বাংলা ভাষার এদিন সেদিন
বাংলা ভাষার এদিন সেদিন
বিশ্বায়নের যুগে সমগ্র বিশ্ব আজ ছোট হতে হতে
এক ঘর এক উঠোন। সাগর পাড়ে যে ঢেউ এক্ষুনি
উঠলো, তৎক্ষণাৎ তার রেশ অন্য পাড়ে আছড়ে পড়ে।
সারা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে অন্যদের দেখাদেখি বাংলাতেও আজ তাই, কাঁধ ঝাঁকানো হাই -হ্যালো সংস্কৃতির রমরমা।
সেদিন পাশের বাড়ি থেকে
স্বামী-স্ত্রীর এক কথোপকথন কানে এলো-
-কি হলো!আর কতক্ষণ!ডাইনিং টেবিলে খাবার লাগিয়েছি। লাফড়া কোরোনা, ডেলি ডেলি।বাওয়াল ভাল্লাগে না মাইরি। নখরা না করে, ডিনার শেষ করো তাড়াতাড়ি।
-বাবু, ফিস কারিটা ব্যাপক হয়েছে।একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছ,বস্।
সমৃদ্ধি না রূপান্তর বলা শক্ত। ভাই-বোন-বন্ধু, পাল্টে গিয়ে ব্রো, সিস, মেট....
পেছনে লাগার আর এক নাম চাটা, নকল করে চুরি করাকে বলে,ঝাপা -
ফেসবুক,ম্যাসেন্জারের চ্যাটের দৌলতে নতুন নতুন শব্দবন্ধ রচিত হচ্ছে। টিএইচ এক্স দিয়ে থ্যাঙ্কস বোঝানো। কিংবা নিদারুণ মৃত্যু সংবাদকে আর আই পি দিয়ে রেস্ট ইন পিস বোঝানোর হাস্যকর অপচেষ্টা।
তাহলে, আগামীর জন্যে হাতে কি আর অবশিষ্ট থাকলো। কোথায় এসে দাঁড় করালাম হাজার বছরেরও বেশি, গৌরবময় ঐতিহ্যের!
প্রাতঃস্মরণীয় ঈশ্বরচন্দ্রের হাত ধরে যে ভাষা আধুনিক হলো,বিশ্বকবির অবদান ধন্য হয়ে যে ভাষা বিশ্বজনীন হলো সেই ভাষার এমন জগাখিচুড়ি অবস্থা!
স্বতন্ত্র এই ভাষার জন্যে কতো শহীদের আত্মত্যাগ,বলিদান! আর, প্রতিদিন প্রতিনিয়ত তার বিশুদ্ধি নষ্ট হতে দিচ্ছি আমরা, যথেচ্ছ হিন্দি আর ইংরেজির মিশেল দিয়ে!
এটা পরিবর্তন না বিবর্তন না কি অধঃপতন!
তা বলে গেল গেল রব তুলে কংক্রিটের পাকাপোক্ত বাঁধ তুলে দিলে নদীর গতি যে রূদ্ধ হয়ে পড়বে। তার চেয়ে চলমান কে চলতে দেওয়াই ভালো।
পরিবর্তনকে মেনে নিতেই হয়।
আজকের দিনে কি আর চর্যাপদের সময়ের
"হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী" বললে লোকে বুঝবে! না কি সেই ভাষাতে কথা বলবে!
যেটা আত্তীকরণ হওয়ার সেটা হবেই। সময়ের নিয়ম যে এমনটাই। তবে নদী আবর্জনা সহ্য করে না বেশিক্ষণ। যেটা জঞ্জাল, নদী সেটা ছুড়ে ফেলবেই,কোনো না কোনো একদিন....
বিশ্বায়নের যুগে সমগ্র বিশ্ব আজ ছোট হতে হতে
এক ঘর এক উঠোন। সাগর পাড়ে যে ঢেউ এক্ষুনি
উঠলো, তৎক্ষণাৎ তার রেশ অন্য পাড়ে আছড়ে পড়ে।
সারা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে অন্যদের দেখাদেখি বাংলাতেও আজ তাই, কাঁধ ঝাঁকানো হাই -হ্যালো সংস্কৃতির রমরমা।
সেদিন পাশের বাড়ি থেকে
স্বামী-স্ত্রীর এক কথোপকথন কানে এলো-
-কি হলো!আর কতক্ষণ!ডাইনিং টেবিলে খাবার লাগিয়েছি। লাফড়া কোরোনা, ডেলি ডেলি।বাওয়াল ভাল্লাগে না মাইরি। নখরা না করে, ডিনার শেষ করো তাড়াতাড়ি।
-বাবু, ফিস কারিটা ব্যাপক হয়েছে।একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছ,বস্।
সমৃদ্ধি না রূপান্তর বলা শক্ত। ভাই-বোন-বন্ধু, পাল্টে গিয়ে ব্রো, সিস, মেট....
পেছনে লাগার আর এক নাম চাটা, নকল করে চুরি করাকে বলে,ঝাপা -
ফেসবুক,ম্যাসেন্জারের চ্যাটের দৌলতে নতুন নতুন শব্দবন্ধ রচিত হচ্ছে। টিএইচ এক্স দিয়ে থ্যাঙ্কস বোঝানো। কিংবা নিদারুণ মৃত্যু সংবাদকে আর আই পি দিয়ে রেস্ট ইন পিস বোঝানোর হাস্যকর অপচেষ্টা।
তাহলে, আগামীর জন্যে হাতে কি আর অবশিষ্ট থাকলো। কোথায় এসে দাঁড় করালাম হাজার বছরেরও বেশি, গৌরবময় ঐতিহ্যের!
প্রাতঃস্মরণীয় ঈশ্বরচন্দ্রের হাত ধরে যে ভাষা আধুনিক হলো,বিশ্বকবির অবদান ধন্য হয়ে যে ভাষা বিশ্বজনীন হলো সেই ভাষার এমন জগাখিচুড়ি অবস্থা!
স্বতন্ত্র এই ভাষার জন্যে কতো শহীদের আত্মত্যাগ,বলিদান! আর, প্রতিদিন প্রতিনিয়ত তার বিশুদ্ধি নষ্ট হতে দিচ্ছি আমরা, যথেচ্ছ হিন্দি আর ইংরেজির মিশেল দিয়ে!
এটা পরিবর্তন না বিবর্তন না কি অধঃপতন!
তা বলে গেল গেল রব তুলে কংক্রিটের পাকাপোক্ত বাঁধ তুলে দিলে নদীর গতি যে রূদ্ধ হয়ে পড়বে। তার চেয়ে চলমান কে চলতে দেওয়াই ভালো।
পরিবর্তনকে মেনে নিতেই হয়।
আজকের দিনে কি আর চর্যাপদের সময়ের
"হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী" বললে লোকে বুঝবে! না কি সেই ভাষাতে কথা বলবে!
যেটা আত্তীকরণ হওয়ার সেটা হবেই। সময়ের নিয়ম যে এমনটাই। তবে নদী আবর্জনা সহ্য করে না বেশিক্ষণ। যেটা জঞ্জাল, নদী সেটা ছুড়ে ফেলবেই,কোনো না কোনো একদিন....
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২২/০২/২০২৩সুনদ্র প্রকাশ।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২১/০২/২০২৩অনন্যা
-
ফয়জুল মহী ২১/০২/২০২৩অতুলনীয়