হেঁড়িয়ার জগদ্ধাত্রী পূজা - আর কিছু কথা
ভাবতে কখনো অবাক লাগে । এইতো সেদিন ১৯৯০ সালের জগদ্ধাত্রী মায়ের পুজো । হেঁড়িয়া হাইস্কুলের মাঠে, কি সুন্দর আলোক মালায় উদ্ভাসিত । বিভিন্ন অনুষ্টানে ভরা মেতে থাকা উত্সবের দিন গুলি । কত সুন্দর! সত্যি কি! ২৫ টা বছর হয়ে গেল ! এরই মধ্যে ! দিন আর সাল অনুযায়ী হয়ত হয়েছে । কিন্তু বছর বছর নিত্য নতুন চোখবাহারি আর মনোরম মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠান যেন ঘটনাগুলো বেশি পুরনো করতে পারেনি, স্মৃতির অন্তরালে দৃশ্যপটে ছেয়ে আছে সবসময় । হ্যা, আমি হেঁড়িয়া বন্ধুগোষ্টি সংঘের পরিচালিত মা জগদ্ধাত্রী পূজা ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথাই বলছি ।
সেই প্রাচীন কাল থেকেই যুবকেরাই বহু উদ্যোগ নিয়েছেন । সে চাষবাস হোক বা দেশ শাসন থেকে দেশোদ্ধার সবেতেই যুবকেরাই উদ্যোগী । স্বাধীনতা এনেছেন যুবকদেরই উদ্যোগে । মঙ্গল পান্ডে, ভগৎ সিংহ, ক্ষুদিরাম, বি.বা.দী থেকে নেতাজি ও মহাত্মা গান্ধী সবাই যুব বয়সে কর্ম শুরু করেছিলেন, স্বাধীনতার বিশাল কর্মযজ্ঞ । ঠিক তেমনি আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে এই এলাকার বেশ কয়েকজন উত্সাহী যুবকবৃন্দ উদ্যোগী হয়ে হেঁড়িয়ার জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজা শুরু করেছিলেন চন্দননগরের আদলে । তারাও চেয়েছিলেন আমাদের এখানেও ওইরকম রকমারি মনমোহিনী অনুষ্ঠান হোক । অনুষ্ঠানের আনন্দে - আনন্দময় হোক, আনন্দের ঝরনা ধারায় বয়ে যাক সারা বছরের দুঃখ, সকল যন্ত্রণা, সকল বিবাদ । আনন্দের শিহরণে রোমাঞ্চিত হয়ে যাক এই এলাকা ।
ঠিক তেমনটাই হলো । কতিপয় উদ্যোগী যুবক তাঁরা উদ্যোগী হলেন। মনেপ্রাণে প্রতিজ্ঞা করলেন এই এলাকায় চন্দননগরের আলো আসবে । আমরাই করব সেই উত্সব, এখানে । আসবে অনেক আনন্দ । তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের নাম মনে পড়ে - শ্রী অতুল চন্দ্র মালাকার, শ্রী আকাশ জানা, শ্রী সুশান্ত কুমার পড়্যা, শ্রী রাজকুমার সামন্ত, শ্রী গৌর জানা, শ্রী শক্তিপদ মান্না, শ্রী রবীন মান্না, শ্রী সুব্রত মান্না প্রমুখ যুবকবৃন্দ এবং স্থানীয় উদ্যোগী বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ । অনুষ্ঠান করলেন তাঁরা । স্থানীয় বাসিন্দারা উপভোগ করলেন - প্রতি বছর উত্সবের নিত্য নুতুন স্বাদ ।
সেই পূজার আজ পঁচিশ বছর পূর্ণ হতে চলেছে । এই পঁচিশ বছরে পালাবনীখাল থেকে রসুলপুর - ভাগীরথী - বঙ্গপোসাগর হয়ে অনেক জল গড়িয়েছে ভারত মহাসাগরে । কত নতুন পেয়েছি আর কত হারিয়েছি । টাইফুন, সুনামি, স্যান্ডি, নীলম, ফাইলিন, হুদহুদ আর মহামারী - কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে । কত আপনজন হারিয়েছি । কত এসেছে আর কত গেছে । নতুন পেয়েছি ও অনেক, ক্রিকেটে - কপিল, আজাহার, সচিন, সৌরভ, ধোনি - জয়ও করেছি বিশ্বকাপ, এশিয়াডে - কমনওয়েলথ- অলিম্পিকে মেডেল, বক্সিং – সাঁতার – দৌড় – তীরন্দাজ – ব্যাটমিন্টন - দাবাতে মেডেল । নোবেলে - অমর্ত্য সেন, ভেঙ্কট রামকৃষ্ণন আর কৈলাশ সত্যার্থী গর্বিত করেছেন আমাদের । দেখেছি কত প্রধানমন্ত্রী - শ্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ, শ্রী নরসিমহা, শ্রী দেবগৌড়া, শ্রী ইন্দ্রকুমার গুজরাল, শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী, শ্রী মনমোহন সিংহ থেকে শ্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদী পর্যন্ত । এ রাজ্যে ও অনেক রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তন হয়েছে । এই সময়ে দেখেছি তিন মুখ্যমন্ত্রী - শ্রী জ্যোতি বসু, শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং পশ্চিম বঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সুশ্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । এই সময়ে দেখেছি প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি প্রতিভা পাতিল এবং প্রথম স্পিকার শ্রীমতি মীরা কুমারকে । আরো দেখেছি, কত নতুন আইন প্রনয়ন - তথ্য জানার অধিকার (RTI Act), মহিলাদের সুরক্ষা আর অধিকার (Women Protection Act), মহিলাদের ৫০% জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (Representative Act), সকলের জন্য খাদ্য সুরক্ষা আইন (Food Safety Act), সকলের জন্য শিক্ষা আইন (Education Act), সর্বোপরি সকলের জন্য সরকারী কাজ ১০০ দিনের (MGNREGA Act) এছাড়া দেশ সুরক্ষা আইন TADA act, FEMA Act ।
সকলকে নিয়ে দেশ গড়ার ভাবনা । সবেতেই আছে এই বন্ধু গোষ্টি । বিগত দিনে আমরা অনেক সমাজ সেবার দৃষ্টান্তমূলক কাজ দেখেছি, এই সংঘের । রক্তদান শিবির, সবুজ বাঁচান অভিযান (গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান), দুঃখী দরিদ্রদের শীতের পোশাক বিতরণ, ভাতৃত্বের বন্ধনে অনেক সামাজিক সমস্যার নিরসন, সামাজিক গন্ডগোল ও জটিলতার সুষ্টু সমাধান, খিচুড়ি বিতরণ (হাজার হাজার অতিথির খাওয়ার দৃশ্য একসঙ্গে) এছাড়াও সমাজের নানাবিধ উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে জড়িত “সময়ের সাথে সবার পাশে” । প্রতি বছর বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন । বহু গুণী প্রতিযোগী এইসব প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে, সমাজে আজ তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্টিত হয়েছেন । সমাজের বহু দায়িত্ব এঁরা নিজেদের কাঁধে নিয়ে অনবরত পালন করে চলেছেন । আইন শৃঙ্খলা সুষ্টুভাবে বজায় রেখে এলাকার আপামর সমস্ত শ্রেনীর মানুষকে “দরিদ্র থেকে ধনী এবং নিরক্ষর থেকে জ্ঞানী” সবাইকে বন্ধু ভেবে আপন করে এই হেঁড়িয়া হাইস্কুলের মাঠে একই শামিয়ানার তলায় নিয়ে এসে মেলবন্ধন ঘটায় এই সংঘ - নামের অর্থ বহনকারী যথার্থ বন্ধুগোষ্ঠী - ধন্য বন্ধুগোষ্ঠী সংঘ !!!
