ও কি দোষ করেছিল (গল্প)
মাধ্যমিকে ছটি বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়ে প্রথম বিভাগে পাশ করেছিল সীমা । গরিবের ঘরে এত ভালো রেজাল্ট, আগে কখনো হয়নি এ গ্রামে । সেই থেকে নম্র স্বভাবের এই মেয়েটি গ্রামের সকলের কাছে নয়নেরমনি হয়ে উঠলো । তার বাবা তপন আর জেঠু স্বপন গ্রামে লোকের জমিতে চাষবাস করে কোনো রকমে দিন গুজরান করেন । প্রধানদের বাড়িতে তার জেঠিমা বাসন মেজে শ-দুয়েক টাকা পায় । ঘরে ভাইবোন্ বলতে তারা চারজন । তার জেঠুর তিনজন ছেলে মেয়ে - রামু, সামু আর মনীষা । তার বাবা-মা, জেঠু-জেঠিমা আর দাদা বোনেরা সবাই মিলে মোট আটজন । জয়েন্ট ফ্যামিলি । সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত । রামু ও সামু বড় হয়েছে । আটের ক্লাসে পড়া শেষ করে চেন্নাই গেছে কাজ করতে । মনীষা নবম শ্রেণীতে পড়ে। সে সীমার চেয়ে বয়সে দু বছরের ছোট । পড়াশোনায় মোটামুটি ভালো । ক্লাসের পড়া সীমাদিদি ঘরে পড়িয়ে মুখস্ত নেয়, তাই সে কখনো ক্লাসে ফেল হয় না ।
বছর দুএকের পর থেকে সীমাদের ঘরে আনন্দের বন্যা বয়েই যাচ্ছে । তাদের পুরোনো ভাঙ্গা খড়ের ঘরটা ভেঙ্গে নতুন একতলা পাকাবাড়ি হয়েছে । রামু ও সামু চেন্নাই থেকে টাকা পাঠাচ্ছে তার বাবাকে । রামুর বাবা একাউন্ট খুলেছে স্টেট ব্যাংকে । সেই একাউন্টে তারা সরাসরি টাকা পাঠায় । রামু আর সামু মানা করেছে তাই সীমার জেঠিমা রত্নাদেবী এখন আর প্রধানবাবুদের বাড়িতে বাসন মাজতে যায় না । ঘরে বেশ ভালো ভালো খাবার বানানো হয় । এইতো সেদিন আলু আর পটলের সঙ্গে নারকেলের দুধ দিয়ে নারকেল-পটল বানিয়েছিল তার মা । কি দারুন ! গত মাসে বাজার থেকে বড় বড় চিংড়ি মাছ এনেছিল সীমার মামা । সেদিন তার মা নারকেল-চিংড়ি বানিয়েছিল কয়েকবছর পর । কি দারুন তার স্বাদ ! এখনো মাঝে মাঝে হাত শুঁকে দেখে গন্ধ আছে কিনা । সীমার মা খুব দারুন দারুন খাবার বানাতে জানে । তার জেঠিমা বলেন সীমার মায়ের মত কেউ এ তল্লাটে রান্না করতেই জানে না । এতে সীমার মা শকুন্তলাদেবী খুব লজ্জা পায় । জায়েরা যদি গুনগান করে সে ঘরে তো সুখ আসবেই, এটাতো সকলের জানা কথা । এইভাবে খুশিতে আর আনন্দে কোলাকুলি করতে থাকে তাদের পরিবার ।
দু বছর পরে সীমা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে স্টার পেয়ে জীববিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে পড়া শুরু করলো । তারপর এলো আর একটা সু-সংবাদ । সীমা নার্সিংএ চান্স পেয়েছে । সীমা চায় নার্স হতে । এটা গ্রামের ও গর্বের কথা । বর্তমানে চাকরির বাজারে অনেক প্রতিযোগিতা । তাই সীমা অনার্সের পড়া ইতি করে নার্সিং পড়তে চলে গেল । কয়েক বছর ট্রেনিং এর পর সীমা বাঁকুড়াতে নার্সের চাকরি পেয়ে গেল ।
