প্রণয়-পর্ব ৩
পর্ব -৩
🌹ম্যারীর বিয়ে🌹
বাড়ীর এক গাছের কোনে এক সাথী হারা পাখির করুন কন্ঠের ডাক শোনা যাচ্ছিল। আর শোনো যাচ্ছিল শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনী। চঞ্চল বাতাসে গাছ থেকে টুপ করে পড়ে যাওয়ার শব্দ। ম্যারী ভারাক্রান্ত মনে গেয়ে উঠলো। কেন যে দেখতে তুমি এলেনা আমায়
কেমন আছি দুঃখের দিনে এই আঙ্গিনায়
হৃদয়ের কাছে এসে
মধুময় ভালোবেসে
হারিয়ে গেছো তুমি দুর অজানায়
ক্লান্ত আমার সুরের ধারা
তোমায় ছাড়া দিশেহারা
মন পাখি যে আজো তোমার গান গেয়ে যায়।
ম্যারীকে এ ভাবে গাইতে দেখে 'আলেয়া' ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে জানতে চাইলো তোর কি হয়েছে? আমাকে বল। সেই শিশু কাল থেকে এক সাথে বড় হয়েছি। এক স্কুলে, একই ক্লাসে পড়াশোনা করেছি। একে অপরকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশী ভালো বেসেছি। একদিন দেখা না হলে পাগলের মতো ছটফট করেছি। তুই আমার প্রাণের বন্ধু। তোর কষ্ট কিছুটা আমাকে ভাগ করে নিতে দে। সুখ যেমন ভাগ করে নিলে বারে। তেমনি দুঃখটাকে ভাগ করে নিলে কমে যায়। শোন ম্যারী তুই এতো ভেঙ্গে পরেছিস কেন? জীবনে চলার পথে কোথাও কোন জায়গায় আঘাত পেলে তা ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলাই শ্রেয়।
ম্যারী আলেয়াকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো। রনবীর কেন এমন করলো! ওকি আসলে আমাকে ভালো বাসেনি! ও যা করেছে ,তাকি শুধুই ছলনা!আমি তো নিরবে ওকে ভালোবেসে ছিলাম। আমার মন প্রাণ ভরে শুধুই রনবীর।আমি তো ওকে কোনদিন ভুলতে পারবো না। ওকি বুঝতে পারছেনা। আমরা যে একজন আরেকজনকে ছাড়া অপূর্ণ। তা হলে এটা কি হতে চলছে।
শোন ম্যারী এসব কথা এখন থাক। আগামী কাল তোকে দেখতে আসবে। মাষ্টার সাহেব তোর জন্য পাত্র ঠিক করেছে। দেখিস তোর অনেক ভালো বিয়ে হবে। তুই অনেক সুখী হবি। কথা গুলো বলতে বলতে আলেয়ার চোখে জল এসে গেল। ম্যারী জলভরা ভীরু চোখে আলেয়ার দিকে তাকিয়ে বললো, আলেয়া! আমাদের প্রেম আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই সমাপ্ত হয়ে গেল! আলেয়া ম্যারীর কষ্ট বুঝতে পারলো। কিন্তু কিছুই করার নেই। নির্বাক তাকিয়ে রইলো।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। সবুজ গাছ গুলো ঘন হচ্ছে। মনে হচ্ছে আলো আঁধারের খেলায় তারা একে অপরকে জড়িয়ে যেন ঘুমানোর আয়োজনে লিপ্ত। ওরা হয়তো কোন গোপন আলাপে মশগুল।
ম্যারী প্রকাশ বিহীন মনের কষ্টে সারা রাত ঘুমাতে পারেনি। নির্ঘুমে থেকে থেকে ,কখন যে মুঠো মুঠো স্বপ্ন ম্যারীকে জরিয়ে ফেলেছে? রাতের শেষ প্রহরে রনবীর এসে শিওরে বসে কপালে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলছে, তুমি ঘুমিয়ে আছো? আমি শরতের নির্মেঘ আকাশে থোকা থোকা সাদা আর নীলে তোমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। ম্যারী লজ্জায় লাল হয়ে বলছে। কি বলছো তুমি? তুমি বেশী পাগলামী করো! ভালো বাসার সাথে একটু পাগলামি না
