স্বপ্না - একটি মেয়ের কাহিনী (২য় খন্ড)
প্রথম খন্ডের পর..........
পরীক্ষার পর মেজভাই গেল তার দিদি স্বপ্নার বাড়িতে । মিষ্টি, গুড়, নারকেল আর অনেক রকমের শাকসব্জি নিয়ে । বিয়ের পর ভাই এসেছে প্রথম তাই বিভিন্ন প্রকারের ব্যঞ্জন করেছে স্বপ্না । তার ভাইটা বেশ ভোজনরসিক। ভালো ভালো খাওয়ার পেলেই তুষ্ট, না পেলে দক্ষ-যঞ্জ বাধিয়ে ছাড়ে । তখন অনেক মারামারির পর ক্ষান্ত হয় । সে দিদিকে খুব ভালবাসে কারণ দুটি, এক: তার এই দিদি নিজে না খেয়েও তাকে ভালো ভালো জিনিস খাওয়ায় আর দুই: বাড়িতে দিদির সঙ্গে মারামারি করলেও বাবামা কাউকে সে বলে দিত না, তাই । এখানে এসে অনেক প্রকারের ব্যঞ্জনে ভুলে যায়; মা যে বলেছিল জিজ্ঞেস করতে; তার দিদি কেমন আছে । সে ছোট ছেলে, মনে করে তার দিদি এতসব ভালো ভালো জিনিস খেয়ে, নিশ্চয় খুব ভালো আছে ।
ঘটনাটা ঠিক তা নয় । তার শাশুড়ি শান্তাদেবী অল্প বয়সে স্বামী হারানোর পর ছেলেকে নিয়ে একা থাকে । সমাজের কু-লোকের নজর এড়িয়ে ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করার প্রবল ইচ্ছায় সে ভুলে যায় যে; তার ছেলের ইচ্ছা কি, শখ- আহ্লাদ কি, তার ছেলে কি করতে চায়, কি দেখতে চায়, কি ভালবাসতে চায় ! সে জানে আমি যেটা করছি - সেটাই ঠিক । আমি আর আমার ছেলেই সারা দুনিয়া । সে ভাবে - এর থেকে আর কি বেশি চাইবে তার আদরের ছেলে । বয়স পঞ্চাশ হলেও এখন সে খুব ফর্সা সুন্দরী, নিজেকে সে বুড়ি ভাবে কিন্তু গতরে এখন ও যুবতীকে হার মানায় । কোনো অবস্থায় সে নিজেকে হার মানতে শেখেনি । সে ভুলে যায় যে; সে একজন বিধবা মহিলা । সে ভুলে যায় যে ; সে ছাড়াও দুনিয়াটা আরো বিশাল । সে কখনো নিজেকে প্রশ্ন করেনি যে; সে কি জানে ! - একজন পুরুষের সব কিছু চাওয়া পাওয়া - আশা আকাঙ্ক্ষা আর কি কি হতে পারে !! শান্তাদেবী সকলের ভুল ধরে । সামান্য একটু ভুল হলেই রেগে যায় আর তক্ষুনি বকুনি দিতে শুরু করে। স্বামী হারিয়ে স্বভাবটা তার খিটখিটে মেজাজের হয়ে গেছে । কিন্তু তার ছেলেকে একটুকুও বকাঝকা করে না । শুধু তারই প্রশংসা করে বেড়ায়। ছেলে মা অন্ত:প্রাণ । মা যেটা বলে সে সেটাই করে । এই করে তাদের দিন চলে যায়, কেটে যায় বছরের-পর-বছর, তেইশটা বছর ! তাদের জমিজমা আছে অনেক । মা ও ছেলে মাঠে যায়, চাষকরা আর সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরা তাদের নিত্য দিনের কাজ । স্বপ্না নতুন বউ তাই সে ঘরে থাকে । একা থাকে, নিত্যনতুন অনেক স্বপ্ন দেখে । স্বপ্নে বিভোর হয়ে একা ঘুমিয়ে পড়ে । তাই ঠিক সময়ে