চিকুনগুনিয়া
সাম্প্রতিক সময়ে একটি আলোচিত রোগের নাম চিকুনগুনিয়া।
গতকাল আমার এক সহকর্মী মুঠোফোনে জানাল যে, স্যার আগামীকাল আমি, কর্মস্থলে আসতে পারব না এবং আগামী কয়েকদিন আমার অসুস্থজনিত ছুটি প্রয়োজন।আমি জিজ্ঞাসা করলাম কেন?
তিনি বললেন, স্যার আমার তো চিকুনগুনিয়ায় ধরছে।আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম আপনি নিশ্চিত হলেন কিভাবে? ডাক্তার দেখিয়েছেন?
বিষয়টি আমার ব্যাবস্থাপক মহাদয়কে অবগত করলে,তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেন,সাখাওয়াত সাহেব উনারে চিকুনগুনিয়া ধরছে নাকি মোটাগুনিয়া ধরছে আপনি বুঝলেন ক্যামনে !!!
চিকুনগুনিয়া (ইংরেজি ভাষায়: Chikungunya) হচ্ছে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রমণ। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশের দুই থেকে চার দিনের মধ্যে আকস্মিক জ্বর শুরু হয় এবং এর সাথে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা থাকে যা কয়েক সপ্তাহ, মাস বা বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই রোগে মৃত্যু ঝুঁকি প্রতি দশ হাজারে এক জন বা এর চেয়েও কম তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই রোগের জটিলতা তুলনামূলক বেশি হয়।
এই ভাইরাসটি মশার কামড়ের মাধ্যমমে মানব শরীরে প্রবেশ করে।
উপসর্গসমূহঃ
এই ভাইরাসের সুপ্তিকাল ২-১২ দিন তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রে তা তিন থেকে সাত দিন হয়। অনেক সময় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও কোনো উপসর্গ প্রকাশ পায় না। সাধারণত ৭২-৯৭% ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেয়। রোগটি সাধারণত আকস্মিক উচ্চমাত্রার জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা ও ফুসকুড়ি নিয়ে শুরু হয়। ফুসকুড়ি রোগের শুরুতেই দেখা দিতে পারে তবে অনেক সময় রোগ শুরু হওয়ার দুই থেকে তিন দিন পর জ্বর কমতে শুরু করলে ফুসকুড়ির আবির্ভাব হয়।এছাড়া অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, ক্লান্তি, পেটব্যথা, ফটোফোবিয়া বা আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা, কনজাংটিভাইটিস। বড়দের আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টে প্রদাহ হতে পারে।
প্রতিরোধঃ
এই রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় হলো মশা নিয়ন্ত্রণ ও ঘুমানোর সময় মশারি টাঙানো।
সুতরাং সবাই সতর্ক থাকুন,নিরাপদে থাকুন।
গতকাল আমার এক সহকর্মী মুঠোফোনে জানাল যে, স্যার আগামীকাল আমি, কর্মস্থলে আসতে পারব না এবং আগামী কয়েকদিন আমার অসুস্থজনিত ছুটি প্রয়োজন।আমি জিজ্ঞাসা করলাম কেন?
তিনি বললেন, স্যার আমার তো চিকুনগুনিয়ায় ধরছে।আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম আপনি নিশ্চিত হলেন কিভাবে? ডাক্তার দেখিয়েছেন?
বিষয়টি আমার ব্যাবস্থাপক মহাদয়কে অবগত করলে,তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেন,সাখাওয়াত সাহেব উনারে চিকুনগুনিয়া ধরছে নাকি মোটাগুনিয়া ধরছে আপনি বুঝলেন ক্যামনে !!!
চিকুনগুনিয়া (ইংরেজি ভাষায়: Chikungunya) হচ্ছে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রমণ। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশের দুই থেকে চার দিনের মধ্যে আকস্মিক জ্বর শুরু হয় এবং এর সাথে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা থাকে যা কয়েক সপ্তাহ, মাস বা বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই রোগে মৃত্যু ঝুঁকি প্রতি দশ হাজারে এক জন বা এর চেয়েও কম তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই রোগের জটিলতা তুলনামূলক বেশি হয়।
এই ভাইরাসটি মশার কামড়ের মাধ্যমমে মানব শরীরে প্রবেশ করে।
উপসর্গসমূহঃ
এই ভাইরাসের সুপ্তিকাল ২-১২ দিন তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রে তা তিন থেকে সাত দিন হয়। অনেক সময় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও কোনো উপসর্গ প্রকাশ পায় না। সাধারণত ৭২-৯৭% ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেয়। রোগটি সাধারণত আকস্মিক উচ্চমাত্রার জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা ও ফুসকুড়ি নিয়ে শুরু হয়। ফুসকুড়ি রোগের শুরুতেই দেখা দিতে পারে তবে অনেক সময় রোগ শুরু হওয়ার দুই থেকে তিন দিন পর জ্বর কমতে শুরু করলে ফুসকুড়ির আবির্ভাব হয়।এছাড়া অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, ক্লান্তি, পেটব্যথা, ফটোফোবিয়া বা আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা, কনজাংটিভাইটিস। বড়দের আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টে প্রদাহ হতে পারে।
প্রতিরোধঃ
এই রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় হলো মশা নিয়ন্ত্রণ ও ঘুমানোর সময় মশারি টাঙানো।
সুতরাং সবাই সতর্ক থাকুন,নিরাপদে থাকুন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আমি-তারেক ২৩/০৬/২০১৭jana dorkar ei sob...
-
তাবেরী ২২/০৬/২০১৭ভাল লাগল।
-
আফরিনা নাজনীন মিলি ২১/০৬/২০১৭অত্যন্ত সময়োপযোগী পোস্ট। অনেকেই উপকৃত হবেন এ পোস্টটি থেকে। ধন্যবাদ লেখককে।
-
সাঁঝের তারা ২১/০৬/২০১৭ভাল