থাকলে ভালো বাসা মজবুত হয় না। রনবীর গভীর আলিঙ্গনে জড়িয়ে নিয়ে হালকা চুম্বন করলো নয়নে। ম্যারীর সাড়া শরীর কেঁপে উঠলো। ঘুম ভেঙে গেল। জীবনের সব অপূর্ণ সাধ আর মুঠো মুঠো স্বপ্নের কাকলি নিয়ে বিছানায় বসে পড়লো। এতোক্ষনে ভোরের সূর্য এসে জানালা দিয়ে লাল রং ঢেলে দিয়েছে। বন থেকে ভেসে আসছে নাম না জানা অসংখ্য পাখির কুজন।
ম্যারীর প্রতিটি মুহূর্ত যেন প্রতিটি বছরের মতো মনে হতে লাগলো। কারো কাছে মনের কথা প্রকাশ করতে না পেরে, শুধু মনের সাগরে বিষাদ ও বিরহের রাজ্য তৈরী হলো। ম্যারী ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নিলো আপন বিষন্নতার চাদরে। রনবীরের আচমকা এধরনের গোরহিত কাজ সইতে না সইতে সকাল ১০টার দিকে মাষ্টার সাহেব কিছু লোক নিয়ে এসে ছোট চাচার সাথে কথা বলছে। ম্যারী, মায়ের কাছে জানতে পারলো,ম্যারীকে দেখতে এসেছে। মায়ের মুখের কথা শেষ হতে না হতেই, ম্যারীর বুকের মধ্যে হেমন্তের হীম মাখা শীতও যেন, চৈত্রের কাঠ ফাঁটা রোদে শুকিয়ে নিল। মুহুর্তেই রনবীরের মুখশ্রী মনের মধ্যে ভেসে উঠলো।
চোখের দৃষ্টি কদম গাছটার উপর পড়তেই দেখতে পেল, একটি শালিক বসে আছে। পাখিটার চোখের শূন্যতায় বুঝা যাচ্ছে। সাথী হারা কোন দুর্ভাগা। ম্যারী নিজেকে পাখিটার সাথে তুলনা করে মানষিক শান্তনা খুঁজতে থাকে। আকাশের সাগরের দিকে তাকিয়ে ম্যারী ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের ফাঁকে হঠাৎ চাঁদের আলোর মাঝে মাঝে দেখা দিয়ে আবার লুকিয়ে পড়ছিল। ম্যারীর ভালো বাসাও মেঘের আড়ালে তলিয়ে গেল। আর দেখা দেওয়ার কোন সম্ভাবনা রইলো না।
ম্যারীর ভালবাসার সুন্দর মুহূর্তের দিন গুলো হারিয়ে গেলো। আর দশটা বাঙ্গালী মেয়ের মতো। ম্যারীর ভালোবাসা আরেক জনের হয়ে গেল কয়েকটা শব্দের বিনিময়ে। ম্যারী একজনের প্রেমিকা থেকে অন্য এক জনের সহধর্মিণী হয়ে গেল।
বিয়েতে কোন স্বর্ণ অলংকারের প্রয়োজন হয়নি। কারণ দেখতে এসে বিয়ে। কিসের বস্ত্র, কিসের অলংকার।ম্যারীর হাসি কান্না কিছুই ছিল না। ছিল শুধু বাকহীন দৃষ্টি।মা ম্যারীকে জরিয়ে ধরে বলেছিল। মা আমি তোর জন্য কিছুই করতে পারলাম না। আমায় ক্ষমা করিস মা। এ বিয়ে মেনে নিতে পারছিলনা ম্যারীর মা। মায়ের মনে অপরাধ বোধ কাজ করছিল। মাকে ভালো রাখার জন্য নিজের দুঃখ গুলোকে প্রকাশ না করে, ম্যারী অভিনয় করতে লাগলো। মাকে বুঝালো, মা তুমি কষ্ট পাইনি, আমি অনেক খুশি। মুহুর্তের মধ্যে পাড়া প্রতিবেশীর গুনজন শুরু হয়ে গেলো ।এ কেমন বিয়ে ।কোথা থেকে কে আসলো কোন রকম খোঁজ খবর ছাড়াই বিয়ে দিয়ে দিলো।আরো কত কি। মা জবাব বিহীন অপলক দৃষ্টিতে ম্যারীর দিকে তাকিয়ে রইলো।আর কিছুই করার নাই। ভাগ্যকে মেনে নিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো।
নিজের অজান্তেই সব কিছু ভুলে গিয়ে মনে প্রাণে স্বামীকে ভালোবাসার চেষ্টা করতে লাগলো।
🌹ম্যারীর বিয়ে🌹