দু-একটা নিত্যদিনের কাজ করা আর হয়ে উঠে না । পরে করব মনে করে ফেলে রাখে । ভুলে যায় । সন্ধ্যায় শাশুড়ি ফিরে এসে প্রথম-প্রথম বকুনি দিত এখন মাঝে-মাঝে হাতের কাছে যা পায় তাই দিয়ে মারে । এইভাবে চলতে থাকে কিছুদিন । সেদিন পায়খানার জল বেশি করে তুলে রাখেনি তাই রান্নার সময় উনুনে ঠেলা দেওয়ার লোহার গরম রড দিয়ে মেরে হাতে কালশিটে দাগ করে দিয়েছে সেটা দেখতে পায়নি তার আদরের ভাই । দিদির হাতের দাগটা বা শুকনো মুখটা দেখতেই পায়নি ভাই । দিদির হাতে তৈরী ভালো ভালো খাবার খেয়ে আনন্দে বাড়ি চলে আসে । মা জিজ্ঞেস করতে বলে; দিদি ভালো আছে, ভালো ভালো খাবার বানায় আর খায় । মেয়ের ভালোভালো ব্যঞ্জন বানানো ও খাওয়ার কথা ছেলের মুখে শুনে মা ও শান্তিতে ঘুমায় সেদিন । এমনি করে বছর কেটে যায় ।
সেদিন একজন আত্মীয় খবরটা নিয়ে এলো; স্বপ্না মরে গেছে । শুনে মা তো হাউ হাউ করে বিলাপ করতে লাগলো । স্বপ্নার মেজভাই একটু বড় হয়েছে । বছর চৌদ্দ হবে । ক্লাস এইটে পড়ে । সে আর তার তিন আত্নীয় মিলে সাইকেলে করে গেল তার স্বপ্নাদিদির বাড়িতে । অনেক লোক তার বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছে । একটু আগে লাশটা নিয়ে গেছে । স্বপ্নার স্বামী ও শাশুড়িকে ধরে নিয়ে গেছে পটাশপুর থানার পুলিশ । লোকেরা বলছে; বৌটা ছিল লক্ষীর মতো । গরিব ভিখারীরা বাড়িতে এলে তাদের সাথে গল্প করত । তাদের দুঃখের কথা শুনে, কাঁদত । তাদের ভাত-মুড়ি খেতে দিত । তাদের ভিক্ষার ঝুলিতে এক মুঠো নয় আধসের চাল দিত । তারা গল্প করে ফিরে যাওয়ার সময় অনেক আশীর্বাদ করে যেত; ভালো থেক মা, সুখী হও মা, ভগবান তোমার ভালো করুন মা ইত্যাদি নানাবিধ আশীর্বাণী । বুড়িটা এর আগে স্বামীকে খেয়েছে এখন বৌমটাকে খেয়ে ফেললো । ওর ফাঁসি হোক আমরা এইটা চাই ।
জটলার একপাশে একজন দুঃখী ভিখারিনী বসেছিল। সে কাঁদছে আর বলছে; সোনাবউটি কত ভালো ছিল । জানো ! পাঁচমাসের গর্ভবতী ছিল । অনেক স্বপ্ন দেখেছিল । আমার সাথে কখনো-সখনো গল্প করত । আমাকে ওর স্বপ্নের কথা বলতো । ও একদিন স্বপ্নে দেখেছে যে; সে এক রাজপুত্রের মা হয়েছে । আমি গত দু-সপ্তাহ আসতে পারিনি আমার মুখপোড়া জ্বরের জন্য । বৌমাটি ঘরে একা থাকত । শুনলাম গতকাল ক্লান্ত হয়ে চেয়ারে ঘুমিয়ে পড়েছিল । বুড়ি-শাশুড়ি মাঠ থেকে এসে জল চেয়েছিল বৌমাকে । কিন্তু সারাদিন একা কাজ করে পরিশ্রান্ত বৌমার ঘুম ভাঙ্গেনি । তাই হাতের জলঘটি দিয়ে মাথায় মেরেছে জোরে । বুড়ির গায়ের জোর মরদের মতো । এক ঘায়ে কচি প্রাণটা সাবাড় করে দিয়েছে । এই বলে আবার কাঁদতে লাগলো । জড়ো হওয়া মহিলারা বলছে; ও সবার কথা শুনত মন দিয়ে । কারুর মুখের উপর কোনো জবাব দিত না । ওকে কিছু জিজ্ঞেস করলে, বলতো তার অনেক মিষ্টি মিষ্টি ভাইবোনের কথা । সেই সঙ্গে তার নানান স্বপ্নের কথা বলতো আর মুখটিপে শুধু হাসতো ।