গত মাসে রত্নাদেবী আর শকুন্তলাদেবী বাঁকুড়া বেড়াতে গিয়ে ছিল । সেখানে সাত দিন থেকে ছাতনায় শুশুনিয়া পাহাড়ে বেড়িয়ে এসেছে । প্রকৃতির কি খেলা এখানে ! পাহাড়, ঘন জঙ্গল আর তির তির করে বয়ে যাওয়া নদী আর লাল-সাদা পাথরের কি বিশাল সমাহার । কি সুন্দর ! ফিরে এসে তারা গর্বে গ্রামের সকলকে বলে । সবাই তো চায় সীমার কথা শুনতে । তাই, ও ওখানে কেমন আছে ! কি খায় ! মোটা হয়েছে কিনা ! না, আগের মতই রোগা হয়ে আছে ? গ্রামের বৌদি সম্পর্কের মহিলারা কেউ কেউ বলছে, "আমাদের গ্রামের লাজুক ননদটি কি ওখানে কারুর প্রেমে টেমে পড়েছে কিনা" । কত জনের কত প্রশ্ন । হাসতে - হাসাতে আর হাসিতে কয়েকটা দিন এমনি কেটে গেল ।
আজ সকালে সারা গ্রামটা নিঃশব্দ । সকালে তপনবাবুর বাড়িতে খুব ভিড় । বাহিরে সকলের মুখ থমথমে । কেউ বেশি কথা বলছে না । বাড়ির মধ্যে অনেক মহিলা কান্নাকাটি করছে । কেউ সান্তনা দিছে । কেউ বলছে ও কি দোষ করেছিল । এইটুকু বয়সে ওকে চলে যেতে হলো কেন । সন্ত্রাসবাদীরা ওকে মেরে দিল কেন ? নানা প্রশ্ন । নতুন যারা এসেছিল তারা জানতে চাইছে কি হয়েছে ।
গ্রামেরই একজন বৃদ্ধ অতুল বাবু বললেন; সপ্তাহ দুএক আগে সীমার ট্রান্সফার হয়েছিল ঝাড়গ্রামের একটি হাসপাতালে । ডিউটিতে যোগ দিতেই ওখানে সবাই ওর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে গেছিল । ও সবার সেবা সুশ্রুষা সুন্দর ভাবে করত । গরিব দুখীদের মনের কথাটা বুঝত । ইনজেকশন দেওয়াটা খুব ভালো করে শিখেছিল । ও বলত ইনজেকশন দেওয়াটা একটা কলা (Art), হাতের শিল্প । তাই ভালো করে ও ইনজেকশন দিত । ব্যথা বা পচা ঘা পরিষ্কার করে ধুয়ে মুছে তারপর মলম-পট্টি করে ব্যান্ডেজ করে দিত । "ওষুধ নেই", "এখন হবেনা" বা "পরে আসুন" এইসব নেগেটিভ কথা ও বলত না । সকলের হৃদয়ে স্থান করে কয়েক দিনেই ও সকলের প্রিয়পাত্রী হয়ে উঠেছিল ।
কিন্তু বাধ সাধলো সন্ত্রাসবাদীরা । ওরা হাসপাতাল ঘেরাও করে রাখল দুদিন । ওদের কোনো নেতাকে মুক্তি দিতে হবে আরো কি সব দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য । সকল ডাক্তার ও নার্সদের বন্দী করলো । কিন্তু সীমা ভয় পায়নি । এরই মাঝে সে দিব্যি সকলের সেবা আর মলম-পট্টি করেই যাচ্ছিল । কিন্তু সন্ত্রাসবাদীরা অতটা ভয়-ডরহীন এক মহিলাকে সহ্য করতে পারল না । ওরা ভাবলো আমাদের বন্দুকের সামনে ও এত নির্ভিক থাকে কিভাবে ! কিভাবে বন্দুকের সামনে সকলের সেবায় নিয়োজিত থাকে সাবলীল । গতকাল একজন রোগী ব্যথায় কাতর হয়ে একটু জল চাইছিল, কেউ দেয়নি । সীমা জল নিয়ে এগিয়ে গেল সেই রোগীর কাছে । মুখে কাপড় জড়ানো একজন কর্কশ গলায় বলল; জল দিতে হবে না, চলে যাও । সেই কথা শুনে সীমা বলল একজন রোগী একটু জলের জন্য চিত্কার করছে আর আপনারা বলছেন জল না দিয়ে চলে যাও । আপনারা কি মানুষ, না.. কি....দুড়ুম... এবার একটি গুলির শব্দ । সীমার রক্তাক্ত দেহটা এলিয়ে পড়ল মেঝেতে ।
