঝলাম আমার স্বামী আর সন্তান নিয়েই পৃথিবী।।
আসলে, শুধু স্বামী সন্তান নিয়ে যেমন পৃথিবী হতে পারেনা;তেমনি শুধু মা বাবা ভাই বোন নিয়ে ও পৃথিবী হতে পারেনা।
পৃথিবী তো পৃথিবীই। পৃথিবী বিশাল, ব্যাপক, বিস্তৃত।
এই বিস্তৃত পৃথিবীতে যেমন স্বামী সন্তান থাকবে, তেমনি মা বাবা ভাইবোন থাকবে, আক্তীয় থাকবে, পাড়া প্রতিবেশী, থাকবে সহকর্মী, থাকবে বন্ধুবান্ধব, থাকবে রাস্তায় পথ চলতে চলতে পাশে থাকা অচেনা মানুষগুলোও।
শুধু নিজেকে ভালোবেসে,নিজস্ব পরিবারের গন্ডীর মধ্যে বেঁচে থাকার মধ্যে কোন শান্তি কিংবা আনন্দ নেই।
শুধু নিজে, নিজেরটা করে করে, অপরকে দোষ দিয়ে ছোট করে, নিজেকে নির্ভূল ভেবে, নিজেকে নিয়ে থেকে, একটি তুচ্ছ আর খারাপ আর একাকী অস্থায়ী অসুখী জীবনই শুধু লাভ করা সম্ভব।।
কোন কাজ করতে পারছে না, তার জন্য আশেপাশের কাউকে না কাউকে দোষারোপ করবেই। এমন তো হওয়ার কথা ছিল না! নিশ্চয়ই অমুকের ষড়যন্ত্র।
পরীক্ষা খারাপ হয়েছে পাশেরজনের জন্য শান্তিতে লিখতেই পারে নাই।। চাকরী পায়নি? কাজ পারিনা বলবে না; বলবে মামার জোড় নাই।
জ্বর হইছে! অমুকের জন্য তিন বছর আগে যে বৃষ্টিতে ভিজছিল ঐ ঠান্ডা জমে এই জ্বর।
সকল খারাপ অন্যের! সকল ভূল অন্যের! সকল বোকামী অন্যের! পাশাপাশি সকল ভালো, সকল বিদ্যা, সকল বুদ্ধি, সকল জ্ঞান অবশ্যই অবশ্যই তার।।
যদিও এর বিপরীত একজন মানুষ ও সবার জীবনে থাকেন, যে সকল ভূল নিজের বলে মেনে নেন। রোগ শোক চিন্তা সবকিছুর দায়ভার মাথা পেতে নিয়ে অপরাধী হয়ে থাকেন বিনা অপরাধেও।
কিন্তু কৃতিত্ব কখনোই নিজের বলেন না । সেই কৃতিত্ব নিজের না হলেও সব মানুষের কাছে বুক ফুলিয়ে বলে বেড়ান।
এই স্পেশাল মানুষটি হলো মা।
মা হলো প্রতিটি সন্তানের জীবনে সুপার ওম্যান। যেখানে সমস্ত পৃথিবী ধূলোময়লা রোগ শোক জড়া দিয়ে আপনাকে ধ্বংস করার চেষ্টায় মেতে থাকে; সেখানে মা সকল খারাপের সাথে লড়ে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
আমাকে একজন গল্পে গল্পে বললেন, যখন আমি তোমার মত আনম্যাড়িড ছিলাম তখন তোমার মতই মনে হতো; মা বাবাই বুঝি পৃথিবী। কিন্তু বিয়ের পড়ে আমি রিয়ালাইজ করলাম আসলে আমার স্বামীই আমার সব, তারপর যখন সন্তান হলো তখন বুঝলাম আমার স্বামী আর সন্তান নিয়েই পৃথিবী।।
আসলে, শুধু স্বামী সন্তান নিয়ে যেমন পৃথিবী হতে পারেনা;তেমনি শুধু মা বাবা ভাই বোন নিয়ে ও পৃথিবী হতে পারেনা।
পৃথিবী তো পৃথিবীই। পৃথিবী বিশাল, ব্যাপক, বিস্তৃত।
এই বিস্তৃত পৃথিবীতে যেমন স্বামী সন্তান থাকবে, তেমনি মা বাবা ভাইবোন থাকবে, আক্তীয় থাকবে, পাড়া প্রতিবেশী, থাকবে সহকর্মী, থাকবে বন্ধুবান্ধব, থাকবে রাস্তায় পথ চলতে চলতে পাশে থাকা অচেনা মানুষগুলোও।
শুধু নিজেকে ভালোবেসে,নিজস্ব পরিবারের গন্ডীর মধ্যে বেঁচে থাকার মধ্যে কোন শান্তি কিংবা আনন্দ নেই।
শুধু নিজে, নিজেরটা করে করে, অপরকে দোষ দিয়ে ছোট করে, নিজেকে নির্ভূল ভেবে, নিজেকে নিয়ে থেকে, একটি তুচ্ছ আর খারাপ আর একাকী অস্থায়ী অসুখী জীবনই শুধু লাভ করা সম্ভব।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রেজাউল রেজা (নীরব কবি) ০৭/০২/২০১৮ভাল লাগল।আমন্ত্রণ আমার পাতায়।
-
এস এম আলমগীর হোসেন ০৩/০২/২০১৮মা তো মা। মায়ের সাথে কোন জিনিষের তুলনা হয়না।যদি ত্রিভুবনের সমস্ত সুখ আমায় দিয়ে দাও বিনিময়ে যদি তোমরা আমার মাকে কেড়ে নাও আমি চাইব না সে সুখ। যদি হাজার দুঃখ আসে মা থাকলে আমার পাশে সেই আশ্রায় হবে আমার মায়ের শীতল বুক।
-
শিবশঙ্কর ১০/০১/২০১৮তাৎপর্য্পূর্ন লেখনি , তবে মিয়া কুফা শব্দের বোধগম্যতাহীন এ পাঠক - প্রতি যদি একটু সজাগ হোন ।
-
মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান ১০/০১/২০১৮জীবন বোধের সুন্দর উপলব্ধি!
শুভকামনা রইল।