স্বপ্নার ভাই মনে ভাবছে; লাশ কি জিনিস ! আমার দিদি কোথায় ? কে নিয়ে গেছে ! গতমাসে তার বাড়িতে স্বপ্নাদিদি গিয়ে বলেছিল - তার নাকি একটা রাজপুত্র ভাগ্না হবে । সে শুনেছে - অনেকে আশীর্বাদ করেছে তার দিদিকে । সে ভেবেছিল - ভাগ্নাকে কাঁধে করে নাচাবে, গান গাইবে, লজেন্স এনে দেবে আরো অনেক কিছু । স্বপ্নাদিদি প্রত্যেকের কথা বিশ্বাস করতো । স্বপ্ন দেখতো আর তার ভাইকে বলতো; “অনেক পুণ্য করে এ জগতে মানুষ হিসেবে সবাই জন্ম নিয়েছে, কেউ খারাপ লোক নয়, সবাই ভালো” । সত্যি কি তাই ! স্বপ্নার আদরের ভাই ভাবছে; তাহলে দিদির স্বপ্নটা বাস্তব কবে হবে । এই পৃথিবীর সবাই ভালো হবে কবে ? শাশুড়ির অত্যাচারে আর কতজন দিদি এইভাবে মরে যাবে । ওদের বাঁচার পথ দেখাও - হে ভগবান !
***সমাপ্ত***
পরীক্ষার পর মেজভাই গেল তার দিদি স্বপ্নার বাড়িতে । মিষ্টি, গুড়, নারকেল আর অনেক রকমের শাকসব্জি নিয়ে । বিয়ের পর ভাই এসেছে প্রথম তাই বিভিন্ন প্রকারের ব্যঞ্জন করেছে স্বপ্না । তার ভাইটা বেশ ভোজনরসিক। ভালো ভালো খাওয়ার পেলেই তুষ্ট, না পেলে দক্ষ-যঞ্জ বাধিয়ে ছাড়ে । তখন অনেক মারামারির পর ক্ষান্ত হয় । সে দিদিকে খুব ভালবাসে কারণ দুটি, এক: তার এই দিদি নিজে না খেয়েও তাকে ভালো ভালো জিনিস খাওয়ায় আর দুই: বাড়িতে দিদির সঙ্গে মারামারি করলেও বাবামা কাউকে সে বলে দিত না, তাই । এখানে এসে অনেক প্রকারের ব্যঞ্জনে ভুলে যায়; মা যে বলেছিল জিজ্ঞেস করতে; তার দিদি কেমন আছে । সে ছোট ছেলে, মনে করে তার দিদি এতসব ভালো ভালো জিনিস খেয়ে, নিশ্চয় খুব ভালো আছে ।
ঘটনাটা ঠিক তা নয় । তার শাশুড়ি শান্তাদেবী অল্প বয়সে স্বামী হারানোর পর ছেলেকে নিয়ে একা থাকে । সমাজের কু-লোকের নজর এড়িয়ে ছেলেকে মানুষের মত মানুষ করার প্রবল ইচ্ছায় সে ভুলে যায় যে; তার ছেলের ইচ্ছা কি, শখ- আহ্লাদ কি, তার ছেলে কি করতে চায়, কি দেখতে চায়, কি ভালবাসতে চায় ! সে জানে আমি যেটা করছি - সেটাই ঠিক । আমি আর আমার ছেলেই সারা দুনিয়া । সে ভাবে - এর থেকে আর কি বেশি চাইবে তার আদরের ছেলে । বয়স পঞ্চাশ হলেও এখন সে খুব ফর্সা সুন্দরী, নিজেকে সে বুড়ি ভাবে কিন্তু গতরে এখন ও যুবতীকে হার মানায় । কোনো অবস্থায় সে নিজেকে হার মানতে শেখেনি । সে