ম্যারী নিবাস
🌿🌹ম্যারী নিবাস🌹🌿
পর্ব -২
বাবার অনুমতি পেয়ে দুই বন্ধু খুশিতে তাদের ব্যাগ পেটরা গোছাতে শুরু করলো। আলেয়া বেগম ওদের সাহায্য করলো।
পরের দিন গভীর রাতে গ্রামে এসে পৌছালো দুই বন্ধু। হিসেব মতো ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পৌছে যাবার কথা। কিন্তু নদী পেরোবার পর দেখা গেল কারা যেন একশো গজের মতো রেলের পট্টি উপরে রেখে চলে গেছে। সেখানে অনেকক্ষণ দেরি হলো। শেষে বুদ্ধি করে স্থানীয় বাসে চেপে রওনা হলো।দুবার বাস পাল্টে ,রিকশা ভ্যানে চরে, ঘাটে পৌছে, ছোট একটা নদী পার হয়ে ওপারে এসে গরুর গাড়ি ভাড়া করে রওনা হলো,
রুহিদের বাড়ীর উদ্দেশ্যে। রুহিদ মাঝে মাঝে নিজেকে অপরাধী ভেবে বলছে। রাগীব, এতোকষ্ট তুই কখনো করিসনি। আমাদের বাড়ীতে আসা অনেক কষ্ট। বাড়ীতে পৌঁছলে তোর ভালো লাগবে। আমার জন্য ভাবিসনা। আমার খুব ভালো লাগছে ,এই বলে রাগীব ঘড়ির দিকে তাকালো।
রাত প্রায় তিনটার সময় পেটের নিচে হারিকেন দুলিয়ে ক্যাঁচ ক্যাঁচ করতে করতে গরুর গাড়ী এসে ঢুকলো রুহিদের বাড়ীতে । গরু দুই টা সারা রাস্তা খুব জ্বালিয়েছে।
তারা দিলেও হাটতে চায়না। বাড়ীর সীমানার ভিতরে ঢুকে গারোয়ান হাঁক ডাক করতে লাগলো। চারিদিকে ঘুট ঘুটে অন্ধকার। বড় বড় গাছ ডালপালা ছড়িয়ে গর্বের সঙ্গে দাড়িয়ে আছে। ঝোপ ঝাড়ে জোনাকি জ্বলছে, নিভছে। দুর থেকে শিয়ালের হুয়া হুক্কা ডাক শোনা যাচ্ছে।
গারোয়ানের হৈ চৈ সয্য করতে না পেরেই যেন অনেকক্ষন পরে দুরে একটা আলো জ্বেলে উঠলো। তার পর পরই কে যেন একটা কুপি বাতি জ্বালিয়ে দৌড়ে কাছে চলে এলো। কুপি বাতির আগুনে ছেলেটার মুখ দেখে অবাক হয়ে রুহিদ বললো রাসেল নাকি ? জি মামা! কবে এলি! আজই এসেছি!তোর মা বাবা
এসেছে? জি মামা, সবাই এসেছে। ওদের কথা শুনে রাগিব বুঝতে পারলো রাসেল নামের ছেলেটা রুহিদের বোনের ছেলে। জামা কাপড় ছেরে হালকা জল খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পরলো।
রুহিদের বাড়ীর চারপাশ উচু প্রাচীর। ইটের গাথুনী দেওয়া ঘর গুলোর উপর টিনের চাল। একেক দিকে একেকটি ঘর। বাড়ীর পশ্চিম দিকে গোয়াল ঘর। পূর্ব দিকে পুকুর। পুকুর টা বাড়ীর সীমানার ভিতরেই পুকুরের চার দিকে সারি সারি সুপারি গাছ লাগানো হয়েছে। এক সারি লিচু গাছ বাড়ীর উত্তর দিকে দাড়িয়ে আছে। বাড়ীর সীমানা ঘেঁষে অনেক গুলো নারিকেল গাছ। প্রতি গাছে ঝুপা ঝুপা নারিকেল ধরে আছে। রান্না ঘরের পাশে কয়েকটা পেঁপে গাছ। মাটি থেকে মাথা পর্যন্ত গাছ জুড়ে পেঁপে ধরে আছে। পেঁপে গাছ গুলো বাড়ীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করেছে। আর গর্জনের ঝাঁকড়া ঝাঁকড়া গাছ গুলো গা জরাজরি করে বাড়ীর দক্ষিণ দিকে ঠায় দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে দিয়েছে।
রাতে খাবার খেতে বসে রুহিদের মা, বাবা, বোন, দুলাভাই সবার সাথে মজার মজার গল্পের মধ্যে ডুবে ছিল রাগিব। মুগ্ধ হয়ে সবার কথা শুনছে। দুলাভাই খুব রসিক মানুষ। এক এক সময় এক এক কথা বলে মাতিয়ে রাখছে।
পর্ব -২
