একজন বৃদ্ধার গল্প
রাস্তার ধারে ফুটপাতে দেখি, কারা আছে ওরা শুয়ে ?
তারি মাঝে এক থুরথুড়ে বুড়ি, মাথাটাও গেছে নুয়ে।
কাছে গিয়ে বলি,কিগো বুড়ি মা? তুমি কেন বসে কাঁদো?
চোখের জ্বলে মুখখানা ধুয়ে, তুমি কি স্বপ্ন আঁকো ?
তুলে মুখ সে গগন পানে, ব্যাথাতুর হয়ে বলে,
মোর কথা শুনে কি লাভ তোমার, দিন গেছে মোর চলে।
ভাবি শুধু আজ নিশ্বাস টুকু, কেন যে রয়েছে বাকি ?
এই জীবনে সকলেই গেছে, দিয়ে শুধু মোরে ফাঁকি !
হাতখানা তুলে তার মস্তকে, চোখপানে দেখি চেয়ে,
ছলছল জলে চোখ মুখ তার, ক্লান্তিতে গেছে ছেঁয়ে।
মোর অনুরোধে বলতে লাগিল, জীবন ব্যাথার জারি,
ইতিহাস আর ঐতিহ্যে ভড়া, সিরাজগঞ্জে তার বাড়ি।
ছিল সে সুখে সোনার চামুচ মুখে, জন্মেছিল এই ভবে,
চোখ ভড়া তার স্বপ্ন ছিল, দেশটা স্বাধীন হবে।
হঠাৎ বাঁজিল মৃত্য ঢংকা, যুদ্ধ লাগিল দেশে,
পিতা গেল তার মুক্তিযুদ্ধে, বীর সৈনিক বেশে।
বলেছিল বাবা যুদ্ধে যাচ্ছি, করতে স্বাধীন দেশ,
সম্মুখ যুদ্ধে নামিব আমি, হয় হবে জীবন শেষ।
ছিনিয়া আনিব মুক্ত বাংলা, বুকের রক্ত দিয়ে,
হইব শহীদ নইলে গাজী, চলিলাম শপথ নিয়ে।
জননী মোর মুড়ি নাড়ু বেঁধে, দিলেন বাবার কাঁধে,
বলিল বাবা রাখো ওসব আজ, জয় আনিব আগে।
জননী মোর লুকিয়ে মুখ,শাড়ির আঁচল পানে,
চোখ মুছে সে মুখ তুলে বলে, ফিরে এসো জয়গানে।
নামিল আঁধার মোদের ঘড়ে, শত্রু ধরিল ঘিরে,
মা,বোন,ভাইদের পাক বাহিনী, বুক দিয়ে গেল ছিঁড়ে।
নির্দয় কিছু পাক কুকুরে, ধরিল আমায় চাপি,
শোক,দুঃখ,ব্যাথা,যন্ত্রণায়, হৃদয় উঠিল কাঁপি।
ধরালো আগুন সারা বাড়িতে, দাউ দাউ করে জ্বলে,
দুঃসহ সেই স্মৃতি গুলো নিয়ে, জীবন যাচ্ছে চলে।
বলিত লোকে ইজ্জত সম্মান মোর, যুদ্ধে হয়েছে শেষ,
ছিঁচল্লিশ বছর কেটে গিয়েছে, কাটেনি ব্যাথার রেশ।
তোমাদের ত্যাগে দেশ পেয়েছি, মহীয়সী নারী তুমি,
দিতে হলে দিবো আবারো রক্ত, ছাড়িব না বঙ্গ ভূমি।
E-Mail: [email protected]
তারি মাঝে এক থুরথুড়ে বুড়ি, মাথাটাও গেছে নুয়ে।
কাছে গিয়ে বলি,কিগো বুড়ি মা? তুমি কেন বসে কাঁদো?
চোখের জ্বলে মুখখানা ধুয়ে, তুমি কি স্বপ্ন আঁকো ?
তুলে মুখ সে গগন পানে, ব্যাথাতুর হয়ে বলে,
মোর কথা শুনে কি লাভ তোমার, দিন গেছে মোর চলে।
ভাবি শুধু আজ নিশ্বাস টুকু, কেন যে রয়েছে বাকি ?
এই জীবনে সকলেই গেছে, দিয়ে শুধু মোরে ফাঁকি !
হাতখানা তুলে তার মস্তকে, চোখপানে দেখি চেয়ে,
ছলছল জলে চোখ মুখ তার, ক্লান্তিতে গেছে ছেঁয়ে।
মোর অনুরোধে বলতে লাগিল, জীবন ব্যাথার জারি,
ইতিহাস আর ঐতিহ্যে ভড়া, সিরাজগঞ্জে তার বাড়ি।
ছিল সে সুখে সোনার চামুচ মুখে, জন্মেছিল এই ভবে,
চোখ ভড়া তার স্বপ্ন ছিল, দেশটা স্বাধীন হবে।
হঠাৎ বাঁজিল মৃত্য ঢংকা, যুদ্ধ লাগিল দেশে,
পিতা গেল তার মুক্তিযুদ্ধে, বীর সৈনিক বেশে।
বলেছিল বাবা যুদ্ধে যাচ্ছি, করতে স্বাধীন দেশ,
সম্মুখ যুদ্ধে নামিব আমি, হয় হবে জীবন শেষ।
ছিনিয়া আনিব মুক্ত বাংলা, বুকের রক্ত দিয়ে,
হইব শহীদ নইলে গাজী, চলিলাম শপথ নিয়ে।
জননী মোর মুড়ি নাড়ু বেঁধে, দিলেন বাবার কাঁধে,
বলিল বাবা রাখো ওসব আজ, জয় আনিব আগে।
জননী মোর লুকিয়ে মুখ,শাড়ির আঁচল পানে,
চোখ মুছে সে মুখ তুলে বলে, ফিরে এসো জয়গানে।
নামিল আঁধার মোদের ঘড়ে, শত্রু ধরিল ঘিরে,
মা,বোন,ভাইদের পাক বাহিনী, বুক দিয়ে গেল ছিঁড়ে।
নির্দয় কিছু পাক কুকুরে, ধরিল আমায় চাপি,
শোক,দুঃখ,ব্যাথা,যন্ত্রণায়, হৃদয় উঠিল কাঁপি।
ধরালো আগুন সারা বাড়িতে, দাউ দাউ করে জ্বলে,
দুঃসহ সেই স্মৃতি গুলো নিয়ে, জীবন যাচ্ছে চলে।
বলিত লোকে ইজ্জত সম্মান মোর, যুদ্ধে হয়েছে শেষ,
ছিঁচল্লিশ বছর কেটে গিয়েছে, কাটেনি ব্যাথার রেশ।
তোমাদের ত্যাগে দেশ পেয়েছি, মহীয়সী নারী তুমি,
দিতে হলে দিবো আবারো রক্ত, ছাড়িব না বঙ্গ ভূমি।
E-Mail: [email protected]
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২০/০৯/২০২৪বেশ!
-
কামরুজ্জামান সাদ ০৪/০৫/২০১৮লেখাটা ভাল লেগেছে।
-
ন্যান্সি দেওয়ান ০৩/০৫/২০১৮So sweet.
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০৩/০৫/২০১৮অসাধারণ।
-
সাঁঝের তারা ০৩/০৫/২০১৮অপূর্ব!