ভুলে যায় যে; সে একজন বিধবা মহিলা । সে ভুলে যায় যে ; সে ছাড়াও দুনিয়াটা আরো বিশাল । সে কখনো নিজেকে প্রশ্ন করেনি যে; সে কি জানে ! - একজন পুরুষের সব কিছু চাওয়া পাওয়া - আশা আকাঙ্ক্ষা আর কি কি হতে পারে !! শান্তাদেবী সকলের ভুল ধরে । সামান্য একটু ভুল হলেই রেগে যায় আর তক্ষুনি বকুনি দিতে শুরু করে। স্বামী হারিয়ে স্বভাবটা তার খিটখিটে মেজাজের হয়ে গেছে । কিন্তু তার ছেলেকে একটুকুও বকাঝকা করে না । শুধু তারই প্রশংসা করে বেড়ায়। ছেলে মা অন্ত:প্রাণ । মা যেটা বলে সে সেটাই করে । এই করে তাদের দিন চলে যায়, কেটে যায় বছরের-পর-বছর, তেইশটা বছর ! তাদের জমিজমা আছে অনেক । মা ও ছেলে মাঠে যায়, চাষকরা আর সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরা তাদের নিত্য দিনের কাজ । স্বপ্না নতুন বউ তাই সে ঘরে থাকে । একা থাকে, নিত্যনতুন অনেক স্বপ্ন দেখে । স্বপ্নে বিভোর হয়ে একা ঘুমিয়ে পড়ে । তাই ঠিক সময়ে দু-একটা নিত্যদিনের কাজ করা আর হয়ে উঠে না । পরে করব মনে করে ফেলে রাখে । ভুলে যায় । সন্ধ্যায় শাশুড়ি ফিরে এসে প্রথম-প্রথম বকুনি দিত এখন মাঝে-মাঝে হাতের কাছে যা পায় তাই দিয়ে মারে । এইভাবে চলতে থাকে কিছুদিন । সেদিন পায়খানার জল বেশি করে তুলে রাখেনি তাই রান্নার সময় উনুনে ঠেলা দেওয়ার লোহার গরম রড দিয়ে মেরে হাতে কালশিটে দাগ করে দিয়েছে সেটা দেখতে পায়নি তার আদরের ভাই । দিদির হাতের দাগটা বা শুকনো মুখটা দেখতেই পায়নি ভাই । দিদির হাতে তৈরী ভালো ভালো খাবার খেয়ে আনন্দে বাড়ি চলে আসে । মা জিজ্ঞেস করতে বলে; দিদি ভালো আছে, ভালো ভালো খাবার বানায় আর খায় । মেয়ের ভালোভালো ব্যঞ্জন বানানো ও খাওয়ার কথা ছেলের মুখে শুনে মা ও শান্তিতে ঘুমায় সেদিন । এমনি করে বছর কেটে যায় ।
সেদিন একজন আত্মীয় খবরটা নিয়ে এলো; স্বপ্না মরে গেছে । শুনে মা তো হাউ হাউ করে বিলাপ করতে লাগলো । স্বপ্নার মেজভাই একটু বড় হয়েছে । বছর চৌদ্দ হবে । ক্লাস এইটে পড়ে । সে আর তার তিন আত্নীয় মিলে সাইকেলে করে গেল তার স্বপ্নাদিদির বাড়িতে । অনেক লোক তার বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছে । একটু আগে লাশটা নিয়ে গেছে । স্বপ্নার স্বামী ও শাশুড়িকে ধরে নিয়ে গেছে পটাশপুর থানার পুলিশ । লোকেরা বলছে; বৌটা ছিল লক্ষীর মতো । গরিব ভিখারীরা বাড়িতে এলে তাদের সাথে গল্প করত । তাদের দুঃখের কথা শুনে, কাঁদত । তাদের ভাত-মুড়ি খেতে দিত । তাদের ভিক্ষার ঝুলিতে এক মুঠো নয় আধসের চাল দিত । তারা গল্প করে ফিরে যাওয়ার সময় অনেক আশীর্বাদ করে যেত; ভালো থেক মা, সুখী হও মা, ভগবান তোমার ভালো করুন মা ইত্যাদি নানাবিধ আশীর্বাণী । বুড়িটা এর আগে স্বামীকে খেয়েছে এখন বৌমটাকে খেয়ে ফেললো । ওর ফাঁসি হোক আমরা এইটা চাই ।
