বোবা কান্না
স্ত্রী তার আট মাসের সন্তানকে নিয়ে চলে গেছে বাবার বাড়ি। স্ত্রী নূসরা ও সন্তানকে কাছে ফিরে পেতে মরিয়া অসহায় স্বামী পারিবারিক প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার লাখাই গ্রামের মেয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে বাবার বাড়িতে যায়। দিশেহারা স্বামী তার স্ত্রী সন্তানকে ফিরে পেতে পারিবারিক আদালতে ১০০ ধারায় মামলা করেন। স্ত্রী স্বামীর কাছে ফিরে যেতে নারাজ থাকায় মামলার রায় চলে যায় স্বামীর বিপক্ষে। স্ত্রী জানিয়ে দেয় সে আর ফিরবেনা তার স্বামীর গৃহে।
কপাল পোড়া স্বামীর হৃদয়টা ফেটে যায় সীমাহীন কষ্টে। স্ত্রী আর আট মাসেত সন্তানকে ফিরে না পাওয়ার কষ্ট, পরাজয়,ব্যথা,যন্ত্রণা, আর একটি ভুল সিদ্ধান্ত দখল করে নেয় তার ক্ষুব্ধ মস্তিষ্ক। নিজের কাছে থাকা ছুড়ি দিয়ে নিজেই চালিয়ে দেন নিজের পেটে ও বুকে। পরপর কয়েকটি আঘাত। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই প্রাণ পাখি ডানামেলে দূর আকাশের পানে। আদালতের সামনেই করুণভাবে প্রস্থান ঘটে,পৃথিবী নামক রঙ্গমঞ্চ থেকে আরও একটি ব্যর্থ চরিত্রের।
আদালতের ভিতরে কিভাবে কোন বাদী অথবা বিবাদী ছুড়ি নিয়ে প্রবেশ করে সেটা প্রশ্ন করা হয়তো অমূলক নয় ?
ঐ ব্যক্তি মামলায় হেরে যাওয়ার পর যদি স্ত্রীর বুকে ছুড়ি চালিয়ে দিত? তাহলে বিষয়টি কি আরও জঘন্য হতো না। আবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ যদি ছুড়িটি কেড়ে নিতে কিংবা থামাতে সফল হতো তবু হয়তো এমন ঘটনা সংঘটিত হতো না। আদালত প্রাঙ্গণেই যদি এমন অবাস্তবিক নিরাপত্তাহীন কর্মকাণ্ড কিভাবে সংঘটিত হয় তা হয়তো কোন বিবেকবান মানুষেরই বুঝে আসবেনা।
তবে কোটি কোটি পুরুষ মানুষ তথাকথিত নারীবান্ধব আইনি বেড়াজালে প্রতিনিয়ত জীবন যুদ্ধে এভাবেই পরাজিত হচ্ছে প্রকাশ্যে কিংবা নিরবে নিভৃতে। নারীর নিরাপত্তা, নারীর অধিকার, নারীর স্বাধীনতা আমিও চাই। চাই সাম্য ও সম্প্রীতি। কিন্তু নারীবান্ধব আইনি বেড়াজালে কোনো অসহায় ও নিরপরাধ পুরুষ মানুষের বুকে প্রতিনিয়ত অগ্নুৎপাতের মতো উত্তপ্ত লাভা প্রবাহিত হচ্ছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব কে নেবে ?
সমাজের আনাচে কানাচে এখন যেমন নারী নির্যাতন হচ্ছে। ঠিক তেমন একইভাবে আশংকাজনকভাবে বেড়েই চলেছে পুরুষ নির্যাতন। কিছু নারী যেমন বিভিন্ন নির্যাতনের প্রতিবাদ করার করার মানষিক সাহস সামাজিক সাহায্য পাননা। ঠিক তেমনি অসংখ্য অগণিত পুরুষ আছে যারা তার স্ত্রীর করা মানষিক ও শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করার আইনি সাহায্য ও সহযোগিতা পাননা। নারী নির্যাতনের খবর পত্রপত্রিকায় বা টেলিভিশনে প্রকাশ পেলেও পুরুষ নির্যাতনের খবর চাপা পড়ে রয় আত্নসম্মান,সামাজিক সম্মান আর আইনি দূর্বলতার গভীরে।
স্বামী যদি বৈধভাবেও স্ত্রীর নামে মামলা করতে যায়, দেখা যায় তারচেয়ে ভয়ংকরভাবে যৌতুক মামলা অথবা নারী নির্যাতনের মতো মিথ্যে মামলার শিকার হতে হয়। ফলে সেই ভয়ে হয়তো নিরপরাধ ও নিরীহ পুরুষ মানুষটি হৃদয়ে বয়ে বেড়ায় শত সহস্র বেদনার নদী। অভাগা পুরুষটি না পারে সেই যাতনা সইতে আর না পারে বইতে।
বানিয়াচং এর লোমহর্ষক ঘটনাটি কি আমাদের কিছুই শিক্ষা দিলনা ?
শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ।
ই-মেইল [email protected]
সময়ঃ রাত ৮.৩০ মিঃ ভৈরব,কিশোরগঞ্জ।
কপাল পোড়া স্বামীর হৃদয়টা ফেটে যায় সীমাহীন কষ্টে। স্ত্রী আর আট মাসেত সন্তানকে ফিরে না পাওয়ার কষ্ট, পরাজয়,ব্যথা,যন্ত্রণা, আর একটি ভুল সিদ্ধান্ত দখল করে নেয় তার ক্ষুব্ধ মস্তিষ্ক। নিজের কাছে থাকা ছুড়ি দিয়ে নিজেই চালিয়ে দেন নিজের পেটে ও বুকে। পরপর কয়েকটি আঘাত। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই প্রাণ পাখি ডানামেলে দূর আকাশের পানে। আদালতের সামনেই করুণভাবে প্রস্থান ঘটে,পৃথিবী নামক রঙ্গমঞ্চ থেকে আরও একটি ব্যর্থ চরিত্রের।
আদালতের ভিতরে কিভাবে কোন বাদী অথবা বিবাদী ছুড়ি নিয়ে প্রবেশ করে সেটা প্রশ্ন করা হয়তো অমূলক নয় ?
ঐ ব্যক্তি মামলায় হেরে যাওয়ার পর যদি স্ত্রীর বুকে ছুড়ি চালিয়ে দিত? তাহলে বিষয়টি কি আরও জঘন্য হতো না। আবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ যদি ছুড়িটি কেড়ে নিতে কিংবা থামাতে সফল হতো তবু হয়তো এমন ঘটনা সংঘটিত হতো না। আদালত প্রাঙ্গণেই যদি এমন অবাস্তবিক নিরাপত্তাহীন কর্মকাণ্ড কিভাবে সংঘটিত হয় তা হয়তো কোন বিবেকবান মানুষেরই বুঝে আসবেনা।
তবে কোটি কোটি পুরুষ মানুষ তথাকথিত নারীবান্ধব আইনি বেড়াজালে প্রতিনিয়ত জীবন যুদ্ধে এভাবেই পরাজিত হচ্ছে প্রকাশ্যে কিংবা নিরবে নিভৃতে। নারীর নিরাপত্তা, নারীর অধিকার, নারীর স্বাধীনতা আমিও চাই। চাই সাম্য ও সম্প্রীতি। কিন্তু নারীবান্ধব আইনি বেড়াজালে কোনো অসহায় ও নিরপরাধ পুরুষ মানুষের বুকে প্রতিনিয়ত অগ্নুৎপাতের মতো উত্তপ্ত লাভা প্রবাহিত হচ্ছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব কে নেবে ?
সমাজের আনাচে কানাচে এখন যেমন নারী নির্যাতন হচ্ছে। ঠিক তেমন একইভাবে আশংকাজনকভাবে বেড়েই চলেছে পুরুষ নির্যাতন। কিছু নারী যেমন বিভিন্ন নির্যাতনের প্রতিবাদ করার করার মানষিক সাহস সামাজিক সাহায্য পাননা। ঠিক তেমনি অসংখ্য অগণিত পুরুষ আছে যারা তার স্ত্রীর করা মানষিক ও শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করার আইনি সাহায্য ও সহযোগিতা পাননা। নারী নির্যাতনের খবর পত্রপত্রিকায় বা টেলিভিশনে প্রকাশ পেলেও পুরুষ নির্যাতনের খবর চাপা পড়ে রয় আত্নসম্মান,সামাজিক সম্মান আর আইনি দূর্বলতার গভীরে।
স্বামী যদি বৈধভাবেও স্ত্রীর নামে মামলা করতে যায়, দেখা যায় তারচেয়ে ভয়ংকরভাবে যৌতুক মামলা অথবা নারী নির্যাতনের মতো মিথ্যে মামলার শিকার হতে হয়। ফলে সেই ভয়ে হয়তো নিরপরাধ ও নিরীহ পুরুষ মানুষটি হৃদয়ে বয়ে বেড়ায় শত সহস্র বেদনার নদী। অভাগা পুরুষটি না পারে সেই যাতনা সইতে আর না পারে বইতে।
বানিয়াচং এর লোমহর্ষক ঘটনাটি কি আমাদের কিছুই শিক্ষা দিলনা ?
শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ।
ই-মেইল [email protected]
সময়ঃ রাত ৮.৩০ মিঃ ভৈরব,কিশোরগঞ্জ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ১৫/১২/২০২০Right