সেই দিনই স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স কয়েক ঘন্টা অবিরাম গুলির লড়াইয়ের পর হাসপাতাল থেকে সন্ত্রাসবাদীদের দখল মুক্ত করতে পেরেছিল । ওখানকার প্রত্যক্ষদর্শীরা সকলে বলছে সীমাদেবী সত্যি সীমাহীনদেবী ! ওর সেবার আর ভালবাসার কোনো সীমা ছিল না । সকলকে সেবা আর ভালবাসা দিয়ে হৃদয় জয় করেছিল । শুধু পারল না সন্ত্রাসবাদীদের ।
সীমা সব সময় বিবেকানন্দের কথা বলত – “সকল জীবই শিব”। সকলকে ভালবাসত । সকলের সেবার মাঝে ভগবানের দেখা পেত্ । গরিব দুখী বুড়োবুড়ি রোগীরা সেবা সুশ্রুষা পেয়ে আশির্বাদ করে যেত; সুখী হও মা, ভালো থেক মা, দীর্ঘজীবি হও মা, ভগবান তোমার ভালো করুক মা, আরো কতকি । এইভাবে প্রতিদিন সেই সরল সাদাসিদে মানুষজন আশীর্বাদ করে যেত । ওদের মুখে মা ডাকটাই ওকে খুব আনন্দ দিত । সারাটা দিন কাজ আর হাসি নিয়ে থাকত । মুখে কোনো গ্লানি বা ক্লান্তির ছাপ ছিলনা । সবাইকে বলত; “কাজ করে যাও ফলের আশা করোনা তা একদিন না একদিন পাবে” । ওই একটু বয়সে কত দায়িত্ব মাথায় নিয়েছিল । সকলের মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে । ওকে কেন মেরে দিল । ও কি দোষ করেছিল !
বছর দুএকের পর থেকে সীমাদের ঘরে আনন্দের বন্যা বয়েই যাচ্ছে । তাদের পুরোনো ভাঙ্গা খড়ের ঘরটা ভেঙ্গে নতুন একতলা পাকাবাড়ি হয়েছে । রামু ও সামু চেন্নাই থেকে টাকা পাঠাচ্ছে তার বাবাকে । রামুর বাবা একাউন্ট খুলেছে স্টেট ব্যাংকে । সেই একাউন্টে তারা সরাসরি টাকা পাঠায় । রামু আর সামু মানা করেছে তাই সীমার জেঠিমা রত্নাদেবী এখন আর প্রধানবাবুদের বাড়িতে বাসন মাজতে যায় না । ঘরে বেশ ভালো ভালো খাবার বানানো হয় । এইতো সেদিন আলু আর পটলের সঙ্গে নারকেলের দুধ দিয়ে নারকেল-পটল বানিয়েছিল তার মা । কি দারুন ! গত মাসে বাজার থেকে বড় বড় চিংড়ি মাছ এনেছিল সীমার মামা । সেদিন তার মা নারকেল-চিংড়ি বানিয়েছিল কয়েকবছর পর । কি দারুন তার স্বাদ ! এখনো মাঝে মাঝে হাত শুঁকে দেখে গন্ধ আছে কিনা । সীমার মা খুব দারুন দারুন খাবার বানাতে জানে । তার জেঠিমা বলেন সীমার মায়ের মত কেউ এ তল্লাটে রান্না করতেই জানে না । এতে সীমার মা শকুন্তলাদেবী খুব লজ্জা পায় । জায়েরা যদি গুনগান করে সে ঘরে তো সুখ আসবেই, এটাতো সকলের জানা কথা । এইভাবে খুশিতে আর আনন্দে কোলাকুলি করতে থাকে তাদের পরিবার ।
