রাজকন্যার বিয়ে
এক ছিল এক অপরুপ সুন্দর সবুজ শ্যামল ও মায়াভরা রাজ্য। সেই রাজ্যের নাম ছিল মায়াপুর। পাহাড় ঘেরা সেই রাজ্যের রাজা মশাইয়ের নাম ছিল আজাদ চৌধুরী। রাজা মশাইয়ের খুব মিষ্টি ও সুশ্রী একটি মেয়ে ছিল। তার নাম ছিল নাদিয়া মনি। রাজা মশাইয়ের একমাত্র রাজকন্যা খুব লক্ষি এবং সবার কাছেই অতি আদরের রাজকন্যা ছিল।
রাজকন্যা খুব ছোট বেলা থেকেই ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি করতে ভালোবাসতো। এছাড়াও সে নাচতে ও গান গাইতে খুব ভালোবাসতো। রাজকন্যা প্রতিদিন তার শিক্ষকের কাছে নাচ ও গান শিখতো। এবং অন্যান্য শিক্ষকদের কাছে পাঠশালার পড়া শিখতো।
সেই রাজপ্রাসাদে চাকরানীর কাজ করতো অতি গরীব এক মধ্য বয়সী মহিলা। সেই মহিলার একটি সুদর্শন ছেলে ছিল। ছেলেটির নাম ছিল অপূর্ব। সেই ছেলেটি ছিল রাজকন্যার সমবয়সী। অপূর্বের মা প্রতিদিন তাকে বাসায় একা রেখে কাজে যেত। একদিন ছেলেটি তার মাকে বলল, আমার একা বাসায় থাকতে ভালো লাগেনা। আমিও তোমার সাথে রাজপ্রাসাদে কাজে যাবো। বাবা হারা ছেলের কথা শুনে তার মা খুব কষ্ট পেল। পরদিন থেকে অপূর্বকেও তার মা সাথে করে রাজপ্রাসাদে কাজে নিয়ে যেত। এবং অপূর্ব রাজপ্রাসাদে ঘোড়া দেখাশোনার কাজ শুরু করলো। এভাবেই দিন কাটতে থাকে।
রাজকন্যা একটি ঘরে প্রতিদিন তার পাঠশালার পড়া শেষ করে নাচের শিক্ষকের কাছে নাচ ও গানের শিক্ষকের কাছে গান শিখতো। আর অপূর্ব জানালার পাশে থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে রাজকন্যার পাঠশালার পড়া,নাচ,গান শেখা দেখতো। এবং বাড়িতে গিয়ে নিজে নিজেই সেই পড়া, নাচের ও গানের অনুশীলন করতো। আর মনে মনে স্বপ্ন দেখতো সে একদিন অনেক বড় হবে। সারা রাজ্যের মানুষের মুখে মুখে থাকবে তার নাম। এবং তার মাকে নিয়ে অনেক সুখে জীবন কাটাবে।
কিছুদিন পর রাজা মশাই একটি প্রতিভা অন্বেষণের বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে ঘোষণা করা হয় যে এই প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করবে রাজা মশাই তার সাথে একমাত্র রাজকন্যার বিয়ে দিবেন এবং রাজের রাজত্ব তার হাতে তুলে দিবেন। ঘোষণা শুনে রাজ্যের সকল ধনাঢ্য পরিবারের ছেলেরা প্রতিযোগীতায় নাম লেখা দিতে থাকলো। মন্ত্রী, সেনাপতি, ও বড় বড় ব্যাবসায়ীদের ছেলেরাও সেই প্রতিযোগিতায় নাম লেখা দিল। সেই প্রতিযোগীতায় অপূর্বও নাম লেখা দিল। সবার একটাই ইচ্ছা সেটা হল রাজকন্যা কে বিয়ে করা।
অত:পর একটি ঝলমলে চাঁদনী রাতে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো। একে একে সকল প্রতিযোগী তাদের প্রতিভার প্রমাণ দিতে লাগলো। কেউ গান গেয়ে বিচারকদের মন জয় করার চেষ্টা করছে । আবার কেউ নাচ দেখিয়ে বিচারকদের মন জয় করার চেষ্টা করছে। সবার শেষে মঞ্চে উঠলো অপূর্ব। অপূর্ব কে দেখে সবাই ভাবতে লাগলো এই গরীব ঘরের ছেলে আর কিবা প্রতিভা দেখাবে? অনেকেই হাসতে শুরু করলো। এমন সময় অপূর্ব সুউচ্চ মিষ্টি সুরে মধুর কন্ঠে গান শুরু করলো। সেই সাথে দর্শক মাতানো নাচে বিচারকদের তাক লাগিয়ে দিল অপূর্ব। সকলের আকাশ ফাঁটা হাত তালিতে চারদিক হৈচৈ পরে গেল।
এবং অপূর্ব বিচারকদের রায়ে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করলো।
রাজা মশাইয়ের দেওয়া কথা অনুযায়ী অপূর্বের সাথে বিয়ে দেওয়া হলো রাজকন্যার। সেই সাথে অপূর্ব কে সেই রাজ্যের রাজা বানিয়ে দেওয়া হলো। রাজকন্যাও অপূর্ব কে জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়ে খুবই খুশি। এরপর অপূর্ব তার রাজত্ব, রাণী এবং তার মাকে নিয়ে মহা সুখে দিন কাটাতে লাগলো।
মডেলঃ #নাদিয়া_নুসরাত_নিঝুম, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ।
রাজকন্যা খুব ছোট বেলা থেকেই ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি করতে ভালোবাসতো। এছাড়াও সে নাচতে ও গান গাইতে খুব ভালোবাসতো। রাজকন্যা প্রতিদিন তার শিক্ষকের কাছে নাচ ও গান শিখতো। এবং অন্যান্য শিক্ষকদের কাছে পাঠশালার পড়া শিখতো।