বাড়ীর এক গাছের কোনে এক সাথী হারা পাখির করুন কন্ঠের ডাক শোনা যাচ্ছিল। আর শোনো যাচ্ছিল শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনী। চঞ্চল বাতাসে গাছ থেকে টুপ করে পড়ে যাওয়ার শব্দ। ম্যারী ভারাক্রান্ত মনে গেয়ে উঠলো। কেন যে দেখতে তুমি এলেনা আমায়
কেমন আছি দুঃখের দিনে এই আঙ্গিনায়
হৃদয়ের কাছে এসে
মধুময় ভালোবেসে
হারিয়ে গেছো তুমি দুর অজানায়
ক্লান্ত আমার সুরের ধারা
তোমায় ছাড়া দিশেহারা
মন পাখি যে আজো তোমার গান গেয়ে যায়।
ম্যারীকে এ ভাবে গাইতে দেখে 'আলেয়া' ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে জানতে চাইলো তোর কি হয়েছে? আমাকে বল। সেই শিশু কাল থেকে এক সাথে বড় হয়েছি। এক স্কুলে, একই ক্লাসে পড়াশোনা করেছি। একে অপরকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশী ভালো বেসেছি। একদিন দেখা না হলে পাগলের মতো ছটফট করেছি। তুই আমার প্রাণের বন্ধু। তোর কষ্ট কিছুটা আমাকে ভাগ করে নিতে দে। সুখ যেমন ভাগ করে নিলে বারে। তেমনি দুঃখটাকে ভাগ করে নিলে কমে যায়। শোন ম্যারী তুই এতো ভেঙ্গে পরেছিস কেন? জীবনে চলার পথে কোথাও কোন জায়গায় আঘাত পেলে তা ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলাই শ্রেয়।
ম্যারী আলেয়াকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো। রনবীর কেন এমন করলো! ওকি আসলে আমাকে ভালো বাসেনি! ও যা করেছে ,তাকি শুধুই ছলনা!আমি তো নিরবে ওকে ভালোবেসে ছিলাম। আমার মন প্রাণ ভরে শুধুই রনবীর।আমি তো ওকে কোনদিন ভুলতে পারবো না। ওকি বুঝতে পারছেনা। আমরা যে একজন আরেকজনকে ছাড়া অপূর্ণ। তা হলে এটা কি হতে চলছে।
শোন ম্যারী এসব কথা এখন থাক। আগামী কাল তোকে দেখতে আসবে। মাষ্টার সাহেব তোর জন্য পাত্র ঠিক করেছে। দেখিস তোর অনেক ভালো বিয়ে হবে। তুই অনেক সুখী হবি। কথা গুলো বলতে বলতে আলেয়ার চোখে জল এসে গেল। ম্যারী জলভরা ভীরু চোখে আলেয়ার দিকে তাকিয়ে বললো, আলেয়া! আমাদের প্রেম আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই সমাপ্ত হয়ে গেল! আলেয়া ম্যারীর কষ্ট বুঝতে পারলো। কিন্তু কিছুই করার নেই। নির্বাক তাকিয়ে রইলো।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। সবুজ গাছ গুলো ঘন হচ্ছে। মনে হচ্ছে আলো আঁধারের খেলায় তারা একে অপরকে জড়িয়ে যেন ঘুমানোর আয়োজনে লিপ্ত। ওরা হয়তো কোন গোপন আলাপে মশগুল।
ম্যারী প্রকাশ বিহীন মনের কষ্টে সারা রাত ঘুমাতে পারেনি। নির্ঘুমে থেকে থেকে ,কখন যে মুঠো মুঠো স্বপ্ন ম্যারীকে জরিয়ে ফেলেছে? রাতের শেষ প্রহরে রনবীর এসে শিওরে বসে কপালে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলছে, তুমি ঘুমিয়ে আছো? আমি শরতের নির্মেঘ আকাশে থোকা থোকা সাদা আর নীলে তোমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। ম্যারী লজ্জায় লাল হয়ে বলছে। কি বলছো তুমি? তুমি বেশী পাগলামী করো! ভালো বাসার সাথে একটু পাগলামি না