দু বছর পরে সীমা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে স্টার পেয়ে জীববিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে পড়া শুরু করলো । তারপর এলো আর একটা সু-সংবাদ । সীমা নার্সিংএ চান্স পেয়েছে । সীমা চায় নার্স হতে । এটা গ্রামের ও গর্বের কথা । বর্তমানে চাকরির বাজারে অনেক প্রতিযোগিতা । তাই সীমা অনার্সের পড়া ইতি করে নার্সিং পড়তে চলে গেল । কয়েক বছর ট্রেনিং এর পর সীমা বাঁকুড়াতে নার্সের চাকরি পেয়ে গেল ।
গত মাসে রত্নাদেবী আর শকুন্তলাদেবী বাঁকুড়া বেড়াতে গিয়ে ছিল । সেখানে সাত দিন থেকে ছাতনায় শুশুনিয়া পাহাড়ে বেড়িয়ে এসেছে । প্রকৃতির কি খেলা এখানে ! পাহাড়, ঘন জঙ্গল আর তির তির করে বয়ে যাওয়া নদী আর লাল-সাদা পাথরের কি বিশাল সমাহার । কি সুন্দর ! ফিরে এসে তারা গর্বে গ্রামের সকলকে বলে । সবাই তো চায় সীমার কথা শুনতে । তাই, ও ওখানে কেমন আছে ! কি খায় ! মোটা হয়েছে কিনা ! না, আগের মতই রোগা হয়ে আছে ? গ্রামের বৌদি সম্পর্কের মহিলারা কেউ কেউ বলছে, "আমাদের গ্রামের লাজুক ননদটি কি ওখানে কারুর প্রেমে টেমে পড়েছে কিনা" । কত জনের কত প্রশ্ন । হাসতে - হাসাতে আর হাসিতে কয়েকটা দিন এমনি কেটে গেল ।
আজ সকালে সারা গ্রামটা নিঃশব্দ । সকালে তপনবাবুর বাড়িতে খুব ভিড় । বাহিরে সকলের মুখ থমথমে । কেউ বেশি কথা বলছে না । বাড়ির মধ্যে অনেক মহিলা কান্নাকাটি করছে । কেউ সান্তনা দিছে । কেউ বলছে ও কি দোষ করেছিল । এইটুকু বয়সে ওকে চলে যেতে হলো কেন । সন্ত্রাসবাদীরা ওকে মেরে দিল কেন ? নানা প্রশ্ন । নতুন যারা এসেছিল তারা জানতে চাইছে কি হয়েছে ।
গ্রামেরই একজন বৃদ্ধ অতুল বাবু বললেন; সপ্তাহ দুএক আগে সীমার ট্রান্সফার হয়েছিল ঝাড়গ্রামের একটি হাসপাতালে । ডিউটিতে যোগ দিতেই ওখানে সবাই ওর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে গেছিল । ও সবার সেবা সুশ্রুষা সুন্দর ভাবে করত । গরিব দুখীদের মনের কথাটা বুঝত । ইনজেকশন দেওয়াটা খুব ভালো করে শিখেছিল । ও বলত ইনজেকশন দেওয়াটা একটা কলা (Art), হাতের শিল্প । তাই ভালো করে ও ইনজেকশন দিত । ব্যথা বা পচা ঘা পরিষ্কার করে ধুয়ে মুছে তারপর মলম-পট্টি করে ব্যান্ডেজ করে দিত । "ওষুধ নেই", "এখন হবেনা" বা "পরে আসুন" এইসব নেগেটিভ কথা ও বলত না । সকলের হৃদয়ে স্থান করে কয়েক দিনেই ও সকলের প্রিয়পাত্রী হয়ে উঠেছিল ।
কিন্তু বাধ সাধলো সন্ত্রাসবাদীরা । ওরা হাসপাতাল ঘেরাও করে রাখল দুদিন । ওদের কোনো নেতাকে মুক্তি দিতে হবে আরো কি সব দাবি দাওয়া আদায়ের জন্য । সকল ডাক্তার ও নার্সদের বন্দী করলো । কিন্তু সীমা ভয় পায়নি । এরই মাঝে সে দিব্যি সকলের সেবা আর মলম-পট্টি করেই যাচ্ছিল । কিন্তু সন্ত্রাসবাদীরা অতটা ভয়-ডরহীন এক মহিলাকে সহ্য করতে পারল না । ওরা ভাবলো আমাদের বন্দুকের সামনে ও এত নির্ভিক থাকে কিভাবে ! কিভাবে বন্দুকের সামনে সকলের সেবায় নিয়োজিত থাকে সাবলীল । গতকাল একজন রোগী ব্যথায় কাতর হয়ে একটু জল চাইছিল, কেউ দেয়নি । সীমা জল নিয়ে এগিয়ে গেল সেই রোগীর কাছে । মুখে কাপড় জড়ানো একজন কর্কশ গলায় বলল; জল দিতে হবে না, চলে যাও । সেই কথা শুনে সীমা বলল একজন রোগী একটু জলের জন্য চিত্কার করছে আর আপনারা বলছেন জল না দিয়ে চলে যাও । আপনারা কি মানুষ, না.. কি....