সৎপাত্র
পাত্র নাকি গঙ্গারাম?
কেমন ছেলে জানো??
বলছি তবে তাহার কথা,
মনটা দিয়ে শোনো।
মন্দ বলা নয়কো উচিৎ
ভালোই সে তো বেশ;
গায়ের উপর চামড়াটাতে
কালো রঙের রেশ।
পেঁচার মতো দেখতে হলেও
গুনের জুড়ি নাই;
উনিশটিবার ম্যাট্রিকে সে
ফেল করেছে তাই।
গরীব হলেও দিন চলে যায়
কষ্ট–সৃষ্ট করে;
একটা গোঁয়ার, আর একটা ভাই
পাগল হয়ে ঘোরে।
আর একখানার ছাপাখানা,
ছাপে তাতে টাকা;
শুনছি কোন্ জেলে নাকি
এখন তাকে রাখা।
ছোটোটাতো তবলা বাদক,
যাত্রাদলে থাকে;
পাঁচটাকা পায় তবলা পিটে
মাসের ফাঁকে-ফাঁকে।
কংস তাদের পূর্বপুরুষ,
উচ্চ তাদের ঘর;
বনগ্রামের ঐ শ্যাম লাহিড়ী
নয়কো তাদের পর।
যাহোক তবু শেষ অবধি
পাত্র ভালোই পেলে;
এমনকি আর দোষ-ত্রুটি তার,
মন্দ নয়কো ছেলে।।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার : আমার প্রণম্য কবি (কবিতার ভাবার্থ তাঁর কবিতার ভাবার্থের অনুরূপ)।
সৎপাত্র
- সুকুমার রায়
শুনতে পেলাম পোস্তা গিয়ে—
তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে ?
গঙ্গারামকে পাত্র পেলে ?
জানতে চাও সে কেমন ছেলে ?
মন্দ নয় সে পাত্র ভালো
রঙ যদিও বেজায় কালো ;
তার উপরে মুখের গঠন
অনেকটা ঠিক পেঁচার মতন ;
বিদ্যে বুদ্ধি ? বলছি মশাই—
ধন্যি ছেলের অধ্যবসায় !
উনিশটিবার ম্যাট্রিকে সে
ঘায়েল হয়ে থামল শেষে ।
বিষয় আশয় ? গরীব বেজায়—
কষ্টে–সৃষ্টে দিন চলে যায় ।
মানুষ তো নয় ভাইগুলো তার—
একটা পাগল একটা গোঁয়ার ;
আরেকটি সে তৈরী ছেলে,
জাল করে নোট গেছেন জেলে ।
কনিষ্ঠটি তবলা বাজায়
যাত্রাদলে পাঁচ টাকা পায় ।
গঙ্গারাম তো কেবল ভোগে
পিলের জ্বর আর পাণ্ডু রোগে ।
কিন্তু তারা উচ্চ ঘর,
কংসরাজের বংশধর !
শ্যাম লাহিড়ী বনগ্রামের
কি যেন হয় গঙ্গারামের ।—
যহোক, এবার পাত্র পেলে,
এমন কি আর মন্দ ছেলে ?
কেমন ছেলে জানো??
বলছি তবে তাহার কথা,
মনটা দিয়ে শোনো।
মন্দ বলা নয়কো উচিৎ
ভালোই সে তো বেশ;
গায়ের উপর চামড়াটাতে
কালো রঙের রেশ।
পেঁচার মতো দেখতে হলেও
গুনের জুড়ি নাই;
উনিশটিবার ম্যাট্রিকে সে
ফেল করেছে তাই।
গরীব হলেও দিন চলে যায়
কষ্ট–সৃষ্ট করে;
একটা গোঁয়ার, আর একটা ভাই
পাগল হয়ে ঘোরে।
আর একখানার ছাপাখানা,
ছাপে তাতে টাকা;
শুনছি কোন্ জেলে নাকি
এখন তাকে রাখা।
ছোটোটাতো তবলা বাদক,
যাত্রাদলে থাকে;
পাঁচটাকা পায় তবলা পিটে
মাসের ফাঁকে-ফাঁকে।
কংস তাদের পূর্বপুরুষ,
উচ্চ তাদের ঘর;
বনগ্রামের ঐ শ্যাম লাহিড়ী
নয়কো তাদের পর।
যাহোক তবু শেষ অবধি
পাত্র ভালোই পেলে;
এমনকি আর দোষ-ত্রুটি তার,
মন্দ নয়কো ছেলে।।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার : আমার প্রণম্য কবি (কবিতার ভাবার্থ তাঁর কবিতার ভাবার্থের অনুরূপ)।
সৎপাত্র
- সুকুমার রায়
শুনতে পেলাম পোস্তা গিয়ে—
তোমার নাকি মেয়ের বিয়ে ?
গঙ্গারামকে পাত্র পেলে ?
জানতে চাও সে কেমন ছেলে ?
মন্দ নয় সে পাত্র ভালো
রঙ যদিও বেজায় কালো ;
তার উপরে মুখের গঠন
অনেকটা ঠিক পেঁচার মতন ;
বিদ্যে বুদ্ধি ? বলছি মশাই—
ধন্যি ছেলের অধ্যবসায় !
উনিশটিবার ম্যাট্রিকে সে
ঘায়েল হয়ে থামল শেষে ।
বিষয় আশয় ? গরীব বেজায়—
কষ্টে–সৃষ্টে দিন চলে যায় ।
মানুষ তো নয় ভাইগুলো তার—
একটা পাগল একটা গোঁয়ার ;
আরেকটি সে তৈরী ছেলে,
জাল করে নোট গেছেন জেলে ।
কনিষ্ঠটি তবলা বাজায়
যাত্রাদলে পাঁচ টাকা পায় ।
গঙ্গারাম তো কেবল ভোগে
পিলের জ্বর আর পাণ্ডু রোগে ।
কিন্তু তারা উচ্চ ঘর,
কংসরাজের বংশধর !
শ্যাম লাহিড়ী বনগ্রামের
কি যেন হয় গঙ্গারামের ।—
যহোক, এবার পাত্র পেলে,
এমন কি আর মন্দ ছেলে ?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ২৫/০৯/২০১৩অনবদ্য
-
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ২৫/০৯/২০১৩খুব ভালো লেগেছে। তবে বেচারা মেট্ট্রিক ফেল করছে তো কি হইছে এইটা নিয়া ব্যাঙ্গ করা উচিৎ হয়নাই। খোদা সবার ভাগ্যে সমান পড়া-শোনা রাখেননাই। কবিগুরু কি তাইলে খারাপ ছিলেন?
বি.দ্রঃ তর্কে মজা পাই, don't take personally -
সাইফুল ইসলাম মোল্লা ২৫/০৯/২০১৩কী হল বুঝতে পারলাম না, কবিতার ভাবার্থ, সারমর্ম, নাম-ছন্দ সবই তো নকল......
এটাতো প্যারোডি নয় , তাহলে কী কবি? -
Înšigniã Āvî ২৫/০৯/২০১৩byapok