এটা না বললে বিবরণে ভুল থেকে যাবে আমি বলতে শুনেছি, একজন বৃদ্ধা আর একজন বৃদ্ধকে বলছেন; " টকামনে পতিবছর জগদ্ধাত্রী পূজা করে, কত সুন্দর করয়্যা! ভগবান! এ বছর যেন পূজা দেখ্যা মরি, তার আগে আমাকে উপরে উঠি লুবনি " এটা ওই বৃদ্ধা ভদ্রমহিলার কথা নয়, এলাকার সর্ব সাধারণের মনের কথা । না দেখলে কেউ বুঝতে পারবেন না । সত্যি! লোকে এত ভালবাসে এই উত্সবকে । এই ক্লাবকে । সবাই সারাবছর ধরে অপেক্ষা করে থাকে - কবে আসবে আবার বন্ধুগোষ্ঠির জগদ্ধাত্রী পূজা । দেখতে চাই সকলে - সবাই একসঙ্গে ।
সারা পৃথিবী আজ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত । উত্পাদনে অক্ষম শিল্প কারখান বন্ধ হচ্ছে । চারিদিকে কর্মবিমুখ আর - বেকারত্ব । জাত-পাত, ধর্মের নামে আতংকবাদী । দেশ দুনিয়ার সুরক্ষার সমস্যা । পরিবেশ তথা সমাজদূষণ । খাদ্য সংকট, খাদ্য শস্যের আকাল - কারণ বিপুল জনসংখ্যা (যেন জনসমুদ্র) আর সকলের বিপুল চাহিদা । সকলকে ভাবতে হবে । সমাধান বের করতেই হবে ।
সবশেষে শক্তিরুপিনী, অসুর বিনাশিনী, দুর্গতি নাশিনী, শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী - জগৎজননী মায়ের কাছে বিনীত প্রার্থনা, মা - সকল সংকট দূর করো, সমাজকে অপরাধ জগতের কুদৃষ্টি থেকে বাঁচাও, সকলের হৃদয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাহস-শক্তি যোগাও, সকল অশুভ শক্তি নাশ করো, সকলকে বিদ্যা, বুদ্ধি আর সুমতি দাও - এই মোদের প্রার্থনা ।
সকলে বন্ধু হয়ে ধরি যদি - সমাজের হাল,
ছিঁড়ে যাবে সকল সংকটের - ঘনীভূত জাল ।
সুখী হবে সকলে - আসবে মহালয়ার পরে ষষ্ঠী,
প্রতি বছর জগদ্ধাত্রী পূজা দেখবো - আছে বন্ধুগোষ্ঠী ।
জগদ্ধাত্রী পূজা হবে - সকলে অপেক্ষা করি,
প্রতি বছরের ন্যায় - এ বছর হবে আশা করি ।
সকলকে ভালবাসা – আর গুরুজনে প্রনাম,
হেঁড়িয়ার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকুক বন্ধুগোষ্ঠির নাম ।
সেই প্রাচীন কাল থেকেই যুবকেরাই বহু উদ্যোগ নিয়েছেন । সে চাষবাস হোক বা দেশ শাসন থেকে দেশোদ্ধার সবেতেই যুবকেরাই উদ্যোগী । স্বাধীনতা এনেছেন যুবকদেরই উদ্যোগে । মঙ্গল পান্ডে, ভগৎ সিংহ, ক্ষুদিরাম, বি.বা.দী থেকে নেতাজি ও মহাত্মা গান্ধী সবাই যুব বয়সে কর্ম শুরু করেছিলেন, স্বাধীনতার বিশাল কর্মযজ্ঞ । ঠিক তেমনি আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে এই এলাকার বেশ কয়েকজন উত্সাহী যুবকবৃন্দ উদ্যোগী হয়ে হেঁড়িয়ার জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজা শুরু করেছিলেন চন্দননগরের আদলে । তারাও চেয়েছিলেন আমাদের এখানেও ওইরকম রকমারি মনমোহিনী অনুষ্ঠান হোক । অনুষ্ঠানের আনন্দে - আনন্দময় হোক, আনন্দের ঝরনা ধারায় বয়ে যাক সারা বছরের দুঃখ, সকল যন্ত্রণা, সকল বিবাদ । আনন্দের শিহরণে রোমাঞ্চিত হয়ে যাক এই এলাকা ।
ঠিক তেমনটাই হলো । কতিপয় উদ্যোগী যুবক তাঁরা উদ্যোগী হলেন। মনেপ্রাণে প্রতিজ্ঞা করলেন এই এলাকায় চন্দননগরের আলো আসবে । আমরাই করব সেই উত্সব, এখানে । আসবে অনেক আনন্দ । তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের নাম মনে পড়ে - শ্রী অতুল চন্দ্র মালাকার, শ্রী আকাশ জানা, শ্রী সুশান্ত কুমার পড়্যা, শ্রী রাজকুমার সামন্ত, শ্রী গৌর জানা, শ্রী শক্তিপদ মান্না, শ্রী রবীন মান্না, শ্রী সুব্রত মান্না প্রমুখ যুবকবৃন্দ এবং স্থানীয় উদ্যোগী বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ । অনুষ্ঠান করলেন তাঁরা । স্থানীয় বাসিন্দারা উপভোগ করলেন - প্রতি বছর উত্সবের নিত্য নুতুন স্বাদ ।