থাকলে ভালো বাসা মজবুত হয় না। রনবীর গভীর আলিঙ্গনে জড়িয়ে নিয়ে হালকা চুম্বন করলো নয়নে। ম্যারীর সাড়া শরীর কেঁপে উঠলো। ঘুম ভেঙে গেল। জীবনের সব অপূর্ণ সাধ আর মুঠো মুঠো স্বপ্নের কাকলি নিয়ে বিছানায় বসে পড়লো। এতোক্ষনে ভোরের সূর্য এসে জানালা দিয়ে লাল রং ঢেলে দিয়েছে। বন থেকে ভেসে আসছে নাম না জানা অসংখ্য পাখির কুজন।
ম্যারীর প্রতিটি মুহূর্ত যেন প্রতিটি বছরের মতো মনে হতে লাগলো। কারো কাছে মনের কথা প্রকাশ করতে না পেরে, শুধু মনের সাগরে বিষাদ ও বিরহের রাজ্য তৈরী হলো। ম্যারী ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নিলো আপন বিষন্নতার চাদরে। রনবীরের আচমকা এধরনের গোরহিত কাজ সইতে না সইতে সকাল ১০টার দিকে মাষ্টার সাহেব কিছু লোক নিয়ে এসে ছোট চাচার সাথে কথা বলছে। ম্যারী, মায়ের কাছে জানতে পারলো,ম্যারীকে দেখতে এসেছে। মায়ের মুখের কথা শেষ হতে না হতেই, ম্যারীর বুকের মধ্যে হেমন্তের হীম মাখা শীতও যেন, চৈত্রের কাঠ ফাঁটা রোদে শুকিয়ে নিল। মুহুর্তেই রনবীরের মুখশ্রী মনের মধ্যে ভেসে উঠলো।
চোখের দৃষ্টি কদম গাছটার উপর পড়তেই দেখতে পেল, একটি শালিক বসে আছে। পাখিটার চোখের শূন্যতায় বুঝা যাচ্ছে। সাথী হারা কোন দুর্ভাগা। ম্যারী নিজেকে পাখিটার সাথে তুলনা করে মানষিক শান্তনা খুঁজতে থাকে। আকাশের সাগরের দিকে তাকিয়ে ম্যারী ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের ফাঁকে হঠাৎ চাঁদের আলোর মাঝে মাঝে দেখা দিয়ে আবার লুকিয়ে পড়ছিল। ম্যারীর ভালো বাসাও মেঘের আড়ালে তলিয়ে গেল। আর দেখা দেওয়ার কোন সম্ভাবনা রইলো না।
ম্যারীর ভালবাসার সুন্দর মুহূর্তের দিন গুলো হারিয়ে গেলো। আর দশটা বাঙ্গালী মেয়ের মতো। ম্যারীর ভালোবাসা আরেক জনের হয়ে গেল কয়েকটা শব্দের বিনিময়ে। ম্যারী একজনের প্রেমিকা থেকে অন্য এক জনের সহধর্মিণী হয়ে গেল।
বিয়েতে কোন স্বর্ণ অলংকারের প্রয়োজন হয়নি। কারণ দেখতে এসে বিয়ে। কিসের বস্ত্র, কিসের অলংকার।ম্যারীর হাসি কান্না কিছুই ছিল না। ছিল শুধু বাকহীন দৃষ্টি।মা ম্যারীকে জরিয়ে ধরে বলেছিল। মা আমি তোর জন্য কিছুই করতে পারলাম না। আমায় ক্ষমা করিস মা। এ বিয়ে মেনে নিতে পারছিলনা ম্যারীর মা। মায়ের মনে অপরাধ বোধ কাজ করছিল। মাকে ভালো রাখার জন্য নিজের দুঃখ গুলোকে প্রকাশ না করে, ম্যারী অভিনয় করতে লাগলো। মাকে বুঝালো, মা তুমি কষ্ট পাইনি, আমি অনেক খুশি। মুহুর্তের মধ্যে পাড়া প্রতিবেশীর গুনজন শুরু হয়ে গেলো ।এ কেমন বিয়ে ।কোথা থেকে কে আসলো কোন রকম খোঁজ খবর ছাড়াই বিয়ে দিয়ে দিলো।আরো কত কি। মা জবাব বিহীন অপলক দৃষ্টিতে ম্যারীর দিকে তাকিয়ে রইলো।আর কিছুই করার নাই। ভাগ্যকে মেনে নিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো।
নিজের অজান্তেই সব কিছু ভুলে গিয়ে মনে প্রাণে স্বামীকে ভালোবাসার চেষ্টা করতে লাগলো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কুমারেশ সরদার ২০/০৫/২০২০সুন্দর
-
ফয়জুল মহী ১৯/০৫/২০২০খুব ভাল লাগলো
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৯/০৫/২০২০আগে পুরোটা পড়ি।