www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

শ্রমিকদের অধিকার চাই

১ লা মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। সারা বিশ্বের সকল শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এই দিনটি বিশ্বব্যাপী শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। এবং কর্মস্থলে সাধারণ ছুটি বহাল থাকে। কিন্তু এই দিনেও কিছু কিছু স্বার্থান্ধ, লোভপীড়িত প্রতিষ্ঠানে কেন কর্মস্থলে কর্ম খোলা রাখা হয় ?
এর কি কোনই বিচার হবে না ?
বাংলাদেশে কি এর কোন প্রতিকার নেই?
নাকি একতরফা ভাবেই শাসক গোষ্ঠীবর্গ চিরকালব্যাপী নিম্ন আয়ের মানুষের প্রতি অত্যাচার নির্যাতন করেই যাবে?
তাহলে কি শ্রমিক, দিন মুজর আর সাধারণ নাগরিকের কোনই অধিকার নেই সঠিক বিচার পাওয়ার?

আসুন, সবাই একযোগে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলি, স্বার্থান্বেষী,রক্তচোষা, নির্যাতনকারী,দুর্নীতিবাজ মহলের বিরুদ্ধে।

১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে প্রতি বছর সরকারি ও বেসরকারি উদ্দ্যোগে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ও সংগঠন গুলো নানা রকম আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। ফলে এই দিন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সরকারি ছুটি পেয়ে থাকেন।

কিন্তু দুঃখ আমাদের মত কিছু দুর্ভাগা ও কপাল পোঁড়া বিশাল জন সমষ্টির। যারা মাষ্টার্স, অনার্স কমপ্লিট করেও দেশে ভাল কোন কর্মসংস্থান না পেয়ে যোগদান করছে, সেলস ও মার্কেটিং এর মত গুরুত্বপূর্ণ ( বর্তমানের অবহেলিত ) পেশায়। বাকিরা যোগদান করছে বেসরকারি অন্যান্য কোম্পানি বা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে ঐ সকল অধিকাংশ কোম্পানি গুলো বিশেষ দিন গুলোতেও ছুটি দিতে ইচ্ছুক নয়। কিন্তু আমি একজন হ্যামকো ইন্ডাঃ লিঃ এর গর্বিত "এরিয়া সেলস ম্যানেজার"। কারন, বিশেষ দিন গুলোতে আমরা ছুটি পেয়ে থাকি।

কিন্তু বর্তমান চোখে পড়ার মত বড় বড় কোম্পানি গুলো যখন সেলস এবং মার্কেটিং এ কাজ করা সকল ব্যক্তিকে নির্দিধায়, স্বার্থপর হয়ে কাজ করিয়ে নেয়,নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার প্রয়াসে। অথচ সেলস এবং মার্কেটিং এর লোকজনই সকাল ৮.০০ থেকে রাতের ১০.০০ পর্যন্ত প্রায় বারো থেকে চৌদ্দ ঘন্টা কাজ করেন কম্পানির জন্য কোন অভার টাইম ছাড়াই। উপরোন্ত মাঝে মাঝেই খোলা থাকে শুক্রবার। আর মাস শেষে নাম মাত্র বেতন। তাও আবার সবাই সময় মত পায় না। পেলেও টেনেটুনে চলে জীবন সংসার। সুতরাং কি এমন ক্ষতি হয় বছরের মাত্র কয়েকটি দিনের ছুটিতে?

ঠিক সেই সময় হ্যামকো ইন্ডাঃ লিঃ সকলের ছুটি বহাল রাখলেন। এটা অন্যান্য কোম্পানির চোখে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখিত হতে পারে। কয়েকটি কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে জেনেছি, এবং বাস্তবিকভাবে প্রত্যক্ষ করেছি যে কিভাবে ঐ সকল নামধারী, সুপ্রতিষ্ঠিত, বিত্তশালী কোম্পানি গুলো, পহেলা বৈশাখ,মাতৃভাষা দিবস,স্বাধীনতা দিবস, শ্রমিক দিবস, শবে-কদর, শবে-মিরাজ, আশুরা, এমন কি বিজয় দিবসের মত দিন গুলোও কর্ম খোলা রাখেন।

অন্যান্য দিনের কথা আর নাইবা বললাম ! ধিক্কার ও ঘৃণা জানাই ঐসকল প্রতিষ্ঠান আর মালিকদের প্রতি। সেই সাথে আহবান জানাই সকল সচেতন সমাজের প্রতিবাদী কন্ঠকে, আসুন এই ধরনের মানবতা বিরোধী সকল কর্মকান্ডের প্রতি সবাই সোচ্চার হই এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আর যে সকল কোম্পানির মালিকের শরীরে মানুষের রক্ত আছে, আসুন তারাও তাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্দিষ্ট বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে ছুটির ব্যবস্থা করুন।

বিঃ দ্রঃ লেখাটি কপি করা নিষিদ্ধ। তবে শেয়ার করতে পারেন।
( ভাল লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে পাশে থাকবেন)
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৫৯৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/০৫/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • নাইস
  • Nice!
  • সুন্দর উপস্থাপন
  • আসলে আমি আন্দোলনে আন্দোলিত হই।

    ধন্যবাদ
  • সাঁঝের তারা ০৩/০৫/২০১৮
    ভালো
 
Quantcast