জটলার একপাশে একজন দুঃখী ভিখারিনী বসেছিল। সে কাঁদছে আর বলছে; সোনাবউটি কত ভালো ছিল । জানো ! পাঁচমাসের গর্ভবতী ছিল । অনেক স্বপ্ন দেখেছিল । আমার সাথে কখনো-সখনো গল্প করত । আমাকে ওর স্বপ্নের কথা বলতো । ও একদিন স্বপ্নে দেখেছে যে; সে এক রাজপুত্রের মা হয়েছে । আমি গত দু-সপ্তাহ আসতে পারিনি আমার মুখপোড়া জ্বরের জন্য । বৌমাটি ঘরে একা থাকত । শুনলাম গতকাল ক্লান্ত হয়ে চেয়ারে ঘুমিয়ে পড়েছিল । বুড়ি-শাশুড়ি মাঠ থেকে এসে জল চেয়েছিল বৌমাকে । কিন্তু সারাদিন একা কাজ করে পরিশ্রান্ত বৌমার ঘুম ভাঙ্গেনি । তাই হাতের জলঘটি দিয়ে মাথায় মেরেছে জোরে । বুড়ির গায়ের জোর মরদের মতো । এক ঘায়ে কচি প্রাণটা সাবাড় করে দিয়েছে । এই বলে আবার কাঁদতে লাগলো । জড়ো হওয়া মহিলারা বলছে; ও সবার কথা শুনত মন দিয়ে । কারুর মুখের উপর কোনো জবাব দিত না । ওকে কিছু জিজ্ঞেস করলে, বলতো তার অনেক মিষ্টি মিষ্টি ভাইবোনের কথা । সেই সঙ্গে তার নানান স্বপ্নের কথা বলতো আর মুখটিপে শুধু হাসতো ।
স্বপ্নার ভাই মনে ভাবছে; লাশ কি জিনিস ! আমার দিদি কোথায় ? কে নিয়ে গেছে ! গতমাসে তার বাড়িতে স্বপ্নাদিদি গিয়ে বলেছিল - তার নাকি একটা রাজপুত্র ভাগ্না হবে । সে শুনেছে - অনেকে আশীর্বাদ করেছে তার দিদিকে । সে ভেবেছিল - ভাগ্নাকে কাঁধে করে নাচাবে, গান গাইবে, লজেন্স এনে দেবে আরো অনেক কিছু । স্বপ্নাদিদি প্রত্যেকের কথা বিশ্বাস করতো । স্বপ্ন দেখতো আর তার ভাইকে বলতো; “অনেক পুণ্য করে এ জগতে মানুষ হিসেবে সবাই জন্ম নিয়েছে, কেউ খারাপ লোক নয়, সবাই ভালো” । সত্যি কি তাই ! স্বপ্নার আদরের ভাই ভাবছে; তাহলে দিদির স্বপ্নটা বাস্তব কবে হবে । এই পৃথিবীর সবাই ভালো হবে কবে ? শাশুড়ির অত্যাচারে আর কতজন দিদি এইভাবে মরে যাবে । ওদের বাঁচার পথ দেখাও - হে ভগবান !
***সমাপ্ত***
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ১৭/০৯/২০১৫অসাধারণ কবি দা , কবিতার আসরে কি রাগ করে আস্ছেন না নাকি ?
-
সাহিত্যের পোকা ১৩/০৯/২০১৫দারুণ
-
কিশোর কারুণিক ১২/০৯/২০১৫সুন্দর
-
রুহুল আমীন রৌদ্র. ১২/০৯/২০১৫প্রথম খন্ড পড়া হয়নি, তবে দ্বিতীয় বেশ বিষাদের আঁচ পেলাম।
সমাজে এ রকম স্বপ্নারা অহরহই মরছে।
বেশ দারুন চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন প্রিয়কবি।