দুড়ুম... এবার একটি গুলির শব্দ । সীমার রক্তাক্ত দেহটা এলিয়ে পড়ল মেঝেতে ।
সেই দিনই স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স কয়েক ঘন্টা অবিরাম গুলির লড়াইয়ের পর হাসপাতাল থেকে সন্ত্রাসবাদীদের দখল মুক্ত করতে পেরেছিল । ওখানকার প্রত্যক্ষদর্শীরা সকলে বলছে সীমাদেবী সত্যি সীমাহীনদেবী ! ওর সেবার আর ভালবাসার কোনো সীমা ছিল না । সকলকে সেবা আর ভালবাসা দিয়ে হৃদয় জয় করেছিল । শুধু পারল না সন্ত্রাসবাদীদের ।
সীমা সব সময় বিবেকানন্দের কথা বলত – “সকল জীবই শিব”। সকলকে ভালবাসত । সকলের সেবার মাঝে ভগবানের দেখা পেত্ । গরিব দুখী বুড়োবুড়ি রোগীরা সেবা সুশ্রুষা পেয়ে আশির্বাদ করে যেত; সুখী হও মা, ভালো থেক মা, দীর্ঘজীবি হও মা, ভগবান তোমার ভালো করুক মা, আরো কতকি । এইভাবে প্রতিদিন সেই সরল সাদাসিদে মানুষজন আশীর্বাদ করে যেত । ওদের মুখে মা ডাকটাই ওকে খুব আনন্দ দিত । সারাটা দিন কাজ আর হাসি নিয়ে থাকত । মুখে কোনো গ্লানি বা ক্লান্তির ছাপ ছিলনা । সবাইকে বলত; “কাজ করে যাও ফলের আশা করোনা তা একদিন না একদিন পাবে” । ওই একটু বয়সে কত দায়িত্ব মাথায় নিয়েছিল । সকলের মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে । ওকে কেন মেরে দিল । ও কি দোষ করেছিল !
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ০৪/০৭/২০১৬মায়াবী শব্দমালা
-
আবুল হাসান ০৮/০৮/২০১৫এটা গল্প নয় এটাই বাস্তবতা যার সত্যের পথে চলতে চায় তাদের ই এই ভাগ্য।
-
অপর্ণা বসু ০৭/০৮/২০১৫বেশ ভালো লিখেছেন l এক নিঃশ্বাসে পড়লাম l
-
সাইদুর রহমান ০৫/০৮/২০১৫ভালো লাগলো গল্পটি।
-
বিমূর্ত পথিক ০১/০৮/২০১৫আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। খানিকটা ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম।
দারুণ লাগলো দাদা গল্পটি। -
মেহেদী হাসান (নয়ন) ০১/০৮/২০১৫অসাধারণ লিখেছেন। আজ আমাদের সমাজে সীমার মত কত সৎ ছেলে*মেয়েরা এইভাবে প্রাণ হারায় সন্ত্রাসদের হাতে....।
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ৩১/০৭/২০১৫অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনুপ্রাণিত হলাম।
অসীম ভালবাসা আর শুভেচ্ছা জানাই। -
কল্লোল বেপারী ৩০/০৭/২০১৫সীমাহীন ভালো লাগল।
-
মোবারক হোসেন ২৮/০৭/২০১৫ফসলে আগাছা জন্মালে দোষ ফসলের নয়, প্রতিকূলতা
আমরা যাকে বলি কপালের লিখন। ধন্যবাদ ।