সেই পূজার আজ পঁচিশ বছর পূর্ণ হতে চলেছে । এই পঁচিশ বছরে পালাবনীখাল থেকে রসুলপুর - ভাগীরথী - বঙ্গপোসাগর হয়ে অনেক জল গড়িয়েছে ভারত মহাসাগরে । কত নতুন পেয়েছি আর কত হারিয়েছি । টাইফুন, সুনামি, স্যান্ডি, নীলম, ফাইলিন, হুদহুদ আর মহামারী - কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে । কত আপনজন হারিয়েছি । কত এসেছে আর কত গেছে । নতুন পেয়েছি ও অনেক, ক্রিকেটে - কপিল, আজাহার, সচিন, সৌরভ, ধোনি - জয়ও করেছি বিশ্বকাপ, এশিয়াডে - কমনওয়েলথ- অলিম্পিকে মেডেল, বক্সিং – সাঁতার – দৌড় – তীরন্দাজ – ব্যাটমিন্টন - দাবাতে মেডেল । নোবেলে - অমর্ত্য সেন, ভেঙ্কট রামকৃষ্ণন আর কৈলাশ সত্যার্থী গর্বিত করেছেন আমাদের । দেখেছি কত প্রধানমন্ত্রী - শ্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ, শ্রী নরসিমহা, শ্রী দেবগৌড়া, শ্রী ইন্দ্রকুমার গুজরাল, শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী, শ্রী মনমোহন সিংহ থেকে শ্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদী পর্যন্ত । এ রাজ্যে ও অনেক রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তন হয়েছে । এই সময়ে দেখেছি তিন মুখ্যমন্ত্রী - শ্রী জ্যোতি বসু, শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং পশ্চিম বঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সুশ্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । এই সময়ে দেখেছি প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি প্রতিভা পাতিল এবং প্রথম স্পিকার শ্রীমতি মীরা কুমারকে । আরো দেখেছি, কত নতুন আইন প্রনয়ন - তথ্য জানার অধিকার (RTI Act), মহিলাদের সুরক্ষা আর অধিকার (Women Protection Act), মহিলাদের ৫০% জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (Representative Act), সকলের জন্য খাদ্য সুরক্ষা আইন (Food Safety Act), সকলের জন্য শিক্ষা আইন (Education Act), সর্বোপরি সকলের জন্য সরকারী কাজ ১০০ দিনের (MGNREGA Act) এছাড়া দেশ সুরক্ষা আইন TADA act, FEMA Act ।
সকলকে নিয়ে দেশ গড়ার ভাবনা । সবেতেই আছে এই বন্ধু গোষ্টি । বিগত দিনে আমরা অনেক সমাজ সেবার দৃষ্টান্তমূলক কাজ দেখেছি, এই সংঘের । রক্তদান শিবির, সবুজ বাঁচান অভিযান (গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান), দুঃখী দরিদ্রদের শীতের পোশাক বিতরণ, ভাতৃত্বের বন্ধনে অনেক সামাজিক সমস্যার নিরসন, সামাজিক গন্ডগোল ও জটিলতার সুষ্টু সমাধান, খিচুড়ি বিতরণ (হাজার হাজার অতিথির খাওয়ার দৃশ্য একসঙ্গে) এছাড়াও সমাজের নানাবিধ উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে জড়িত “সময়ের সাথে সবার পাশে” । প্রতি বছর বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন । বহু গুণী প্রতিযোগী এইসব প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে, সমাজে আজ তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্টিত হয়েছেন । সমাজের বহু দায়িত্ব এঁরা নিজেদের কাঁধে নিয়ে অনবরত পালন করে চলেছেন । আইন শৃঙ্খলা সুষ্টুভাবে বজায় রেখে এলাকার আপামর সমস্ত শ্রেনীর মানুষকে “দরিদ্র থেকে ধনী এবং নিরক্ষর থেকে জ্ঞানী” সবাইকে বন্ধু ভেবে আপন করে এই হেঁড়িয়া হাইস্কুলের মাঠে একই শামিয়ানার তলায় নিয়ে এসে মেলবন্ধন ঘটায় এই সংঘ - নামের অর্থ বহনকারী যথার্থ বন্ধুগোষ্ঠী - ধন্য বন্ধুগোষ্ঠী সংঘ !!!
