উদ্বাস্তু
কি বললে ? চলে যাবো ??
হ্যাঁ, যাবো –
তোমরা চলে যেতে বলছো যখন , যেতে হবে ।
যাবো , - কিন্তু কেন যাবো ?
কি ? আমি , - আমি উদ্বাস্তু !!
হয়তো তোমাদের সমাজে আমি উদ্বাস্তু ।
কিন্তু , আমি তো উদ্বাস্তু হয়ে এ পৃথিবীতে আসিনি ।
এতো বড়ো পৃথিবীতে আমারও তো হতে পারে ঠাঁই ।
তোমরা কি কেড়ে নেবে আমার কাছ থেকে –
নতুন বিশ্বের কাছে নিজেকে ব্যক্ত করার অধিকার ?
জানি , কেউ শুনছে না আমার কথা ।
তোমাদের অনাবাদী জমিতে আমি যে ফেলেছি বেআইনি তাঁবু ।
বেশ ! – তোমরা আমার তাঁবু জ্বালিয়ে দাও ।
তাঁবুতে রাখা আমার সাধের আসবাব্ সরকারী ফুটপাথে ছুঁড়ে ফেলে দাও ।
ফেলে দাও ঘটিতে রাখা আমার তৃষ্ণার জল ।
তোমাদের কথা দিচ্ছি , - আমি চলে যাবো ।
কিন্তু , তার আগে এ পৃথিবীর বুকে আমার একটা স্বাক্ষর রেখে যেতে দাও ।
আজকাল তো পথের দুধারে হামেশাই বস্তি রোপন চলেছে ।
আমিও রোপন করতে চাই । না – না , - বস্তি নয় –
তোমরা দয়া করে আমাকে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপন করতে দাও ।
জল না দাও , না দেবে ।
আমার বুকের রক্ত সেচন করে আমি আমার কৃষ্ণচূড়াকে বাঁচাবো ।
তারপর ,
তারপর ! আমি চলে যাবো দূরে , - অনেক , অনেক দূরে –
যেখানে কেউ আমাকে বলবে না উদ্বাস্তু ,
বলবে না চলে যেতে ।
আমি চলে গেলে , একদিন আমার কৃষ্ণচূড়া বড় হবে ।
ফুলে–ফুলে ভরে , সারা গাছ হবে লালে লাল ।
ঠিক , আমার বুকের রক্তের মতো !
আমার লাল কৃষ্ণচূড়া বাতাসে মাথা নেড়ে বলবে –
আমি উদ্বাস্তু নই , - আমি উদ্বাস্তু ছিলাম না , –
উদ্বাস্তু হয়ে পৃথিবীতে কেউ আসে না ।।
হ্যাঁ, যাবো –
তোমরা চলে যেতে বলছো যখন , যেতে হবে ।
যাবো , - কিন্তু কেন যাবো ?
কি ? আমি , - আমি উদ্বাস্তু !!
হয়তো তোমাদের সমাজে আমি উদ্বাস্তু ।
কিন্তু , আমি তো উদ্বাস্তু হয়ে এ পৃথিবীতে আসিনি ।
এতো বড়ো পৃথিবীতে আমারও তো হতে পারে ঠাঁই ।
তোমরা কি কেড়ে নেবে আমার কাছ থেকে –
নতুন বিশ্বের কাছে নিজেকে ব্যক্ত করার অধিকার ?
জানি , কেউ শুনছে না আমার কথা ।
তোমাদের অনাবাদী জমিতে আমি যে ফেলেছি বেআইনি তাঁবু ।
বেশ ! – তোমরা আমার তাঁবু জ্বালিয়ে দাও ।
তাঁবুতে রাখা আমার সাধের আসবাব্ সরকারী ফুটপাথে ছুঁড়ে ফেলে দাও ।
ফেলে দাও ঘটিতে রাখা আমার তৃষ্ণার জল ।
তোমাদের কথা দিচ্ছি , - আমি চলে যাবো ।
কিন্তু , তার আগে এ পৃথিবীর বুকে আমার একটা স্বাক্ষর রেখে যেতে দাও ।
আজকাল তো পথের দুধারে হামেশাই বস্তি রোপন চলেছে ।
আমিও রোপন করতে চাই । না – না , - বস্তি নয় –
তোমরা দয়া করে আমাকে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপন করতে দাও ।
জল না দাও , না দেবে ।
আমার বুকের রক্ত সেচন করে আমি আমার কৃষ্ণচূড়াকে বাঁচাবো ।
তারপর ,
তারপর ! আমি চলে যাবো দূরে , - অনেক , অনেক দূরে –
যেখানে কেউ আমাকে বলবে না উদ্বাস্তু ,
বলবে না চলে যেতে ।
আমি চলে গেলে , একদিন আমার কৃষ্ণচূড়া বড় হবে ।
ফুলে–ফুলে ভরে , সারা গাছ হবে লালে লাল ।
ঠিক , আমার বুকের রক্তের মতো !
আমার লাল কৃষ্ণচূড়া বাতাসে মাথা নেড়ে বলবে –
আমি উদ্বাস্তু নই , - আমি উদ্বাস্তু ছিলাম না , –
উদ্বাস্তু হয়ে পৃথিবীতে কেউ আসে না ।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
বিশ্বজিৎ বণিক ০১/১০/২০১৩খুব ভালো । তসলিমা নাসরিন এর যাবো না কেন যাবো ? কবিতার কথা মনে পড়ল ।
-
আর. এইচ. মামুন ০১/১০/২০১৩উদ্বাস্তু হয়ে পৃথিবীতে কেউ আসে না
-
নির্ঝর রাজু ০১/১০/২০১৩হাহাকার জাগানিয়া শব্দগাথা! কবির কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে ইচ্ছে হয় "নিয়মানুযায়ি আমিও এ গ্রহেরই প্রানী, আমার জন্য একটুকরো জায়গা বরাদ্দ ছিল" ভাল লেগেছে*************** **********নিমন্ত্রন রইল নির্ঝরের ব্লগবাড়িতে ঘুরে আসার!
-
রোদের ছায়া ০১/১০/২০১৩বাহ।
-
Înšigniã Āvî ০১/১০/২০১৩মন ছুঁয়ে গেল