বাবার অনুমতি পেয়ে দুই বন্ধু খুশিতে তাদের ব্যাগ পেটরা গোছাতে শুরু করলো। আলেয়া বেগম ওদের সাহায্য করলো।
পরের দিন গভীর রাতে গ্রামে এসে পৌছালো দুই বন্ধু। হিসেব মতো ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পৌছে যাবার কথা। কিন্তু নদী পেরোবার পর দেখা গেল কারা যেন একশো গজের মতো রেলের পট্টি উপরে রেখে চলে গেছে। সেখানে অনেকক্ষণ দেরি হলো। শেষে বুদ্ধি করে স্থানীয় বাসে চেপে রওনা হলো।দুবার বাস পাল্টে ,রিকশা ভ্যানে চরে, ঘাটে পৌছে, ছোট একটা নদী পার হয়ে ওপারে এসে গরুর গাড়ি ভাড়া করে রওনা হলো,
রুহিদের বাড়ীর উদ্দেশ্যে। রুহিদ মাঝে মাঝে নিজেকে অপরাধী ভেবে বলছে। রাগীব, এতোকষ্ট তুই কখনো করিসনি। আমাদের বাড়ীতে আসা অনেক কষ্ট। বাড়ীতে পৌঁছলে তোর ভালো লাগবে। আমার জন্য ভাবিসনা। আমার খুব ভালো লাগছে ,এই বলে রাগীব ঘড়ির দিকে তাকালো।
রাত প্রায় তিনটার সময় পেটের নিচে হারিকেন দুলিয়ে ক্যাঁচ ক্যাঁচ করতে করতে গরুর গাড়ী এসে ঢুকলো রুহিদের বাড়ীতে । গরু দুই টা সারা রাস্তা খুব জ্বালিয়েছে।
তারা দিলেও হাটতে চায়না। বাড়ীর সীমানার ভিতরে ঢুকে গারোয়ান হাঁক ডাক করতে লাগলো। চারিদিকে ঘুট ঘুটে অন্ধকার। বড় বড় গাছ ডালপালা ছড়িয়ে গর্বের সঙ্গে দাড়িয়ে আছে। ঝোপ ঝাড়ে জোনাকি জ্বলছে, নিভছে। দুর থেকে শিয়ালের হুয়া হুক্কা ডাক শোনা যাচ্ছে।
গারোয়ানের হৈ চৈ সয্য করতে না পেরেই যেন অনেকক্ষন পরে দুরে একটা আলো জ্বেলে উঠলো। তার পর পরই কে যেন একটা কুপি বাতি জ্বালিয়ে দৌড়ে কাছে চলে এলো। কুপি বাতির আগুনে ছেলেটার মুখ দেখে অবাক হয়ে রুহিদ বললো রাসেল নাকি ? জি মামা! কবে এলি! আজই এসেছি!তোর মা বাবা
এসেছে? জি মামা, সবাই এসেছে। ওদের কথা শুনে রাগিব বুঝতে পারলো রাসেল নামের ছেলেটা রুহিদের বোনের ছেলে। জামা কাপড় ছেরে হালকা জল খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পরলো।
রুহিদের বাড়ীর চারপাশ উচু প্রাচীর। ইটের গাথুনী দেওয়া ঘর গুলোর উপর টিনের চাল। একেক দিকে একেকটি ঘর। বাড়ীর পশ্চিম দিকে গোয়াল ঘর। পূর্ব দিকে পুকুর। পুকুর টা বাড়ীর সীমানার ভিতরেই পুকুরের চার দিকে সারি সারি সুপারি গাছ লাগানো হয়েছে। এক সারি লিচু গাছ বাড়ীর উত্তর দিকে দাড়িয়ে আছে। বাড়ীর সীমানা ঘেঁষে অনেক গুলো নারিকেল গাছ। প্রতি গাছে ঝুপা ঝুপা নারিকেল ধরে আছে। রান্না ঘরের পাশে কয়েকটা পেঁপে গাছ। মাটি থেকে মাথা পর্যন্ত গাছ জুড়ে পেঁপে ধরে আছে। পেঁপে গাছ গুলো বাড়ীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করেছে। আর গর্জনের ঝাঁকড়া ঝাঁকড়া গাছ গুলো গা জরাজরি করে বাড়ীর দক্ষিণ দিকে ঠায় দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে দিয়েছে।
রাতে খাবার খেতে বসে রুহিদের মা, বাবা, বোন, দুলাভাই সবার সাথে মজার মজার গল্পের মধ্যে ডুবে ছিল রাগিব। মুগ্ধ হয়ে সবার কথা শুনছে। দুলাভাই খুব রসিক মানুষ। এক এক সময় এক এক কথা বলে মাতিয়ে রাখছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।