এটা না বললে বিবরণে ভুল থেকে যাবে আমি বলতে শুনেছি, একজন বৃদ্ধা আর একজন বৃদ্ধকে বলছেন; " টকামনে পতিবছর জগদ্ধাত্রী পূজা করে, কত সুন্দর করয়্যা! ভগবান! এ বছর যেন পূজা দেখ্যা মরি, তার আগে আমাকে উপরে উঠি লুবনি " এটা ওই বৃদ্ধা ভদ্রমহিলার কথা নয়, এলাকার সর্ব সাধারণের মনের কথা । না দেখলে কেউ বুঝতে পারবেন না । সত্যি! লোকে এত ভালবাসে এই উত্সবকে । এই ক্লাবকে । সবাই সারাবছর ধরে অপেক্ষা করে থাকে - কবে আসবে আবার বন্ধুগোষ্ঠির জগদ্ধাত্রী পূজা । দেখতে চাই সকলে - সবাই একসঙ্গে ।
সারা পৃথিবী আজ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত । উত্পাদনে অক্ষম শিল্প কারখান বন্ধ হচ্ছে । চারিদিকে কর্মবিমুখ আর - বেকারত্ব । জাত-পাত, ধর্মের নামে আতংকবাদী । দেশ দুনিয়ার সুরক্ষার সমস্যা । পরিবেশ তথা সমাজদূষণ । খাদ্য সংকট, খাদ্য শস্যের আকাল - কারণ বিপুল জনসংখ্যা (যেন জনসমুদ্র) আর সকলের বিপুল চাহিদা । সকলকে ভাবতে হবে । সমাধান বের করতেই হবে ।
সবশেষে শক্তিরুপিনী, অসুর বিনাশিনী, দুর্গতি নাশিনী, শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী - জগৎজননী মায়ের কাছে বিনীত প্রার্থনা, মা - সকল সংকট দূর করো, সমাজকে অপরাধ জগতের কুদৃষ্টি থেকে বাঁচাও, সকলের হৃদয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাহস-শক্তি যোগাও, সকল অশুভ শক্তি নাশ করো, সকলকে বিদ্যা, বুদ্ধি আর সুমতি দাও - এই মোদের প্রার্থনা ।
সকলে বন্ধু হয়ে ধরি যদি - সমাজের হাল,
ছিঁড়ে যাবে সকল সংকটের - ঘনীভূত জাল ।
সুখী হবে সকলে - আসবে মহালয়ার পরে ষষ্ঠী,
প্রতি বছর জগদ্ধাত্রী পূজা দেখবো - আছে বন্ধুগোষ্ঠী ।
জগদ্ধাত্রী পূজা হবে - সকলে অপেক্ষা করি,
প্রতি বছরের ন্যায় - এ বছর হবে আশা করি ।
সকলকে ভালবাসা – আর গুরুজনে প্রনাম,
হেঁড়িয়ার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকুক বন্ধুগোষ্ঠির নাম ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শ্যামেন্দু ২৯/১২/২০১৫
-
অভিষেক মিত্র ২৩/১২/২০১৫দারুণ লেখা সমরেশ দা।
-----শ্যাম