সেই রাজপ্রাসাদে চাকরানীর কাজ করতো অতি গরীব এক মধ্য বয়সী মহিলা। সেই মহিলার একটি সুদর্শন ছেলে ছিল। ছেলেটির নাম ছিল অপূর্ব। সেই ছেলেটি ছিল রাজকন্যার সমবয়সী। অপূর্বের মা প্রতিদিন তাকে বাসায় একা রেখে কাজে যেত। একদিন ছেলেটি তার মাকে বলল, আমার একা বাসায় থাকতে ভালো লাগেনা। আমিও তোমার সাথে রাজপ্রাসাদে কাজে যাবো। বাবা হারা ছেলের কথা শুনে তার মা খুব কষ্ট পেল। পরদিন থেকে অপূর্বকেও তার মা সাথে করে রাজপ্রাসাদে কাজে নিয়ে যেত। এবং অপূর্ব রাজপ্রাসাদে ঘোড়া দেখাশোনার কাজ শুরু করলো। এভাবেই দিন কাটতে থাকে।
রাজকন্যা একটি ঘরে প্রতিদিন তার পাঠশালার পড়া শেষ করে নাচের শিক্ষকের কাছে নাচ ও গানের শিক্ষকের কাছে গান শিখতো। আর অপূর্ব জানালার পাশে থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে রাজকন্যার পাঠশালার পড়া,নাচ,গান শেখা দেখতো। এবং বাড়িতে গিয়ে নিজে নিজেই সেই পড়া, নাচের ও গানের অনুশীলন করতো। আর মনে মনে স্বপ্ন দেখতো সে একদিন অনেক বড় হবে। সারা রাজ্যের মানুষের মুখে মুখে থাকবে তার নাম। এবং তার মাকে নিয়ে অনেক সুখে জীবন কাটাবে।
কিছুদিন পর রাজা মশাই একটি প্রতিভা অন্বেষণের বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে ঘোষণা করা হয় যে এই প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করবে রাজা মশাই তার সাথে একমাত্র রাজকন্যার বিয়ে দিবেন এবং রাজের রাজত্ব তার হাতে তুলে দিবেন। ঘোষণা শুনে রাজ্যের সকল ধনাঢ্য পরিবারের ছেলেরা প্রতিযোগীতায় নাম লেখা দিতে থাকলো। মন্ত্রী, সেনাপতি, ও বড় বড় ব্যাবসায়ীদের ছেলেরাও সেই প্রতিযোগিতায় নাম লেখা দিল। সেই প্রতিযোগীতায় অপূর্বও নাম লেখা দিল। সবার একটাই ইচ্ছা সেটা হল রাজকন্যা কে বিয়ে করা।
অত:পর একটি ঝলমলে চাঁদনী রাতে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলো। একে একে সকল প্রতিযোগী তাদের প্রতিভার প্রমাণ দিতে লাগলো। কেউ গান গেয়ে বিচারকদের মন জয় করার চেষ্টা করছে । আবার কেউ নাচ দেখিয়ে বিচারকদের মন জয় করার চেষ্টা করছে। সবার শেষে মঞ্চে উঠলো অপূর্ব। অপূর্ব কে দেখে সবাই ভাবতে লাগলো এই গরীব ঘরের ছেলে আর কিবা প্রতিভা দেখাবে? অনেকেই হাসতে শুরু করলো। এমন সময় অপূর্ব সুউচ্চ মিষ্টি সুরে মধুর কন্ঠে গান শুরু করলো। সেই সাথে দর্শক মাতানো নাচে বিচারকদের তাক লাগিয়ে দিল অপূর্ব। সকলের আকাশ ফাঁটা হাত তালিতে চারদিক হৈচৈ পরে গেল।
এবং অপূর্ব বিচারকদের রায়ে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করলো।
রাজা মশাইয়ের দেওয়া কথা অনুযায়ী অপূর্বের সাথে বিয়ে দেওয়া হলো রাজকন্যার। সেই সাথে অপূর্ব কে সেই রাজ্যের রাজা বানিয়ে দেওয়া হলো। রাজকন্যাও অপূর্ব কে জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়ে খুবই খুশি। এরপর অপূর্ব তার রাজত্ব, রাণী এবং তার মাকে নিয়ে মহা সুখে দিন কাটাতে লাগলো।
মডেলঃ #নাদিয়া_নুসরাত_নিঝুম, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
sudipta chowdhury ২৮/১২/২০১৯In human life every girls are like princes towards every Father's life
-
সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী ১৩/০৫/২০১৯আমার ও ভালো লেগেছে .....এভাবে লিখতে থাকুন !
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ২৪/০৩/২০১৯একেবারেই পাঠ্যপুস্তক এর মতো করে পাঠ করলাম। দারুন লাগল। শুভেচ্ছা লেখককে।
-
শেখ চপল ইসলাম সাকিব ২৩/০৩/২০১৯খুব ভালো লাগলো পড়ে।
শুভ কামনা ও ভালোবাসা রেখে গেলাম। -
দীপঙ্কর বেরা ২১/০৩/২০১৯দারুণ
-
সোহেল রানা আশিক ২০/০৩/২০১৯nice
-
পি পি আলী আকবর ১৬/০৩/২০১৯ভালো হয়েছে
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১২/০৩/২০১৯দারুন